বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বাহারি বাটিক এখন ফ্যাশনে
বাটিক এখন নতুন নতুন কনসেপ্টে আসছে শাড়ির সাজে। শুধুই ক্র্যাক বাটিক বা শান্তিনিকেতনি স্টাইলের আলপনার নকশায় তৈরি বাটিক নয়, মালটিকালার্ড অ্যাসিড পেন্টিংয়ের ধাঁচে তৈরি বাটিক এখন চাহিদার শীর্ষে। মলমলে হাফ অ্যান্ড হাফ, পাটলিপাল্লু, কর্নার টু কর্নার ইত্যাদি নানারকম অ্যারেঞ্জমেন্টে বাটিককে ব্যবহার করছেন ডিজাইনাররা। মাঝের ছবিতে সোহিনী যে পাটলিপাল্লু স্টাইলে তৈরি হ্যান্ড বাটিকটি পরেছে সেটি
‘জেনিস’ বুটিকের।
প্রথম শাড়িটি কনট্রাস্ট স্কার্ট বর্ডারের মলমল প্রিন্ট। এক্কেবারে দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ইক্কতের স্টাইলে প্রিন্ট করেছেন ডিজাইনার পায়েল ঘোষ। শাড়িটি ‘কার্পাসিকা’ থেকে নেওয়া।
গুজরাতি স্টাইল
গুজরাত আর রাজস্থান হ্যান্ড প্রিন্টের স্বর্গ। এখানে যেমন শাড়িকে রঙিন রূপ দিতে নানা ধরনের ডাই করার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তেমনই ব্লক প্রিন্টেও অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। মরচেরঙা জমিনের মলমলে ব্ল্যাক আর অফ হোয়াইটে ডাব্বু প্রিন্ট করা শাড়িটি পছন্দ করেছেন সোহিনী। ডাব্বু প্রিন্টে গাঢ় রং যেমন আছে, তেমন অফহোয়াইটে উজ্জ্বল রঙের প্রিন্টও আছে। ডাব্বুর পাশাপাশি আজরক প্রিন্ট ও কোশিশ প্রিন্টেরও খুব চাহিদা। ইন্ডিগো ব্লুয়ের গুজরাতি প্রিন্টেড শাড়ি আসছে বাজারে। রাজস্থান ও গুজরাতের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ‘বান্ধেজ’ শাড়িও তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের ডিজাইনে। দক্ষিণাপণের ‘রাই’তে এই ধরনের শাড়ির খুব ভালো স্টক পাবেন। গুজরাতি প্রিন্টেড ফ্যাব্রিক কেটে জুড়ে তৈরি শাড়িও মিলবে।
ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পার্টিওয়্যার
গরমের দিনে পার্টিতে যেতে জরির জমজমাট শাড়িগুলোর দিকে হাত বাড়াতে রীতিমতো ভয় করে। অথচ মলমল পরে তো আর পার্টি অ্যাটেন্ড করা যায় না। তাহলে? মুশকিল আসান করেছেন ডিজাইনার ইরানি মিত্র। তিনি শুধু কাটিং আর কনসেপ্টের জাদুতে শাড়িকে দিচ্ছেন স্মার্ট কনটেমপোরারি লুক। সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজও থাকছে প্রত্যেকটি শাড়ির সঙ্গে। আজ সোহিনী বেছেছেন ইন্দো-ওয়েস্টার্ন লুকের একটি পার্টিওয়্যার শাড়ি। হাল্কা গ্রে ও ব্রাউন বাটিক প্রিন্ট ফ্যাব্রিকের মিক্স অ্যান্ড ম্যাচে শাড়িটি তৈরি। কটন ও জর্জেটের ব্যবহার, ফ্রিলের কারিকুরি আর ব্লাউজের কাট— সব মিলিয়ে নিঃসন্দেহে এই শাড়িটি অভিনব। ইরানির ডিজাইনার স্টুডিওতে এমন হরেক স্টাইলের ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শাড়ির দেখা মিলবে। তবে কোনটা পড়লে কাকে মানাবে, কে কোন শাড়িটি ঠিকমতো ক্যারি করতে পারবেন, তা ডিজাইনার সাজেস্ট করে দেবেন। ইয়াং জেনারেশনের জন্য রেডি টু ওয়্যার শাড়িও তৈরি করে দেন ডিজাইনার। আঁচলে ফ্রিল দেওয়া কটন বেনারসি শাড়িগুলোও বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানে পরার জন্য বেশ ভালো।
স্টাইলিশ ব্লকপ্রিন্টে ট্র্যাডিশনাল মোটিফ
নানান নামী-দামি শাড়ি কোম্পানিই তো প্রিন্টেড মলমল বিক্রি করে। তাহলে ব্লক প্রিন্টেড মলমলের বিশেষত্ব কী? আছে। একজন ডিজাইনার যখন শাড়িকে ব্লকপ্রিন্টে সাজান, তখন তাঁর নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয় শাড়ির ক্যানভাসে। রোদজ্বলা গনগনে আঁচের দুপুরে পরার জন্য হলুদ রঙা ব্লকপ্রিন্টটি বেছে নিয়েছেন সোহিনী। শাড়িটি পাটলিপাল্লু স্টাইলে প্রিন্ট করিয়েছেন ডিজাইনার শম্পা পাল। পাড় ও কুঁচি আঁচল জিওমেট্রিক টাইপ প্রিন্ট করা হয়েছে। আর জমিতে এক্কেবারে বাংলার ঐতিহ্যময় মোটিফ। পুজোর ঘট, কুলো, স্বস্তিক ছড়িয়ে আছে লাল-কালোয়। শম্পার ‘শীর্ষা’স কালেকশন’-এ এমন ব্লক প্রিন্টেড মলমলের অঢেল স্টক।