শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
কয়েক মাস ধরেই চলছে পড়ার ম্যাজিক। ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে পড়াশোনাকে থিম করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। লেখাপড়ার বিষয়গুলির মধ্যে থেকেই এবার জীববিদ্যা নিয়ে দু-দু’খানা মজার ম্যাজিক বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। সেগুলো শিখে নিয়ে তোমরাও দেখাতে পারো সবাইকে। শিখবে নাকি ম্যাজিক দুটো?
ম্যাজিক ১
ম্যাজিশিয়ান আজ শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি বানাবেন। তবে চোখের নিমেষে। প্রথমে তিনি একটা বড় শুঁয়োপোকার ছবি তোমাদের সামনে রাখলেন। সবাইকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তা দেখালেন। তারপর ছবিটা তিনি ম্যাজিক ব্যাগে ভরে দিলেন। ঠিক যেমন তোমরা জীববিদ্যার ক্লাসে শুঁয়োপোকা ধরে তা দেশলাইয়ের বাক্সে রাখো সেরকম। কিন্তু জীববিদ্যার ক্লাসে যেমন শুঁয়োপোকাকে প্রজাপতি বানানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় দিতে হয় ম্যাজিশিয়ানের মন্ত্রবলে তেমনটা হয় না। বরং এক নিমেষেই শুঁয়োপোকা প্রজাপতিতে পরিণত হয়। ম্যাজিশিয়ান শুঁয়োপোকার ছবিটা তাঁর ম্যাজিক ব্যাগে ভরে যেই না ম্যাজিক মন্ত্র পড়ে আবারও ব্যাগের ভেতর হাত ঢোকালেন অমনি ছবি বদলে প্রজাপতি হয়ে গেল। দারুণ কিন্তু, তাই না?
পদ্ধতি: তোমরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে অধৈর্য হয়ে পড়েছ ম্যাজিকটা শেখার জন্য? তাহলে সহজ খেলার নিয়মটা বলি শোনো। তার জন্য কিছু জিনিস লাগবে। প্রথমত একই মাপের দুটো ছবি, একটা শুঁয়োপোকার আর অন্যটা প্রজাপতির। একই ধরনের কাগজে এই দুটো ছবির প্রিন্টআউট নিয়ে নিলেই ঝামেলা চুকে যাবে। এছাড়া লাগবে একটা ম্যাজিক ব্যাগ। সেটাও বাড়িতেই বানানো যায়। একটা কাপড়ের ব্যাগ নেবে যার মুখটা খোলা। তাতে ওই একই রঙের কাপড় দিয়ে একই মাপে একটা খাপ বানিয়ে নেবে। ব্যাস ম্যাজিক ব্যাগ তৈরি। একটু ডার্ক রঙের কাপড় দিয়ে বানালে ব্যাগের খাপটা কেউ দেখতে পাবে না। এবার দুটো ম্যাগনেট লাগবে। আর দুটো জেমস ক্লিপ। ম্যাজিক ব্যাগে খাপের ওপর দিকে একটা ম্যাগনেট লাগিয়ে নাও আর অন্যটা লাগাও ব্যাগের ভেতর। এবার প্রজাপতির ছবিতে জেমস ক্লিপ আটকে তা ম্যাজিক ব্যাগের খাপের ভেতর ভরে ফেল। দেখবে জেমস ক্লিপ ম্যাগনেটের সঙ্গে আটকে যাবে। এরপর খেলা শুরু করো। ব্যাগটা এমনভাবে সবাইকে দেখাও যাতে খাপ রহস্য বোঝা না যায়। দর্শক ভাববে ব্যাগ খালি। এক হাতে অন্য জেমস ক্লিপ লাগান শুঁয়োপোকার ছবি নিয়ে তা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাও। তারপর তা ব্যাগে ভরে ফেল। শুঁয়োপোকাও এবার অন্য দিকে লাগানো ম্যাগনেটে আটকে যাবে। এরপর মন্ত্র পড়ে যখন আবার ব্যাগে হাত ঢোকাবে, তখন সাবধানে খাপের ভেতর থেকে প্রজাপতির ছবিটা বার করে আনতে পারলেই ম্যাজিক রেডি। শুঁয়োপোকা থেকে চোখের পলকে তৈরি হবে প্রজাপতি।
ম্যাজিক ২
করোনাকালে এই ম্যাজিকটা বিশেষভাবে তৈরি করেছেন ম্যাজিশিয়ান তোমাদের জন্য। করোনাকে ভয় না করে জয় করার ম্যাজিক এটা। একটা করোনা বল বানিয়েছেন ম্যাজিশিয়ান বাড়িতেই। সেই বলটা তিনি একটা ফার্স্ট এইড বাক্সে ভরে দিলেন। আর তারপর গিলিগিলি গাপ্পা ওকাস ফোকাস মন্ত্র বলে যেই না ফার্স্ট এইড বাক্সের ঢাকা খুলে আবার তাতে হাত ঢোকালেন ওমনি করোনা বল ভ্যানিশ হয়ে বাক্সের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল একটা মাস্ক। সেই মাস্ক, যা মুখে পরে আমরা করোনা জয় করতে পারব।
পদ্ধতি: এই ম্যাজিকটাও কিন্তু কঠিন নয়। কিন্তু করতে গেলে কী কী লাগবে তা বলি। একটা সফট বল, কয়েকটা আলপিন, আর এক প্যাকেট থারমোকল বল। এছাড়া একটা ফার্স্ট এইড বক্স, একটা মাস্ক আর ওই একই মাপের একটা শক্ত কাগজের টুকরো। প্রথমে সেই টুকরো কাগজটা ফার্স্ট এইড বাক্সের একদিকের দেওয়ালে খাপের মতো লাগিয়ে নিতে হবে। সেই খাপের ভেতর লুকনো থাকবে মাস্কটা। এরপর এক একটা আলপিনে দুটো করে থারমোকলের বল আটকে নাও। তারপর সেই আলপিনগুলো সফট বলে গেঁথে দাও। এইভাবে গোটা সফট বলটা আলপিনে ঢেকে ফেল। তৈরি হল করোনা বল। এরপর সেই বল ফার্স্ট এইড বাক্সে ঢুকিয়ে ঢাকা বন্ধ করে ম্যাজিক মন্ত্র পড়ে নাও। এবং ঢাকা খুলে ওই খাপে রাখা মাস্ক সাবধানে বার করে আনো। সবাই ভাববে করোনা বল ভ্যানিশ করে মাস্ক বেরিয়ে এল বুঝি।