Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

 তেষ্টার জলও কেউ দিতে চাইত না ছোট্ট আম্বেদকরকে

 অচ্ছ্যুৎ দলিত সম্প্রদায়ে জন্মেছিলেন আমাদের দেশের সংবিধানের রূপকার ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর। আজ তাঁর জন্মদিন। দলিতদের জন্য সারা জীবন লড়াই করে আসা
এই মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়।


ছেলেটি ছিল অত্যন্ত গরিব, দলিত পরিবারের। ভারতে তখন ব্রিটিশ শাসন চলছে। সেই সময় সমাজে জাতপাতের ভেদাভেদ ছিল অত্যন্ত প্রকট। ছেলেটি দলিত ছিল বলে ক্লাসে উচ্চবর্ণের ছাত্রদের সঙ্গে তার বসার অনুমতি ছিল না। তাকে বসতে হত ক্লাসের বাইরে। মেঝেতে পেতে বসার জন্য সে বাড়ি থেকে বস্তা নিয়ে যেত। তেষ্টা পেলে জলের পাত্র ছোঁয়ারও অধিকার ছিল না। কিছুটা দূরত্ব রেখে উচ্চবর্ণের কেউ এসে জল ঢেলে দিত। ছেলেটির জন্য এই কাজটি করতেন স্কুলের চাপরাশি। তিনি স্কুলে না এলে সেদিন ছেলেটি আর জল পেত না। পরে বড় হয়ে এই অবস্থাকে সে বর্ণনা করেছিল ‘পিওন নেই, জল নেই’ বলে। কে জানত? এই ছেলেটিই একদিন ভারতবর্ষের সংবিধানের রূপকার হবে!
ছেলেটির পুরো নাম— ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর। ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল (অর্থাৎ আজকের দিনে) তিনি অধুনা মধ্যপ্রদেশের এক সেনা শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। তাঁর বাবা রামজি মালোজি সাকপাল সেনাবাহিনীতে সুবেদার ছিলেন। ১৮৯৪ সালে রামজি সাকপাল অবসর নেন। তার দু’বছর পর পুরো পরিবার সাতারায় চলে যায়। এর কিছুদিন পর মা ভীমাবাই মারা যান। আম্বেদকররা তাই মাসির কাছে মানুষ হতে থাকেন। আম্বেদকর যে গরিব মাহার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন সমাজে তা অস্পৃশ্য জাতি হিসেবে গণ্য হত। চিরকাল তাই তিনি সামাজিক বৈষম্যতা, হিন্দুধর্মের চতুর্বর্ণ পদ্ধতি এবং অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করে গিয়েছেন। অম্পৃশ্যদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তিনি ছিলেন ভারতের জাতীয়তাবাদী এবং দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। সামাজিক বৈষম্যের শিকার হলেও শিক্ষাদীক্ষায় তিনি সমসাময়িক সকলকে ছাপিয়ে যেতে সমর্থ হন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডনের স্কুল অব ইকনমিক্স থেকে তিনি আইনের ডিগ্রি লাভ করেন। আইন, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর গবেষণা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে রয়ে গিয়েছে। ভারতের ইতিহাস তাঁকে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ, অর্থনীতিবিদ, ঐতিহাসিক এবং রাষ্ট্রবিপ্লবী হিসেবে মনে রেখেছে। ১৯৫৬ সালে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। বৌদ্ধ আন্দোলনকারী হিসেবেও তাঁর বিরাট ভূমিকা ছিল। ‘বাবাসাহেব’ নামেই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
তাঁর আসল পদবি ছিল আম্বাভাদেকর। তা এসেছিল গ্রামের (মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার আম্বাভাদে) নাম থেকে। তাঁর ব্রাহ্মণ শিক্ষক মহাদেব আম্বেদকর তাঁর প্রতি অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ ছিলেন। তিনিই খুশি হয়ে স্কুলের খাতায় তাঁকে নিজের পদবি (আম্বেদকর) দেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও কৃতী ছাত্র। ১৯০৭ সালে আম্বেদকর প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম অস্পৃশ্য হিসেবে বম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯১২ সালে তিনি বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন। এলফিনস্টোন কলেজে পড়ার সময় বরোদার মহারাজা তৃতীয় সায়াজি রাও গায়কোয়াড়ের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য তিনি মাসিক (১১.৫০ পাউন্ড) বৃত্তি পান। এই বৃত্তির সুবাদে স্নাতকোত্তর স্তরে অধ্যাপনার জন্য ১৯১৩ সালে (২২ বছর) তিনি নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। ১৯১৫ সালের জুনে তিনি অর্থনীতিতে এমএ হন। অর্থনীতি ছাড়া তাঁর অন্যান্য বিষয় ছিল সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শনশাস্ত্র এবং নৃতত্ত্ববিজ্ঞান। এই সময় তাঁর গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ ‘প্রাচীন ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য’ প্রকাশিত হয়। ১৯১৬ সালে তাঁর দ্বিতীয় গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ ‘ন্যাশনাল ডিভিডেন্ড অব ইন্ডিয়া— আ হিস্টোরিক অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’ প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ অধ্যাপক আলেকজান্ডার গোল্ডেনউইজার কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারের আগে তিনি ‘কাস্টস ইন ইন্ডিয়া: দেয়ার মেকানিজম, জেনেসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক পত্র পাঠ করেন। উচ্চস্তরে আইনের পাঠ নেওয়ার জন্য তিনি ১৯১৬ সালের অক্টোবরে লন্ডনের ‘Gray's Inn’-এ ভর্তি হন। পাশাপাশি, লন্ডনের স্কুল অব ইকনমিক্সে তাঁর গবেষণা শুরু করেন। তিন বছরের বৃত্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯১৭ সালের জুন মাসে তিনি ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হন। তাঁর সংগ্রহে থাকা মূল্যবান বইগুলি যে জাহাজে পাঠিয়েছিলেন, এক জার্মান সাবমেরিনের আক্রমণে সেটি ডুবে যায়। অপরদিকে, তাঁর গবেষণামূলক কাজ চার বছরের মধ্যে জমা দিয়ে দেশে ফিরে আসার জন্য তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়। অবশেষে, ১৯২৭ সালে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি হন।
বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সময়েই অস্পৃশ্যদের শিক্ষিত করে তোলা এবং তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন আম্বেদকর। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘বহিষ্কৃত হিতকারিণী সভা’। তাঁর ‘সত্যাগ্রহ’ এক গণআন্দোলনের রূপ নেয়। দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে গতি দিতে তিনি তিনটি পাক্ষিক পত্রিকা শুরু করেছিলেন। সেগুলি হল— মূক নায়ক, বহিষ্কৃত ভারত এবং ইক্যুয়ালিটি জনতা। সাধারণ মানুষ যাতে ভেদাভেদ ভুলে সর্বত্র পানীয় জল সংগ্রহ করতে পারেন, তার জন্য উদ্যোগী হন। ছেলেবেলায় তিনি যে ভেদাভেদের শিকার হয়েছিলেন, তা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর কাউকে মোকাবিলা করতে না হয়, এর জন্য তিনি জনমত গঠনে সফল হন। তিনি প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থ ‘মনুস্মৃতি’-র বিধানের বিরোধিতা করেন। প্রতিবাদ স্বরূপ ১৯২৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর তিনি ও তাঁর অনুগামীরা মনুস্মৃতির কপি পোড়ান। সেই থেকে আম্বেদকরের অনুগামী এবং দলিতদের কাছে এই দিনটি ‘মনুস্মৃতি দহন দিন’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৩০ সালে নাসিকে আম্বেদকরের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কালারাম মন্দির সত্যাগ্রহে অংশ নেন। যদিও এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মন্দিরে ঢোকার সুযোগ মেলেনি। মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রথমবার দেব দর্শনের সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত হন। আম্বেদকর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এবং মুসলিম সমাজে মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতেও সরব হয়েছিলেন।
আম্বেদকর ১৯৩৫ সালে বম্বের সরকারি আইন কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। দু’বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি নিজের রাজনৈতিক দল ‘ইন্ডিপেনডেন্ট লেবার পার্টি’-র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৭ সালে বম্বের নির্বাচনে ১৩টি সংরক্ষিত এবং ৪টি অসংরক্ষিত আসনের মধ্যে তাঁর দল যথাক্রমে ১১ এবং ৩টিতে জয়ী হয়। ১৯৩৬ সালের ১৫ মে তাঁর ‘অ্যানিহিলেশন অব কাস্ট’ বইটিতে তিনি তথাকথিত হিন্দু গুরুদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ১৯৫৫ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মহাত্মা গান্ধীর কড়া সমালোচনা করেছিলেন। কারণ, গান্ধী ইংরাজি কাগজগুলিতে ভারতের জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে কলম ধরলেও গুজরাতি কাগজগুলিতে এই প্রথার সমর্থন করেছিলেন।
আম্বেদকর ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী। সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গেই পালন করেছিলেন তিনি। ভারতের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। আগাগোড়া তিনি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করে গিয়েছেন তিনি। এই ধারায় কোনও রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। যেমন, জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু শেষপর্যন্ত চাপের মুখে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি সংবিধানে এই ধারা অন্তর্ভূক্ত করতে বাধ্য হন। ১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে তিনি উত্তর বম্বে আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু, কংগ্রেসের নারায়ণ কাজরোলকরের কাছে তিনি পরাজিত হন। এরপর তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দিল্লির বাড়িতে এই মহান ব্যক্তি প্রয়াত হন। ভারতীয় সংবিধানের রূপকারকে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান প্রদান করা হয়। আপামর ভারতবাসী গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তাঁকে চিরদিন স্মরণ করে আসছে, আসবে।
ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
14th  April, 2019
প্রতিটি পরীক্ষায় ইংরাজিতে ভালো নম্বর পেতে হলে ভয়েস চেঞ্জকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে

পরামর্শ দিচ্ছেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ইংরাজির শিক্ষক রক্তিম মুখোপাধ্যায়। বিশদ

12th  May, 2019
 ডিপিএস রুবি পার্কের বার্ষিক অনুষ্ঠান

  দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস), রুবি পার্ক প্রতি বছরের মতো এবারও তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ‘রেভারেন্স ২০১৯’ নামে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছিল নজরুল মঞ্চে। দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা গেল। উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্টজন। প্রথম দিন অনুষ্ঠান শুরু হয় গণেশস্তুতি দিয়ে।
বিশদ

12th  May, 2019
মহাকাশের দিনযাপন

মহাকাশে যাওয়া কঠিন। কিন্তু তার থেকেও কঠিন সেখানে দিনযাপন করা। কারণ, মহাকাশে পৃথিবীর মতো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। নেই বায়ুমণ্ডল, ফলে বায়ুর চাপও নেই। জল খাওয়া থেকে শুরু করে টয়লেটে যাওয়া সবই খুব শক্ত কাজ সেখানে। লিখেছেন প্রীতম দাশগুপ্ত।
বিশদ

12th  May, 2019
তানজেনিয়ার জাতীয় উদ্যানে

আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত তানজেনিয়া। দেশটির সরকারি নাম ইউনাইটেড রিপাবলিক অব তানজেনিয়া। প্রায় ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এই দেশটি আয়তনে আফ্রিকা মহাদেশে ১৩তম স্থান দখল করে। দেশটির একধারে প্রতিনিয়ত আছড়ে পড়ে ভারত মহাসাগরের উত্তাল ঢেউ।
বিশদ

05th  May, 2019
মুকুলিত কিশলয়

‘জল পড়ে পাতা নড়ে...’— যে অবোধ বালক শৈশবে এই পঙ্‌ক্তি লিখেছিলেন, তিনিই ভবিষ্যতের বিশ্বজোড়া খ্যাতির অধিকারী। এই কিংবদন্তি মানুষটি ছেলেবেলায় কিন্তু তোমাদের মতোই ছিলেন। তাঁর লেখা বই ‘ছেলেবেলা’ থেকে আকর্ষণীয় কিছু অংশ তুলে ধরে তাঁকে নিয়েই এই লেখা। গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো করেছেন মৃণালকান্তি দাস।
বিশদ

05th  May, 2019
মুকুলবীথি শিশু বিদ্যালয়

 মুকুলবীথি। শুধু আর শব্দ নয়। শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠনের উজ্জ্বল ঠিকানা। স্নেহ, ভালোবাসা, নিয়মানুবর্তিতা, ব্যক্তিত্ব বিকাশের অভিনব প্রতিষ্ঠান। সুন্দর পরিবেশে সহানুভূতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা শিশুদের নিজের বাড়ি। এই ধরনের একটা স্কুল তৈরির স্বপ্ন ছিল রেণুকা সেনের। সেই ইচ্ছেটা বেশিমাত্রায় তীব্র হল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময়।
বিশদ

05th  May, 2019
খুদেদের খেলনা

কারও পছন্দ বার্বি ডল, কেউ ভালোবাসে কু ঝিক ঝিক ট্রেনগাড়ি। মুকুলবীথি শিশু বিদ্যালয়ের ছোট্ট সোনাদের প্রিয় খেলনার খবরাখবর নিলেন শম্পা সরকার। বিশদ

05th  May, 2019
হিলি গিলি হোকাস ফোকাস 

শুরু হল নতুন বিভাগ হিলি গিলি হোকাস ফোকাস। এই বিভাগে জনপ্রিয় জাদুকর শ্যামল কুমার তোমাদের কিছু চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ম্যাজিক সহজ সরলভাবে শেখাবেন। আজকের বিষয় থট-রিডিং-এর খেলা।  
বিশদ

28th  April, 2019
ছোটদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামার প্রোগ্রাম 

আজ তোমাদের একটি জরুরি প্রয়োজনীয় খবর দিই। ভবিষ্যতের জন্য এটি তোমাদের খুব কাজে লাগতে পারে। প্রতি বছরই ছোটদের জন্য নিত্য নতুন আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে সামার প্রোগ্রাম করে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এদের এবারের সামার প্রোগ্রামের বিষয়—সৃজনশীলতা, সুক্ষ্ম চিন্তা-ভাবনা, সমস্যার সমাধান, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রভৃতি।
বিশদ

28th  April, 2019
হাবুদা হারিয়ে গিয়েছে 
গুঞ্জন ঘোষ

হাবুদার সঙ্গে থাকা মানে পৃথিবীর অর্ধেক শক্তি আমাদের মধ্যে খেলে বেড়ায়। হাবুদা আমাদের রবিনহুড। কতকিছু যে জানে! হাবুদা মানেই একগাদা অ্যাডভেঞ্চার। মাঝেমাঝে যখন ছেলেমানুষ হয়ে যায় সে এক দেখার মতো কাণ্ড। আবার যখন রেগে যায় সেও এক ভীষণ ব্যাপার। তখন বলে পায়ের আঙুলে থানইট ফেলে দেব।  
বিশদ

28th  April, 2019
পিঠোপিঠি
ভাই-বোন

দুষ্টু একটু বেশিই ছিল প্রিয়াঙ্কা। জেদিও। তবে মিষ্টভাষী। আর দাদা রাহুল হাসিখুশি। দু’জনের ছোটবেলার গল্প শোনাচ্ছেন সন্দীপ স্বর্ণকার।
বিশদ

21st  April, 2019
 ব্ল্যাক হোল রহস্য

 এই প্রথম কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তোলা সম্ভব হল। কীভাবে উঠল এই ছবি? কৃষ্ণগহ্বরই বা কী? আলোচনায় কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক অতনু বিশ্বাস।
বিশদ

21st  April, 2019
অরেঞ্জ ব্লসম ও কুকুম্বার স্যালাড

তোমাদের জন্য শুরু হল একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন চিলেকোঠা রেস্তরাঁর শেফ সুপর্ণ মৈত্র।
বিশদ

21st  April, 2019
 বাংলায় বেশি নম্বর পেতে কী করবে?

দশম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সামনে ঠিকঠাক আর ন’টি মাস সময় রয়েছে শিক্ষার্থী-জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য। যদিও আপাতদৃষ্টিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা ‘আসছে বছর’, কিন্তু ইতিমধ্যেই বহু স্কুলে দশম শ্রেণীর প্রথম পার্বিক অভীক্ষাটি শেষ। অতএব, আর দেরি নয়, চলো মাঠে নামি! পরামর্শ দিচ্ছেন বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিকা সংহিতা চক্রবর্তী । বিশদ

14th  April, 2019
একনজরে
 সংবাদদাতা, মালবাজার: ফুল ঝাড়ুকেই এখন প্রধান অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে বেছে নিয়েছেন কালিম্পং জেলার গোরুবাথান ব্লকের সামসিং ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তির কয়েকশ চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সকলেই এখন ঝাড়ুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ ঝাড়ু ফলিয়ে তাঁরা এখন বেশি লাভের মুখ দেখছেন। একবার ...

 দেওঘর (ঝাড়খণ্ড) ও পালিগঞ্জ (বিহার), ১৫ মে (পিটিআই): বুধবার বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জোড়া জনসভা থেকে বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসকে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় নিশ্চিত। ...

 ব্রিস্টল, ১৫ মে: জাতীয় দলের জার্সিতেও আইপিএলের দুরন্ত ফর্ম বজায় রেখেছেন জনি বেয়ারস্টো। ব্রিস্টলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে’তে তাঁর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে ...

  বিএনএ, বর্ধমান: স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টরা তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না। প্রার্থীদের এজেন্টরা পরিচয়পত্র নিয়ে নিয়মিত স্ট্রংরুম ভিজিটে যান। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, প্রেমিসেস থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনির জন্ম
১৯৭৫: প্রথম মহিলা হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন জুঙ্কো তাবেই
১৯৭৮: অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৯ টাকা ৭১.১৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৮/৮ দিবা ৮/১৬। চিত্রা ৫৮/১০ রাত্রি ৪/১৬। সূ উ ৫/০/৮, অ ৬/৫/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৫/৩২/৪৭ দিবা ৭/১৩/২৬। চিত্রানক্ষত্র ৫৭/১১/১৩ রাত্রি ৩/৫২/৪৮, সূ উ ৫/০/১৯, অ ৬/৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে ৬/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/০ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৮/৫৩ গতে ৬/৭/১৫ মধ্যে, কালবেলা ২/৫০/৩১ গতে ৪/২৮/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৩৩/৪৭ গতে ১২/৫৫/২৫ মধ্যে।
১০ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য। বৃষ: উচ্চপদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ডুবল জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ন অংশ ডুবে রয়েছে অন্ধকারে। সন্ধ্যা থেকে ঝড়-বৃষ্টির ...বিশদ

08:10:08 PM

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

07:27:00 PM

বিমান সংস্থার উপর চটলেন শ্রেয়া
বিমানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে। ...বিশদ

06:21:47 PM

ভোটের দিন গরম বাড়বে
উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের দিন কিন্তু ...বিশদ

06:10:39 PM