উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
রং-বেরঙের বল
আমি ভাইবোনের মধ্যে বড়। আমরা তিন ভাই বোন সবসময় একসঙ্গে থাকি। বাবা, মা সবসময় তিনটে উপহারই আনে। ভাই বোন গাড়ি, বন্দুক এসব নিয়ে খেলে। কিন্তু আমি ভালোবাসি বল নিয়ে খেলতে। বাবা আমাকে ভোরবেলা মাঠে নিয়ে যায়। আমি মাঠে অনেকক্ষণ খেলি। আমাকে দেখে এখন আমার ভাই ঋদান ও বোন আনন্দী বল খেলে। আমার কাছে নানা রং-বেরঙের বল আছে। আমার প্রিয় খেলনা কিন্তু ওই বল। বড় হয়ে আমি মহিলা ফুটবলার হব।
পেতলের কড়াই
আমি খেলতে খুব ভালোবাসি। স্কুলে এসেও খেলি। বাড়িতেও আমার প্রিয় রান্নাবাটি খেলা। বাবা আমাকে পাঁচ রকমের সেট কিনে দিয়েছে। ভাতের হাঁড়ি, পেতলের কড়াই, হাতা, খুন্তি, মিক্সি মেশিনের মতো সবকিছু আছে। মা যখন রান্না করে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি। আর বাবার সঙ্গে বাজারে যাই। পটল, ঢ্যাঁড়স, আলু, মাছ কিনে আনে বাবা। সেগুলো দিয়ে আমি রান্না করি। আমার ইচ্ছে বড় হয়ে ট্যাংরা মাছ রান্না করব। বাবা মাছ দিয়ে অনেক ভাত খাবে।
ডক্টর সেট
আমার প্রিয় খেলনা ডক্টর সেট। ছুটির দিনে এই খেলনাটা নিয়ে বেশি বেশি খেলি। ওইদিন সবাই বাড়িতে থাকে। সেদিন আমি সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করি। সকালে টিফিন করে সবাই ড্রয়িং রুমে আসে। আমি সবার নাম খাতায় লিখি। প্রেশার মাপি। স্টেথো দিয়ে সবার বুক পরীক্ষা করি। টর্চ দিয়ে চোখ পরীক্ষা করি। মা’র স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় সবার শেষে। মা’কে আমি ইঞ্জেকশন দিই। মা একটু আমায় বেশি বকে। তাই দুষ্টুমি করে মা’কে ইঞ্জেকশন দিই। আমার অনেক বন্ধু আসে খেলার জন্য।
ঘোড়াদের আস্তাবল
বাবা সবসময় বলে দৌড়ো। তাই আমি বাবাকে বলেছিলাম কার মতো দৌড়ব। বাবা বলল, ঘোড়ার মতো। বাবা’র গলা জড়িয়ে বলেছিলাম, তুমি কিনে দেবে বাবা। একদিন বাবা আমাকে নিয়ে খেলনার দোকানে গেল। নানারকমের ঘোড়া কিনে দিল। তবে ব্যাটারি দেওয়া ঘোড়া আমার খুব প্রিয়। ও তো দৌড়তে পারে। আমি এখন ঘরে একটা ঘোড়াদের আস্তাবল তৈরি করেছি। এখন আমার ২২টা ঘোড়া আছে। ওদের আমি স্নান করাই, খেতে দিই। আমি ঘোড়াদের নিয়ে খেলি। বাবা-মা ছুটির দিনে ওদের স্নান করিয়ে দেয়। আমার ঘোড়া দেখতে অনেকে আসে। ওদের নীল, সবুজ, জামা আছে।
সবুজ রোবট
আমি খুব দুষ্টুমি করি। তাই মা আমায় বসিয়ে রাখে নানারকমের খেলনা দিয়ে। একা একাই খেলি। স্কুলের মতো বাড়িতে কোনও বন্ধু নেই। আমার সঙ্গে খেলবে। মা, বাবা সবসময় কাজ করে। ওরা কেউ আমার সঙ্গে খেলে না। আমার কথা কেউ শোনে না। কিন্তু রোবট আমার কথা শোনে। বাবা বাইরে থেকে রোবটটা নিয়ে এসেছে। ও আমার কথা শোনে। লাল, সবুজের রোবটটা আমার খুব প্রিয়। ও লিখতে পারে। আর ছবি আঁকতে পারে। বড় হয়ে আমি একটা সুন্দর রোবট কিনব। সে আমার সব কাজ করে দেবে।
রিমোট কন্ট্রোল
আমি তো খুব ছোট। আমি বাড়ির গাড়িগুলো চালাতে পারি না। কেউ শিখিয়েও দেয় না গাড়ি চালানো। মা, বাবা সবসময় বলে তুমি বড় হও, তারপর গাড়ি চালাবে। তাই এবার জন্মদিনে বাবার কাছে আমি গাড়ি চেয়েছি। বাবা আমায় একটা ট্যাক্সি, বাস কিনে দিয়েছে। আমি রিমোট কন্ট্রোলে গাড়ি চালাই। আমার ভালো লাগে গাড়ি চালাতে। আমি বড় হয়ে গাড়ি চালিয়ে অনেক দূর বেড়াতে যাব। সঙ্গে স্কুলের মাসিমাদের নিয়ে যাব।
বার্বি ডল ভালোবাসি
বার্বি ডল। সবাই আমাকে এই নামে ডাকে। আমাকে সবাই বার্বি ডল এনে দেয়। রং-বেরঙের বার্বি ডল আছে। ১৪টা বার্বি ডলের জন্য মা জামা তৈরি করে দেয়। আমি মায়ের সঙ্গে দোকানে গিয়ে ফিতে, ক্লিপ, হার কিনি। প্রতিদিন ওদের সাজিয়ে দিই বিকেলবেলা। আমার মতো মা’ও ওদের সঙ্গে খেলে। ওদের একদিন জন্মদিন পালন করি। প্রতি ২৫ ডিসেম্বর মা পায়েস আর কেক তৈরি করে। আমার বন্ধুরা নিমন্ত্রণ খায় ওদের জন্মদিনে। দারুণ মজা হয়। আমি বার্বি ডল ভালোবাসি বলে দু’একটা বার্বি ডল উপহারও পাই।
পিঙ্ক টাওয়ার
আমাদের স্কুলটা খুব ভালো। এখানে ঢুকেই আমাদের মাসিমারা খেলতে দেয়। তাই স্কুল কামাই করি না। বাড়িতে তো মা খেলার কথা বললে বকাবকি করে। আমাদের স্কুলে পিঙ্ক টাওয়ার, সিলিন্ডার ব্লক থেকে নানারকম অ্যাপারেটার্স আছে। আমরা মাদুরে বসে খেলি। মাসিমারাও আমাদের সঙ্গে থাকে। বাড়িতে বাবার সঙ্গে লুডো খেলি। ছুটির দিনের বিকেলবেলা অপেক্ষা করি বাবা কখন লুডো খেলবে?
হলুদ কালো ট্রেন
অনেক ছোট থেকে বাবা, মা আমাকে নিয়ে বেড়াতে যায়। আমার ট্রেন গাড়ি চড়তে খুব ভালো লাগে। ইঞ্জিন ট্রেনগুলো বাঁশি বাজিয়ে, ধোঁয়া ছেড়ে কতদূর চলে যায়। আমি ট্রেনে চেপে কত নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে গেছি। মা যখনই আমার জন্য জামা কিনতে গেছে, মাকে বলেছি, তুমি আমায় ট্রেন কিনে দেবে। মা অনেকগুলো ট্রেন কিনে দিয়েছে। পড়া শেষ হয়ে গেল আমি ট্রেন চালাই। আমি ট্রেন ভালোবাসি। তাই সবাই আমায় ট্রেন উপহার দেয়। তবে হলুদ, কালো ট্রেনটা আমার বেশি প্রিয়।