Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

 ব্ল্যাক হোল রহস্য

 এই প্রথম কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তোলা সম্ভব হল। কীভাবে উঠল এই ছবি? কৃষ্ণগহ্বরই বা কী? আলোচনায় কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক অতনু বিশ্বাস।

আকাশ ভরা সূর্য তারা-র অজানা রহস্যে বিভোর থেকেছে বিজ্ঞানী। যুগ যুগ ধরে। তবু দেখি, ‘খেয়া’ কাব্যগ্রন্থের ‘হারাধন’ শীর্ষক কবিতায় কবি লিখছেন, ‘জ্যোতির মালায় একটি তারা/ কোথায় গেছে টুটে!’ ‘হারা তারা কোথায় গেল’ তার সন্ধানে ব্যস্ত বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী।
অনন্ত এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আপাতত সব চাইতে রহস্যময় বিষয় বোধকরি এই কৃষ্ণ-গহ্বর। স্থানের রয়েছে তিনটি মাত্রা (ডাইমেনশন), এবং সেই সঙ্গে কাল (সময়) মিলেমিশে যেন একটা পর্দার মতো। ভর আছে এমন যে কোনও বস্তুই একটা বক্রতা সৃষ্টি করে সেই পর্দায়। কোনও নক্ষত্রের ভর যখন হয় খুব বেশি, সেই বক্রতাটা যেন পরিণত হয় গহ্বরে। কৃষ্ণ-গহ্বরের আকার খুব ছোট হতে পারে, যেমন হয়তো বা একটা পরমাণুর মতো। আবার হতে পারে খুব বড়, যেমন সূর্যের লক্ষ লক্ষ গুণ। আকার অনুপাতে এর ভর খুবই বেশি। যেমন, পরমাণুর আকারের কৃষ্ণ-গহ্বরের ভর হয়তো হিমালয়ের সমান। আর এই প্রচণ্ড ভর বা ঘনত্বের ফলেই এর মহাকর্ষ খুব বেশি। এর আওতার মধ্যে আসা সব কিছুকেই নিজের মধ্যে টেনে নেয় কৃষ্ণ-গহ্বর। এই আওতার সীমারেখাকে বলে ‘ঘটনা-দিগন্ত’, ইংরেজিতে ‘ইভেন্ট হরাইজন’। স্থান-কাল সব দুমড়ে মিলিয়ে যায় সেখানে। এমনকী আলোরও নিস্তার নেই, সীমারেখার মধ্যে পেলে তাকেও টেনে নেয় কৃষ্ণ-গহ্বর। আলো বের হতে পারে না বলেই তো এ হল নিকষ কালো অন্ধকার। চলতি কথায় একেই বলে নক্ষত্রের মৃত্যু। তারার জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে এটাই তার ভবিতব্য। তারার ভিতরের হাইড্রোজেন গ্যাস শেষ হলে থেমে যায় তার নিউক্লিয় বিক্রিয়া। তখনই সঙ্কুচিত হতে থাকে এর অভ্যন্তরীণ মূল বস্তু। আচ্ছা, কবির ভাষায় এটাই কী ‘হারা তারা’?
সেই কোন ১৭৯৬ সালে অঙ্কবিদ ল্যাপলাস বিপুল ভর-বিশিষ্ট আলোকে-গিলে খাওয়া অজগর অন্ধকারের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন। ১৮৮৩-তে একই কথা বলেন বিজ্ঞানী জন মাইকেল। আর, প্রায় একশো বছর আগে, ১৯১৬তে, আইনস্টাইন তাঁর ‘জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি’ দিয়ে ধারণা করেন কৃষ্ণ-গহ্বরের অস্তিত্বের। মার্কিন পদার্থ-বিজ্ঞানী জন হুইলার ১৯৬৯ সালে প্রথম এই ‘ব্ল্যাক হোল’ নাম দেন। দেখে-শুনে যতটুকু বোঝা গেছে, প্রতিটা বড় ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে একটা দৈত্যাকার কৃষ্ণ-গহ্বর। আমাদের ‘মিল্কিওয়ে’ বা ‘আকাশগঙ্গা’ ছায়াপথের কেন্দ্রেও রয়েছে এমনই এক দৈত্য, ‘স্যাগিটারিয়াস এ*’।
মহাকাশে একটা গোলকের মতো অঞ্চল নিয়ে অস্তিত্ব এই কৃষ্ণ-গহ্বরের। ঘটনা-দিগন্তের প্রান্তে রয়েছে ফোটন বলয়, যা আবর্তিত হয় কৃষ্ণ-গহ্বরের কেন্দ্রকে ঘিরে। আলো যেন পিছলে পিছলে যায় এর গা ঘেঁষে। আসলে মহাকাশ-সংক্রান্ত গবেষণা অনেকটাই অঙ্ক-নির্ভর যুক্তিসঙ্গত আন্দাজ। এর অনেক তত্ত্বই প্রমাণ বা অপ্রমাণ করা সময়-সাপেক্ষ, এবং প্রমাণটাও অনেকাংশে অনুমান-নির্ভর অঙ্ক। তাই মহাকাশ সংক্রান্ত অনেক তত্ত্বকেই আপাতভাবে কল্পবিজ্ঞানের গল্প বলেও মনে হতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কৃষ্ণ-গহ্বরের গভীরতম অংশে পদার্থবিদ্যার নিয়মগুলি আর কাজ করে না। এমন ধারণার কথাও শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা যে, কৃষ্ণ-গহ্বর হল এক প্রবেশপথ, যার মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া যায় মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। একে বলা হয়েছে ‘ওয়ার্ম-হোল’ বা কীট-গহ্বর। কৃষ্ণ-গহ্বরের অন্তঃপুরে তৈরি হয়ে চলেছে বস্তু আর প্রতিবস্তু। এদের মধ্যে ঘটে সংঘর্ষ। যার নাম দেওয়া হয়েছে প্রয়াত কিংবদন্তি ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর নামে। এই সংঘর্ষের ফলশ্রুতিতে বস্তু আর প্রতিবস্তু কিন্তু একে অপরকে ধ্বংস করে দেবে একেবারে। রাখবে না কিছুই। একে বলে ‘কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন’। এই সংঘাত যখন ঘটে ব্ল্যাক হোলের প্রান্তে, অর্থাৎ ঘটনা-দিগন্তের সীমানায়, কৃষ্ণ-গহ্বর শোষণ করে নেয় কিছু কণা, আর বাকিটা মুক্ত হয়ে পরিণত হয় বাস্তব কণায়। তাই ক্রমে ভর হারাতে থাকে কৃষ্ণ-গহ্বর। কোনও এক সময় মহাশূন্যে বিলীন হওয়াটাই তার ভবিতব্য। কিন্তু, বিশ্বস্রষ্টার মহান সৃষ্টি এই মহাবিশ্বে সত্যিই কিছু কি হারায়?
ক'দিন আগেই, এপ্রিলের ১০ তারিখ, গোটা পৃথিবীর সামনে উঠে এসেছে এম৮৭* নামক কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবি। যা নিয়ে পৃথিবী জুড়ে মস্ত হইচই। পৃথিবী থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি আলোকবর্ষ দূরে এর অস্তিত্ব। উপবৃত্তাকার ছায়াপথ মেসিয়ার৮৭-র কেন্দ্রে। যার আনুমানিক ভর আমাদের সূর্যের ভরের প্রায় সাতশো/সাড়ে সাতশো কোটি গুণ।
উজ্জ্বল কমলা রঙের ডোনাটের মতো দেখতে এই বলয় আসলে কৃষ্ণ-গহ্বরটির ঘটনা-দিগন্তের ছবি। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস, মেঘ, প্লাজমা অশান্ত আবেগে ঘুরপাক খেয়ে বেড়াচ্ছে, বিকিরণ ঘটাচ্ছে এমনকী আলোরও। কৃষ্ণ-গহ্বরটির ব্যাস সূর্যের চারধারে নেপচুনের কক্ষপথের মোটামুটি দশগুণ। মাঝখানের কালো অংশটাই সেই রহস্যময় কৃষ্ণ-গহ্বর। যার ছবি এমনিতে পাবার কোনও উপায় নেই। আলোকে সে গিলে খায়। চারদিকের আলোর বলয়ের মধ্যেই তাই অন্ধকারের হিম-কুঞ্চিত অস্তিত্বকে অনুভব করা। উপলব্ধি করা অজগর অন্ধকারকে।
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, ব্ল্যাক হোল তো রয়েছে অনেক। তাহলে এর আগে অন্য কেউই বা এভাবে ছবি তুলতে পারেনি কেন? ধরা যাক এই এম৮৭* কৃষ্ণ-গহ্বরটির কথাই। এর ব্যাস ৪,০০০ কোটি কিলোমিটার, বা দেড় আলোকবর্ষ। চারপাশের বলয়টা মোটামুটি এরও ৪-৫ গুণ ছড়িয়ে আছে। আমাদের টেলিস্কোপে এর ছবি ঠিকঠাক তোলা অসম্ভব। যে ছবিটা তোলা হয়েছে তাতে দরকার একটা মস্ত টেলিস্কোপ, যার অ্যান্টেনা পৃথিবীর মত বড়। কিন্তু, সেটা তো আর বাস্তব নয়। পরিবর্তে তাই একটা চমৎকার উপায় বের করলেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর সব চাইতে বড় আর কার্যকরী আটটি টেলিস্কোপের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তাঁরা বানিয়ে ফেললেন যেন এক পৃথিবীর আকৃতির টেলিস্কোপ। এই আটটি টেলিস্কোপ একসাথে তথ্য সংগ্রহ করবে কৃষ্ণ-গহ্বর থেকে। বিপুল সেই তথ্য। ৪ পেটাবাইট। এমপি৩ ফরম্যাটে যদি নিরন্তর গান বাজানো হয়, একটানা ৮,০০০ বছর ধরে, তাহলে যতটা ডেটা থাকে, ততটা। এই সমস্ত তথ্যকে পাঠানো হয় বস্টনের মাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। আর সেখানেই সেই বিপুল পরিমাণ তথ্যকে জুড়ে, এবং সুপার-কম্পিউটারের সাহায্যে এই তথ্যের এবং ছবির অনেক ফাঁকফোকর বুজিয়ে নতুন করে তৈরি হয় কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবিটা। এর জন্য কম্পিউটারে প্রোগ্রাম লিখতে প্রধান ভূমিকা নিয়ে বিশ্বজোড়া খবরের শিরোনামে এসেছেন ২৯ বছরের কেটি বাউম্যান। ছবিটা দেখে বোঝা না গেলেও, টেলিস্কোপে পাওয়া তথ্যগুলি জুড়ে পাওয়া গেল যেন অত্যন্ত ভাঙাচোরা, থাম উপড়ে পড়া, দেওয়ালে ইট খুবলে নেওয়া, দরজা-জানালা-ছাদের হদিশ না থাকা এক পুরনো রাজবাড়ির ছবি। তাকে অনেক মেরামত করে, বেশ কিছু কল্পনার মশলা, ইঁট, সিমেন্ট, রং দিয়ে রংচঙে রূপ দেওয়া হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ছবি তৈরি করতে পৃথিবীর সব চাইতে দক্ষ সুপার-কম্পিউটারের লেগেছে দু’বছর।
২০১৪ সালের সায়েন্স ফিকশন ম্যুভি ‘ইন্টারস্টেলার’। ভিসুয়াল এফেক্টের জন্য ছবিটি অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পায় ২০১৫তে। এর ঘটনার প্রেক্ষাপট ভবিষ্যৎ— একুশ শতকের মাঝামাঝি। শস্যে মড়ক এবং ধুলোঝড়ের প্রভাবে পৃথিবী তখন হয়ে পড়েছে বসবাসের অযোগ্য। শনিগ্রহের কাছে অবস্থিত একটি ওয়ার্মহোলের পথ ধরে যাওয়া যায় দূর এক ছায়াপথে, যেখানে গর্গানচুয়া নামে এক কৃষ্ণ-গহ্বরের কাছে রয়েছে এক ডজন বসবাস-যোগ্য গ্রহ। কীট-গহ্বরের পথ গলে বেরিয়ে পড়ে বারোজন, বারোটি গ্রহ সরেজমিনে দেখবার জন্যে। আশাপ্রদ তথ্য পাঠায় তিনজন। তাঁদের পাঠানো তথ্যের উপর নির্ভর করে প্রফেসর ব্র্যান্ড তৈরি করেন দুটি পরিকল্পনা। প্ল্যান ‘এ’, আর প্ল্যান ‘বি’। তারপর ওয়ার্মহোলের পথ বেয়ে ভিন ছায়াপথের অজানা গ্রহে পৌঁছানোর অভিযাত্রা চমকপ্রদ বললেও কম বলা হয়। সঙ্গে রয়েছে ডঃ রোমিলি নামে একটি চরিত্রের ব্ল্যাক হোলের অজানা তথ্য অনুসন্ধানের প্রয়াসও। মুভিটিতে দেখানো হয়েছে, প্রফেসর ব্র্যান্ডের প্ল্যান ‘এ’ বাস্তবায়িত করা যাবে না, কারণ তাতে প্রয়োজন ব্ল্যাক হোলের অভ্যন্তরের কিছু তথ্য, যা পাওয়া অসম্ভব। তাই এই মুভিটির কল্পনার সীমারেখাকে বাড়াতে বাড়াতেও কোথাও যেন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে কৃষ্ণ-গহ্বরের অজ্ঞাত অতলান্তিক রহস্যের কথা। যা বোধকরি কল্পবিজ্ঞানের সীমারও বাইরে।
ওয়ার্মহোল গলে অন্য ব্রহ্মাণ্ডে পাড়ি দেওয়াটা কল্পবিজ্ঞানের আওতাতেই থাকুক। আমরা কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবিতেই উল্লসিত। আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা ‘স্যাগিটারিয়াস এ*’ কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবিটাও হয়তো আমরা দেখতে পাব অদূর ভবিষ্যতে।
21st  April, 2019
প্রতিটি পরীক্ষায় ইংরাজিতে ভালো নম্বর পেতে হলে ভয়েস চেঞ্জকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে

পরামর্শ দিচ্ছেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ইংরাজির শিক্ষক রক্তিম মুখোপাধ্যায়। বিশদ

12th  May, 2019
 ডিপিএস রুবি পার্কের বার্ষিক অনুষ্ঠান

  দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস), রুবি পার্ক প্রতি বছরের মতো এবারও তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ‘রেভারেন্স ২০১৯’ নামে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছিল নজরুল মঞ্চে। দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা গেল। উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্টজন। প্রথম দিন অনুষ্ঠান শুরু হয় গণেশস্তুতি দিয়ে।
বিশদ

12th  May, 2019
মহাকাশের দিনযাপন

মহাকাশে যাওয়া কঠিন। কিন্তু তার থেকেও কঠিন সেখানে দিনযাপন করা। কারণ, মহাকাশে পৃথিবীর মতো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। নেই বায়ুমণ্ডল, ফলে বায়ুর চাপও নেই। জল খাওয়া থেকে শুরু করে টয়লেটে যাওয়া সবই খুব শক্ত কাজ সেখানে। লিখেছেন প্রীতম দাশগুপ্ত।
বিশদ

12th  May, 2019
তানজেনিয়ার জাতীয় উদ্যানে

আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত তানজেনিয়া। দেশটির সরকারি নাম ইউনাইটেড রিপাবলিক অব তানজেনিয়া। প্রায় ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এই দেশটি আয়তনে আফ্রিকা মহাদেশে ১৩তম স্থান দখল করে। দেশটির একধারে প্রতিনিয়ত আছড়ে পড়ে ভারত মহাসাগরের উত্তাল ঢেউ।
বিশদ

05th  May, 2019
মুকুলিত কিশলয়

‘জল পড়ে পাতা নড়ে...’— যে অবোধ বালক শৈশবে এই পঙ্‌ক্তি লিখেছিলেন, তিনিই ভবিষ্যতের বিশ্বজোড়া খ্যাতির অধিকারী। এই কিংবদন্তি মানুষটি ছেলেবেলায় কিন্তু তোমাদের মতোই ছিলেন। তাঁর লেখা বই ‘ছেলেবেলা’ থেকে আকর্ষণীয় কিছু অংশ তুলে ধরে তাঁকে নিয়েই এই লেখা। গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো করেছেন মৃণালকান্তি দাস।
বিশদ

05th  May, 2019
মুকুলবীথি শিশু বিদ্যালয়

 মুকুলবীথি। শুধু আর শব্দ নয়। শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠনের উজ্জ্বল ঠিকানা। স্নেহ, ভালোবাসা, নিয়মানুবর্তিতা, ব্যক্তিত্ব বিকাশের অভিনব প্রতিষ্ঠান। সুন্দর পরিবেশে সহানুভূতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা শিশুদের নিজের বাড়ি। এই ধরনের একটা স্কুল তৈরির স্বপ্ন ছিল রেণুকা সেনের। সেই ইচ্ছেটা বেশিমাত্রায় তীব্র হল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময়।
বিশদ

05th  May, 2019
খুদেদের খেলনা

কারও পছন্দ বার্বি ডল, কেউ ভালোবাসে কু ঝিক ঝিক ট্রেনগাড়ি। মুকুলবীথি শিশু বিদ্যালয়ের ছোট্ট সোনাদের প্রিয় খেলনার খবরাখবর নিলেন শম্পা সরকার। বিশদ

05th  May, 2019
হিলি গিলি হোকাস ফোকাস 

শুরু হল নতুন বিভাগ হিলি গিলি হোকাস ফোকাস। এই বিভাগে জনপ্রিয় জাদুকর শ্যামল কুমার তোমাদের কিছু চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ম্যাজিক সহজ সরলভাবে শেখাবেন। আজকের বিষয় থট-রিডিং-এর খেলা।  
বিশদ

28th  April, 2019
ছোটদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামার প্রোগ্রাম 

আজ তোমাদের একটি জরুরি প্রয়োজনীয় খবর দিই। ভবিষ্যতের জন্য এটি তোমাদের খুব কাজে লাগতে পারে। প্রতি বছরই ছোটদের জন্য নিত্য নতুন আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে সামার প্রোগ্রাম করে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এদের এবারের সামার প্রোগ্রামের বিষয়—সৃজনশীলতা, সুক্ষ্ম চিন্তা-ভাবনা, সমস্যার সমাধান, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রভৃতি।
বিশদ

28th  April, 2019
হাবুদা হারিয়ে গিয়েছে 
গুঞ্জন ঘোষ

হাবুদার সঙ্গে থাকা মানে পৃথিবীর অর্ধেক শক্তি আমাদের মধ্যে খেলে বেড়ায়। হাবুদা আমাদের রবিনহুড। কতকিছু যে জানে! হাবুদা মানেই একগাদা অ্যাডভেঞ্চার। মাঝেমাঝে যখন ছেলেমানুষ হয়ে যায় সে এক দেখার মতো কাণ্ড। আবার যখন রেগে যায় সেও এক ভীষণ ব্যাপার। তখন বলে পায়ের আঙুলে থানইট ফেলে দেব।  
বিশদ

28th  April, 2019
পিঠোপিঠি
ভাই-বোন

দুষ্টু একটু বেশিই ছিল প্রিয়াঙ্কা। জেদিও। তবে মিষ্টভাষী। আর দাদা রাহুল হাসিখুশি। দু’জনের ছোটবেলার গল্প শোনাচ্ছেন সন্দীপ স্বর্ণকার।
বিশদ

21st  April, 2019
অরেঞ্জ ব্লসম ও কুকুম্বার স্যালাড

তোমাদের জন্য শুরু হল একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন চিলেকোঠা রেস্তরাঁর শেফ সুপর্ণ মৈত্র।
বিশদ

21st  April, 2019
 তেষ্টার জলও কেউ দিতে চাইত না ছোট্ট আম্বেদকরকে

 অচ্ছ্যুৎ দলিত সম্প্রদায়ে জন্মেছিলেন আমাদের দেশের সংবিধানের রূপকার ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর। আজ তাঁর জন্মদিন। দলিতদের জন্য সারা জীবন লড়াই করে আসা
এই মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

14th  April, 2019
 বাংলায় বেশি নম্বর পেতে কী করবে?

দশম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সামনে ঠিকঠাক আর ন’টি মাস সময় রয়েছে শিক্ষার্থী-জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য। যদিও আপাতদৃষ্টিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা ‘আসছে বছর’, কিন্তু ইতিমধ্যেই বহু স্কুলে দশম শ্রেণীর প্রথম পার্বিক অভীক্ষাটি শেষ। অতএব, আর দেরি নয়, চলো মাঠে নামি! পরামর্শ দিচ্ছেন বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিকা সংহিতা চক্রবর্তী । বিশদ

14th  April, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ১৫ মে (পিটিআই): ষষ্ঠ দফা ভোটের মধ্যেই বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ফেলেছে। সপ্তম দফার ভোট সম্পন্ন হলে বিজেপির আসন ৩০০ অতিক্রম করে যাবে। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

 ব্রিস্টল, ১৫ মে: জাতীয় দলের জার্সিতেও আইপিএলের দুরন্ত ফর্ম বজায় রেখেছেন জনি বেয়ারস্টো। ব্রিস্টলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে’তে তাঁর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে ...

 সংবাদদাতা, মালবাজার: ফুল ঝাড়ুকেই এখন প্রধান অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে বেছে নিয়েছেন কালিম্পং জেলার গোরুবাথান ব্লকের সামসিং ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তির কয়েকশ চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সকলেই এখন ঝাড়ুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ ঝাড়ু ফলিয়ে তাঁরা এখন বেশি লাভের মুখ দেখছেন। একবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনির জন্ম
১৯৭৫: প্রথম মহিলা হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন জুঙ্কো তাবেই
১৯৭৮: অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৯ টাকা ৭১.১৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৮/৮ দিবা ৮/১৬। চিত্রা ৫৮/১০ রাত্রি ৪/১৬। সূ উ ৫/০/৮, অ ৬/৫/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৫/৩২/৪৭ দিবা ৭/১৩/২৬। চিত্রানক্ষত্র ৫৭/১১/১৩ রাত্রি ৩/৫২/৪৮, সূ উ ৫/০/১৯, অ ৬/৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে ৬/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/০ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৮/৫৩ গতে ৬/৭/১৫ মধ্যে, কালবেলা ২/৫০/৩১ গতে ৪/২৮/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৩৩/৪৭ গতে ১২/৫৫/২৫ মধ্যে।
১০ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য। বৃষ: উচ্চপদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ডুবল জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ন অংশ ডুবে রয়েছে অন্ধকারে। সন্ধ্যা থেকে ঝড়-বৃষ্টির ...বিশদ

08:10:08 PM

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

07:27:00 PM

বিমান সংস্থার উপর চটলেন শ্রেয়া
বিমানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে। ...বিশদ

06:21:47 PM

ভোটের দিন গরম বাড়বে
উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের দিন কিন্তু ...বিশদ

06:10:39 PM