উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী তানজেনিয়ায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষের বাস। গোটা দেশ জুড়ে কমবেশি ১০০টি ভাষা চালু রয়েছে। তবে এই দেশের জাতীয় ভাষার নাম স্বহিলি।
তাই সবমিলিয়ে এই দেশ হল বৈচিত্র্যের দেশ। কিন্তু ভূমিরূপের নৈসর্গিক সৌন্দর্যতা বাদ দিয়েও এই দেশ অপর একটি কারণেও গোটা পৃথিবীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তানজেনিয়ার বন্যপ্রাণ সারা বিশ্বের এক মস্ত বড় সম্পদ। এই দেশেই রয়েছে অনেকগুলি জাতীয় উদ্যান (ন্যাশনাল পার্ক)। এই উদ্যানগুলি বহু বিপন্ন প্রজাতির জীবজন্তুর নিরাপদ আস্তানা। এবার চলো বন্ধুরা পড়তে পড়তে সেই সব বিখ্যাত জাতীয় উদ্যানগুলিতে ঢুঁ মেরে নেওয়া যাক—
রুয়াহা ন্যাশনাল পার্ক
এটি তানজেনিয়ার সর্ববৃহৎ জাতীয় উদ্যান। এই উদ্যানটি আফ্রিকান হাতির জন্য বিখ্যাত। গোটা অঞ্চল জুড়ে দেখা মিলবে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিকায় সব হাতির। শুঁড় উঠিয়ে দলে দলে একপথ থেকে অন্যপথে স্বগরিমায় হেঁটে যাচ্ছে। কোনও তাড়া নেই। সেই দৃশ্য একবার চাক্ষুষ করলে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
জাতীয় উদ্যানের নদীর ধারগুলিতে আফ্রিকার সিংহ দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই পার্ক বহু প্রজাতির পাখির আস্তানা হিসেবেও প্রসিদ্ধ। তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫২০ রকমের পাখির প্রজাতির দেখা মেলে এখানে।
উদজুঙ্গয়া ন্যাশনাল পার্ক
এই পার্কটি বিখ্যাত জীব ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের কারণে। উদজুঙ্গয়ার পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে বিভিন্ন প্রাণী এবং গাছের ঘনত্ব পৃথিবীর অন্য কোনও স্থানের তুলনায় বেশি। সবথেকে বড় কথা হল, এই উদ্যানেই আসলে দেখা মেলে বিরল প্রজাতির সাঞ্জে মাঙ্গাবে বানর। পৃথিবীর ২৫টি বিরল প্রাণীর তালিকায় রয়েছে এই প্রাণীর নাম। ১৯৭৯ সালে এই প্রজাতির বানরের প্রথম খোঁজ মেলে। এরা দীর্ঘ বছর এই পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত। এছাড়াও অসংখ্য লাল-কালো কোলোবাস বানর এবং নীল বানরের দেখাও মেলে এই ন্যাশনাল পার্কে।
কাতাভি ন্যাশনাল পার্ক
তানজেনিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত এই পার্কের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কাতুমা নদী। কালে কালে এই নদীই হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দুর্লভ প্রাণীর শান্তির আস্তানা। এখানে পৌঁছে ইতিউতি তাকালেই চোখে পড়ে যাবে জলহস্তী এবং কুমির। জলহস্তীরা সাধারণত আক্রমণাত্মক না হলেও, দরকারে আক্রমণ করতেও এরা সিদ্ধহস্ত। আর জেনে রাখো, প্রয়োজনে প্রায় ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত মুখ খুলতে পারে এই প্রাণী।
দ্য মিকুমি ন্যাশনাল পার্ক
তানজেনিয়া অঞ্চলের জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে এটি চতুর্থ বৃহত্তম। এই পার্কের অপর বৈশিষ্ট্য হল বিচিত্র ভূদৃশ্য। রয়েছে বিশাল অরণ্য, জলাভূমি এবং মাঠের পর মাঠ ঘাসজমি। দ্য মিকুমি ন্যাশনাল পার্কে পূর্ব আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর একই সঙ্গে দেখা মেলে। এই পার্কের সবথেকে বড় আকর্ষণ হল আফ্রিকার সিংহ। বনের রাজার রোমহর্ষক মহিষ শিকার করার দৃশ্য হামেশাই চোখে পড়ে এখানে। এছাড়াও পার্কে বসবাস করে ইম্পালা হরিণ, মিকুমি সিংহ, জিরাফ, আফ্রিকার মহিষ ইত্যাদি প্রাণী।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে