পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখাটা এভাবেই শুরু করেছেন প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের কন্যা প্যাটি ডেভিস।
গোটা দুনিয়া জেনে গিয়েছে বন্দুকবাজের গুলিতে রক্তাক্ত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কান থেকে চুঁয়ে পড়া রক্তের রঙে গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সহানুভূতির হাওয়া। পুত্র এরিক ট্রাম্পের পোস্ট করা রক্তাক্ত বাবার মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের ছবি শুধু নয়, ভাইরাল হয়েছে ছবির সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘আমেরিকার এই ধরনের যোদ্ধারই প্রয়োজন।’ তা ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার গ্রাফ চড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পের মুখে রক্ত নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছোড়া এবং সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে মঞ্চ থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যাওয়ার বিরল চিত্রগুলি শুধু ইতিহাস তৈরি করবে না, তা আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথও বদলে দিতে পারে।
এমন একটা দিনের সাক্ষী ছিলেন প্যাটি ডেভিসও। ১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। রোনাল্ড রেগ্যানের গুলি আটকেছিল বাঁ-কাঁধে। পাঁজরের হাড় ভেঙেছিল। দুই সপ্তাহ যমে-মানুষে টানাটানির পর তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। এই মার্কিন অভিনেত্রী লিখছেন, ‘দিনটি ছিল আমার জীবনের দীর্ঘতম দিনগুলির একটি। আমার বাবা বেঁচে আছেন নাকি মারা গিয়েছেন, তা জানতে পারছিলাম না। পরে শুনেছিলাম, চিকিৎসকরা অচেতন বাবার বুকে বুলেটের টুকরো খুঁজছিলেন। আমার মতো তাঁরাও প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না, তিনি বেঁচে আছেন কি না। একজন প্রেসিডেন্ট বা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, তাঁর চারপাশের লোকজন সবাই রক্তমাংসের মানুষ। এবং এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁদের জীবনের সবকিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। সবকিছু লন্ডভণ্ড করে দেওয়ার জন্য একটি মাত্র বুলেটই যথেষ্ট।
১৯৮১ সালের তুলনায় আমেরিকা এখন অনেক বেশি ক্ষুব্ধ। অনেক বেশি হিংস্র। আমি জানি না এই ঘটনাটি সেই হিংসা ও ক্ষোভকে কিছুটা কমিয়ে আনবে কি না। আমি জানি না, ট্রাম্প পরিবারেরও আমার মতো একই অভিজ্ঞতা হবে কি না। অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য হলেও রাজনীতিকে একপাশে রেখে সব অংশের মানুষ মানবিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে ট্রাম্প পরিবারের পাশে দাঁড়াবে কি না। আমিও এটাও জানি না এই অভিজ্ঞতা ট্রাম্পকে বদলে দেবে কি না। আমার বাবা বিশ্বাস করতেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটানোর এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে একধরনের চুক্তিতে পৌঁছনোর চেষ্টা করার জন্য ঈশ্বর তাঁকে সেই যাত্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এই ধরনের ঘটনাকে কোন ব্যক্তি কীভাবে উপলব্ধিতে এনে ব্যাখ্যা করবেন, তা অনুমান করা অসম্ভব।
প্রিয়জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতো ঘটনা আপনাকে বদলে দেবে, সেই প্রিয়জন বিখ্যাত হোক বা না হোক। ট্রাম্পের উপর গুলি চালানোর ঘটনা আমাদের দেশকেও বদলে দিতে পারে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে মানুষ হিসেবে আমাদের কীভাবে একত্রিত হতে হবে, তা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। সেই মানুষ মানে, ক্রোধে ছটফট করা এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি করা মানুষ নয়। যাঁরা বন্দুক দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে, সেই ধরনের মানুষ নয়। আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর যে আমেরিকা দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের পরিবারকে প্রবল স্নেহের চাদরে ঢেকে দিয়েছিল, আমি সেই আমেরিকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষা করে রয়েছি। প্রার্থনা করি, যেন আমরা আবার নিজেদের মধ্যে সেই আমেরিকাকে খুঁজে পেতে পারি।’
রিপাবলিকান পার্টির জঠরে জন্ম নেওয়া প্যাটি ডেভিসও আজ চাইছেন রাজনৈতিক ভেদাভেদকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হারিয়ে যাওয়া সেই আমেরিকাকে খুঁজে পেতে। আমেরিকার আম আদমির মতোই। কিন্তু ট্রাম্পের মতাদর্শের সামনে তা কী করে সম্ভব? রাষ্ট্রনায়ক চেয়ার ছাড়ার পরিস্থিতিতে নিজেই যখন ক্যু দে তা ঘটায়, তখন সে সাধারণত সামিল করে সেনাবাহিনীকে। ট্রাম্প সেখানে শামিল করতে পেরেছিলেন বর্ণবাদী, বন্দুকবাজ, সাধারণ, সাদা আমেরিকানদের। তাঁর কথামতো এরাও বিশ্বাস করেছে, গত নির্বাচনে রিগিং করে হারানো হয়েছে তাঁকে। যতই বাকি বিশ্ব লোকটাকে নিয়ে হাসাহাসি করুক না কেন, আমেরিকার মধ্যে এই আমেরিকা একদম ‘রিয়েল’। বাইডেন আসার পরও সেই আমেরিকা নিজের দিকে ফিরে তাকিয়ে লজ্জা পায়নি। বরং আরও শক্তি জুগিয়েছে দিনের পর দিন। রিপাবলিকান সমর্থকদের ‘মেগা পেট্রিয়ট’ বা ‘প্রবল জাতীয়তাবাদী’ আখ্যা দেওয়া, সংবাদমাধ্যমকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে একহাত নেওয়া, তাঁকে ঘিরে সমবেত জনতার ‘ফাইট, ফাইট’ চিৎকার আর ট্রাম্পের রক্তক্ষরণের ছবি, প্রতিবাদী মুষ্টিবদ্ধ হাত এবার রাজনৈতিক প্রচারের অনুষঙ্গ হবে। নিশ্চিত!
রাজনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, যাঁকে ‘ইমপিচ’ করা বা সরানো যায় না, ‘দেউলিয়া’ করা যায় না, নির্বাচনে যোগদান থেকে ‘বিরত’ করা যায় না, এমনকি ‘হত্যা’-ও করা যায় না— সাধারণ জনগণের চোখে সেই ট্রাম্পের
‘প্রেসিডেন্ট’ হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনাই এখন সব থেকে বেশি। রিপাবলিকানদের চোখে তাঁর ‘দেবত্ব’ অর্জনে আর কোনও বিস্ময় নেই। ডান কানে একটি চৌকো সাদা ব্যান্ডেজ। এটাই এখন যেন রিপাবলিকানদের প্রতীক। জাতীয় কনভেনশনে তাঁর দৃপ্ত ভঙ্গি, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তাঁর এককালের কট্টর সমালোচক জেমস ডেভিড ভান্সের নাম ঘোষণা, দাবি করা যে আমেরিকাকে ফের ‘গ্রেট’ বানাতে পারেন একমাত্র তিনিই—এসব দেখে বোঝা মুশকিল যে মাত্র তিনদিন আগে মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একদিকে ‘ট্রাম্প জ্বর’, অন্যদিকে ‘সাজানো ঘটনা’ বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। মার্কিন বামপন্থীরা ইতিমধ্যে ২০ বছরের আততায়ীর গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়াকে ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তাঁদের যুক্তি—মিছিলে গুলি চলল, অথচ সেখানে উপস্থিত রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা কেউই আতঙ্কিত হলেন না! অথবা, মাত্র ৪০০ মিটার দূর থেকে আততায়ীর গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হল, অথচ মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের বুলেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিল ২০ বছরের হামলাকারীকে? সমালোচকদের যুক্তি—আইনি ধারায় নির্বাচনে লড়া বাতিল হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই আততায়ীর হামলার মতো ‘সাজানো’ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিশেষ করে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো দুই শক্তিধর দেশের নির্বাচনে বামপন্থী এবং প্রগতিশীল শক্তির জয়জয়কারের পরে অতি দক্ষিণপন্থীদের ‘আইকন’ ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রাম্পের উপরে হামলা ঘিরে বিতর্ক স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভাজিত গোটা দেশ। ভাবাই যায় না, আমেরিকার মতো দেশে আজ জনসভা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকির ঘনঘটা, ‘অমুককে জেলে পুরব’, ‘ওকে শেষ করে দেব’! কোনও দলই জনসমর্থন হারানোর ভয়ে বলছেন না, আমেরিকায় বন্দুক-হিংসা এখন একটা ব্যাধির আকার নিয়েছে। প্রতিটি প্রদেশে দিনে গড়ে ছ’জন বন্দুকের গুলিতে নিহত হচ্ছেন। ফলে ট্রাম্পের উপরে হামলার ঘটনা অনভিপ্রেত হলেও খুব আশ্চর্যজনক নয়।
১৮৬৫ সালে আব্রাহাম লিঙ্কনের পর আরও তিন প্রেসিডেন্ট—জেমস গারফিল্ড (১৮৮১), উইলিয়াম ম্যাকিনলে (১৯০১) ও জন এফ কেনেডি (১৯৬৩) গুলিতে নিহত হয়েছেন। ১৯৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডির দশাও তেমনই হয়েছিল। হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় প্রাণে বেঁচেছেন আরও পাঁচ প্রেসিডেন্ট—ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, জেরাল্ড ফোর্ড, রোনাল্ড রেগ্যান, বিল ক্লিন্টন ও জর্জ ডব্লিউ বুশ। বুশকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল জর্জিয়ার টিবিলিসিতে। জনসভায় তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল গ্রেনেড। ফাটেনি। ক্লিন্টনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বহুবার। তিনিও ভাগ্যবান। প্রতিটিই ব্যর্থ। কিন্তু তা বদলে দেয়নি আমেরিকার রাজনীতির ক্যানভাস। বরং রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে আঁকড়ে ধরেছে একে অপরকে। ‘আর যমের দক্ষিণ দুয়ার থেকে ফিরে আসা ট্রাম্প তাঁর বিভাজনের রাজনীতি না বদলালে এই গুলিকাণ্ড আমেরিকার বিপজ্জনক সময়ের সূচনালগ্ন হয়ে উঠবে’—বলেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার রোডস।
আসলে বছর দশেক আগে এক ট্রাম্পই বদলে দিয়েছিল গোটা মহাদেশকে। ট্রাম্পিয়ানার দুটো মন্ত্র— ইউনিল্যাটারালিজম এবং কনফ্রন্টেশনালিজম। একবগ্গা গোঁয়ার্তুমি এবং দ্বান্দ্বিকতা। ট্রাম্পিয়ানা নামক অসুখটির সবচেয়ে বড় রোগলক্ষণ হল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রায় অবলুপ্তি। সে ঘোষিত বর্ণবাদী। ট্রাম্পের আমেরিকান হল খোলাখুলিভাবেই সাদা বর্ণবাদী। এমন আমেরিকান যে সমানাধিকার এবং গণতান্ত্রিক নৈতিকতার ধার ধারে না। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকে সে সমাজবিরোধী আখ্যা দিতে পারে অবলীলায়। ট্রাম্পিয়ানার দীর্ঘ ছায়া গ্রাস করেছে হোয়াইট হাউসকে। ট্রাম্প আমেরিকান সমাজের ফাটলগুলিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সে ফাটল বোজানোর কোনও চেষ্টাই করেননি জো বাইডেন। দুনিয়ার পলিটিক্যাল ভোকাবুলারিতে বহুদিনের জন্য স্থায়ী সংযোজন হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পিজম। এর ফল হয়েছে যেটা, তা হল সারা বিশ্বেই যে সমস্ত রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে একনায়কতন্ত্রী ভাবনা ছাইচাপা আগুনের মত ধিক ধিক করে জ্বলছিল, তাতে বেশ হাওয়া লেগে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যেই আজ সব চাইতে বেশি ঘুরপাক খায় ট্রাম্পের আওড়ানো ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব, আর বর্ণবিদ্বেষ। এঁদেরই প্রতিনিধিরা হানা দেয় ক্যাপিটলে। এঁদের সবাইকে তো আর খুঁজে খুঁজে জেলে পোরা যায় না।
প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন সতর্ক করেছিলেন, যে ঘর নিজের বিরুদ্ধে বিভাজিত, সে বেশি দিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। বিভাজনের আঘাত আজ ফাটল ধরিয়েছে আমেরিকার ভিত্তিতে। আমেরিকার ইতিহাসেই রয়েছে অসহিষ্ণুতা। অথচ, গণতন্ত্রের প্রতি আমেরিকা দায়বদ্ধ। বিশ্বের মানুষের কাছে আমেরিকা নিজেকে ‘মেল্টিং পট’ বা সর্বজাতি, সর্ব ধর্মের মিলনক্ষেত্র বলে তুলে ধরতে উন্মুখ। একদিকে অসহিষ্ণুতা, অন্যদিকে উদারতা। কী করে মীমাংসা হবে এই দ্বন্দ্বের? এই প্রশ্নের উত্তরের উপরেই নির্ভর করছে আমেরিকার ভবিষ্যৎ।
ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বিশ্বে কী প্রভাব পড়তে পারে তার একটা সমীক্ষা করেছে ‘ইকনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’। নাম দিয়েছে ‘ট্রাম্প রিস্ক ইনডেক্স’। সেই অনুযায়ী ঝুঁকিতে পড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, অভিবাসন, সামরিক সহায়তার মতো বিষয়ে। বাণিজ্য নিয়ে চীনের সঙ্গে রেষারেষি বাড়বে। এশিয়ায় অসুবিধায় পড়বে ভারত ও ভিয়েতনাম। সবচেয়ে দুশ্চিন্তা বাড়বে মেক্সিকো, কোস্টা রিকা, জার্মানি, জাপান ও ইউক্রেনের। বিশ্বব্যাপী রাজনীতিতে দোলাচল বাড়বে। সেই ভয়ঙ্কর দুনিয়ায় অবশ্যই খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘পোলারাইজেশন’ বা মেরুকরণের রাজনীতিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ট্রাম্পের উপর গুলিচালনার সমালোচনা করে টুইট করার সময়েই নরেন্দ্র মোদি কূটনৈতিক দুনিয়াকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে কতটা গভীর বন্ধুত্ব এখনও রয়েছে! দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে যিনি টেক্সাসে ‘বন্ধু’-র হাত ধরে কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারের ধার না ধেরে ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন, কে জানে এই গুলিকাণ্ডের পর তিনি ট্রাম্পের বিজয় উদ্যাপনের ছক আগাম কষে রাখছেন কি না!
হয়তো অজানা জ্বরে আক্রান্ত মোদিও। জ্বরের নাম ‘ট্রাম্প ফিভার’।
সহযোগিতায় : বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী