ফণী, উমপুন, যশের দাপট আমরা দেখেছি। ঝড় যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আমরা জানি। কেন আসে এমন ঝড়? কীভাবেই বা তৈরি হয়? খোঁজ নিয়ে লিখলেন সুপ্রিয় নায়েক।
ইঁদুর। ছোট্ট দুষ্টু একটি প্রাণী। যার উৎপাতে হ্যামলিন শহর অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। যার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠি আমরাও। ইঁদুর নিধনের কত পরিকল্পনাই না আমরা করে থাকি তার ইয়ত্তা নেই । অথচ তোমরা শুনলে অবাক হয়ে যাবে যে, এই ইঁদুরই লেখার প্রেরণা হয়েছিল একজন সাহিত্যিকের।
গরমের ছুটির সেই মজা আর নেই। কারণ টানা দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। ক্লাস চলছে অনলাইনে। তবুও গরমের ছুটি বললেই মনটা কেমন নেচে ওঠে। তোমাদের বন্ধুরা কে কীভাবে কাটাচ্ছে এবারের গরমের ছুটি তারই পরিকল্পনা ফাঁস করা হল।
ম্যাজিক মানে শুধুই খেলা? পড়ার লেশমাত্র নেই? মোটেও না, ম্যাজিকে এবার লেখাপড়ার বিষয়গুলোও ভরে দেওয়া হল। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দারুণ ম্যাজিক দেখাবেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। এখন থেকে প্রতি মাসের একটা করে রবিবার তোমাদের জন্য থাকবে ম্যাজিকে লেখাপড়া। এবার জীববিদ্যা। ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
কাঠবিড়ালিকে আমরা সবাই ভালোবাসি। খুব সুন্দর দেখতে। এরা অত্যন্ত আদরের হয়। এদের দেখতে দেখতে অনেকটা ভালো সময় কেটে যায়। কাঠবিড়ালিকে অনেক কার্টুন শো-এর পাশাপাশি জনপ্রিয় সিনেমাতেও দেখা যায়।
করোনার দাপটে স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কি কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘরে শুধু তোমাদের জন্যই দুটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন সিগনেট মাউন্টেন ব্রিজ হোটেলের (নৈনিতাল) এগজিকিউটিভ শেফ সাগ্নিক মজুমদার। এগুলি আগুনের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা যাবে। তোমরাই করে চমকে দাও বড়দের।
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুল, সোদপুর উদ্যাপন করল মাতৃদিবস এবং রবীন্দ্র জয়ন্তী। গত ৯ মে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
কালবৈশাখীর কত রূপ! প্রকৃতির এত বিচিত্র রূপ বোধহয় একমাত্র এই বাংলাতেই দেখা যায়। এখানে প্রকৃতি কখনও প্রচণ্ড, কখনও আবার শান্ত সমাহিত, মন ভালো করে দেওয়া। গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখীর প্রচণ্ডতা আর একইসঙ্গে তার মনোমুগ্ধকর রূপ নিয়ে তোমাদের ক’জন বন্ধু নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল তোমাদের সঙ্গে।
শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
পৃথিবীর সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপ্রত্যাশিত এবং তাৎক্ষণিকভাবেই ঘটে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাহায্যে মানবসম্পদ, প্রাণী জীবন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের ভয়াবহ ক্ষতিও হয়ে থাকে। সবথেকে শক্তিশালী ও ভয়াবহ বিপর্যয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল হ্যারিকেন, দাবানল, সুনামি, ভূমিকম্প প্রভৃতি। এই জাতীয় শক্তিশালী বিপর্যয়গুলির কারণ কী? এদের প্রতিরোধ করার উপায়ই বা কী এই সব নিয়ে সোনি বিবিসি আর্থ একটি বিশেষ শো-এর আয়োজন করেছে। শোটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিয়ার্স অর্থ’। এখানে বেশ কয়েকটি বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য ও ছবি তুলে ধরা হয়েছে। অসাধারণ এই শোটি দেখে তোমাদের ভালো লাগবে।
হ্যারিকেন
হ্যারিকেন ভয়াবহ প্রাকৃতিক শক্তিগুলির মধ্যে অন্যতম। যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আর্দ্র বায়ু ওপরের দিকে উঠে বিশাল মেঘকে সরানোর চেষ্টা করে, তখন এই দৈত্যাকার ঝড় তৈরি হয়। ঝড়োহাওয়া যত বাড়বে তত শক্তিশালী হবে এই ঝড়। এটি আরও দ্রুতবেগে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থলের দিকে ছুটে যায়। যখন হ্যারিকেন ভূপৃষ্ঠে পৌঁছয় তখন তা বন্যা এবং উচ্চতর বাতাসের আকার ধারণ করে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিছু হ্যারিকেনের গতি প্রতি ঘণ্টায় কমবেশি ১৫০ মাইলের বেশি। হ্যারিকেন যে পথ ধরে যায় সেই সব এলাকায় সব কিছুকে ধ্বংস করে ধূলিসাৎ করে দেয়।
ওয়াইল্ডফায়ারস
সাধারণত আগুন রান্নাবান্না সহ একাধিক কাজে লাগে। তবে এর একটি সাধারণ শিখা কখনও কখনও বিধ্বংসী দাবানল সৃষ্টি করতে পারে। যখন সমতল ভূমিতে আগুন জ্বলতে থাকে তখন সেই আগুন থেকে তাপ আকাশে উঠে যাওয়ায় আগুন শক্তি, ঘনত্ব ও গতি হারিয়ে ফেলে। আগুন যে গতিবেগে ছোটে তা পরে দ্বিগুণ হয়ে যায়। দাবানলের আগুন জ্বলতে সাধারণত তিনটি জিনিসের দরকার হয়— জ্বালানি, অক্সিজেন ও তাপ। জ্বালানি হিসেবে শুকনো গাছ, গুল্ম ও ঘরবাড়িও হতে পারে। দাবানলের সবচেয়ে বড় কারণ হল মানুষের অসাবধানতা।
সুনামি
এই গ্রহের প্রাকৃতিকভাবে তৈরি বিধ্বংসী শক্তিগুলির অন্যতম হল সুনামি। এটি মানবজন্মের সময় থেকেই আছে। এর ছোটছোট তরঙ্গ, বায়ু ও জোয়ারের কারণে হয়ে থাকে। তবে ভূমি ধস বা ভূমিকম্পের কারণে হঠাৎ করে প্রচুর পরিমাণে জল স্থানচ্যুত হলেও সুনামি হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে একটি ছোট তরঙ্গের সাহায্যে শুরু হলেও ক্রমশ দ্রুতগতিতে জেট বিমানের মতো ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ মাইলের বেশি গতিবেগে সমুদ্রে বিচরণ করে। ঢেউ যখন সমুদ্র উপকূলে আঘাত করে তখন তার গতি কমে যায়। এবং উচ্চ থেকে উচ্চতর হতে থাকে ঢেউ। সুনামির সম্ভাব্য লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল ভূমিকম্প যা ২০ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়।
ভূমিকম্প
ভূমিকম্প মানেই শিহরন জাগানো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ভূগর্ভস্থে থাকা প্লেট টেকটোনিকস’র অতিরিক্ত গতির জন্যই পৃথিবীর ওপরের স্তরে সাধারণত ভূমিকম্প হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ অংশ উত্তপ্ত হলেও বাইরের যে অংশে আমরা থাকি তা কিন্তু শীতল। ভেতরের ওই উত্তপ্ত স্তরের ওপরেই ওই প্লেটটি বসানো আছে। এই প্লেটটি আবার খুব ধীরে ধীরে সরতে থাকে। বছরে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার। যখন একটি প্রান্ত অপর প্রান্তের সঙ্গে ঘষা লাগে তখন তাকে ফল্ট বলে। এটিই ভূমিকম্পের অন্যতম কারণ।
