Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। তাই একদিন সে বিড়াল মা-ষষ্ঠীর কাছে অভিযোগ জানাল। মা-ষষ্ঠী গেলেন রেগে। যার জেরে ছোট বউয়ের একটি করে সন্তান হয় আর মা-ষষ্ঠী তার প্রাণহরণ করেন। এইভাবে ছোট বউয়ের সাত ছেলে আর এক মেয়েকে মা-ষষ্ঠী ফিরিয়ে নিলেন। স্বামী, শাশুড়ি ও অন্যান্যরা মিলে তাঁকে ‘অলক্ষণা’ বলে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল। ছোট বউ মনের দুঃখে বনে চলে গিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। তা দেখে মা-ষষ্ঠীর দয়া হল। তিনি এক বৃদ্ধার ছদ্মবেশে তাঁর কাছে এসে কান্নার কারণ জানতে চাইল। ছোট বউ বললেন তাঁর দুঃখের কথা। তখন মা-ষষ্ঠীও বললেন, ‘বাছা, তুমিও বা কেন আমার বিড়ালের নামে অযথা দোষ দিয়েছ? ক্ষমা চাও।’ তিনি মাফ চাইলে মা-ষষ্ঠী তাঁকে ক্ষমা করেন। বলেন, ‘ভক্তিভরে আমার পুজো করলে তুমি তোমার সাত পুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে।’ তখন ছোট বউ সংসারে ফিরে এসে ঘটা করে মা-ষষ্ঠীর পুজো করেন ও ক্রমে ক্রমে তাঁর ছেলেমেয়েদের ফিরে পেলেন। তা থেকেই দিকে দিকে ষষ্ঠীপুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ছোট বউয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর বাপের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। মা-বাপ দিনের পর দিন মেয়ের মুখ দেখতে পান না। শেষে মেয়েকে দেখতে উন্মুখ মা-বাবা এক ষষ্ঠীপুজোর দিন শ্বশুরবাড়িতে আসার জন্য জামাইকে সাদরে আমন্ত্রণ জানালেন। এ নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করার সাধ্যি জামাইয়ের ছিল না। ষষ্ঠী পুজোর দিন শ্বশুরবাড়িতে জামাই সস্ত্রীক উপস্থিত হতেই আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। আর এই ষষ্ঠীপুজোই কালে কালে রূপান্তরিত হল জামাইষষ্ঠীতে।
পণ্ডিতরা বলেন, আসল ঘটনা নাকি একটু অন্যরকম। ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একসময় সংস্কার ছিল, কন্যা যতদিন না পুত্রবতী হয় ততদিন কন্যার পিতা বা মাতা কন্যাগৃহে পদার্পণ করবেন না। এই ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিল। সন্তানধারণে সমস্যা হলে বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু তখন প্রচুর হতো) ফলে কন্যার পিতামাতাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হতো কন্যার বাড়ি যাওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে বিবাহিত কন্যার মুখদর্শন কীভাবে ঘটে? তাই সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন জামাইষষ্ঠী হিসেবে। যেখানে মেয়ে-জামাইকে নিমন্ত্রণ করে সমাদর করা হবে ও কন্যার মুখ দর্শনও করা যাবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই নিয়ম একটু এদিক-ওদিক করে এখনও চলছে একইভাবে।
দ্বারকানাথ বিদ্যারত্ন তাঁর কবিতাকুসুমাঞ্জলি বইয়ের প্রথম খণ্ডে লিখেছেন, বিয়েতে কে কী চায়? তাতে বলা হচ্ছে, কন্যা চায় বরের রূপ, মাতা চান জামাইয়ের ধন, পিতা চান পাত্রের জ্ঞান, বান্ধবরা দেখেন পাত্রের কুল আর জনগণ মিষ্টি পেয়েই খুশি, মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ। আর এই মিষ্টির সঙ্গে জামাইদের বহুকালের সম্পর্ক। সূর্য মোদকের জলভরা সন্দেশের গল্প অনেকে জানেন। তবু একবার বলেই দিই—তখন ১৮১৮ সাল। বাংলায় ইংরেজ শাসন চালু হলেও আনাচেকানাচে দু-চারটে জমিদারি তখনও টিকে আছে বহাল তবিয়তে। আয় যেমনই হোক, আদবকায়দায়, ঠাটেবাটে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা পুরোপুরি বর্তমান। এমনই এক জমিদার ছিলেন ভদ্রেশ্বরের তেলিনীপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। বাড়ির মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরে মেয়ে এসেছে বাপের বাড়ি। জামাই নিয়ে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে। তখন আবার জামাইঠকানো বা বউঠকানোর মতো বহু প্রথা চালু ছিল। এখন সেগুলি বোকা বোকা মনে হলেও তখন এইসব প্রথা রমরমিয়ে চলত। সে যাই হোক, জামাইকে ঠকাতে হবে। কী করা যায়? ঠকানোও হল আবার জামাই বাবাজীবন রাগও করতে পারলেন না, এমন কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। 
অনেক ভেবে তেলিনীপাড়ার জমিদারবাড়িতে তলব হল এলাকার নামকরা ময়রা সূর্যকুমার মোদকের। নির্দেশ দেওয়া হল, এমন একটা মিষ্টি বানাতে হবে যা দিয়ে জামাই ঠকানো যাবে অথচ তাঁর মানসম্মান যেন কোনওভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয়। বহু ভাবনাচিন্তা করার পর মোদক মহাশয় একটা বিশাল আকারের মিষ্টি বানালেন, যার ভেতরে জল ভরা থাকে, অথচ বাইরে খটখটে শুকনো। সেই মিষ্টি দেওয়া হল জামাইয়ের পাতে। জামাই সেই মিষ্টি হাতে নিয়ে দিলেন বিশাল এক কামড়। আর যেই না কামড়ানো, মিষ্টির ভেতরের লুকনো গোলাপজল বেরিয়ে এসে ভিজিয়ে দিল জামাইয়ের সাধের গরদের পাঞ্জাবি। জামাই অপ্রস্তুত। হো হো করে হেসে উঠলেন শালা-শালিদের দল। ঘোমটার আড়ালে হাসিতে ভরে উঠল শাশুড়িদের মুখ আর জমিদারবাবু গোঁফে দিলেন তা। জন্ম হল জলভরা সন্দেশের। 
ধর্মচর্চার পীঠস্থান হওয়ার জন্য গুপ্তিপাড়াকে ‘গুপ্ত বৃন্দাবন’ বলা হতো। ক্রমে ‘গুপ্ত বৃন্দাবন পল্লী’, তার থেকে ‘গুপ্ত পল্লী’ এবং পরিশেষে নাম হয় ‘গুপ্তিপাড়া’। কথিত আছে, গুপ্তিপাড়াতেই প্রথম তৈরি হয় সন্দেশের মিশ্রণ, যা মাখা সন্দেশ নামে পরিচিত। পরে সেই মাখা সন্দেশকে আকার দিয়ে তৈরি হয় জামাইদের প্রিয় ‘গুপো সন্দেশ।’ এই সন্দেশ জনপ্রিয় হলে তা ‘গুপ্তিপাড়ার সন্দেশ’ বা সংক্ষেপে ‘গুপো সন্দেশ’ বলে পরিচিতি লাভ করে। অপর মতে অবশ্য সন্দেশটি খাওয়ার সময় গোঁফে লেগে যায় বলে তার নাম হয়েছে ‘গুঁফো সন্দেশ।’
জামাইদের এই আদর কতটা মন থেকে আর কতটা লোক দেখানো, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা যায়। বাংলায় জামাইদের নিয়ে যে ক’টা প্রবাদ-প্রবচন আছে, খেয়াল করে দেখুন, একটাও সুখকর নয়। সুখকর কি বলি, রীতিমতো অপমানজনক। শুরুতেই ‘যম, জামাই ভাগ্না/ তিন না হয় আপনা।’ ভাবুন, জামাইয়ের সঙ্গে যমের তুলনা! যমদুয়ারে তাও কাঁটা বিছানোর মন্ত্র আছে, কিন্তু জামাই ঠেকাই কি দিয়ে? কেউ কেউ যমকে আবার ‘জন’-ও বলেন। কিন্তু জামাই অনড়। একই ঘরাণার আর একটা প্রবাদ আছে ‘মামা ভাগনে জামাই শালা, আর পোষ্য পুত / ঘরে ঘরে বিরাজ করে, এই পাঁচটি ভূত।’ পরেরটা আরও খতরনাক—‘জামাই হারামখোর, আর বেড়াল হারামখোর।’ কি আর বলি। এসবের ব্যাখ্যা হয় না। আসি চার নম্বরে। এটি বাংলা না, সংস্কৃত শ্লোক। তাতে বলা হচ্ছে, ‘জামাত্রর্থং স্রপিতস্য সূপাদেরতিথ্যুপকারকত্বম।’ সোজা বাংলায় ‘জামাইয়ের জন্য মারে হাঁস, গুষ্টিশুদ্ধ খায় মাস।’ মানে এক জামাইষষ্ঠীর যা খরচ, তাতে গোটা পরিবারের একমাস চলে যায়। এতেই শেষ নয়। আরও একটা শুনুন, ‘সদা বক্রঃ সদা ক্রূরঃ সদা মানধনাপহঃ। কন্যারাশিস্থিতো নিত্যং জামাতা দশমো গ্রহঃ।’ মানে কুটিল, বক্র, ধন মান সব হরণকারী জামাতা নবগ্রহের পর দশম গ্রহ। এবং সেই গ্রহ অবশ্যই কুগ্রহ। এই কুগ্রহকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি খুব একটা চিন্তাও করেন না। না হলে ‘খেয়ে বাঁচলে কামাই / মেয়ে বাঁচলে জামাই’ প্রবাদটাই বা আসবে কেন? এমনকী কখনও কখনও দেখি জামাইয়ের উপরে উপকারের সামান্য আশাটুকুও নেই ‘গতর কুশলে থাক, করে খাব কামাই / বিস্তর করলে পেটের পুত, কি করবে জামাই?’ সোজা কথা, জামাই আর তার খাই মেটানো প্রায় অসম্ভব। জামাই তো খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কোনও জিনিসেই মন ভরেনা তাঁর। তাই বলা হয় ‘পাঁচ ব্যঞ্জন দুধ-রুটি / তবু জামাইয়ের ভিরকুটি।’
জামাইদের আত্মসম্মান কত কম, তা ভেবে দেখুন। এত কথার পরেও যেই না জামাইষষ্ঠী এল, জামাই চললেন হাতে আম-কাঁঠালের ব্যাগ নিয়ে। ‘খাওয়া দাওয়ার গন্ধে / জামাই আসে আনন্দে।’ তখন তাঁর যত্ন আত্তি না করে উপায় কী! ‘জামাই এল কামাই ক’রে, বসতে দাও গো পিঁড়ে / জলপান করতে দাও গো সরু ধানের চিঁড়ে।’ আর এতেই শেষ নয়, ‘রুইয়ের মুড়ো, কেটো মুড়ো, দাও আমার পাতে / আড়ের মুড়ো, ঘিয়ের মুড়ো, দাও জামাইয়ের পাতে।’ এই উপলক্ষে ‘জামাই গেলে শ্বশুরবাড়ি, তিনদিন আদর বাড়াবাড়ি।’ আর তাতে জামাইয়ের পাতে ‘জামাই ভুলাইন্যা / ছাওয়াল কাঁদাইন্যা’ ইলিশ ছাড়া জমবে না।
এ তো গেল নর্মাল জামাই। ঘরজামাইদের নিয়ে যা যা লেখা আছে, তা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। একটাই বলি। এতেই ঘরজামাইয়ের উপর শ্রদ্ধাটা বোঝা যাবে। ‘দূর জামাইয়ের কাঁধে ছাতি / ঘর জামাইয়ের মুখে লাথি।’
লেখার শেষে একটা ঐতিহাসিক গল্প বলি, যার ফল আজও আমরা উপভোগ করছি। ১৯০৯ সাল। অখিলচন্দ্র সেন জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সাহেবগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছেন। সেখানে আম কাঁঠালের একেবারে ছড়াছড়ি অবস্থা। মোটা মানুষ অখিলচন্দ্র খেতেনও খুব। মুশকিল হল বাড়ি ফেরার সময়। আহমেদপুর আসতে না আসতে তাঁর পেট জানান দিল, ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট এ তরী / তোমার কাঁঠাল রসে গিয়াছে ভরি।’ অতএব ধুতির খুঁট আর লোটা হাতে প্ল্যাটফর্মে নামতেই হল। এদিকে গাড়ি দিল ছেড়ে। হুইসেলের আওয়াজে চেতনা পেয়ে অখিলবাবু সেই অবস্থাতেই বেরোতে গিয়ে... যা হয় আর কি। রাগে তিনি এক চিঠি ঠুকে দিলেন রেল কোম্পানিকে। অনবদ্য সে চিঠি। অননুকরণীয় তাঁর ভাষা। একবার পড়েই দেখুন— 
Dear Sir,
I am arrive by passenger train at Abmedpur station and my belly is too much swelling with jackfruit. I am therefore went to privy. Just I doing the nuisance the guard making whistle blow for train to go off and I am running with lota in one hand and dhoti in the next. When I am fall over and expose all my shockings to man and woman on platform. I am got leaved at Abmedpur station. This too much bad, if passengers go to make dung, the damn guard not wait train five minutes for him? I am therefore pray your honour to make big fine on that guard for public sake otherwise I am making big report to papers.
Yours faithfull servant,
Okhil Ch Sen
কী আশ্চর্য! রেল শুধু তাঁর কথাই শুনল না, বরং আরও বড় এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল। দূরপাল্লার ট্রেনে আবশ্যিকভাবে তৈরি হল শৌচালয়। আসলে অখিলবাবুর এই চিঠি তাদের চোখ খুলে দিয়েছিল। দিল্লি রেল মিউজিয়ামে আজও মূল চিঠিটা যত্ন করে রাখা। আজ এই যে বায়ো টয়লেটের রমরমা, ভাবতে ভাল লাগে এর পিছনে রয়ে গিয়েছেন অখিল সেনের ক্ষোভে ভরা সেই চিঠি। ভাষা যাই হোক, অন্তরের ভাব বোঝাতে তাঁর বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। আর সবকিছুর পিছনে আছে এক জামাইষষ্ঠী। তাই জামাইদের বলি, যুগে যুগে নানারকম বাঁকা কথা অগ্রাহ্য করে যেভাবে আপনারা পদের পর পদ সাঁটিয়েছেন, সেই ধারা অক্ষুন্ন থাক। জামাইষষ্ঠী দীর্ঘজীবী হোক।
 
কার্টুন : সেন্টু
09th  June, 2024
ট্রাম্প ফিভার!
মৃণালকান্তি দাস

১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। আমি থেরাপিস্টের অফিসে বসে রয়েছি। একটু পরেই আমার শরীরে থেরাপি দেওয়া হবে। আচমকা এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হুড়মুড় করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। প্রথমে আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘লোকটা আর সময় পেল না! আমার থেরাপি সেশনে ফট করে ঢুকে পড়ল?’ বিশদ

21st  July, 2024
ট্রাম্প জিতলে হারবে আমেরিকা!

আমেরিকার রিপাবলিকান দলের নেতা রোনাল্ড রেগ্যান সম্পর্কে বাজারে একটি গল্প প্রচলিত আছে। রেগ্যান ছিলেন বি-মুভির সাধারণ এক অভিনেতা। বরাতজোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নাকি একদিন হোয়াইট হাউসে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ন্যান্সি, আমি কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছি, না ওই ভূমিকায় অভিনয় করছি?’ বিশদ

21st  July, 2024
অস্তরাগ
সোমনাথ বসু

সেই কবে মুকুল দত্ত লিখেছিলেন, ‘চোখের জলের হয় না কোনও রং, তবু কত রঙের ছবি আছে আঁকার...’। সত্যি, মনের কত ক্যানভাস ভিজেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর।
বিশদ

14th  July, 2024
তারার জন্ম
সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়

‘দিস টাইম ফর মরক্কো!’ — গানে গমগম করছে বার্সেলোনা শহর থেকে ৪০ কিমি দূরের রোকাফন্দা অঞ্চল। সেই সঙ্গে বাজির আওয়াজে কান পাতা দায়। অথচ, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই রাত স্পেনের কাছে অভিশপ্ত।
বিশদ

14th  July, 2024
জয় জগন্নাথ
সুমনা সাহা

রথ বললেই মনে যে ছবি ভেসে ওঠে, তা একটা ছাদ-খোলা ঘোড়ার গাড়ির মতো। তার উপরে বিমর্ষ মুখে বসে আছেন মধ্যম পাণ্ডব অর্জুন। কাঁধ থেকে খসে পড়েছে গাণ্ডীব। তাঁর সামনে সারথি রূপে শ্রীকৃষ্ণ। পার্থকে কৃষ্ণ শোনাচ্ছেন ‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত’ বাণী। বিশদ

07th  July, 2024
রথচক্র

রথের জন্য চাই নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। মন্দির কমিটি প্রথমে বনদপ্তরের কাছে খবর পাঠায়। তারপর জঙ্গলে প্রবেশ করেন পুরোহিতরা। পুজো করা হয় নির্দিষ্ট গাছগুলিকে। সেই পর্ব শেষে সোনার কুড়ুল জগন্নাথদেবের চরণে স্পর্শ করিয়ে গাছ কাটার শুরু। বিশদ

07th  July, 2024
মাসির বাড়ির অজানা কথা

পোশাকি নাম অর্ধাসিনী মাতা। তবে সর্বজনের কাছে তার পরিচিতি ‘মৌসি মা’ বা ‘মাসি মা’ বলে। রূপে অবিকল সুভদ্রা দেবী। পুরীর এই অর্ধাসিনী দেবী সম্পর্কে জগন্নাথদেবের মাসি। বিশদ

07th  July, 2024
স্বামীজির মৃত্যু ও এক বিদ্রোহের জন্ম
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

মশালটা জ্বলছে। মৃত্যুহীন প্রাণের আঁচ অনুভূত বাংলার মনে। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে। তবু মশালটা জ্বলছে সংস্পর্শীদের হৃদয়তন্ত্রে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মেঘরাশি নিজেই সরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বেলুড়মঠে কামাখ্যা মিত্রকে বলেছিলেন ‘ভারতের আজ বোমার প্রয়োজন!’ বিশদ

30th  June, 2024
মহাধ্যানে মহাযোগী
পূর্বা সেনগুপ্ত

গুন গুন করে গানের সুর তুলেছেন—‘শ্যামাসুধা তরঙ্গিনী, কালী সুধা তরঙ্গিনী।’ পুরাতন মঠের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন স্বামী বিবেকানন্দ। জীবনের শেষলগ্ন উপস্থিত হয়েছে। সকলের অবশ্য মনে হচ্ছে, বড্ড খাটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। বিশদ

30th  June, 2024
দাঁড়াও, পথিক-বর

হিন্দু না খ্রিস্টান—ধর্মীয় টানাপোড়েনে দেড় দিন মাইকেল মধুসূদন দত্তের নিথর দেহ পড়ে ছিল মর্গে! কবির মৃতদেহের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না কেউ। কেন এমনটা হয়েছিল? লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

23rd  June, 2024
মাইকেলের সমাধি

কলকাতার কোলাহলমুখর অন্যতম ব্যস্ত মল্লিকবাজার মোড়। তার একটু আগেই শিয়ালদহ থেকে আসার পথে বাঁদিকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি। গেট পার হলেই সোজা কিছুটা এগিয়ে ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘মধু বিশ্রাম পথ’। বিশদ

23rd  June, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
একনজরে
পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM