Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে। যিনি একটি অতি সাধারণ পোশাকে এসে এক একদিনে শুধু আমাদের বিপণি থেকেই পাঁচ-ছ হাজার টাকার বই কেনেন। শেষদিনে বিদায় নেবার আগে নিয়ম করে আমায় বলে যান, এ বছরের মতো আমার কেনাকাটা শেষ, আগামী বছর আবার দেখা হবে। না থাকতে পেরে আমি যখন তাঁকে শুধোই, বছরে আপনার বই কেনার বাজেট কত? তখন কিছুমাত্র না ভেবে সেই মানুষটি বলে ওঠেন দেড় থেকে দু’লাখ টাকা, তিন লাখও হয়ে যায় কোনও কোনও বছর। আমি তো দামী শাড়ি গয়না কিনি না, কিনি শুধু বই। কী করেই বা ভুলি সেই দম্পতিটিকে, যাঁরা দুধের শিশু কোলে নিয়ে সুদূর ব্যারাকপুর থেকে তিন চারদিনের ব্যবধানে পনেরো-ষোল হাজার টাকার বই কিনে ভারি ভারি ব্যাগ হাতে একগাল হাসি নিয়ে ফিরে যান নিজেদের বাড়ি...।’
আসলে কলকাতা বইমেলায় বই-পার্বণ আজ শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্তের চতুর্দশ পার্বণ। ১৯৭৬-এর ৩ মার্চ ৫৪টা স্টল নিয়ে বিড়লা তারামণ্ডলের উল্টোদিকে ছোট মাঠটায় যে বইমেলা শুরু হয়েছিল তার এই ৪৯ বছরের যাত্রাটা কেমন? তথ্য বলবে ক্রমশ ফুলতে থাকাই সেই যাত্রার চরিত্র। ৪৯ বছর ধরে বইমেলা মানে দৃশ্যটা একই। চারদিকে কাতারে কাতারে মানুষ। চলেছে যে যার গন্তব্যের দিকে। গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে অভীষ্ট স্টলের লাইনে। হাতে ম্যাপ। পাবলিশারদের ক্যাটালগ বা লিখে আনা বইয়ের উইশলিস্ট। মায়ের আঁচল ধরা খুদেদের চোখ তখন টিনটিন কিংবা নন্টে-ফন্টের দিকে। স্টলের গায়ে বুক উঁচিয়ে হাঁদা-ভোঁদা কিংবা বাঁটুলের কীর্তি। আর ফেমাস রথী মহারথীর সম্ভার। স্টলে স্টলে ম্যাজিক, ভেন্ট্রিলোক্যুইস্ট, বল ছুড়ুন প্রাইজ পান, টিপ করুন প্রাইজ পান। কোথাও লেখককে ঘিরে ফ্যান। কোথাও ফ্যানের সঙ্গে ফলোয়ার। এদিকে সুলেখা কালির সম্ভার তো ওদিকে ফ্রি গিফট বলে বিলোনো বাইবেল। তারই মধ্যেও আঁতাত আছে। মিছিল আছে। স্লোগান আছে। রাজনীতির কথা আছে। আর আছে বহুদিন পর দেখা হয়ে যাওয়া। অনেকের সঙ্গে প্রথম আন্তরিকতা। আছে বড় সেলেব লেখক নিয়ে হুটোপুটি। মেজ সেলেব লেখকদের সই সংগ্রহ। ছোট সেলেব লেখকদের কূটকাচালি। আর হাজার হাজার পাঠক। যেন এই পুণ্যভূমির ধুলো মেখে নেওয়ার শেষ সুযোগ। বইমেলা মানেই পাঠকের মুক্তাঞ্চল, বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী। হয়তো তাই ‘থিম কান্ট্রি’ জার্মানির রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারমান বলেছেন, বইমেলা ‘বাঙালি ঘরানার কুম্ভমেলা’। ঠিক তাই— ওখানে পুণ্য অর্জিত হয়, এখানে জ্ঞান। 
এই জ্ঞান বিকোতেই প্রকাশকরা আজ হিমশিম। পাঠকের চাহিদা বুঝতে রীতিমতো গবেষণায় নামতে হয় তাঁদেরও। এক প্রকাশক তো বলেই ফেলেছিলেন, এই নতুন জগতের একটি বড় অংশ জেনারেশন-জি এবং ৪০-এর নীচের বয়সি মিলেনিয়ালদের বোঝাই কঠিন। তাঁদের চাহিদা, মনোজগৎ ছুঁতে গেলে 
হয়তো সাহিত্যজগৎ থেকেই ছিটকে যেতে হবে। আসলে গত কয়েক বছরে ওটিটি মঞ্চে হাতে হাতে সিরিজ, সিনেমা দেখার চল বেড়েছে। মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তের কাছে দু-তিনটে ওটিটির সাবস্ক্রিপশন আর টেলিগ্রামের হরেক চ্যানেলে পাওয়া বিভিন্ন সিরিজ, সিনেমা তো আছেই। প্রায় ৯০ শতাংশ সিরিজ, সিনেমার বিষয়বস্তু থ্রিলার— খুন, একের পর এক খুন, ডাকাতি, রাহাজানি, ঘিনঘিনে অপরাধ, দাবাং পুলিস, ভূতুড়ে অভিশাপ ইত্যাদি। এর বাইরে আর কিছু নেই। সেই দর্শকরাই তো দলে দলে বইমেলায় আসছেন। বেড়ে যাওয়া থ্রিলার-খিদে আর স্ক্রুয়ের থেকেও প্যাঁচালো টুইস্টের পোঁচ লাগানো হরর-থ্রিলারের খিদের জোগান দিতে লেখক-প্রকাশক মুখিয়ে রয়েছেন। উপন্যাসের আখ্যান ধর্ম যেন ওটিটি-সিরিজের পর্ব ভাগ মেনে চলে এবং সম্ভাব্য অডিও-স্টোরির মারকাটারি ‘কন্টেন্ট’ হয়ে উঠতে পারে, লেখকও সেই ব্যাপারে খুবই সচেতন। কোনও কোনও স্টল তো সাজানোই হয় ভৌতিক পরিবেশের আঙ্গিকে। যাকে সবাই বলে ‘থিম’। এইসব বীভৎস হরর আর লোমখাড়া থ্রিলারে মোড়া বইমেলার সন্ধ্যায় শিহরন জাগে বইকি!
বইমেলা বাঙালিকে চেনার হাতছানিও। আশ্চর্য ভাষার মানুষ বাঙালি— যাঁরা যত ক্ষমতাশালী বা ধনীই হোন না কেন, যত বড় নেতা নেত্রী মন্ত্রী আমলা, যত বড় সাধক, গায়ক, নায়ক, বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়ই হন, তাঁর লেখা যদি কোনও বই না থাকে বইমেলায়, তাঁর সমস্ত জীবন যেন এক লহমায় মনে হতেই পারে সম্পূর্ণ অর্থহীন। অনেকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন একদিন তিনি থাকবেন না, কিন্তু বইটি তো থেকে যাবে। ইহজীবনে সে বইয়ের সাফল্য জুটুক বা না জুটুক। লেখক জানেন, আজকের দুনিয়ায় কমেন্ট আর সেলফি আর সইমাখা বইয়ের ‘রিচ’ বেশি। এই ‘রিচ’ অতি বিষম বস্তু। ‘রিচ’ অর্থে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা বন্ধুতালিকার কতজনের কাছে নিজেকে বিজ্ঞাপিত করা গেল। বইমেলার ভিড়ে ‘রিচকামী’ হতে হয়, নইলে ভিড়ে হারিয়ে যেতে হয়।
‘বেস্টসেলার’ বইয়ে ছেয়ে যাওয়া বইমেলায় বিগত কয়েক বছরে ইতিহাস আর ধর্ম, ইতিহাস আর বিশ্বাসকে গোঁজামিলে চুবিয়ে পাঠক মগজে ঠুসে দেওয়ার চেষ্টাটা বেশ চোখে পড়ার মতো। ফেসবুকের বইয়ের গ্রুপগুলিতে ‘তান্ত্রিক থ্রিলার’, তন্ত্রকাহিনির চাহিদা-জোগানের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। ‘তারানাথ তান্ত্রিক’-এর পাঠপ্রিয়তা বিগত কয়েক বছরে হঠাৎ পুনর্জাগরিত হয়েছে এবং কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের কয়েক শতাব্দী পুরনো ‘তন্ত্রসার’ খুঁচিয়ে তুলে বাংলা সাহিত্যকে গ্রাস করার চেষ্টা চলছে। নিষিদ্ধ ও গুপ্ত বস্তু/পদ্ধতির প্রতি সব বয়সের মানুষেরই আগ্রহ থাকে। তবে, ধর্মের সর্বগ্রাসী গতিপথ যখন রীতি-সংস্কৃতি-ইতিহাস-মিথ-সাহিত্য সবকিছুকেই গিলে নিতে চায়, তখন ওই আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। পাঠক ‘খায়’ বলে বাজারও ‘খায়’, আর প্রকাশকরাও তন্ত্র-গুণিন-ধর্ম-রোমাঞ্চ-মিথ্যে মিশিয়ে বই নিয়ে হাজির। গেরুয়া শিবিরের অনেক ল্যাজ-প্রতিষ্ঠান হিন্দুত্ববাদের পুনরুত্থানের জন্যে বিশ্বাস, গালগল্পের রসদ জুগিয়েই চলেছে। বিশ্বাসে কোনও প্রমাণ লাগে না, ধর্মীয় প্রচারে কোনও বিজ্ঞান খাটে না। গুজবে গুজবে ছড়িয়ে যায়, যদি তা উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে হয় তাহলে তো কথাই নেই। কারণ, উপন্যাসের বা ফিকশনের কিছু প্রমাণের দায় নেই। অথচ সংখ্যাগুরু মতামতকে উস্কে দেওয়া যায়। 
আজ থেকে কুড়ি বছর আগেও লেখক-প্রতি যতজন পাঠক ছিল, সেই সমীকরণ আজ আর নেই, বরং ফাঁকটা এতটাই কমে গিয়েছে যে, পাঠক-লেখক অনুপাতটা প্রায় সমান-সমান হয়ে গিয়েছে। এতে একশ্রেণির প্রকাশকের হয়েছে মস্ত লাভ। প্রকাশকদের একাংশ বছরভর যতই শুকনো কথা শোনান না কেন, বইয়ের বাজার এক বিপুল সম্ভাবনার মুখে দাঁড়িয়ে। বইমেলায় পা রাখলেই তা টের পাওয়া যায়। একটা সাদামাটা হিসেব দিই— তিরিশ লক্ষ পাঠক যদি মাসে একশো টাকার ননটেক্সট-বই কেনেন তাহলে তা হয় মাসে তিরিশ কোটি। বছরে সাড়ে তিনশো কোটির উপর। এবং মাথায় রাখতে হবে এটি কিন্তু ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এরপরে আছে ইনস্টিটিউশনাল সংগ্রহ। সেই অঙ্কটাও কম নয়। বছরের অন্তত দেড়শো কোটির উপর। মানে বাংলা ননটেক্সট বইবাজার কমপক্ষে বছরে পাঁচশো কোটির। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের বইমেলায় ২৫ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন, ২০২৪-এর বইমেলায় তাঁর থেকে অনেক বেশি মানুষ এসেছেন। প্রায় ২৯ লক্ষের কাছাকাছি। এবং এই কয়েকদিনে মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকার। এ বছর নাকি সেই রেকর্ডও ভেঙে যাবে।
যতই এআইয়ের দাপট বাড়ুক না কেন, যতই বর্তমান প্রজন্ম কম্পিউটার গেমস বা অ্যাপস-এ মেতে থাকুক না কেন, তাঁরা বইও পড়ছেন— এটা প্রমাণিত সত্য। কারণ, বর্তমান প্রজন্ম যদি বই-এর জগতে প্রবেশ না করত তাহলে বইয়ের বিক্রি এই হারে বাড়ত না। বইমেলায় গিয়ে পেল্লায় সব লাইনে দাঁড়িয়ে বই উল্টেপাল্টে যারা দেখেনি, পাঁজরা ভরে নতুন বইয়ের গন্ধ যারা নেয়নি, মানিব্যাগ এমনকী স্যালারি অ্যাকাউন্ট অবধি ফাঁকা করে গুচ্ছের বই বাড়ি এনে যারা বৌয়ের বকুনি খায়নি, তারা আর যাই হোক, বাঙালি পদবাচ্য হতে পারে না। 
বিমল মিত্রের সেই গল্পটা মনে পড়ে? ভাইঝির বিয়ে ঠিক করতে এক পণ্ডিতমশাই গিয়েছিলেন জমিদার বাড়িতে। তাঁর সব পছন্দ, তবু বিয়ে দিতে রাজি হলেন না। কারণ একটাই, এত বড় ঘর, এত বৈভব, কিন্তু ঘরে কোথাও বইয়ের চিহ্ন নেই। এটাই বাঙালির ইতিহাস। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া, দেশভাগ, অনুন্নয়ন, একদা উদ্বাস্তু সমস্যাদীর্ণ বিপুল জনসংখ্যার ভারে আজও জর্জরিত একটা জাতি, তার শেষ সামর্থ্যটুকু নিংড়ে দিয়ে যেটুকু পেরেছে, সেটুকুও কম বড় অর্জন বলা যায় না। হয়তো তাই বইমেলা আজ হয়ে উঠেছে বঙ্গের জাতীয় উৎসব। বইমেলা বাঙালিকে হাতছানি দেয়, এই সর্বব্যাপ্ত অবক্ষয়ের যুগে আজও স্বপ্ন দেখায়।
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
ধান রোয়ার কাজ করতে এসে কুঁড়ে ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মৃত্যু হল এক মহিলার। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন আরও এক দম্পতি। পুড়ে ছাই হয়ে ...

ওপেন এআই-এর সিইও স্যাম অলটম্যানের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বৈঠকের দিনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কতা সামনে এল। ...

ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে মহিলা রেশন ডিলারের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করল সাইবার প্রতারকরা। টেলিকম অথরিটির অফিসারের নাম করে প্রতারকরা বালুরঘাট শহরের এই মহিলাকে ভয় দেখায় ...

বাংলা সহ পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। আর এই আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন জায়গায় চলছে বেআইনি নির্মাণ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪০- ওয়াইটাঙ্গি চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশ কলোনি হিসাবে নিউজিল্যান্ডের আত্মপ্রকাশ
১৮৯০- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কর্মী সীমান্ত গান্ধী নামে পরিচিত খান আবদুল গফফর খানের জন্ম
১৮৯১- বিপ্লবী অমর বসুর জন্ম
১৯০৭- ইন্ডিয়ান লিগের প্রতিষ্ঠাতা তথা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রেভারেন্ড কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত্যু
১৯৩১- আইনজীবী, বিপ্লবী ও জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মতিলাল নেহেরুর মৃত্যু
১৯৩২- কলকাতা সমাবর্তন উৎসবে গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে গুলি করেন বিপ্লবী বীণা দাস
১৯৪০- সঙ্গীত শিল্পী ভূপিন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৪৬- বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর মৃত্যু
১৯৭০- অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরির জন্ম
১৯৭২- বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কলকাতায় আগমন এবং ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা
১৯৭৬- চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের মৃত্যু
১৯৮৭- গণিতজ্ঞ তথা গণিতের বহু পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা ও শিক্ষাবিদ কেশব চন্দ্র নাগের মৃত্যু  
১৯৯১- কলকাতায় অবস্থিত এশিয়ার প্রাচীনতম ফটো স্টুডিও বার্ন অ্যান্ড শেফার্ড ভষ্মীভূত হয়।
১৯৯৭- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, নীরদচন্দ্র চৌধুরী, সুখময় ভট্টাচার্য, কোটা শিবরাম করন্থ, এলিজাবেথ ব্রুনার ও ই. সি. জি. সুদর্শন একযোগে "দেশিকোত্তম" সম্মানে ভূষিত হন
২০২০- কলকাতার ক্যাবারে কুইন মিস শেফালির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৮ টাকা ৮৮.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪৬ টাকা ১১১.২২ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ মাঘ ১৪৩১,বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  নবমী ৪১/৩০ রাত্রি ১০/৫৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৩৩/০ রাত্রি ৭/৩০। সূর্যোদয় ৬/১৭/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/২৩/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ১০/৪৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
২৩ মাঘ ১৪৩১,বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  নবমী রাত্রি ১২/৫১।  কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ  রাত্রি ১/৪ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ১০/৪০ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
৭ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাসভবনে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করল ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা

05-02-2025 - 11:01:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কোহলিদের নতুন ওডিআই জার্সি লঞ্চ করল বিসিসিআই

05-02-2025 - 10:18:13 PM

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আর্জেন্তিনা

05-02-2025 - 09:53:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব এফসিকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

05-02-2025 - 09:28:00 PM

দেউচা-পাচামি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই বীরভূমে প্রশাসনিক মহলে জোর তৎপরতা
দেউচা-পাচামি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই বীরভূম জেলার ...বিশদ

05-02-2025 - 09:14:00 PM

ভারতে এলেন গ্রিসের বিদেশমন্ত্রী জর্জ গেরাপেত্রিতিস

05-02-2025 - 09:05:00 PM