Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মহাধ্যানে মহাযোগী
পূর্বা সেনগুপ্ত

গুন গুন করে গানের সুর তুলেছেন—‘শ্যামাসুধা তরঙ্গিনী, কালী সুধা তরঙ্গিনী।’ পুরাতন মঠের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন স্বামী বিবেকানন্দ। জীবনের শেষলগ্ন উপস্থিত হয়েছে। সকলের অবশ্য মনে হচ্ছে, বড্ড খাটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সঠিক চিকিত্সা আর পথ্য তাঁকে আবার সুস্থ করে তুলবে। কিন্তু নিজের ঘরের জানলায় দাঁড়িয়ে স্বামীজি আত্মগতভাবে বলে উঠেছেন, ‘আমি চল্লিশ পেরব না!’ যে শিষ্যের কানে গেল, তিনি আতঙ্কিত। ‘সে কি! স্বামীজির  চল্লিশ হতে তো আর বেশি দেরি নেই! এরই মধ্যে কি লীলা সংবরণের ইচ্ছা প্রবল হল!’ বেলুড় মঠ তৈরি হওয়ার পর থেকেই হাঁপানির কষ্টে বুকে বালিশ দিয়ে কোনওরকমে বসে মঠের নিয়মাবলী লিখছেন। কিন্তু তার মধ্যেও কেমন যেন ছাড়া ছাড়া ভাব। চিরকাল গুরুপ্রদত্ত দায়িত্বের গুরুভার বহন করেছেন। শেষজীবনে দেশে ফিরে মনে হল দুঃখী মায়ের জন্য কিছু করা আবশ্যক। তিনি মা’কে নিয়ে সদলবলে চললেন পূর্ববঙ্গে। শরীর তখনই খারাপ। ঢাকায় এক সহানুভূতিশীল ব্যক্তি তাঁকে দেখে বললেন, ‘স্বামীজি, আপনার শরীর এত তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল, আগে থেকে যত্ন নেননি কেন?’ স্বামীজি বললেন, ‘আমেরিকায় আমার শরীরবোধই ছিল না!’ কিছুদিনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম হয়ে কামাখ্যার মন্দির। তারপর শিলং, সেখানে ভক্তদের অনুরোধে কুইন্টন হলে একটি বক্তৃতার আয়োজন করা হল। সেই বক্তৃতার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন স্বামীজি। উদ্বিগ্ন কেউ প্রবল কষ্ট পাওয়া মানুষটিকে সহানুভূতি জানালে স্পষ্ট উত্তর এল, ‘এই শরীর চলে গেলে ক্ষতি কি? যা দিয়ে গেলাম, তা দেড় হাজার বছরের খোরাক!’
বাংলাদেশ ও শিলং থেকে ফিরে প্রায় সাত মাস বেলুড় মঠে ছিলেন স্বামীজি। কখনও জুতো পরে, কখনও চটি বা খালি পায়ে ঘুরে বেড়াতেন মঠ চত্বরে। তখন তাঁর পোষ্য হয়েছে অনেকগুলো। হাঁস, কুকুর, ছাগল, সারস, হরিণও ছিল তার মধ্যে। স্বামী ব্রহ্মানন্দের উপর মঠে তরকারি ও ফুলের বাগান তৈরির ভার ছিল। স্বামীজির পোষ্য ছাগল সেই বাগানে প্রবেশ করলেই তিনি আপত্তি করতেন। স্বামীজি পোষ্যদের পক্ষ নিয়ে এমন বলতেন, যেন গাছ নষ্ট করে কোনও দোষই করেনি তারা। দুই মহাযোগীর শিশুসুলভ আচরণে সকলেই মুগ্ধ হতেন। এ সবই ছিল স্বামীজির সমাধিমগ্ন মনকে নীচে নামিয়ে রাখার প্রচেষ্টা।
দক্ষিণেশ্বরে বসে শ্রীরামকৃষ্ণ একদিন তাঁর অন্য যুবক সন্তানদের বলেছিলেন, ‘নরেন যখন নিজেকে চিনবে তখন আর এ জগতে থাকবে না!’ ঠাকুরের সেই কথা স্মরণে ছিল সকলেরই। তাই তাঁরা কখনও স্বামীজির স্বরূপ নিয়ে কোনও কথা বলতেন না। একদিন ধ্যানঘরে হাসিঠাট্টার ছলে কেউ জিজ্ঞাসা করেন, ‘নরেন ভাই, তুমি কি এখন নিজেকে চিনতে পারছ?’ সকলকে হতচকিত করে উত্তর এল, ‘হ্যাঁ, পাচ্ছি!’ মুহূর্তে পরিবেশ বদলে গেল! সকলের মনে আতঙ্ক, তবে কি নরেন দেহত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কেউ আর টুঁ শব্দটি করলেন না। যোগী যে প্রস্তুত, তাঁর ইঙ্গিত অনেকেই পাচ্ছিলেন। কারণ, স্বামীজি বারংবার বলছিলেন, ‘তোরা সব বুঝে নে! আমি আর কতদিন!’ নরেন্দ্রনাথের মন তখন শ্রীরামকৃষ্ণমুখী। 
স্বামীজি কোনও দেবতার কাছে সহজে মাথা নোয়াতেন না। সেই কারণে ঠাকুর একদিন সন্দেশের মধ্যে জগন্নাথের প্রসাদ ভরে খাইয়ে দেন! অন্য সময় স্বামীজি কিছু মন্তব্য করতেন, সেদিন করলেন না! নীরবে দুজনে মঠে ফিরে এলেন। একদিন আহিরীটোলা থেকে নৌকায় মঠে ফিরছেন, সঙ্গে শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী! তিনি হঠাত্‌ স্বামীজির কাছে ঠাকুর কী বলতেন, জানতে চাইলেন। তিনি হেসে বললেন, ‘আমি তাঁর দৈত্যদানোদের মধ্যে কেউ একটা হব! তাঁর সামনেই তাঁকে কখনও কখনও গালমন্দ করতুম!’ হঠাৎ গম্ভীর হয়ে অস্ফুট স্বরে গান ধরলেন তিনি,
‘(কেবল) আশার আশা ভবে আসা, আসামাত্র হল।
এখন সন্ধ্যেবেলা ঘরের ছেলে ঘরে নিয়ে চল।’
ঘরে ফেরার তাড়া বড় বেশি হয়ে উঠেছিল। নিবেদিতাকে ২৯ জুন বলেন, তাঁর মধ্যে বিরাট তপস্যার ভাব জেগে উঠছে। স্বামীজি বুঝেছিলেন যে, দিন ফুরিয়ে আসছে! ঢাকায় বক্তৃতার পর বলেছিলেন, ‘আমি বড়জোর এক বছর আছি!’ বেলুড় মঠে একথা শুনে একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘যাবেন কেন?’ উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বড় গাছের ছায়া ছোট গাছগুলোকে বাড়তে দেয় না, তাদের জায়গা করে দেবার জন্য আমাকে যেতেই হবে!’  দেহত্যাগের কিছুদিন আগে স্বামী শুদ্ধানন্দের থেকে একটি পঞ্জিকা চেয়ে নিলেন। নিবিষ্ট মনে দেখছিলেন। মনে হচ্ছিল, কোনও শুভদিনের খোঁজ করছেন। মহাসমাধির পরে সকলের মনে হয়েছিল শ্রীরামকৃষ্ণও ঠিক এমনই করেছিলেন। মহাসমাধির তিনদিন আগে মঠে  ঘুরে বেড়ানোর সময় হঠাত্‌ বিল্ববৃক্ষের পাশের সবুজ তৃণে আচ্ছাদিত জায়গাটি দেখিয়ে  বলেছিলেন, ‘আমার দেহ গেলে ওইখানে সত্‌কার করবি!’ জুন মাস থেকেই জাগতিক খবরে স্বামীজির অনীহা সকলের চোখে পড়ল। একজনকে স্পষ্ট বললেন, ‘আমি মৃত্যুর জন্য তৈরি হচ্ছি।’ আর মৃত্যুর দিন? স্বামী প্রেমানন্দ শুনলেন ঠাকুর ঘর থেকে নামতে নামতে অস্ফুট স্বরে তিনি বলছেন, ‘আরেকটা বিবেকানন্দ এলে বুঝত, এ বিবেকানন্দ কী করে গেল!’ ৪ জুলাই তাঁর শরীর সকাল থেকে বেশ ভালো ছিল। সেদিন মঠে ইলিশ মাছ রান্না হয়েছিল। তার আগেই একাদশীর দিন দুধ আর কাঠালের বিচি সেদ্ধ খেয়ে খিদে চাগাড় দিয়েছে। ইলিশ মাছের নানা পদ তৃপ্তি সহকারে খেয়ে ঠাট্টা করেছিলেন স্বামীজি, ‘একাদশীর পর খিদেটা বড় চাগাড় দিয়ে উঠেছিল, ঘটিবাটিগুলো খুব কষ্টে ছাড়লুম!’ বিকেলে অনেকটা পথ হেঁটে সন্ধ্যায় নিজের ঘরে জপে বসলেন। একঘণ্টা পর সেবারত ব্রহ্মাচারীকে বাতাস করতে বলে শুয়ে পড়লেন। হাতে তখনও জপের মালা! বাঁ-পাশ থেকে দক্ষিণ পাশে ফিরলেন। মুখে অস্ফুট শব্দের সঙ্গে সঙ্গে মাথা এলিয়ে পড়ল বালিশে। মহাযোগী মহাধ্যানে প্রবেশ করলেন। চোখদু’টি অর্ধমুদিত। অর্ধখোলা সাদা অংশ থেকে যেন জ্যোতি বের হচ্ছে। সেই রাতে ভগিনী নিবেদিতা স্বপ্ন দেখলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ আবার দেহত্যাগ করেছেন। ঘুম ভাঙল দরজায় প্রবল করাঘাতের শব্দে। দরজা খুলে দেখলেন মঠ থেকে স্বামী সারদানন্দ চিঠি পাঠিয়েছেন, ‘কাল রাতে স্বামীজি ঘুমিয়ে পড়েছেন, সেই ঘুম থেকে তিনি আর কোনওদিন উঠবেন না!’ আমেরিকার স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিনে জগত থেকে বিদায় নিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তবে তাঁর জাগ্রত বিবেক এখনও আমাদের প্রাণিত করে। গভীর প্রাণের মর্মস্থলে!
30th  June, 2024
ট্রাম্প ফিভার!
মৃণালকান্তি দাস

১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। আমি থেরাপিস্টের অফিসে বসে রয়েছি। একটু পরেই আমার শরীরে থেরাপি দেওয়া হবে। আচমকা এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হুড়মুড় করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। প্রথমে আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘লোকটা আর সময় পেল না! আমার থেরাপি সেশনে ফট করে ঢুকে পড়ল?’ বিশদ

21st  July, 2024
ট্রাম্প জিতলে হারবে আমেরিকা!

আমেরিকার রিপাবলিকান দলের নেতা রোনাল্ড রেগ্যান সম্পর্কে বাজারে একটি গল্প প্রচলিত আছে। রেগ্যান ছিলেন বি-মুভির সাধারণ এক অভিনেতা। বরাতজোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নাকি একদিন হোয়াইট হাউসে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ন্যান্সি, আমি কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছি, না ওই ভূমিকায় অভিনয় করছি?’ বিশদ

21st  July, 2024
অস্তরাগ
সোমনাথ বসু

সেই কবে মুকুল দত্ত লিখেছিলেন, ‘চোখের জলের হয় না কোনও রং, তবু কত রঙের ছবি আছে আঁকার...’। সত্যি, মনের কত ক্যানভাস ভিজেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর।
বিশদ

14th  July, 2024
তারার জন্ম
সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়

‘দিস টাইম ফর মরক্কো!’ — গানে গমগম করছে বার্সেলোনা শহর থেকে ৪০ কিমি দূরের রোকাফন্দা অঞ্চল। সেই সঙ্গে বাজির আওয়াজে কান পাতা দায়। অথচ, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই রাত স্পেনের কাছে অভিশপ্ত।
বিশদ

14th  July, 2024
জয় জগন্নাথ
সুমনা সাহা

রথ বললেই মনে যে ছবি ভেসে ওঠে, তা একটা ছাদ-খোলা ঘোড়ার গাড়ির মতো। তার উপরে বিমর্ষ মুখে বসে আছেন মধ্যম পাণ্ডব অর্জুন। কাঁধ থেকে খসে পড়েছে গাণ্ডীব। তাঁর সামনে সারথি রূপে শ্রীকৃষ্ণ। পার্থকে কৃষ্ণ শোনাচ্ছেন ‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত’ বাণী। বিশদ

07th  July, 2024
রথচক্র

রথের জন্য চাই নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। মন্দির কমিটি প্রথমে বনদপ্তরের কাছে খবর পাঠায়। তারপর জঙ্গলে প্রবেশ করেন পুরোহিতরা। পুজো করা হয় নির্দিষ্ট গাছগুলিকে। সেই পর্ব শেষে সোনার কুড়ুল জগন্নাথদেবের চরণে স্পর্শ করিয়ে গাছ কাটার শুরু। বিশদ

07th  July, 2024
মাসির বাড়ির অজানা কথা

পোশাকি নাম অর্ধাসিনী মাতা। তবে সর্বজনের কাছে তার পরিচিতি ‘মৌসি মা’ বা ‘মাসি মা’ বলে। রূপে অবিকল সুভদ্রা দেবী। পুরীর এই অর্ধাসিনী দেবী সম্পর্কে জগন্নাথদেবের মাসি। বিশদ

07th  July, 2024
স্বামীজির মৃত্যু ও এক বিদ্রোহের জন্ম
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

মশালটা জ্বলছে। মৃত্যুহীন প্রাণের আঁচ অনুভূত বাংলার মনে। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে। তবু মশালটা জ্বলছে সংস্পর্শীদের হৃদয়তন্ত্রে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মেঘরাশি নিজেই সরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বেলুড়মঠে কামাখ্যা মিত্রকে বলেছিলেন ‘ভারতের আজ বোমার প্রয়োজন!’ বিশদ

30th  June, 2024
দাঁড়াও, পথিক-বর

হিন্দু না খ্রিস্টান—ধর্মীয় টানাপোড়েনে দেড় দিন মাইকেল মধুসূদন দত্তের নিথর দেহ পড়ে ছিল মর্গে! কবির মৃতদেহের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না কেউ। কেন এমনটা হয়েছিল? লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

23rd  June, 2024
মাইকেলের সমাধি

কলকাতার কোলাহলমুখর অন্যতম ব্যস্ত মল্লিকবাজার মোড়। তার একটু আগেই শিয়ালদহ থেকে আসার পথে বাঁদিকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি। গেট পার হলেই সোজা কিছুটা এগিয়ে ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘মধু বিশ্রাম পথ’। বিশদ

23rd  June, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। বিশদ

09th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
একনজরে
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় কৃষকদের পিষে মারার মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে গত বছর ২৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM