Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
কাজে ঢোকার সময় মেয়েটা তার বয়স বলেনি, দেখে মনে হয়েছিল পনেরো-ষোলো। এত কম বয়সে কাজ করতে বেরিয়েছে দেখে খুব খারাপ লাগছিল বিপাশার। নেবে কি নেবে-না দ্বিধা দেখানোয় নিভা নামের মেয়েটি কেঁদেকেটে অতি অল্প কথায় আত্মজীবনী জানিয়ে বলল, তার পরের বোন জন্মানোর পরেই মাকে ত্যাগ দিয়ে চলে গেছে বাবা। তার মা লোকের বাড়ি কাজ করে, যা আনে তাতে তিনজনের দু’বেলা খোরাকি হয় না। তার বয়স কুড়ি, তার বোনের বয়স আঠারো। মা দু’জনকেই বলে দিয়েছে, নিজের রোজগার নিজে না করলে খেতে দিতে পারবে না।
বিপাশা আন্দাজ করে রোগা-খর্বকায়দের বয়স অনেকটাই লুকানো থাকে তাদের চেহারার মধ্যে। নিভার বয়স কুড়ি শুনে তাকে কাজে বহাল করে বলল, দেখ আমাদের দু’জনের সংসার, এমন কিছু কাজ নেই। মন দিয়ে কাজ করবি।
তা নিভার কাজ খুব পরিষ্কার, কিন্তু তার যেটুকু দায়িত্ব তার বেশি কিছু কাজ করতে বললে স্পষ্ট বলে দেয়, পারবনি।
‘পারবনি’ শব্দটা বেশ মেজাজ নিয়েই বলে, যা বিপাশার পছন্দ হয় না। বিরক্ত মুখে সুরঞ্জনকে বলল, আমি কি ওকে বিনা পয়সায় কাজটা করাতাম! কী রকম কাঠ-কাঠ গলায় মুখে মুখে উত্তর দেয়!
সুরঞ্জন ভাবছিল ‘না বলাটাও একটা আর্ট’ এই মর্মে নিভার একটা ক্লাস নেয়। শুনে বিপাশা মুখ বেজার করে বলল, তুমি আর আদিখ্যেতা দেখিও না। তাতে ওর ডাঁট আরও বেড়ে যাবে।
তবে নিভা নিজের কাজটা করছিল ভালোই, বছরখানেক নিশ্চিন্ত ছিল বিপাশা, হঠাৎ একদিন সুরঞ্জনকে বলল, নিভা একটু বদলে গিয়েছে। আর কাজেকম্মে মন নেই!
—হঠাৎ এরকম কেন মনে হল?
—ক’দিন আগে হঠাৎ ওর মোবাইলে একটা ফোন এল, ও-প্রান্তের কথা কিছুক্ষণ শুনে খুব চেঁচাল, বলল, ‘আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম, ওর ওপর নজর রাখো। তুমি তো বিশ্বাসই করছিলে না! এখন বোঝো।’ নিশ্চয় বাড়িতে কিছু একটা ঘটেছে। আমি দু-তিনবার জিজ্ঞাসা করলাম, কিন্তু কিছুতেই ভাঙল না।
নিভা চাপা মেয়ে, তার কাছ থেকে কোনও কথা আদায় করতে পারল না বিপাশা। লক্ষ করল খুবই অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে তাকে। কাজে কিছু ভুলভালও করল।
বিপাশা গোয়েন্দার মতো লেগে থেকে ঠিক বের করে ফেলল তার এই অসংগত আচরণের কারণ। বিষয়টা বেশ পুরনো হয়ে গেছে, তাই গোপন করার আর কোনও কারণ নেই, নিভা ক্ষুব্ধ গলায় বলল, ‘ইভা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।’ নিভার ছোট বোন ইভা। কিছুদিন ধরে এক ফলওয়ালার সঙ্গে এক গলির মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছিল, হঠাৎ একদিন সকালে কাজ করতে বেরিয়ে আর ফেরেনি বাড়িতে। ফলওয়ালাও উধাও। ওর মা থানা-পুলিস পর্যন্ত করেছে, কোনও লাভ হয়নি।
বিপাশা অনুমান করল নিভার ক্ষোভের কারণ। তার পরের বোন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলল, আর সে রইল পড়ে। ভুরুতে একটা লম্বা কোঁচ ঝুলিয়ে কাজ করে যায় রোজ। কথা প্রায় বলেই না কারও সঙ্গে।
আবার একদিন ক্ষোভ কেটে যায় তার। ভুরু সিধে হয়। কিছুদিন পরে একটু-একটু হাসিও ঠোঁটের কোণে। নিভার আর সবই ভালো, শুধু মাঝেমধ্যে এমন ঝেঁকে উঠে বলে, ‘পারবনি’, তা বিপাশার কাছে মনে হয় অপমানজনক। তখন দু-চার দিন নিভার সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ হয়ে যায় বিপাশার। সুরঞ্জনকে বলে, এমন রুখে উঠে বলার কী আছে!
ক’দিন পরে আবার সব ঠিকঠাক।
নিভা একদিন খুব আস্তে আস্তে বলল, বউদিমণি, আমি কিছু টাকা জমিয়েছি। তোমার কাছে রাখবে? আমি পাঁচটা বাড়ি কাজ করতাম। তার সব টাকা মা কেড়ে নেয়। কিন্তু আমার তো কিছু টাকা লাগে। তাই আরও দুটো বাড়িতে কাজ ধরেছি। সেই বাড়ি দুটোর কথা মাকে বলিনি। তার টাকা প্রতি মাসে তোমার কাছে রেখে যাব।
বলে ব্লাউজের ভিতর থেকে বের করল কিছু টাকা। মোট দেড় হাজার। বিপাশা একটা খাতায় টাকার অঙ্ক আর তারিখ লিখে নিভাকে সই করতে বলল। রাতে সুরঞ্জনকে বলল, প্রতি মাসে খাতায় লিখে রাখাই ভালো। কারণ কয়েক মাস পরে ওর হয়তো সব মনে থাকবে না। তখন চেঁচামেচি করতে পারে।
চলছিল বেশ। হঠাৎ বিপাশা লক্ষ করল নিভার চালচলনে বেশ ফুর্তির ছাপ। একটা জংলা শাড়ি পরেছে, খোঁপায় একগুচ্ছ সাদা ফুল। সুরঞ্জনকে বলল, কী ব্যাপার বলল তো! নিভা দেখি ঘর মুছতে মুছতে গুনগুন করে গান করছে।
সুরঞ্জন বলল, দেখো, ওর মা হয়তো বিয়ের ঠিক করেছে।
নিভার বিয়ের ঠিক হয়ে গেলে বিপাশা ভারী মুশকিলে পড়বে। খুব কাজের মেয়ে নিভা। কাজকর্ম খুব পরিষ্কার আর টিপটপ। প্রায় দু’বছর কাজ করছে এ বাড়িতে। তবে এ বয়সের মেয়ে কাজে রাখলে যা হয়, কবে যে তার বিয়ে হয়ে যাবে ভেবে তটস্থ থাকতে হয়।
আজকাল কাজের মেয়ে পাওয়া খুব কঠিন। ভালো কাজের মেয়ে পাওয়া কঠিনতর।
বিপাশা পরদিন আড়েওড়ে জিজ্ঞাসা করল, কী রে? মনে হচ্ছে তোর মনে খুব আনন্দ।
নিভা কিছু বলল না। হাসল ফিক করে।
—তোর মা কি বিয়ের ঠিক করেছে?
—মা! নিভা ফোঁস করে ওঠে, মা আমার বিয়ে দেবে! আমি তো টাকা রোজগারের একটা কল। ইভা তা আগেই বুঝেছিল বলে বিয়ে করে পালিয়ে গেছে। গিয়ে বেঁচে গেছে।
বিপাশা ঠিক বুঝে উঠতে পারল না নিভার কথা। কিন্তু খেয়াল করছিল নিভা বেশ বদলে গেছে। একদিন কাজ সেরে চলে যাওয়ার আগে বলল, বউদিমণি, টাকাটা আমাকে দেবে। ব্যাঙ্কে রাখব।
বিপাশার মনে একটা সন্দেহ হল, কিন্তু কিছু বলল না।
দিন দুয়েক পরে সুরঞ্জন বাস থেকে নেমে ঘরের পথে ফিরছে, দেখল একটা বিচ্ছিরি দেখতে ছেলের সঙ্গে ঘুরছে নিভা। গুন্ডা-গুন্ডা চেহারা। বাড়ি ফিরে ঘটনাটা বলল বিপাশাকে।
পরের দিন সকালে কাজে আসতেই বিপাশা চেপে ধরল, নিভা, ওই ছেলেটা কে রে?
নিভা প্রথমে গাছের মগডাল থেকে পড়লেও বিপাশা দুই ধমক দিতে বলল, বউদিমণি, আমি ওকে বিয়ে করব।
—সে কী, ওই ছেলেটা! মানে খোঁজখবর নিয়েছিস কে ও? কী করে? বাড়িতে কে আছে, না আছে জানিস কিছু? তোর মা জানে এ সব?
নিভা চুপ করে থাকে।
নিভা বিয়ে করবে তা জানাই ছিল, কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে যা হয়, হঠাৎ নিভা বিয়ে করে কাজ ছেড়ে দিলে খুবই আতান্তরে পড়বে বিপাশা। নিভাকে অনেক বুঝিয়ে বলল, বিয়ে করবি নিশ্চয়ই, কিন্তু তোর মাকে বল সব। তোর মা খোঁজ নিয়ে দেখুক। আগে দেখা যাক ছেলেটা ভালো কি না!
বিপাশা কিছুটা নিজের স্বার্থের কথা ভাবছিল না তা নয়, তবে এও ভাবছিল মেয়ে হিসেবে বেশ ভালো, তার জীবন যেন বয়ে চলে ঠিকঠাক পথে।
কী আশ্চর্য, তার ঠিক পরের দিনই নিভা আর কাজে এল না। তার পরের দিনও না। নিভা একেবারেই কামাই করে না, তার পর পর দু’দিনের অনুপস্থিতি একটু অবাক করল তাকে। সুরঞ্জন ওকে দেখে ফেলেছে একটি ছেলের সঙ্গে ঘুরতে, তাই হয়তো ভয় পেয়ে—
নিভার মায়ের কাছে খোঁজখবর নিতেই তার মা এসে পা জড়িয়ে কাঁদতে বসল অমনি। বলল, একটা গুন্ডা ছেলে, তার পাল্লায় পড়ে আমার মেয়েটা—
বিপাশা ভাবতেই পারেনি এত তাড়াতাড়ি কাজ ছেড়ে দেবে নিভা। সুরঞ্জন যে নিভাকে দেখেছে তা নিভাকে না বললেই হতো। তা হলে হয়তো এখনই ওকে পালাতে হতো না! বিপাশা খুবই ঝামেলায় পড়ল। হঠাৎ কাজের লোক চলে গেলে সমস্ত ঝক্কি তার ঘাড়ে গিয়ে পড়ায় খুব রাগ হল নিভার ওপর। যাবি তো যাবি, কিছুদিন আগে বলতে পারলি না তোর চলে যাওয়ার কথা! লোক দেখে নিতাম।
সংসার থেমে থাকে না। এক কাজের লোক যায়, আর এক কাজের লোক আসে। মাঝে কয়েকদিন বিপাশার সংসারে টালমাটাল অবস্থা। নিভা গেল, সবিতা এসে ধরে নিল নিভার ফেলে যাওয়া কাজ। কিছুদিন সুরঞ্জন-বিপাশার কথোপকথনের মধ্যে নিভা-প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে এল, ভালোয় মন্দয় মেশানো সেই সংলাপ কিছুদিনের মধ্যে মিলিয়ে গেল হাওয়ায়।
তারপর কত হাওয়া বয়ে গেল বিপাশার সংসারের উপর দিয়ে। নিভারও নিভতে দেরি হল না। বছর দুই পরে হঠাৎ একটা কলিং বেলের শব্দে একটা পুরনো অধ্যায়ের নবসূচনা।
কলিং বেলের শব্দ পেয়ে বিপাশা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আঁচলে হাত মুছতে মুছতে দরজা খুলে দেখল সবুজ আঁচলে ঘোমটা দেওয়া এক তরুণী। কপালে বড় করে সিঁদুরের টিপ, সিঁথিতেও লম্বা করে সিঁদুর। কাঁখে ধরা বছরখানেকের একটি বাচ্চা।
অন্য হাতে একটা পেটমোটা কাপড়ের ব্যাগ। নিশ্চয় কোনও সেলসগার্ল। গ্রামাঞ্চলের কোনও গৃহবধূ অভাবের তাড়নায় বেরিয়েছে কিছু সওদা নিয়ে। বিপাশা বলে উঠতে যাচ্ছিল, ‘না, আপাতত কিছু লাগবে না,’ তার আগেই যুবতী সামান্য হেসে বলল, বউদিমণি, আমাকে চিনতে পারছ না!
কণ্ঠস্বর খুবই চেনা, ভালো করে তাকাতে দেখল, আরে, নিভা না! প্রায় তিন বছর পরে দেখছে বলেই শুধু নয়, বিয়ে হওয়ার পর নিভাকে আর দেখেইনি তো! বিয়ের পর মেয়েদের চেহারার একটু বদল ঘটে, তার ওপর কোলে বছরখানকের একটি শিশু। তিন বছরে অনেকটাই বদলে গেছে নিভা।
এতদিন পরে হঠাৎ তাকে দেখে অবাক হওয়ারই কথা। বলল, বোস, নিভা। তোর বাচ্চাটা দেখছি তোর মতোই হয়েছে।
মেঝের উপর পা ছড়িয়ে বসে নিভা হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলল, বউদিমণি তখন তোমার কথা শুনিনি। কী এট্টা খারাপ লোকের সঙ্গে তখন পালিয়ে গিসলাম, এখন আমারে ছেড়ে সে কোথায় উধাও হয়ে গেল, আর খুঁজে পেলামনি। বাচ্চা নিয়ে মার কাছে থাকতে গেলাম, মা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। তুমি আমারে রাখবা?
ঘটনাটা এমনই আকস্মিক, বিপাশা প্রথম মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারল না তার এখন কী করা উচিত। তখন নিভা কাজ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে খুব রাগ হয়েছিল তার ওপর। তারপর সত্যিই আর নিভার মতো ভালো কাজের লোক পায়নি।
নিভা কান্না-কান্না গলায় আবার বলল, বউদিমণি, এই তিন বছর রোজ তোমার কথা ভেবেছি। তুমি তো আমার ভালোর জন্যই বলেছিলে!
বিপাশার মনে পড়ল তিন বছর আগের কথা। তখন কিছুটা হলেও কথাটা বলেছিল তার নিজের স্বার্থের কথা ভেবে, এখন ভাবল নিভার স্বার্থের কথা। বলল, ঠিক আছে, এখন এখানে বিশ্রাম নে। আমি তোর মাকে খবর দিচ্ছি, তাকে বুঝিয়ে রাজি করব যাতে তোকে থাকতে দেয়। আর আমার তো বয়স হচ্ছে।
আর একজনকে লাগবে। তুই আমার অন্য টুকটাক কাজগুলি করে দিবি। দুপুরে এখানে খাবি। আর যা টাকা দেব, তাতে তোর বাকি খরচ চলে যাবে।
নিভা প্রায় ঈশ্বরী দেখার মতো চোখ করে দেখল বিপাশাকে, হাসি আর কান্নায় ভরা সেই অভিব্যক্তি, বাচ্চাটাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে হঠাৎ কেঁদে ফেলল হু হু করে। বলল, বউদিমণি, আমি জানতাম, পৃথিবীতে আর কেউ না থাক, তুমি আমাকে ফেরাবে না।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৩

অপমৃত্যু নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব একটা মতামত ছিল। পরিণত বয়সে তিনি এ সম্পর্কে তাঁর মতামত মংপুতে থাকাকালীন মৈত্রেয়ী দেবীর কাছে ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,‘অপমৃত্যু সম্বন্ধে একটা কথা কি মনে হয় জানো, হঠাৎ যে বন্ধন ছিন্ন হয়, হয়তো তা সুসমঞ্জসভাবে ছিন্ন হয় না।  
বিশদ

11th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
আরাসূরীর অম্বাজি, পর্ব-২৩
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

গিরনারের অম্বাজির পর আরাসূরীর অম্বাজিকেও দর্শন করে আসা যাক এবার। রাজস্থানের অর্বুদ শিখরে ৫২ সতীপীঠের অন্তর্গত দেবী অম্বাজি আছেন। অম্বাজিতে আমি আগেও গিয়েছি।  
বিশদ

11th  August, 2019
যে মেঘ গাভীর মতো চরে
সুতপা বসু 

বেডরুমের লাগোয়া বারান্দায় তখন সিদ্ধার্থ আর বারিষ বৃষ্টির ছাট নিয়ে খেলছে। সিদ্ধার্থ বললো,‘ওই ছড়াটা বল, মনে আছে?’ বারিষ বুঝল তার বাবাই কোন ছড়ার কথা বলছে। সে লাফাতে লাফাতে সুর করে বলল, ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান...’ 
বিশদ

04th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২২

শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়। জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের বাজার সরকার। মাসিক বেতন কুড়ি টাকা। ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর কেমন লতায়-পাতায় আত্মীয়তা ছিল বলেও শোনা যায়।  
বিশদ

04th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
গিরনারের অম্বাজি পর্ব-২২
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

মরুভূমি ত্যাগ করে এবার যাওয়া যাক রৈবতক পর্বতে। এখানে বিরাজ করছেন অম্বাজি। সারা ভারতে, বিশেষ করে হিন্দিবলয়ে দেবী দুর্গা অম্বাজি নামেই প্রসিদ্ধ। অম্বিকা থেকে অম্বা, অম্বে, অম্বাজি।  
বিশদ

04th  August, 2019

দারোগা চমকিতচরণ
 
রতনতনু ঘাটী


দরকার পড়লে দারোগাবাবুকে চোর খুঁজতেও বেরতে হয়। কিন্তু আজ তিন দিন হল উদ্ভুট্টিডিহি থানা এলাকায় এক আজব কাণ্ড ঘটেছে। বড় দারোগা চমকিতচরণ দত্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই থানা এলাকার দাগি চোরদের ধরে ধরে এনে থানায় পুরবেন।
বিশদ

28th  July, 2019
পুণ্যভূমির পুণ্য ধুলোয়
মরুতীর্থ ও ওশিয়াঁ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

করাচি শহর থেকে ৩০০ কিমি দূরে লাসাবেলার বিস্তীর্ণ ও ভয়াবহ মরুভূমির বুকে হিঙ্গুলা নদীর তীরে যেমন হিংলাজ মাতার গুহা মন্দির, তেমনই রাজস্থানের থর মরুভূমির বুকে যোধপুর থেকে ৬৫ কিমি দূরে হল ওশিয়াঁ মাতার রম্য মন্দির। মরুভূমির বুকে মহাতীর্থ। মরুতীর্থ ওশিয়াঁ।
বিশদ

28th  July, 2019
 ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 ঘরে উপস্থিত সবাই বুঝতে পারলেন নিত্যরঞ্জন ঘোষের শরীরে কোনও অতৃপ্ত, ক্রুদ্ধ আত্মা ভর করেছেন। সেজবাতির আলোটা একটু বাড়িয়ে দিয়ে ডাক্তার রাজকৃষ্ণ মিত্র বললেন, হ্যাঁ, আমরা আপনার সম্পর্কে সবকিছু জানতে চাই। আপনি কে? আপনার নাম কী?
বিশদ

28th  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
মরুতীর্থের দেবী, পর্ব ২০
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 আমার বারো বছর বয়সের সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে তীর্থযাত্রায় গিয়ে দ্বারকা থেকে ফেরার পথে ভাটিয়া স্টেশনে নেমে সমুদ্রের খাড়ি পার হতে হয়েছিল। ওখান থেকে গন্তব্য ছিল সুদামাপুরী (পোরবন্দর)। পথে যেতে যেতে এক জায়গায় বাসযাত্রীরা সবাই নেমে পড়লেন এক জাগ্রতা দেবীকে দর্শন করবার জন্য।
বিশদ

21st  July, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 একদিন মিউগেন্স সাহেবকে বললাম, আমি বাড়িতে মাঝে মাঝে মিডিয়াম হয়ে ‘স্পিরিটের’ সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু খুব ভালো পারছি বলে মনে হচ্ছে না। মিউগেন্স সাহেবের গম্ভীর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার বললাম, — অথচ বিলেতের কাগজে পড়েছি, এফিসিয়েন্ট মিডিয়ামের সাহায্যে তারা একান্ত আপনজনের স্পিরিট নিয়ে আসছে....
বিশদ

21st  July, 2019
এমনি বরষা ছিল সেদিন
ছন্দা বিশ্বাস

দশ দিন হতে চলল অর্ণব ঠাকুরপোকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনিকেতের ছেলেবেলার বন্ধু অর্ণব। আমার বিয়ের পরে বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িতে এসেছে। তারপর বহুদিন আর দেখা হয়নি। মাঝখানে হঠাৎ একদিন এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেও বেশ কিছুদিন হতে চলল। অনিকেত শুনলাম থানায় একটা মিসিং ডায়েরি করেছে।
বিশদ

14th  July, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাড়ি ফিরে গেলেন প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বুধবার দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ সৌমিত্রবাবু ছুটি পান হাসপাতাল থেকে। মেয়ে পৌলোমীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার ...

  সংবাদদাতা, তেহট্ট: বুধবার সকালে তেহট্ট থানার বেতাই বাজারে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে যন্ত্রচালিত মোটরভ্যানের ধাক্কায় জখম হলেন এক বৃদ্ধা। তেহট্ট থানার বেতাই পোস্টঅফিস পাড়ার বাসিন্দা সুনীতা দত্ত নামে ওই বৃদ্ধাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ম্যাচের নায়ক গোকুলাম গোলরক্ষক উবেইদকে এবার ছেড়ে দেওয়াটা একেবারেই মানতে পারছেন না ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। বুধবার ডুরান্ড কাপের সেমি-ফাইনালে ইস্ট বেঙ্গলের ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: কাল, শুক্রবার স্যামসাং বাজারে নিয়ে আসছে উন্নতমানের মোবাইল গ্যলাক্সি নোট টেন ও টেন প্লাস। এস পেন নামের একটি কলম দিয়ে এই মোবাইল পরিচালনা করা যাবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৯: মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই) শহরের প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
১৮১৮: ভারতে ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস-এর মৃত্যু
১৯১১: গায়ক দেবব্রত বিশ্বাসের জন্ম
১৯১৫: অভিনেতা শম্ভু মিত্রের জন্ম
১৯৫৫: রাজনীতিক ও প্রখ্যাত চিত্রতারকা চিরঞ্জীবীর জন্ম
১৯৮৯: নেপচুন গ্রহে প্রথম বলয় দেখা গেল



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৯ টাকা ৭২.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৪৬ টাকা ৮৮.৬১ টাকা
ইউরো ৭৭.৯০ টাকা ৮০.৯০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,১৩৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,১৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৭২৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র ১৪২৬, ২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী ৪/২৮ দিবা ৭/৬। ভরণী ৫৩/১১ রাত্রি ২/৩৬। সূ উ ৫/১৯/২১, অ ৬/০/৩, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৯ গতে ১/৪ মধ্যে।
৪ ভাদ্র ১৪২৬, ২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, সপ্তমী ৫৫/২৪/৯ রাত্রি ৩/২৮/৭। ভরণীনক্ষত্র ৪৫/২৬/১৪ রাত্রি ১১/২৮/৫৭, সূ উ ৫/১৮/২৭, অ ৬/২/৫৯, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/৪ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৭/২৫ গতে ৬/২/৫৯ মধ্যে, কালবেলা ২/৫১/৫১ গতে ৪/২৭/২৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪০/৪৩ গতে ১/৫/৯ মধ্যে।
২০ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
 আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ থাকবে। মিথুন: উপার্জন বাড়বে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৬৩৯: মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই) শহরের প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া ...বিশদ

07:03:20 PM

চন্দ্রযান ২-এর তোলা চাঁদের প্রথম ছবি 
চন্দ্রযান ২-এর তোলা চাঁদের প্রথম ছবি প্রকাশ করল ইসরো ...বিশদ

08:25:16 PM

২৬ আগস্ট পর্যন্ত চিদম্বরমের সিবিআই হেফাজত 
পি চিদম্বরমের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আজ সিবিআই঩য়ের ...বিশদ

06:50:00 PM

ফের আক্রান্ত পুলিস, এবার আমতায়
ফের একবার পুলিসকে মারধর করে উদি ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ...বিশদ

04:49:07 PM

রায়গঞ্জে বিজেপি সমর্থকের কান কাটার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 
রায়গঞ্জের পূর্বপাড়া এলাকায় হাঁসুয়া দিয়ে এক মহিলার কান কেটে নেওয়ার ...বিশদ

04:21:05 PM