Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য! একইভাবে ভেঙেই চলেছে বাঙালির সংসার। বাঙালির যৌথ পরিবার নিশ্চিহ্নপ্রায়। অথচ একটা সময় এটাই ছিল পরিবারগুলোর যুগপৎ সৌন্দর্য ও শক্তি। আর এখন ‘তুমি আর আমি আর আমাদেরই সন্তান, এই আমাদের পৃথিবী!’ এই ‘সুখী পরিবার’ যে আমাদের জন্য কোনও ‘সুখী গৃহকোণ’ রচনা করতে পারেনি, তা আমরা বুঝি পারিবারিক অ্যালবামের বিবর্ণ ছবিগুলোর উপর হাত বুলিয়ে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
নবাব সিরাজ উদ্দৌলার আমলে বাংলা (উভয় বঙ্গ), বিহার (বর্তমান ঝাড়খণ্ড-সহ) ও উড়িষ্যা (‘ওড়িশা’ তখন বলা হতো না) একান্নবর্তী ছিল। এই সুবিশাল রাজত্ব পরিচালিত হতো মুর্শিদাবাদ থেকে। পলাশির যুদ্ধে সিরাজের পতনের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পুরো এলাকা কব্জা করে, এমনকী বক্সার যুদ্ধের পর তারা দেওয়ানি পায় দিল্লির সম্রাটের থেকে। সমগ্র অঞ্চল পরিচিত হয় ‘বেঙ্গল প্রেসিডেন্স‍ি’ নামে। ১৯১২ সালে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ বেরিয়ে যায় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে। এমনকী, প্রশাসনিক সংস্কারের দোহাই দিয়ে লর্ড কার্জন অবশিষ্ট বাংলাকেও ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করেন। তাঁর সিদ্ধান্ত মতো ১৯০৫ সালে তৈরি হয় পৃথক ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ প্রদেশ। এর বিরুদ্ধেই গড়ে ওঠে ‘বঙ্গভঙ্গ’ বিরোধী তীব্র গণআন্দোলন। ব্রিটিশ সম্রাটের নির্দেশে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ১৯১১-য় বাতিল হলেও চরম মূল্য দিতে হয় আমাদের। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সুদূর দিল্লিতে! কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি, ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশকে যূপকাষ্ঠে চড়ানোর শর্তে মেলে ‘স্বাধীনতা’। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় পূর্ববঙ্গ। কিন্তু ‘পাকিস্তান’ রাষ্ট্র ‘পূর্ব পাকিস্তান’ প্রদেশ বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের কাছে পরাজিত হয় ঠুনকো ‘ইসলামিক ঐক্য’—১৯৭১-এ সৃষ্টি হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। শুধুমাত্র বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে একটি আস্ত রাষ্ট্রের পত্তনের এই দৃষ্টান্ত বিশ্ব ইতিহাসে অভূতপূর্ব। 
তবে বাংলা নিয়ে ভাঙাভাঙির খেলা কি শেষ হয়েছে আদৌ? না। এপার, ওপার—বাংলার দু’দিক থেকেই মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নতার হুংকার কানে আসে। জোড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আপাতত কেউ ভাবে না। বরং কাঁটাতার কেন মজবুত নয় এবং এখনও কত কিমি কাঁটাতার বাকি—দুই বাংলার ‘অরক্ষিত’ সীমান্ত ঘিরে তারই রাজনৈতিক তরজা জারি থাকে অহরহ।
‘ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই’ মেনে নিয়েছে বাঙালি—অতঃপর, পরিবারিক বন্ধনের বিকল্প উপায়ও বার করেছে—পারিবারিক অনুষ্ঠান। সুযোগ যেন ‘মিস’ না-হয়, এমন আন্তরিকতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক সদস্য দেশ-বিদেশ থেকে এসে একত্র হয়। একই প্রবণতা ফিরে এসেছিল বাঙালির বৃহৎ পরিসরেও। দুই বাংলা রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রিক পরিচয়ে পৃথক হলেও বারবার প‍্রমাণ দিয়েছে যে, এসব বাহ্য। আত্মিক পরিচয়ে আমরা প্রত্যেকেই বঙ্গজ, বঙ্গসন্তান। আমাদের ভাষা, শিক্ষা, খাদ্যরুচি, পোশাকআশাক, উৎসব-সংস্কৃতির মধ্যে কোনও প্রভেদ নেই। বাংলা বর্ষবরণ দিয়ে শুরু হয়ে, কয়েক দশক যাবৎ তার মধুর পরিসমাপ্তি হয় বইমেলাতে। এপারে ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’ তো ওপারে ‘অমর একুশে বইমেলা’। তেরো পার্বণের অন্যতম এই উৎসব, বিশেষ করে, বইপাগল বাঙালির একান্ত আপন। 
কলকাতা বইমেলার সুবর্ণ জয়ন্তী অদূরেই। এবার ৪৮ বর্ষ। প্রত্যেক বছর কোনও একটি দেশকে ‘ফোকাল থিম কান্ট্রি’ বেছে নিয়ে মেলা সেজে ওঠে। যেমন ২০২৫-এ জার্মানি, এবং তাদেরকে এই সম্মান প্রদান প্রথমবার। আমরা জানি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে আলাদা হয়ে যায়। এমনকী সমৃদ্ধ পশ্চিম জার্মানিতে পূর্বাঞ্চলের অভিবাসীদের ‘অনুপ্রবেশ’ রুখতে ১৯৬১ সালে বার্লিনে তুলে দেওয়া হয় সুউচ্চ প্রাচীর! কিন্তু জার্মান জাতির সৌভাগ্য যে ওই মজবুত প্রাচীরও স্থায়ী হতে পারেনি। ১৯৮৯ সালে জার্মানরাই নিজেদের হাতে সোল্লাসে ওই প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয়। এমনকী একবছর পর দুই জার্মানি জুড়ে গিয়ে গঠিত হয় ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানি। 
অর্থাৎ একসময় ভেঙে গিয়েও জুড়ে গিয়েছে যে দেশ, সেই জার্মানিই আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৫-এর ফোকাল থিম কান্ট্রি। অন্যদিকে, এবারের বইমেলায় অনুপস্থিত বাংলাদেশ! এই কাকতালীয় বৈপরীত্য অনেক পাঠককেই যে আহত করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৯৯৬ সাল থেকে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের দুঃখজনক অনুপস্থিতি এই প্রথমবার। অথচ এতদিন এই সুবৃহৎ মেলায় ঢুকলেই দেখা যেত ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’, যেটা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ২০-২৫টি দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা তাদের গ্রন্থসম্ভার নিয়ে এখানে আসে। যেমন এবার থাকছে জার্মানি, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইরান, রাশিয়া, স্পেন এবং আর্জেন্টিনা, পেরু, কোস্টারিকা-সহ লাতিন আমেরিকার অনেকগুলো দেশ। থাকছে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, গুজরাত, হরিয়ানা, ইউপি, মহারাষ্ট্রের কিছু স্টল। প্রতিবার দেশি-বিদেশি বইয়ের স্টলের সংখ্যা থাকে কমবেশি এক হাজার। কিন্তু তার মধ্যে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এপার বাংলার অসংখ্য পাঠকের আবেগের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এই আবেগ কতখানি অন্তরের, বাংলাদেশের স্টলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়েই মিলত তার প্রমাণ। অথচ এবার তারা নেই, যারা টানা ২৯ বার এপার বাংলার পাঠকের মন কেড়ে নিয়েছে। 
১৯৯৬ সালে প্রথম একটি প্যাভিলিয়ন নির্ধারিত হয় বাংলাদেশের জন্য। ১৯৯৯-এ বাংলাদেশ ‘ফোকাল থিম কান্ট্রি’ হওয়ার সুবাদে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন আরও দৃঢ় হয়। বইমেলায় একটি দিন পালিত হয় ‘বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবেও। ১৯৯৯-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন প্রধান অতিথি। মেলার উদ্বোধন করেন কবি শামসুর রাহমান। তারপর থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের উজ্জ্বল উপস্থিতি কলকাতা বইমেলাকে সমৃদ্ধ করেছে। পড়শি দেশটি ফোকাল থিম কান্ট্রি নির্বাচিত হওয়ার দুর্লভ সম্মান পেয়েছে দু’বার (১৯৯৯ ও ২০২২)।
রাজনৈতিক ভাবে না-হলেও আমরা অন্তর থেকে জুড়ে আছি। ভাষা, সংস্কৃতির সেতু আমাদের সুপ্রাচীন—মায়ের নাড়ির টান যেমন! আমরা কি সেটাই ছিন্ন করতে এত ব্যগ্র হলাম ভ্রান্ত রাজনীতির চক্করে পড়ে? ২০২৪-এ কলকাতা মেলায় প্রায় ২৩ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়। নানা বয়সি কমবেশি ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী মানুষ মেলায় এসেছেন এবং কেনাকাটা করেছেন। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়েও যাবে 
হয়তো, কিন্তু অসম্পূর্ণতাও রয়ে যাবে একটি দগদগে ক্ষতের মতোই। 
বিশ্বজগৎ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে একান্ত আত্মোন্নতির সুযোগ আগেও ছিল না এবং এখনও নেই, বরং কমেছে। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির মধ্য দিয়েই বিশ্ব দেবতার অন্বেষণ সম্ভব বলে উপলব্ধি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ:
“বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো/ সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো।/ নয়কো বনে নয় বিজনে/ নয়কো আমার আপন মনে/ সবার যেথায় আপন তুমি, সেথায় আপন আমারো।” 
তাঁর আরো উপলব্ধির কথা তিনি বিশ্ববাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন এইরকম: 
“সবচেয়ে দুর্গম যে-মানুষ আপন অন্তরালে,/ তার কোনো পরিমাপ নাই বাহিরের দেশে কালে।/ যে অন্তরময়/ অন্তর মিশালে তবে তার অন্তরের পরিচয়।”
রবীন্দ্রনাথ নতুন কোন কথা বলেননি বস্তুত এটাই ভারতের অন্তরাত্মার বাণী। তবু আমরা এই উপমহাদেশের লোকজন, বিশেষত বাঙালিরা তাঁর কথা কতটা কাজে লাগিয়েছি? লাগাতে পারিনি বলেই বাংলাদেশের শ্রদ্ধেয় কবি শামসুর রাহমানকে একসময় আক্ষেপ করতে হয়েছিল: 
“বাঁধতে পারি নি কোনো সাঁকো,/ অথচ আমার আশেপাশে/
সাঁকো নেই বলে আমি মূক হয়ে থাকি,/ নিজেকেই প্রিয়-সম্ভাষণে করি প্রীত, নিজের হাতেই/ হাত রাখি। কিন্তু শুধু আয়নায় নিজের মুখ দেখে/ নিজের সঙ্গেই মেতে কথোপকথনে/ নিজেকে আদর করে চাদরে সর্বাঙ্গ ঢেকে সকল সময়/ থাকা দায়। অন্য কারো হাত/ ছোঁয়া চাই, সোনা চাই অন্য কারো স্বর—/ মানে সাঁকো থাকা চাই। ... নিপুণ বাঁধতে গিয়ে সাঁকো তবু আমি/ ব্যর্থ হয়ে যাই,/ বারবার ব্যর্থ হয়ে যাই ...” 
এই ব্যর্থতা কেন সে কি বিশদে বলার প্রয়োজন আর পড়ে?
সৌহার্দ্যের পরিবেশ, আগামীতে সমস্ত কল্পনাকে অতিক্রম করবে বলেই আমরা মনে করেছি। সেই সম্ভাবনার অঙ্কুর বিনষ্ট হয়নি। আবার আলো বাতাস জল পুষ্টি দিয়ে তাকে বাঁচাতেই হবে। আমরা প্রত্যাশায় থাকব, পরবর্তী বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের মর্যাদার প্রত্যাবর্তনই ঘটবে।
29th  January, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
একনজরে
টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...

কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

কোন সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন রাইসমিলের পাশাপাশি গোডাউনেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের ...

১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী হিংসা। তৎকালীন সময়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারে এক বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত মণ্ডলের কনভয়
বুধবার এসআরডিএ চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডলের কনভয় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। প্রাথমিকভাবে ...বিশদ

12-02-2025 - 10:58:12 PM

বিস্ফোরক বোঝাই পিকআপ ভ্যান আটক করল পুলিস
নলহাটির ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক বোঝাই পিকআপ ভ্যান ...বিশদ

12-02-2025 - 10:26:00 PM

আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্টের সন্তানদের পশ্চিমবঙ্গের তৈরি কালীঘাট পাট এবং সাঁওতাল চিত্রের জিগসও পাজেল উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

12-02-2025 - 10:22:08 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটিকে ৩-১ গোলে হারাল গোয়া

12-02-2025 - 09:32:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: মাঘী পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে প্রয়াগরাজে পুণ্যস্নান সারলেন ২ কোটি পুণ্যার্থী

12-02-2025 - 09:30:00 PM

তৃতীয় ওডিআই: প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ এবং প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ শুভমান গিল

12-02-2025 - 08:59:00 PM



Loading...