করোনার কালো ছায়া যেন পিছু ছাড়ছে না।এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।মানুষ বড় অসহায়।সমাজে থেকে সমাজের জন্য কাজে আজ যেমন এগিয়ে এসেছেন নানা বিশিষ্টজন, আবার সমাজের নানা স্তরের মানুষও নিজের মতো করে সাহায্য করছেন। এদের মধ্যে স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন শুরু করল করোনা আক্রান্ত, দু:স্থ অসহায় কর্মহীন পরিবারের খোঁজ। ভবঘুরে কলমে স্বাতী বোল ফেসবুক পেজে এবং স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নম্বরে ফোন করে বললেও মিলবে সাহায্য যা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। রান্না করা খাবারের ফ্রি হোম ডেলিভারি থেকে শুকনো খাদ্যসামগ্রীও পাঠানো হচ্ছে। ২০১৯-এর স্বাধীনতা দিবসের দিন এই সংস্থার পথ চলা শুরু হয়েছিল।এর প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল গৃহহীন বৃদ্ধ , বাচ্চাদের মুখে রোজ খাদ্য তুলে দেওয়া। এই অতিমারীর সময়ে কাজ আরও বেড়েছে।আগরপাড়ার রেল বস্তি অঞ্চলে যারা করোনাকালে কাজ হারিয়েছেন, এমন ২৫০ পরিবারকে সংস্থাটি সাহায্য করে চলেছে।এছাড়া চলছে ইটভাটা অঞ্চলে অপুষ্টিতে জর্জরিত গরিব মানুষদের খাওয়ার পরিবেশন করা, বাদ পড়ে না যৌনপল্লির মানুষজনও।এছাড়া স্বাতী ওয়েলফেয়ারের আগরপাড়ার অফিস থেকে কোনও অসহায় পরিবারের প্রয়োজন হলে খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে। আগরপাড়া থেকে ব্যারাকপুরের মধ্যে করোনা আক্রান্ত পরিবার যারা আর্থিক ভাবে দুর্বল তাদের বিনামূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে এই সংস্থা। প্রয়োজনে জোগাচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারও। এর পাশাপাশি মাজদিয়া, বারাসাত, কৃষ্ণনগর, গঙ্গাসাগর প্রভৃতি অঞ্চলেও কোভিড পীড়িত অসহায় কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে তারা। এই উদ্যোগে শামিল প্রায় সত্তর জন।আর এর নেপথ্যে এবং নেতৃত্বে লেখিকা স্বাতীলগ্না বল। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজ ভবঘুরে কলমে স্বাতী বল থেকে ক্রাউড ফান্ডিং করেন, নিজের লেখা বইয়ের বিক্রির আয়ও বিলিয়ে দেন সংস্থার কাজে। স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পেজ থেকেও আবেদন জানানো হয় সহযোগিতার।স্বাতীলগ্না এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দিনের পর দিন খিদের জ্বালাই মানুষকে ঠেলে দেয় অপরাধমূলক কাজের দিকে। আমরা যদি এই পেটের জ্বালাকে খাবার দিয়ে নিবারণ করি তাহলে এই কোভিডের সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে এরা বিরত থাকবে। এদের মুখে একচিলতে হাসি ও এদের খিদে নিবারণও আমাদের কাজ।’