শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
উড়ন্ত কাঠবিড়ালি
এই বিশেষ প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আকারে মাত্র ১৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয়। এদের ওজন একটি সাধারণ স্মার্টফোনের থেকেও কম হয়ে থাকে। তবে দুটি গাছের মধ্যে ৪৫ মিটার পর্যন্ত দূরত্ব হলেও কোনও ব্যাপার নয়, খুব সহজে এই প্রাণী উড়ে চলে যেতে পারে। এদের ডানার মতো বিশেষ এক ধরনের অঙ্গ থাকে, যা এদের উড়তে সাহায্য করে। এরা কব্জি, গোড়ালি ও লেজকে বিশেষভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্যারাসুটের মতো কাজ করে।
মালাবার জায়ান্ট কাঠবিড়ালি
দক্ষিণ ভারতের জঙ্গলে এদের দেখা যায়। এরা প্রায় এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। সিংহের মতো লেজ আছে। এরা কাঠবিড়ালি পরিবারের সব থেকে বর্ণময় সদস্য। বেশি ওজন হওয়ার জন্য এদের বেশ চিত্তাকর্ষক লাগে। মালাবার জায়ান্ট কাঠবিড়ালি অস্বাভাবিক নমনীয় হয়। শুনতে অবাক লাগলেও এদের পায়ের পাতা় প্রায় ১৮০° পর্যন্ত ঘুরতে পারে।
বার্কলে ফক্স কাঠবেড়ালি
উত্তর আমেরিকার পূর্বাঞ্চলে বার্কলে ফক্স কাঠবিড়ালিকে দেখতে পাওয়া যায়। এরা আকারে মাঝারি ধরনের হয়। সাধারণত গাছপালায় থাকে। এদের পশমের মতো লম্বা লেজ থাকে। অন্যান্য কাঠবিড়ালির থেকে এদের মস্তিষ্কও আকারে বড়।
চিপমাঙ্ক
চিপমাঙ্ক কাঠবিড়ালি পরিবারের অন্যতম প্রিয় সদস্য। এরা আকারে খুব ছোট হয়। তাই এরা শরীরের মধ্যে শীতকালের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ চর্বি সঞ্চয় করতে পারে না। সেকারণে এরা শীতকালে অনেকক্ষণ ধরে ঘুমিয়ে থাকে। কারণ জেগে থাকলেই এদের খাদ্যের দরকার হয়। এরা সাধারণত শরৎকালে প্রচুর বাদাম সংগ্রহ করে রাখে। এদের গাল এতটাই নমনীয় যে এরা মুখে সাত-আটটি বাদাম ভালোভাবে রেখে দিতে পারে।
গ্রাউন্ড কাঠবেড়ালি
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে এদের বেশি দেখা যায়। এরা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে থাকে। এখানে এরা তাদের বাচ্চাদেরও নিরাপদে রাখতে সক্ষম হয়। বাচ্চাদের খুব যত্নে বড় করে তোলে। ছানাদের বয়স কমবেশি ছয় সপ্তাহ হলে তবেই এরা এদের মাটির ওপরে তৃণভূমিতে বের করে। পাখি ও অন্যান্য প্রাণীর হাত থেকে আড়াল করে রাখতেই এদের গর্তের মধ্যে রাখে মায়েরা। তবে এদের সব থেকে বড় শত্রু হল র্যা টলস্নেক। এরা শিকার ধরতে অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে। তবে কাঠবিড়ালিগুলিও এই সাপের হাত থেকে বাঁচতে অভিনব কৌশল ও ক্ষমতা প্রয়োগ করে নিজেকে ও ছানাদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এরা পাথরকে বিশেষভাবে ব্যবহার করে জানতে সক্ষম হয় সাপের গতি, আকার এবং তাপমাত্রা।
আশা করি, কাঠবিড়ালিদের নিয়ে সোনি বিবিসি আর্থ-এর বিশেষ শো ‘সুপার স্কুইরাল’ দেখে তোমাদের ভালো লাগবে।