শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
হায়না
আফ্রিকায় বসবাসকারী শিকারি প্রাণীদের মধ্যে হায়না রয়েছে শীর্ষস্থানে। এরা সংখ্যায় প্রায় ৪৭ হাজার। মাংসাশী এই প্রাণী এখানকার খুব দক্ষ শিকারি হিসেবে পরিচিত। যে প্রাণীরা ওয়াটারহোলের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় ও জলপান করতে আসে তাদেরকেই শিকারের টার্গেট করে হায়না। এরা এমন জায়গারই সন্ধান করে যেখান থেকে পশুদের শিকার করা বেশ সহজ হয়। তাই হায়না ওয়াটারহোলের কাছাকাছিই কোনও গুহা বা গর্তে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে। যার ফলে এরা শিকারের খুব কাছাকাছি থাকতে পারে। এটাই ওদের সহজে শিকার ধরার মূল চাবিকাঠি। তবে এই শক্তিশালী শিকারি হায়নাদের দৃষ্টি এবং বিশেষ ধরনের শব্দ ওয়াটারহোলের ওপর নির্ভরশীল অনেক প্রাণীকে আবার নিরাপদে দূরত্বে সরিয়েও রাখে। এভাবেও অনেক প্রাণী রক্ষা পায়।
আফ্রিকার সিংহ
পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক সিংহের বাস এই তানজানিয়ায়! এরা ওজনে প্রায় ২৫০ কিলোগ্রামের মতো হয়। দক্ষ প্রাণী হিসেবে এদের বেশ নামডাকও আছে। বিশেষ ধরনের দাঁত থাকায় শিকার ধরার পর ওদের সহজে ছিঁড়ে ফেলতে পারে এরা। গরমকালে প্রায় সব প্রাণীই ওয়াটারহোলকে কেন্দ্র করেই কাছাকাছি কোথাও বসবাস করতে শুরু করে। সিংহও তাই করে। তবে তৃষ্ণা নিবারণের পাশাপাশি শিকার ধরতে সিংহ ওয়াটারহোলের পার্শ্ববর্তী গাছ বা ঝোপঝাড়ের আড়ালে চুপচাপ লুকিয়ে থাকে। এই বিশেষ প্রজাতির সিংহ তানজানিয়ার সবচেয়ে বড় সিংহ। এরা ক্রমশ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ও তাদের ছানাদের সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে ওঠে। অন্যদিকে জিরাফ, ইমপালা, জেব্রা শিকারি প্রাণীদের কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সাধারণত একসঙ্গে থাকে। ওয়াটারহোলগুলি সিংহের জন্য নির্ভরযোগ্য ও সহজে শিকার ধরার জন্য আদর্শ জায়গা বলে মনে করা হয়। এভাবে এরা একসঙ্গে খাবার ও জলের সন্ধান করে থাকে।
ভরবেট মাঙ্কি
কখনও কখনও বিশেষ প্রজাতির ভরবেট মাঙ্কির মতো কিছু কিছু প্রাণীর পক্ষে ঝঞ্ঝাটহীন জীবনযাপন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, ওয়াটারহোল ছাড়া এদের তৃষ্ণা নিবারণের আর কোনও উপায় থাকে না। আর ঘটনাচক্রে এইসব ওয়াটারহোলে গেলেই এদের শত্রু তথা শিকারিদের সম্মুখীন হতে হয়। মা বানরকে বাচ্চাদের রোজ পুষ্টিকর দুধের জোগান দিতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান করতে হয়। তাই জলপান করতে এরা দল বেঁধে যায় ওয়াটারহোলগুলিতে। শিকারিদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে এরা একসঙ্গে থাকে। এরা যদি কখনও বিপদে পড়ে তাহলে তারা বিশেষ ধরনের শব্দ করে, যা অনেকটা অ্যালার্মের মতো। এই বিশেষ ধরনের শব্দের মাধ্যমে তারা অন্য প্রাণীদেরকেও সতর্ক করে দেয়।
তোমরা ‘ওয়াটারহোল : আফ্রিকা’জ অ্যানিম্যাল ওয়েসিস’ শো-এ আরও অনেক আকর্ষণীয় তথ্য জানতে পারবে। দেখতে পাবে অনেক না দেখা ছবি। আশা করি সোনি বিবিসি আর্থ-এর এই শোটি দেখে তোমাদের খুব ভালো লাগবে।