Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

এক যে ছিল সিংহ

সিংহের কথা বললেই আমাদের মাথায় আসে আফ্রিকার কথা। কিন্তু এই কলকাতা শহরেই একদা জাদুকর পি সি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে বাস করত এক সিংহ। তার গল্প শুনিয়েছেন স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী।

অনে-এ-ক দিন আগে কলকাতা শহরে এক সিংহ বাস করত!
চমকে গেলে নাকি? আরে হ্যাঁ, সত্যি কথা বলছি। বানানো গল্প নয়। কবি-সাহিত্যিকরা আমাদের এই প্রিয় শহরকে ‘কংক্রিটের জঙ্গল’ বলে উল্লেখ করেছেন। তা এই কংক্রিটের জঙ্গলেই বসবাস করত সেই সিংহ। নাম ছিল তার সম্রাট। বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ‘ইন্দ্রজাল’ নামে যে বাড়িটা আছে সেখানেই থাকত সে।
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছ। ‘ইন্দ্রজাল’ বাড়িটা আসলে জাদুসম্রাট পি সি সরকারের। পি সি সরকার সিনিয়র অর্থাৎ প্রতুলচন্দ্র সরকারের ছেলে পি সি সরকার জুনিয়রের কাছে আমি এই সিংহটার গল্প শুনেছিলাম। আজ সেই গল্পটাই তোমাদের শোনাব।
সম্রাট নামের এই সিংহটা ছিল পি সি সরকার জুনিয়রের পোষা। সম্রাটকে তিনি পেয়েছিলেন স্পেন থেকে। কেমনভাবে পেয়েছিলেন সেটাই গল্প।
পি সি সরকার জুনিয়র তখন দলবল নিয়ে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে ম্যাজিক দেখাচ্ছেন। ওয়েস্ট এন্ডে যে সে শো করার সুযোগ পায় না। বাঙালি হিসেবে একমাত্র সিনিয়র ও জুনিয়র এই দুই পি সি সরকারই সে সুযোগ পেয়েছিলেন।
ওয়েস্ট এন্ডের যে হলে জাদু প্রদর্শনী হচ্ছিল তার একপাশে হচ্ছিল বিশ্ববিখ্যাত অপেরা নাটক ‘জেসাস ক্রাইস্ট সুপার স্টার’ ও অন্যপাশে হচ্ছিল আগাথা ক্রিস্টির ‘মাউস ট্র্যাপ’। যে নাটকটি ১৯৫২ সালে শুরু হয়ে ২০১২ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে চলেছিল মোট ২৫ হাজার রজনী।
তো যাই হোক, একদিন ওয়েস্ট এন্ডে জাদু দেখতে এসেছিলেন স্পেনের এক ইম্প্রেশারিও। তাঁর নাম মিঃ ক্যাস্টেলিয়া। ইম্প্রেশারিও মানে জানো তো? অর্থাৎ যাঁরা পেশাদারভাবে নানা ফাংশান করে থাকেন। এটাই তাঁদের জীবিকা।
প্রদীপবাবু অর্থাৎ পি সি সরকার জুনিয়রের ম্যাজিক দেখে ক্যাস্টেলিয়া সাহেবের এত ভালো লেগে গেল যে তিনি তাঁকে স্পেনে নিয়ে যেতে চাইলেন। প্রদীপবাবুর লন্ডনের ম্যানেজার ল্যুইয়ের সঙ্গে ক্যাস্টেলিয়া কথাবার্তা বলে সবকিছু পাকা করে ফেললেন। তারপর পি সি সরকার জুনিয়র তাঁর হাতে ধরিয়ে দিলেন একটা লম্বা লিস্টি। তাতে ছিল ম্যাজিক দেখানোর জন্য যেসব সাজ-সরঞ্জাম লাগে তার ফর্দ। তা সেই ফর্দতে ছিল একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও! আসলে প্রদীপবাবু তখন একটা খেলা দেখাতেন যাতে শাড়ি পরা একটা মেয়েকে জাদুবলে তিনি বাঘে রূপান্তরিত করে দিতেন। ক্যাস্টেলিয়া সাহেব সেই ফর্দ দেখে বললেন, বেশ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তুমি পাবে। আমেরিকার একটা সার্কাস দল থেকে আমরা তাকে ভাড়া করে এনে দেব।
প্রথমদিকে চুক্তি হয়েছিল ৩ মাসের। কথা মতো ক্যাস্টেলিয়া সাহেব আমেরিকা থেকে বাঘ এনে দিলেন পি সি সরকারকে। একেবারে খাস র‌য়্যাল বেঙ্গল টাইগার। প্রদীপবাবু তার নাম দিলেন ‘দক্ষিণ রায়’। আসলে দক্ষিণ রায় বাঘের দেবতা। সুন্দরবন অঞ্চলে দক্ষিণ রায়ের পুজো করা হয়।
জন্তু জানোয়ার নিয়ে ম্যাজিক দেখাতে গেলে তাদের সঙ্গে একটু ভাব পাতানো দরকার। আর পি সি সরকার জুনিয়র জন্তু জানোয়ার ভালোবাসেন। তাই বাঘের খাঁচাটাকে তিনি নিজের হোটেলের রুমে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন। খাঁচার পাশেই টেবিল চেয়ারে কাজ করতেন। আর কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাঘটার সঙ্গে কথা বলতেন। নিজে খেতে খেতে দু’ এক টুকরো খাবার
ছুঁড়ে দিতেন বাঘটার দিকে। বাঘটা প্রথম প্রথম সে খাবার খেত না। পরে কিন্তু খেত। পি সি সরকার জুনিয়র কিছু বললে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকত। আর হোটেলের কর্মচারী, ক্যাস্টেলিয়ার কর্মচারীরা সবাই ভাবত জাদুকর বোধহয় বাঘটার সঙ্গে সত্যি সত্যি কথা বলেন!
স্পেনে তিনমাসের চুক্তি ছিল। কিন্তু ম্যাজিক এত ভালো হল যে টানা এগারো মাস সেখানে ম্যাজিক দেখিয়ে ছিলেন প্রদীপবাবু। তারপর এল সেই দুঃখের দিন। আমেরিকা থেকে চিঠি এল, দক্ষিণ রায়কে ফেরত দিতে হবে। কারণ, একটা সিনেমার শ্যুটিংয়ে তাকে ভাড়া দেওয়া ছিল আগে থেকেই। শুনে প্রদীপবাবুর মন খুব খারাপ। এমন সময় ক্যাস্টেলিয়া এসে বললেন, চলুন একটা জায়গায় এক্ষুনি যেতে হবে। প্রদীপবাবু তো অবাক, কোথায়! বলা হল, পশু হাসপাতালে। কেন? দক্ষিণ রায়ের কি শরীর টরির খারাপ হল না কি! ক্যাস্টেলিয়া কোনও কথাই বললেন না। পি সি সরকারকে নিয়ে সোজা গিয়ে হাজির হলেন একটা পশু হাসপাতালে। সেখানে সবাইকে স্প্রে করে ডিসইনফেক্ট করে মুখে মাস্ক পরিয়ে পায়ে আলাদা জুতো পরিয়ে একটা ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হল। এরপর প্রদীপদার বয়ানে, ‘ঢুকে দেখি ঘর ভর্তি নানা সাইজের সব জন্তু জানোয়ারের বাচ্চা। কী নেই সেখানে? শিম্পাঞ্জি, বাঘ, বাঁদর, হাতি সওব! ক্যাস্টেলিয়া বললেন, আপনি পশুদের এত ভালোবাসেন তাই আমরা ঠিক করেছি এর মধ্যে থেকে একটা আপনাকে উপহার দেব। কোনটা নেবেন আপনি ঠিক করুন। এর মধ্যে একটা বাঘের বাচ্চা আমার প্যান্ট আঁকড়ে ধরে হাঁচড় পাঁচড় করে বেয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল। তো আমি বললাম, এই বাঘের বাচ্চাটাই দিন। তখন ওখানকার কর্মী বললেন, এটা তো বাঘের বাচ্চা নয়, এটা সিংহের বাচ্চা। আমি বললাম, সে কী! এর তো গায়ে ডোরা কাটা রয়েছে। সে বলল, সিংহের বাচ্চাদের গায়ে ওরকম ডোরা থাকে। বয়স বাড়লে ক্রমশ মিলিয়ে যায়। এটাও ম্যাজিক!’
তো সেই সিংহশাবককে নিয়ে দেশে ফিরলেন পি সি সরকার জুনিয়র। এরই নাম হল সম্রাট। নামটা দিয়েছিলেন পি সি সরকারের মা।
বালিগঞ্জের বাড়িতে সম্রাটের সবথেকে পছন্দের জায়গাটা ছিল প্রদীপদার খাটের তলা। ওখানেই সে শুত, ঘুমোত। প্রদীপদা যা যা খেত সবকিছুই খাওয়া চাই তার। বলা যেতে পারে ভীষণ আদর-যত্নে মানুষ হচ্ছিল সম্রাট। চড়-চড় করে বাড়ছিল সে। যখন তার তিনমাস বয়স, তখনই তাকে দেখলে ভয় লাগত। একদিন হল কী, সম্রাটকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। চারতলা বাড়ির কোনও ঘরে সে নেই। প্রদীপদা রাস্তায় বেরিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে লাগলেন। হঠাৎ দেখেন দূরে একটা বাড়ির ছাদে ভিড়। সবাই সেখান থেকে ইন্দ্রজালের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। প্রদীপদা সেদিকে গিয়ে দেখেন, সম্রাট তাঁদের বাড়ির কার্নিশে বসে রয়েছে, বেশ মেজাজে! প্রদীপদা বাবা বাছা করে তাকে তোয়াজ করতে শুরু করলেন নেমে আসার জন্য। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পর সম্রাট রাজার চালে উঠে দাঁড়াল। তারপর খানিকক্ষণ কার্নিশে পায়চারি করে এক লাফে চলে গেল পাশের বাড়ির ছাদে। সেখান থেকে আর এক লাফে উল্টোদিকের বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের ওপর। সেখান থেকে ইন্দ্রজালের ছাদে। তারপর সিঁড়ি দিয়ে ধীরেসুস্থে নেমে এল প্রদীপদার ঘরে। সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
সরকার পরিবারের সবাই বুঝতে পারল যে ওইভাবে প্রতিদিনই সম্রাট কার্নিশে রোদ পোয়াতে যায়। সেদিন থেকে ছাদের দরজা পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল। কে জানে কবে কাকে কামড়ে দেবে! সেই ভয়ে।
এরপর প্রদীপচন্দ্র সরকারের বড় মেয়ে অর্থাৎ মানেকার জন্ম হল। ক’দিন বাদেই পি সি সরকার জুনিয়রের মা বললেন, ওর চোখ আমার ভালো লাগছে না। মানে উনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ভালোবাসায় ভাগ বসানোর জন্য একজন যে এসে গিয়েছে সেটা সম্রাটের সহ্য হচ্ছে না। যে কোনওদিন একটা কাণ্ড ঘটে যেতে পারে। তড়িঘড়ি বারুইপুরে কিনে রাখা একটা জমিতে খাঁচা বানিয়ে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হল সম্রাটকে।
সম্রাট নিয়মিত পি সি সরকারের সঙ্গে শো করত। একবার তামিলনাড়ুতে শো করতে গিয়েছেন তিনি। সেখানে কাগজে একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল তাঁর। বিজ্ঞাপনটা দিয়েছিল একটা সার্কাস সংস্থা। তাদের একটা আফ্রিকান সিংহী ছিল। সেই সিংহীটার বিয়ে দেওয়ার জন্য তারা একটা আফ্রিকান সিংহ খুঁজছে। সিংহদের বিয়েরক্ষেত্রে আবার জাতপাতের খুব বিচার হয়। বর আর কনে যদি একই এলাকার হয় তবে কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু আলাদা জায়গার হলে দু’জনের মধ্যে লাঠালাঠি বেঁধে যাবে। যে কোনও একজন সেই লড়াইয়ে মরেও যেতে পারে।
তা সম্রাট জন্মেছিল আফ্রিকার সেরেঙ্গেটি অরণ্যে। ফলে অনেকটা নিশ্চিন্ত। সম্রাটকে পাঠিয়ে দেওয়া হল সেই সার্কাসের তাঁবুতে। দু’জনের দুটো খাঁচা পাশাপাশি রেখে দেওয়া হল। সার্কাসের অভিজ্ঞ লোকরা দুজনের হাবভাব আচার ব্যবহার দেখে বুঝতে পারলেন যে দু’জনের দু‌’জনকে পছন্দ হয়েছে। যথাসময়ে বিয়ে হয়ে গেল। সিংহীর তিনটি বাচ্চা হল। দুটি পুরুষ আর একটি স্ত্রী। সার্কাসের মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে ক’টা বাচ্চা হবে সেগুলো আধাআধি ভাগ হবে। কিন্তু তিনটি বাচ্চাকে তো আর অর্ধেক করা যায় না। তাই একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী বাচ্চা পি সি সরকার পেলেন আর একটি পুরুষ বাচ্চা পেল সার্কাস মালিক।
দুর্ভাগ্যের বিষয় স্ত্রী বাচ্চাটির কিছু শারীরিক সমস্যা থাকায় সেটি বেশিদিন বাঁচেনি। কিন্তু পুরুষ বাচ্চাটি বহুদিন বেঁচেছিল। সে-ও পি সি সরকারের বারুইপুরের বাড়িতে ঠাঁই পেয়েছিল। তার নাম রাখা হয়েছিল সুলতান। সুলতান বেঁচেছিল ২০ বছর। আর সম্রাট ২৩ বছর। মৃত্যুর পর বারুইপুরের বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়েছিল দু’জনকে।
পরিশেষে একটা কথা চুপিচুপি বলে রাখি তোমাদের। এই সম্রাট একবার আমাদের এক সাংবাদিক বন্ধুকে থাবা মেরে দিয়েছিল। তারপর তাঁর কী অবস্থা হয়েছিল তা যেমন ভয়ঙ্কর, তেমনি হাস্যকর এক কাহিনী। আমাদের সেই বন্ধু যদি অনুমতি দেন তবে সে গল্পও শোনাব তোমাদের।
ছবি: পি সি সরকার জুনিয়রের সৌজন্যে 
23rd  February, 2020
মার্কশিট 

তোমরা সবেমাত্র নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে দশম শ্রেণীতে উঠেছ এবং ২০২০ সালের মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রও হাতে পেয়ে যাওয়ার ফলে তোমরা মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর বিভাজন সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গিয়েছ। বিশদ

22nd  March, 2020
ক্র্যাবি জানার মাঝে অজানা 

গতবছর মা কনফারেন্সের কাজে আমেরিকা যাবেন ঠিক হওয়ার পর বাবা বললেন, আমাকে নিয়ে কোথাও একটা বেড়িয়ে আসবেন। কোথায় যাব তাই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে, এরই মাঝে একদিন স্কুল থেকে ফিরে জানতে পারলাম, আমরা থাইল্যান্ড যাচ্ছি।  বিশদ

22nd  March, 2020
বেশি নম্বরের জন্য প্রতিটি অধ্যায় খুঁটিয়ে পড়ো 

তোমাদের জন্য চলছে নতুন বিভাগ ‘মার্কশিট’। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ইতিহাস।
বিশদ

15th  March, 2020
সোফিয়া, মিষ্টি দই ও জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি 

প্রাচীন মিশরের রানি নেফারতিতির আদলে হিউম্যানয়েড সোফিয়াকে তৈরি করে হইচই ফেলে দিয়েছে হংকংয়ের এক সংস্থা। কে এই সোফিয়া, তার বিশেষত্বই বা কী? আলোচনায় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক অতনু বিশ্বাস। 
বিশদ

15th  March, 2020
এক্ষুনি শুরু হবে
শমীন্দ্র ভৌমিক

শীতের রেশ এখনও কাটেনি। বহু বছর বাদে বসন্তে শীতের হাওয়ায় প্রকৃতি সামান্য হলেও ছন্দ হারিয়েছে। তার উপরে হঠাৎ বৃষ্টি। এই সব মিলে এবারের বসন্তোৎসব হয়তো এক নতুন বার্তা দিতে চলেছে।  
বিশদ

08th  March, 2020
ইংরেজিতে ৯০ পাওয়া সম্ভব  

তোমাদের জন্য চলছে নতুন বিভাগ ‘মার্কশিট’। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ইংরেজি। পরামর্শ দিচ্ছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের (উচ্চ মাধ্যমিক) ইংরেজির শিক্ষক উৎপল ভৌমিক। 
বিশদ

08th  March, 2020
পাইনাপেল স্যান্ডউইচ ও পিনাট বাটার ট্রিটস 

তোমাদের জন্য শুরু হল একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন অলটেয়ার হোটেলের ক্লাসটার এক্সিকিউটিভ শেফ চিরঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

08th  March, 2020
সরকারি স্কুলে উচ্চশিক্ষায় কম্পিউটার 

সরকারি স্কুলের পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় আরও মনোযোগী করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনাকে আরও আকর্ষণীয় করতে কম্পিউটার প্রযুক্তিকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হবে।  
বিশদ

08th  March, 2020
মার্কশিট
এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করো 

তোমাদের জন্য চলছে নতুন বিভাগ ‘মার্কশিট’। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় বাংলা।  পরামর্শ দিচ্ছেন হিন্দু স্কুলের বাংলার শিক্ষক স্বাগত বিশ্বাস।
বিশদ

01st  March, 2020
নিউটাউনের ইকো স্পেসে নতুন প্রি স্কুল 

পূর্ব ভারতে ডে কেয়ার এবং প্রি স্কুল চেন ‘বাবল ব্লু’ গত ১২ বছর ধরে কলকাতার মেধাবী শিশুদের শিক্ষাদান, লালনপালন করছে। এই মুহূর্তে সল্টলেক, নিউটাউন, নরেন্দ্রপুর, রাজারহাট, যোধপুর পার্ক ও সেক্টর ফাইভ-এ সংস্থাটির কেন্দ্র রয়েছে। এবার এরা নিউটাউনের ইকো স্পেসে একটি কেন্দ্র খোলার কথা ঘোষণা করেছে।  বিশদ

01st  March, 2020
শিশু মেলা 

সম্প্রতি কলকাতায় একটি জমজমাট শিশু মেলা হয়ে গেল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মেলাটি হয়েছিল। মেলার আয়োজন করেছিল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগ এবং এন এস এস। মেলার থিম ছিল ‘চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন’।  বিশদ

01st  March, 2020
মিলুদের চড়ুইভাতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

মিলুর খুব মন খারাপ। বন্ধু কালুকে আজ সকাল থেকেই ও খুঁজে পাচ্ছে না। কালু কিন্তু বেড়াল নয়। ও আসলে একটা কাঠবেড়ালি। আমাদের সাদা ধবধবে বেড়াল দিদিমণির নামই মিলু। মিঠু দিদিমণি তাকে মিলু নাম দিয়েছে।  বিশদ

01st  March, 2020
দেশলাই বাক্সের ভবিষ্যদ্বাণী 

চলছে নতুন বিভাগ হিলি গিলি হোকাস ফোকাস। এই বিভাগে জনপ্রিয় জাদুকর শ্যামল কুমার তোমাদের কিছু চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ম্যাজিক সহজ সরলভাবে শেখাচ্ছেন। আজকের
বিষয় দেশলাই বাক্সের ভবিষ্যদ্বাণী।   বিশদ

23rd  February, 2020
অস্ট্রেলিয়ার বিপন্নপ্রায় কয়েকটি পশুপাখি 

এদের সম্পর্কে বিশদ জানতে সোনি বিবিসি আর্থ চ্যানেলের ‘সেভেন ওয়ার্ল্ডস, ওয়ান প্ল্যানেট’ সিরিজে চোখ রাখতে হবে।   বিশদ

16th  February, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, কাঁথি: করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন ১০০ শতাংশ বকেয়া কৃষিঋণ আদায় করে নজির গড়ল কাঁথির দইসাই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। বকেয়া ১ কোটি টাকার বেশি কৃষিঋণ আদায় করেছে সমিতি। দেশজুড়ে লকডাউন চলায় সকলেই গৃহবন্দি।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, তৃতীয় ধাপে পৌঁছয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন একমাত্র পথ, তা কোনওভাবেই শিথিল করা যাবে না। মানুষের বাড়িতে থাকা প্রয়োজন।   ...

লন্ডন, ১ এপ্রিল: কোভিড-১৯ থমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে খেলার দুনিয়াও। গৃহবন্দি দশায় হাঁপিয়ে উঠেছেন খেলোয়াড়রা। আর তার থেকে খানিক মুক্তি পেতে অভিনব ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বুধবার দিল্লি থেকে হরিরামপুরে ফিরলেন চারজন। তাঁরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের হাড়িপুকর এলাকার বাসিন্দা। ভিনরাজ্যে কাজের জন্য গিয়েছিলেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম
১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াল 

12:02:29 AM

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল 

09:45:51 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সোহিনীর এক লক্ষ 
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ...বিশদ

08:27:27 PM

দেশে করোনা আক্রান্ত ২৩৩১ জন, মৃত ৭৩: পিটিআই 

07:35:43 PM

রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন, নবান্নে জানালেন  মুখ্যসচিব
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ করোনা মোকাবিলায় নবান্নে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ...বিশদ

06:34:00 PM