বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এ রাজ্যে মস্তিষ্কের মৃত্যুর পর থেকে অঙ্গদানের যে জনজোয়ার ও আবেগঘন আগ্রহ তৈরি হয়েছে তাতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এগিয়ে আসছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং অঙ্গদানের ক্ষেত্রে নারীপুরুষ নির্বিশেষে গড়ে উঠছে এক লিঙ্গবৈষম্যহীন মানবতার সুদৃঢ় বন্ধন। এ ব্যাপারে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা অবশ্যই দাবি করতে পারেন ৭১ বছরের শোভনা সরকার। চিকিৎসা পরিভাষায় ‘মার্জিনাল ডোনার’ হয়েও ২০১৬ সালের জুন মাসে স্বর্ণেন্দু রায়ের পাশাপাশি অঙ্গদাতা হিসাবে শোভনা দেবীও হয়ে উঠেছিলেন খবরের শিরোনাম। এরপর আসানসোলের ২২ বছর বয়সি কলেজ ছাত্রী সুরভি বরাট ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে অঙ্গদাতা হিসাবে তিনিও শিরোনামে উঠে আসেন। তবে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির স্কুলছাত্রী মল্লিকা মজুমদার। ২০১৮ সালের অগাস্টে তাঁর ‘ব্রেন ডেথ’ হলে তাঁর দান করা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয় সাফল্যের সঙ্গে। সমগ্র উত্তরবঙ্গ জুড়ে অঙ্গদানের আইকনস্বরূপ, হয়ে ওঠেন মল্লিকা। এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি দীপশিখা সামন্তও অঙ্গদান করে নারী হিসাবে ব্যতিক্রমী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। আর ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর বাগুইআটির দুর্গা সাধু অঙ্গদান করে বাস্তবের ‘দুর্গা’ হয়ে থাকলেন মহানুভবতায়। তাঁর দুর্লভ অঙ্গলাভে সজীব, প্রাণীত হলেন, পুনর্জীবন লাভ করলেন তিনজন পুরুষ— উত্তমকুমার দ্বিবেদী (লিভার) এবং কাজি আব্দুল আলম ও রামকৃষ্ণ দাস (কিডনি)।
অঙ্গদানে এগিয়ে আসবেন আরও মহিলা। ভবিষ্যতে এভাবে নজির সৃষ্টি করবেন সাহসিকতার। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও সমানতালে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে মহান কীর্তি স্থাপন করতে পারেন। স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন মৃত্যুর পরেও।
নারীপুরুষ নির্বিশেষে অঙ্গদান আজ ঐক্যের ও মানববন্ধনের— এই বার্তাটাই ছড়িয়ে দিতে হবে আমাদের সমাজ ও পরিবারে।
সুমিত তালুকদার