Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ট্রাম্প ফিভার!
মৃণালকান্তি দাস

১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। আমি থেরাপিস্টের অফিসে বসে রয়েছি। একটু পরেই আমার শরীরে থেরাপি দেওয়া হবে। আচমকা এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হুড়মুড় করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। প্রথমে আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘লোকটা আর সময় পেল না! আমার থেরাপি সেশনে ফট করে ঢুকে পড়ল?’ কিন্তু পরক্ষণেই দেখলাম, ঘরে ঢুকে পড়া অফিসারটির মুখটা কেমন ফ্যাকাশে। শুধু বললেন, ‘প্যাটি, গুলি চলেছে।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখাটা এভাবেই শুরু করেছেন প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের কন্যা প্যাটি ডেভিস।
গোটা দুনিয়া জেনে গিয়েছে বন্দুকবাজের গুলিতে রক্তাক্ত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কান থেকে চুঁয়ে পড়া রক্তের রঙে গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সহানুভূতির হাওয়া। পুত্র এরিক ট্রাম্পের পোস্ট করা রক্তাক্ত বাবার মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের ছবি শুধু নয়, ভাইরাল হয়েছে ছবির সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘আমেরিকার এই ধরনের যোদ্ধারই প্রয়োজন।’ তা ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার গ্রাফ চড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পের মুখে রক্ত নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছোড়া এবং সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে মঞ্চ থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যাওয়ার বিরল চিত্রগুলি শুধু ইতিহাস তৈরি করবে না, তা আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথও বদলে দিতে পারে।
এমন একটা দিনের সাক্ষী ছিলেন প্যাটি ডেভিসও। ১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। রোনাল্ড রেগ্যানের গুলি আটকেছিল বাঁ-কাঁধে। পাঁজরের হাড় ভেঙেছিল। দুই সপ্তাহ যমে-মানুষে টানাটানির পর তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। এই মার্কিন অভিনেত্রী লিখছেন, ‘দিনটি ছিল আমার জীবনের দীর্ঘতম দিনগুলির একটি। আমার বাবা বেঁচে আছেন নাকি মারা গিয়েছেন, তা জানতে পারছিলাম না। পরে শুনেছিলাম, চিকিৎসকরা অচেতন বাবার বুকে বুলেটের টুকরো খুঁজছিলেন। আমার মতো তাঁরাও প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না, তিনি বেঁচে আছেন কি না। একজন প্রেসিডেন্ট বা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, তাঁর চারপাশের লোকজন সবাই রক্তমাংসের মানুষ। এবং এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁদের জীবনের সবকিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। সবকিছু লন্ডভণ্ড করে দেওয়ার জন্য একটি মাত্র বুলেটই যথেষ্ট।
১৯৮১ সালের তুলনায় আমেরিকা এখন অনেক বেশি ক্ষুব্ধ। অনেক বেশি হিংস্র। আমি জানি না এই ঘটনাটি সেই হিংসা ও ক্ষোভকে কিছুটা কমিয়ে আনবে কি না। আমি জানি না, ট্রাম্প পরিবারেরও আমার মতো একই অভিজ্ঞতা হবে কি না। অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য হলেও রাজনীতিকে একপাশে রেখে সব অংশের মানুষ মানবিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে ট্রাম্প পরিবারের পাশে দাঁড়াবে কি না। আমিও এটাও জানি না এই অভিজ্ঞতা ট্রাম্পকে বদলে দেবে কি না। আমার বাবা বিশ্বাস করতেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটানোর এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে একধরনের চুক্তিতে পৌঁছনোর চেষ্টা করার জন্য ঈশ্বর তাঁকে সেই যাত্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এই ধরনের ঘটনাকে কোন ব্যক্তি কীভাবে উপলব্ধিতে এনে ব্যাখ্যা করবেন, তা অনুমান করা অসম্ভব।
প্রিয়জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতো ঘটনা আপনাকে বদলে দেবে, সেই প্রিয়জন বিখ্যাত হোক বা না হোক। ট্রাম্পের উপর গুলি চালানোর ঘটনা আমাদের দেশকেও বদলে দিতে পারে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে মানুষ হিসেবে আমাদের কীভাবে একত্রিত হতে হবে, তা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। সেই মানুষ মানে, ক্রোধে ছটফট করা এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি করা মানুষ নয়। যাঁরা বন্দুক দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে, সেই ধরনের মানুষ নয়। আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর যে আমেরিকা দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের পরিবারকে প্রবল স্নেহের চাদরে ঢেকে দিয়েছিল, আমি সেই আমেরিকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষা করে রয়েছি। প্রার্থনা করি, যেন আমরা আবার নিজেদের মধ্যে সেই আমেরিকাকে খুঁজে পেতে পারি।’
রিপাবলিকান পার্টির জঠরে জন্ম নেওয়া প্যাটি ডেভিসও আজ চাইছেন রাজনৈতিক ভেদাভেদকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হারিয়ে যাওয়া সেই আমেরিকাকে খুঁজে পেতে। আমেরিকার আম আদমির মতোই। কিন্তু ট্রাম্পের মতাদর্শের সামনে তা কী করে সম্ভব? রাষ্ট্রনায়ক চেয়ার ছাড়ার পরিস্থিতিতে নিজেই যখন ক্যু দে তা ঘটায়, তখন সে সাধারণত সামিল করে সেনাবাহিনীকে। ট্রাম্প সেখানে শামিল করতে পেরেছিলেন বর্ণবাদী, বন্দুকবাজ, সাধারণ, সাদা আমেরিকানদের। তাঁর কথামতো এরাও বিশ্বাস করেছে, গত নির্বাচনে রিগিং করে হারানো হয়েছে তাঁকে। যতই বাকি বিশ্ব লোকটাকে নিয়ে হাসাহাসি করুক না কেন, আমেরিকার মধ্যে এই আমেরিকা একদম ‘রিয়েল’। বাইডেন আসার পরও সেই আমেরিকা নিজের দিকে ফিরে তাকিয়ে লজ্জা পায়নি। বরং আরও শক্তি জুগিয়েছে দিনের পর দিন। রিপাবলিকান সমর্থকদের ‘মেগা পেট্রিয়ট’ বা ‘প্রবল জাতীয়তাবাদী’ আখ্যা দেওয়া, সংবাদমাধ্যমকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে একহাত নেওয়া, তাঁকে ঘিরে সমবেত জনতার ‘ফাইট, ফাইট’ চিৎকার আর ট্রাম্পের রক্তক্ষরণের ছবি, প্রতিবাদী মুষ্টিবদ্ধ হাত এবার রাজনৈতিক প্রচারের অনুষঙ্গ হবে। নিশ্চিত!
রাজনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, যাঁকে ‘ইমপিচ’ করা বা সরানো যায় না, ‘দেউলিয়া’ করা যায় না, নির্বাচনে যোগদান থেকে ‘বিরত’ করা যায় না, এমনকি ‘হত্যা’-ও করা যায় না— সাধারণ জনগণের চোখে সেই ট্রাম্পের 

‘প্রেসিডেন্ট’ হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনাই এখন সব থেকে বেশি। রিপাবলিকানদের চোখে তাঁর ‘দেবত্ব’ অর্জনে আর কোনও বিস্ময় নেই। ডান কানে একটি চৌকো সাদা ব্যান্ডেজ। এটাই এখন যেন রিপাবলিকানদের প্রতীক। জাতীয় কনভেনশনে তাঁর দৃপ্ত ভঙ্গি, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তাঁর এককালের কট্টর সমালোচক জেমস ডেভিড ভান্সের নাম ঘোষণা, দাবি করা যে আমেরিকাকে ফের ‘গ্রেট’ বানাতে পারেন একমাত্র তিনিই—এসব দেখে বোঝা মুশকিল যে মাত্র তিনদিন আগে মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একদিকে ‘ট্রাম্প জ্বর’, অন্যদিকে ‘সাজানো ঘটনা’ বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। মার্কিন বামপন্থীরা ইতিমধ্যে ২০ বছরের আততায়ীর গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়াকে ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তাঁদের যুক্তি—মিছিলে গুলি চলল, অথচ সেখানে উপস্থিত রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা কেউই আতঙ্কিত হলেন না! অথবা, মাত্র ৪০০ মিটার দূর থেকে আততায়ীর গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হল, অথচ মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের বুলেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিল ২০ বছরের হামলাকারীকে? সমালোচকদের যুক্তি—আইনি ধারায় নির্বাচনে লড়া বাতিল হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই আততায়ীর হামলার মতো ‘সাজানো’ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিশেষ করে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো দুই শক্তিধর দেশের নির্বাচনে বামপন্থী এবং প্রগতিশীল শক্তির জয়জয়কারের পরে অতি দক্ষিণপন্থীদের ‘আইকন’ ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রাম্পের উপরে হামলা ঘিরে বিতর্ক স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভাজিত গোটা দেশ। ভাবাই যায় না, আমেরিকার মতো দেশে আজ জনসভা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকির ঘনঘটা, ‘অমুককে জেলে পুরব’, ‘ওকে শেষ করে দেব’! কোনও দলই জনসমর্থন হারানোর ভয়ে বলছেন না, আমেরিকায় বন্দুক-হিংসা এখন একটা ব্যাধির আকার নিয়েছে। প্রতিটি প্রদেশে দিনে গড়ে ছ’জন বন্দুকের গুলিতে নিহত হচ্ছেন। ফলে ট্রাম্পের উপরে হামলার ঘটনা অনভিপ্রেত হলেও খুব আশ্চর্যজনক নয়।
১৮৬৫ সালে আব্রাহাম লিঙ্কনের পর আরও তিন প্রেসিডেন্ট—জেমস গারফিল্ড (১৮৮১), উইলিয়াম ম্যাকিনলে (১৯০১) ও জন এফ কেনেডি (১৯৬৩) গুলিতে নিহত হয়েছেন। ১৯৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডির দশাও তেমনই হয়েছিল। হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় প্রাণে বেঁচেছেন আরও পাঁচ প্রেসিডেন্ট—ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, জেরাল্ড ফোর্ড, রোনাল্ড রেগ্যান, বিল ক্লিন্টন ও জর্জ ডব্লিউ বুশ। বুশকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল জর্জিয়ার টিবিলিসিতে। জনসভায় তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল গ্রেনেড। ফাটেনি। ক্লিন্টনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বহুবার। তিনিও ভাগ্যবান। প্রতিটিই ব্যর্থ। কিন্তু তা বদলে দেয়নি আমেরিকার রাজনীতির ক্যানভাস। বরং রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে আঁকড়ে ধরেছে একে অপরকে। ‘আর যমের দক্ষিণ দুয়ার থেকে ফিরে আসা ট্রাম্প তাঁর বিভাজনের রাজনীতি না বদলালে এই গুলিকাণ্ড আমেরিকার বিপজ্জনক সময়ের সূচনালগ্ন হয়ে উঠবে’—বলেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার রোডস।
আসলে বছর দশেক আগে এক ট্রাম্পই বদলে দিয়েছিল গোটা মহাদেশকে। ট্রাম্পিয়ানার দুটো মন্ত্র— ইউনিল্যাটারালিজম এবং কনফ্রন্টেশনালিজম। একবগ্গা গোঁয়ার্তুমি এবং দ্বান্দ্বিকতা। ট্রাম্পিয়ানা নামক অসুখটির সবচেয়ে বড় রোগলক্ষণ হল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রায় অবলুপ্তি। সে ঘোষিত বর্ণবাদী। ট্রাম্পের আমেরিকান হল খোলাখুলিভাবেই সাদা বর্ণবাদী। এমন আমেরিকান যে সমানাধিকার এবং গণতান্ত্রিক নৈতিকতার ধার ধারে না। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকে সে সমাজবিরোধী আখ্যা দিতে পারে অবলীলায়। ট্রাম্পিয়ানার দীর্ঘ ছায়া গ্রাস করেছে হোয়াইট হাউসকে। ট্রাম্প আমেরিকান সমাজের ফাটলগুলিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সে ফাটল বোজানোর কোনও চেষ্টাই করেননি জো বাইডেন। দুনিয়ার পলিটিক্যাল ভোকাবুলারিতে বহুদিনের জন্য স্থায়ী সংযোজন হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পিজম। এর ফল হয়েছে যেটা, তা হল সারা বিশ্বেই যে সমস্ত রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে একনায়কতন্ত্রী ভাবনা ছাইচাপা আগুনের মত ধিক ধিক করে জ্বলছিল, তাতে বেশ হাওয়া লেগে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যেই আজ সব চাইতে বেশি ঘুরপাক খায় ট্রাম্পের আওড়ানো ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব, আর বর্ণবিদ্বেষ। এঁদেরই প্রতিনিধিরা হানা দেয় ক্যাপিটলে। এঁদের সবাইকে তো আর খুঁজে খুঁজে জেলে পোরা যায় না।
প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন সতর্ক করেছিলেন, যে ঘর নিজের বিরুদ্ধে বিভাজিত, সে বেশি দিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। বিভাজনের আঘাত আজ ফাটল ধরিয়েছে আমেরিকার ভিত্তিতে। আমেরিকার ইতিহাসেই রয়েছে অসহিষ্ণুতা। অথচ, গণতন্ত্রের প্রতি আমেরিকা দায়বদ্ধ। বিশ্বের মানুষের কাছে আমেরিকা নিজেকে ‘মেল্টিং পট’ বা সর্বজাতি, সর্ব ধর্মের মিলনক্ষেত্র বলে তুলে ধরতে উন্মুখ। একদিকে অসহিষ্ণুতা, অন্যদিকে উদারতা। কী করে মীমাংসা হবে এই দ্বন্দ্বের? এই প্রশ্নের উত্তরের উপরেই নির্ভর করছে আমেরিকার ভবিষ্যৎ।
ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বিশ্বে কী প্রভাব পড়তে পারে তার একটা সমীক্ষা করেছে ‘ইকনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’। নাম দিয়েছে ‘ট্রাম্প রিস্ক ইনডেক্স’। সেই অনুযায়ী ঝুঁকিতে পড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, অভিবাসন, সামরিক সহায়তার মতো বিষয়ে। বাণিজ্য নিয়ে চীনের সঙ্গে রেষারেষি বাড়বে। এশিয়ায় অসুবিধায় পড়বে ভারত ও ভিয়েতনাম। সবচেয়ে দুশ্চিন্তা বাড়বে মেক্সিকো, কোস্টা রিকা, জার্মানি, জাপান ও ইউক্রেনের। বিশ্বব্যাপী রাজনীতিতে দোলাচল বাড়বে। সেই ভয়ঙ্কর দুনিয়ায় অবশ্যই খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘পোলারাইজেশন’ বা মেরুকরণের রাজনীতিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ট্রাম্পের উপর গুলিচালনার সমালোচনা করে টুইট করার সময়েই নরেন্দ্র মোদি কূটনৈতিক দুনিয়াকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে কতটা গভীর বন্ধুত্ব এখনও রয়েছে! দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে যিনি টেক্সাসে ‘বন্ধু’-র হাত ধরে কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারের ধার না ধেরে ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন, কে জানে এই গুলিকাণ্ডের পর তিনি ট্রাম্পের বিজয় উদ্‌যাপনের ছক আগাম কষে রাখছেন কি না!
হয়তো অজানা জ্বরে আক্রান্ত মোদিও। জ্বরের নাম ‘ট্রাম্প ফিভার’।
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
21st  July, 2024
ট্রাম্প জিতলে হারবে আমেরিকা!

আমেরিকার রিপাবলিকান দলের নেতা রোনাল্ড রেগ্যান সম্পর্কে বাজারে একটি গল্প প্রচলিত আছে। রেগ্যান ছিলেন বি-মুভির সাধারণ এক অভিনেতা। বরাতজোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নাকি একদিন হোয়াইট হাউসে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ন্যান্সি, আমি কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছি, না ওই ভূমিকায় অভিনয় করছি?’ বিশদ

21st  July, 2024
অস্তরাগ
সোমনাথ বসু

সেই কবে মুকুল দত্ত লিখেছিলেন, ‘চোখের জলের হয় না কোনও রং, তবু কত রঙের ছবি আছে আঁকার...’। সত্যি, মনের কত ক্যানভাস ভিজেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর।
বিশদ

14th  July, 2024
তারার জন্ম
সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়

‘দিস টাইম ফর মরক্কো!’ — গানে গমগম করছে বার্সেলোনা শহর থেকে ৪০ কিমি দূরের রোকাফন্দা অঞ্চল। সেই সঙ্গে বাজির আওয়াজে কান পাতা দায়। অথচ, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই রাত স্পেনের কাছে অভিশপ্ত।
বিশদ

14th  July, 2024
জয় জগন্নাথ
সুমনা সাহা

রথ বললেই মনে যে ছবি ভেসে ওঠে, তা একটা ছাদ-খোলা ঘোড়ার গাড়ির মতো। তার উপরে বিমর্ষ মুখে বসে আছেন মধ্যম পাণ্ডব অর্জুন। কাঁধ থেকে খসে পড়েছে গাণ্ডীব। তাঁর সামনে সারথি রূপে শ্রীকৃষ্ণ। পার্থকে কৃষ্ণ শোনাচ্ছেন ‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত’ বাণী। বিশদ

07th  July, 2024
রথচক্র

রথের জন্য চাই নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। মন্দির কমিটি প্রথমে বনদপ্তরের কাছে খবর পাঠায়। তারপর জঙ্গলে প্রবেশ করেন পুরোহিতরা। পুজো করা হয় নির্দিষ্ট গাছগুলিকে। সেই পর্ব শেষে সোনার কুড়ুল জগন্নাথদেবের চরণে স্পর্শ করিয়ে গাছ কাটার শুরু। বিশদ

07th  July, 2024
মাসির বাড়ির অজানা কথা

পোশাকি নাম অর্ধাসিনী মাতা। তবে সর্বজনের কাছে তার পরিচিতি ‘মৌসি মা’ বা ‘মাসি মা’ বলে। রূপে অবিকল সুভদ্রা দেবী। পুরীর এই অর্ধাসিনী দেবী সম্পর্কে জগন্নাথদেবের মাসি। বিশদ

07th  July, 2024
স্বামীজির মৃত্যু ও এক বিদ্রোহের জন্ম
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

মশালটা জ্বলছে। মৃত্যুহীন প্রাণের আঁচ অনুভূত বাংলার মনে। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে। তবু মশালটা জ্বলছে সংস্পর্শীদের হৃদয়তন্ত্রে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মেঘরাশি নিজেই সরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বেলুড়মঠে কামাখ্যা মিত্রকে বলেছিলেন ‘ভারতের আজ বোমার প্রয়োজন!’ বিশদ

30th  June, 2024
মহাধ্যানে মহাযোগী
পূর্বা সেনগুপ্ত

গুন গুন করে গানের সুর তুলেছেন—‘শ্যামাসুধা তরঙ্গিনী, কালী সুধা তরঙ্গিনী।’ পুরাতন মঠের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন স্বামী বিবেকানন্দ। জীবনের শেষলগ্ন উপস্থিত হয়েছে। সকলের অবশ্য মনে হচ্ছে, বড্ড খাটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। বিশদ

30th  June, 2024
দাঁড়াও, পথিক-বর

হিন্দু না খ্রিস্টান—ধর্মীয় টানাপোড়েনে দেড় দিন মাইকেল মধুসূদন দত্তের নিথর দেহ পড়ে ছিল মর্গে! কবির মৃতদেহের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না কেউ। কেন এমনটা হয়েছিল? লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

23rd  June, 2024
মাইকেলের সমাধি

কলকাতার কোলাহলমুখর অন্যতম ব্যস্ত মল্লিকবাজার মোড়। তার একটু আগেই শিয়ালদহ থেকে আসার পথে বাঁদিকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি। গেট পার হলেই সোজা কিছুটা এগিয়ে ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘মধু বিশ্রাম পথ’। বিশদ

23rd  June, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। বিশদ

09th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
একনজরে
পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

দুবাই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে পাক সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতে আলি খানকে। সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। ...

ফিটনেসের সমস্যা, চোটের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকা, সতীর্থদের আস্থার অভাব। ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার ছিটকে যাওয়ার কারণ এগুলোই। সোমবার প্রধান নির্বাচক অজিত ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM