Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া। এটাই সিপিএমের স্ট্যান্ড। তাহলে সুপ্রিম কোর্টে বিকাশবাবু প্যানেল বাতিলের দাবি জানাতেই এসএফআই, এবিটিএ-র ভিন্ন সুর কেন? আপাত দৃষ্টিতে দ্বন্দ্ব মনে হলেও এটাই সিপিএমের কৌশল। দু’মুখো নীতি। প্যানেল বাতিল হলে ক্ষোভের বিষ যাতে মাথায় না ওঠে, তারজন্যই ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনকে দিয়ে আগাম একটা ‘বাঁধন’ দিয়ে রাখল কৌশলী সিপিএম। 
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ২০১৬ সালে নেওয়া শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্যানেল বাতিলের শুনানি হবে। ওই দিনই শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে হাইকোর্ট ‘ঢাকি সহ বিসর্জন’ দিয়েছিল। বাতিল করে দিয়েছিল প্যানেলটাই। একলপ্তে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। বিকাশবাবু সেই বাতিলের পক্ষেই জোরদার সওয়াল করে যাচ্ছেন। আদালতে তিনি দাবি করেছেন, ‘পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটা বিতর্কিত। অনেকে আবেদন না করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। তাই গোটা প্যানেল বাতিল করা উচিত।’
সুপ্রিম কোর্টে বিকাশবাবুর এই সওয়াল এখন রাজ্য রাজনীতির অন্যতম চর্চার বিষয়। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই সিপিএম শিক্ষক, শিক্ষিকাদের চাকরি খেতে চাইছে। সেই কাজে বিকাশবাবুই তাদের প্রধান হাতিয়ার। তিনি শুধু প্রতিষ্ঠিত আইনজীবীই নন, সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদও। খোলসা করে বলতে গেলে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের একেবারে প্রথম সারিতে বিকাশবাবুর অধিষ্ঠান। অনেকে বিশ্বাস করেন, তাঁর জন্যই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এই জায়গায় পৌঁছেছে। সিপিএম নেতৃত্বও বিকাশবাবুর সরকার বিরোধী আইনি লড়াইকে তাদের ‘সাফল্য’ বলে দাবি করে এসেছে। 
একথা ঠিক, একেবারে গোড়ার দিকে এই মামলা রাজ্যের চাকরি প্রার্থী বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। তাঁরা আশার আলো দেখেছিলেন। ভেবেছিলেন, এই মামলার ফলে তাঁরা চাকরি পেয়ে যাবেন। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে হতাশা ততই বাড়ছে। কারণ নিয়োগ নিয়ে শুধু কাদা ছোড়াছুড়িই হচ্ছে। চাকরি হচ্ছে না। তাতে অনেকেরই ধারণা হয়েছে, মুখে বেকারদের জন্য লড়াইয়ের কথা বলা হলেও সবটাই রাজনীতি। বেকাররা রাজনীতির কারবারিদের দাবার বোড়ে হয়ে গিয়েছেন। জট কাটিয়ে নিয়োগ শুরুর রাস্তা কেউ খুলতে আগ্রহী নয়। বরং জট আরও পাকিয়ে দিচ্ছে। তাতে কোনও কোনও আইনজীবীর ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা উজ্জ্বল হচ্ছে বটে, কিন্তু লক্ষ লক্ষ মেধাবী ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। আইনি লড়াইয়ের জেরে বহু যুবক-যুবতীর চাকরির বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের প্রশ্ন, মানুষের জন্য আইন, নাকি আইনের জন্য মানুষ? 
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও মনে করে, বিকাশবাবুদের জন্যই এ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের জট কাটছে না। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন, সরকার চাকরি দেওয়ার জন্য তৈরি। কিন্তু আদালতে মামলা চলায় নিয়োগ করা যাচ্ছে না। 
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা স্কুল সার্ভিস কমিশনও স্বীকার করেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেলে আছেন। সিবিআই তদন্ত চলছে। এসবই ঠিক। কিন্তু দুর্নীতি হয়েছে বলে  নিয়োগ বন্ধ রাখাটা সমাধানের রাস্তা হতে পারে না। আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থী থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রী সকলেই চাইছেন, এবার একটা হেস্তনেস্ত হোক। বিশেষ করে যাঁরা প্রচুর নম্বর নিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করেছেন, তাঁরা। কারণ পাশ করার পর শিক্ষক নিয়োগের কোনও পরীক্ষায় বসার সুযোগই পাননি। তারজন্য এই আইনি জটিলতাকেই তাঁরা দায়ী করছেন। 
ফলে শুধু সরকার নয়, যাঁরা নানা কৌশলে নিয়োগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের উপরেও ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হলে সিপিএমের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। আর জি কর কাণ্ডের অপপ্রচারের দায় যেভাবে তাদের ঘাড়ে চাপতে শুরু করেছে, নিয়োগ জটিলতার বোঝাও একদিন তাদেরই বইতে হবে। সম্ভবত আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররাও সেটা বুঝতে পারছেন।
এতদিন বিকাশবাবুর লড়াইয়ের ক্ষীর সিপিএমই খাওয়ার চেষ্টা করেছে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে আর জি কর কাণ্ড, প্রতিটি ঘটনাকেই ‘প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধ’ প্রমাণে সিপিএম মরিয়া। ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজত্বে দুর্নীতির কারণে ১০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি আদালত খারিজ করে দিয়েছিল। তারজন্য স্বচ্ছতার ধ্বজাধারী সিপিএমকে এখনও কটাক্ষ শুনতে হয়। বাংলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হলে সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়বে। সেই আশাতেই সুপ্রিম কোর্টে বিকাশবাবুর প্যানেল বাতিলের পক্ষে সওয়ালের খবরটি সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ পত্রিকার প্রথম পাতায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে। তবে, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হতেই সিপিএম ব্যকফুটে। 
বছরের পর বছর চাকরি আটকে রাখার বিষয়টি শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সিপিএমের কর্মী সমর্থকরাও ভালোভাবে নিচ্ছেন না। কট্টর পার্টি মেম্বার ছাড়া সাধারণ কর্মী, সমর্থকদের কাছে রাজনীতির চেয়েও জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভই বড়। তাঁরাও চাইছেন, যেকোনও শর্তে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হোক। কারণ রাজ্যে প্রায় ৬০০০ স্কুল চলছে যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র এক। বহু শূন্যপদ খালি থাকায় ঠিকমতো পড়াশোনা হচ্ছে না। বহু স্কুলে প্যারাটিচার এবং অতিথি শিক্ষকই ভরসা। স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হলে সরকারের আর্থিক দায় অনেকটাই বেড়ে যেত। সেক্ষেত্রে সরকারের ভিত মজবুতকারী সামাজিক প্রকল্পগুলি চালাতে সমস্যা হতো বলে সিপিএমের অনেকেই করছেন। তাই চাকরি আটকে রেখে সরকারকে টাইট দেওয়ার নীতি তাঁরা ভুল বলে মনে করছেন।
সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেছিল, বছরের বছর নিয়োগ না হলে, ডিএ না বাড়লে সরকারি কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। ক্ষোভের ধাক্কায় মমতা সরকারের পতন হবে। কিন্তু, ভাবনাটা একেবারেই ভুল। যখন ব্যালট পেপারে নির্বাচন হতো তখন গণনার সময় শিক্ষক, সরকারি কর্মীদের বিশেষ ভূমিকা ছিল। কাউন্টিংয়ে দেদার জল মেশানো যেত। তাই মাসপয়লা বেতন দিতে না পারলেও বামফ্রন্ট সরকার একপ্রকার রুটিন করে বেতন বাড়িয়ে গিয়েছিল। সিপিএম বুঝেছিল, সাধারণ মানুষ বিরূপ হলেও ক্ষতি নেই। সমস্ত ঘাটতি কাউন্টিংয়ের সময় পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে তাঁরা কেবলই ভোটার, ভোটের নিয়ন্ত্রক নন। এখন ভোটের প্রকৃত নিয়ন্ত্রক গরিব মানুষ। সামাজিক প্রকল্পের জোরে তাঁরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভোটব্যাঙ্ক’। তার প্রমাণ প্রতিটি নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়।
আলিমুদ্দিনের কর্তারাও টের পাচ্ছেন হাইকোর্টের রায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত বহাল রাখলে 
ক্ষোভের উত্তাপ তাঁদের সহ্য করতেই হবে। তাই বিকাশবাবুর চাকরি বাতিলের সওয়াল নিয়ে চর্চা 
শুরু হতেই সিপিএম নেতৃত্ব তাদের ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনকে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে। এসএফআই নেতারা দাবি করছেন, বিকাশবাবু আদালতে যা বলেছেন সেটা একজন আইনজীবীর কথা। তাঁরা গোটা প্যানেল বাতিলের পক্ষে নন। যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করা হোক। 
তবে, এসএফ আইয়ের এই খবরটি ‘গণশক্তি’ পত্রিকায় তেমন গুরুত্ব পায়নি। খবরটির জায়গা হয়েছে তিনের পাতায়। এসএফআই ও এবিটিএকে দিয়ে প্রতিবাদ করিয়ে সিপিএম আগাম একটা বাঁধন দিয়ে রাখল। তাতে চাকরিহারাদের ক্ষোভের বিষ মাথায় ওঠার উপক্রম হলেই বিকাশবাবুকে ‘আইনজীবী’ হিসেবে পাশে সরিয়ে রেখে, ‘এটা পার্টির স্ট্যান্ড ছিল না’ বলে চালিয়ে দেবে। 
নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে সিপিএম দু’মুখো নীতি নিয়েছে। একদিকে বিকাশবাবুকে সামনে রেখে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণ করে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি খেতে চাইছে। অন্যদিকে ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনকে দিয়ে তার বিরোধিতা করাচ্ছে। এটাই সিপিএমের ‘সাপ হয়ে কামড়াব, ওঝা হয়ে ঝাড়ব’ পলিসি। এই সুবিধাবাদী নীতির জন্যই সিপিএম দিনদিন অতলে তলিয়ে যাচ্ছে। এদের উদ্ধারের ক্ষমতা স্বয়ং ঈশ্বরেরও নেই।
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
একনজরে
সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সফরসঙ্গী বুচ উইলমোর। তাঁদের ফেরাতে এবার বন্ধু এলন মাস্ককে দায়িত্ব দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ...

ঘড়ির কাঁটায় বিকেল সাড়ে চারটে। যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে হইহই করে নেমে পড়লেন জেসন কামিংসরা। তারের জালের ওপারে তখন অন্য ছবি। উদ্বিগ্ন মুখে মিটিং সারতে দেখা ...

ভগবানগোলায় প্যাকেজিংয়ের কাজের টোপ দিয়ে প্রতারণার পরিকল্পনা আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এবার তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় একাধিক এনজিও। বিভিন্ন এনজিওকে নিয়ে তৈরি একটি ফোরাম গত মঙ্গলবার ভগবানগোলা ও লালগোলায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের একত্রিত করে বড়সড় প্রতারণার ছক কষেছিল। ...

বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর পার বরাবর বাঁধের কাছ থেকেই বালি তুলে পাচার বালি মাফিয়াদের। ফলে ভাঙনের আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবাধে বালি পাচারের জেরে বাঁধ ভেঙে বন্যার সময় জল  ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৬- কলকাতার ফোর্ট উইলিয়মে চালু হল প্রথম মেয়রস কোর্ট
১৮২৭- কলকাতা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গল ক্লাব
১৮৩১ - বুশ ক্লাবের উদ্যোগে কলকাতা শহরে প্রথম চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়
১৮৫৫- কলকাতা থেকে আগ্রা পর্যন্ত টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়
১৮৭১- ভারতে বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষয়িত্রীর অভাব দূর করার জন্য ভারত সংস্কার সভার উদ্যোগে কলকাতার পটলডাঙায় একটি শিক্ষয়িত্রী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়
১৮৮৪ - অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারীর ১ম খণ্ড (এ টু এন্ট) প্রকাশিত হয়
১৯০২ - আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী অনিলকুমার দাসের জন্ম
১৯০৫- বারাসত-বসিরহাট রেলপথ চালু হল
১৯০৭- নাট্যকার ব্রজেন্দ্রকুমার দে’র জন্ম
১৯১৪- অভিনেতা এ কে হাঙ্গেলের জন্ম
১৯২২- বিশিষ্ট বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক শক্তিপদ রাজগুরুর জন্ম
১৯৩০ – বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদের জন্ম
১৯৩৩ – বিশিষ্ট সরোদ বাদক পদ্মশ্রী বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের জন্ম
১৯৪২ - ভয়েস অব আমেরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৮- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর মৃত্যু
১৯৫৩- কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরির জাতীয় গ্রন্থাগার নামকরণ হয় এবং এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়
১৯৫৭ – অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের জন্ম
১৯৬৫ - স্যার উইনস্টন চার্চিলের সম্মানে কানাডার ল্যাব্রাডরে অবস্থিত হ্যামিল্টন রিভারের নামকরণ করা হয় চার্চিল রিভার
১৯৭১- ক্রিকেটার অজয় জাদেজার জন্ম
১৯৭১ – অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী তথা রাজনীতিবিদ মনোজ তিওয়ারির জন্ম
১৯৮১- দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার গ্রেম স্মিথের জন্ম
১৯৮২- ভারতের সাঁওতালি ভাষার অলচিকি লিপির বর্ণমালার আবিষ্কর্তা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর মৃত্যু
১৯৮২- পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের জন্ম
১৯৮৩- অভিনেত্রী পদ্মাদেবীর মৃত্যু
২০০৩- মহাকাশ অভিযাত্রী কল্পনা চাওলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৯ টাকা ১০৯.৫২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৫ টাকা ৯১.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ১৯/১০ দিবা ২/০। শতভিষা নক্ষত্র ৫৪/৪৮ রাত্রি ৪/১৫। সূর্যোদয় ৬/২০/৮, সূর্যাস্ত ৫/২০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩২ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৫ গতে ১০/১৩ মধ্যে।
১৭ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া অপরাহ্ন ৪/৯। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৪। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩০ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১২/২৫ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৭ গতে ১১/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৫ গতে ১০/১৩ মধ্যে।
১ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭২৬- কলকাতার ফোর্ট উইলিয়মে চালু হল প্রথম মেয়রস কোর্ট ১৮২৭- কলকাতা ...বিশদ

07:55:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সুখবর প্রাপ্তির যোগ। বৃষ: কর্মে অগ্রগতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। মিথুন: বৃদ্ধিতে মানসিকভাবে বিব্রত হতে ...বিশদ

07:50:00 AM

চতুর্থ টি২০: ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারাল ভারত

31-01-2025 - 11:44:59 PM

আইএসএল: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ০- ০ গোলে ম্যাচ ড্র করল ইস্ট বেঙ্গল

31-01-2025 - 10:42:26 PM

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-১ (৫) ব্যবধানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জয় ভারতের

31-01-2025 - 10:37:00 PM

চতুর্থ টি২০: ভারতের বিরুদ্ধে ১৯ রানে আউট ওভারটন, ইংল্যান্ড ১৬৩/৯ (১৯ ওভার), টার্গেট ১৮২

31-01-2025 - 10:29:00 PM