শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
তার আগে কনজারভেশন বায়োলজি নিয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় আবেদন করেছিলেন। সেই গবেষণায় তাঁর বিষয় ছিল বাঘ সংরক্ষণ। এই যে তিনি বিশেষভাবে বাঘের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তারও একটা কারণ আছে। সেই সময় বাঘ শিকার খুবই বেড়ে গিয়েছিল। ক্রমশ বাঘের বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হতে শুরু করে। লতিকা তখন বন্যপ্রাণীদের জীবন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তাদের অভ্যাস, খাওয়াদাওয়া, চালচলন ছিল তাঁর পড়ার বিষয়। সেই সময়ই তিনি বাঘের গতিবিধি বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন যে এই বিষয়ে পড়াশোনা চালাতে গেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। খানিকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই তিনি পড়াশোনার এই বিভাগটি নিজের কাঁধে তুলে নেন। ক্রমশ এই বিষয়ে তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণ নিয়ে তিনি গবেষণার কাজ শুরু করেন। ব্যাঘ্র সংরক্ষণের বিষয়টিকে জাতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছেন লতিকা তাঁর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। সেভ দ্য টাইগার আন্দোলনে সেই সময়কার কেন্দ্র সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে তিনি এক প্রকার বাধ্যই করেন। ক্রমশ তাঁর এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য আজ বাঘ শিকারের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। আর লতিকা হয়ে উঠেছেন ভারতের ‘টাইগার প্রিন্সেস’।