Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। দুই দেশের ক্ষমতাবানদের এই ভীমরতি দেখে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। একদা সাভারকর, হেডগেওয়ার, গোলওয়ালকররা যে মনোভাব ব্যক্ত করতেন, এখন সেই ভাষাতেই কথা বলছেন মোহন ভাগবত। এমন বেআক্কেলে কথায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াই, আবেগ, আত্মবলিদানকেও অসম্মান করা হয়। ক্ষুদিরাম, নেতাজি, ভগৎ সিং, গান্ধীজি, কানাইলাল, বিনয়, বাদল, দীনেশদের অসম্মান করার অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? তাহলে কি সত্যিই এতদিনে ঝোলা থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল? বোঝা গেল গেরুয়া বাহিনীর দেশভক্তির প্রকৃত তলটাকে? 
অথচ নেতাজিকে নিয়ে ইদানীং তাদের কত গদগদ ভাব! কত ড্রামাবাজি! নেতাজি এবং আরএসএসের সখ্য নিয়ে সম্প্রতি তারা নানা ভুয়ো ইতিহাসের অবতারণা করে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, নেতাজি তাঁদের আদর্শের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস বলছে, নেতাজির মধ্যে কোনও মৌলবাদ বা সাম্প্রদায়িক চেতনা ছিল না। তাই তিনি সাভারকর বাহিনীকে মোটেই ভালো চোখে দেখতেন না। তিনি মনে করতেন এই ধরনের শক্তি, দেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিপজ্জনক। নিজেদের দেশপ্রেমী সত্তাকে স্বচ্ছরূপে প্রকাশ করতে সেই সত্যকে আজ মুছে ফেলতে চাইছে আরএসএস, বিজেপি। কিন্তু তা মুছে ফেলা সম্ভব নয়। ইতিহাস বলছে, একদিকে ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেশভক্তি, অন্যদিকে ছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের প্রভুভক্তি। একদিকে যখন বিপ্লবীরা প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতার লড়াইয়ে নেমেছিলেন, অন্যদিকের নেতারা তখন নানাভাবে ইংরেজদের সহায়তা দানে ব্রতী হয়েছিলেন। তাঁদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। সাভারকর জেল থেকে ব্যক্তিগতভাবে মুক্তিলাভের প্রত্যাশায় ইংরেজদের ‘প্রভু’ সম্বোধন করে একের পর এক মুচলেকা পত্র লিখেছেন। এর মূল বক্তব্য ঩ছিল, আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুন, আর কোনওদিন স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করব না। বরং আপনাদের সাহায্য করব।  এদের সঙ্গে কি কখনও নেতাজির তুলনা করা চলে? 
আজ বিজেপি তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আত্মজাহিরের পথে নেমেছে। কিন্তু তাঁদের রাজনৈতিক পূর্বপুরুষদের দেশপ্রেম সম্পর্কে ভাবাবেগ ও আন্দোলনের প্রতি অনুগত্য সন্দেহাতীত ছিল না। পর পর কয়েকটি তথ্য সাজিয়ে দিলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। ১৯১৫ সালে মদনমোহন মালব্য যে হিন্দু মহাসভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার ভাবনায় ছিল ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশের হিন্দুদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা। কংগ্রেসের সঙ্গে সেই আদর্শের কোনও বিরোধ ছিল না। পরবর্তীকালে সাভারকররা বুঝেছিলেন, হিন্দু মহাসভাকে কংগ্রেসের দোসর করে রাখলে তাঁদের মূল উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না। ১৯২০ সালে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলন সারা দেশকে এক জাতীয়তাবোধের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ইংরেজরা বুঝেছিল, শুধু প্রশাসনিক শক্তির মাধ্যমে দমন পীড়ন করে এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। অন্য কৌশলও নিতে হবে। ১৯০৫ সালে তাদের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল। তাই তারা সুযোগ খুঁজছিল সাম্প্রদায়িকতার পালে হাওয়া দিতে। তার জন্য ইংরেজরা বিশেষ ব্যক্তির সন্ধানে ছিলেন। বারবার মার্সি পিটিশনের আবেদন দেখে ইংরেজরা বুঝেছিলেন, সাভারকরই সেই ব্যক্তি, যাঁকে ব্যবহার করে আন্দোলনের বিরুদ্ধাচরণ করা যায়। ১৯২৪ সালে মুক্তি পেলেন সাভারকর। পরের বছর ১৯২৫ সালে নাগপুরে আর কানপুরে সাহেবদের অনুপ্রেরণায় ও আনুগত্যে কয়েকদিনের ব্যবধানে জন্ম নিল  দু’টি সংগঠন। একটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এবং অন্যটি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া। গোপন শর্ত ছিল, নানাভাবে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধতা করে ইংরেজ শাসন ব্যবস্থাকে দৃঢ় ও সুনিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এলোমেলো হাওয়াটাকে কাজে লাগিয়ে নেতাজি যখন সেটাকে স্বাধীনতা অর্জনের কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, তখন ইংরেজদের পাশে দাঁড়িয়েছিল আরএসএস এবং কমিউনিস্ট পার্টি। আর বর্তমানে কী অবস্থা! আজ সেই বিরুদ্ধরাই নেতাজিকে নিয়ে নাচানাচি করছে, তাঁর স্তুতিগানে গগন ফাটাচ্ছে। ‘মন্দিরে তারা এসেছে ভক্ত সাজি।’
ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাহিনী গঠন করে নেতাজি যখন ইম্ফল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে সার্বিক লড়াইয়ের পথে নেমেছিলেন, তখন সাভারকর ভারতীয় হিন্দু যুবকদের সেই লড়াইকে পর্যুদস্ত করতে ইংরেজদের বাহিনীতে দলে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি তখন তাদের ‘পিপলস ওয়্যার’ পত্রিকায় একের পর এক নেতাজির অসম্মানজনক কার্টুন ছাপছে, ব্যঙ্গ ও কুৎসা করেছে। সেই ঘৃণ্য ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। অন্যদিকে কংগ্রেসও নেতাজির উত্থানকে ভালো চোখে দেখেনি। তারাও চায়নি আন্দোলনের রাশ কংগ্রেসের হাত থেকে নেতাজির হাতে চলে যাক। সুতরাং নেতাজিকে এতগুলি বিরুদ্ধ শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। তিনি বুঝেছিলেন, কোনওভাবে ভারতে ফিরলে তথাকথিত দেশপ্রেমীদের হাতে তিনি খুন হয়ে যাবেন, তাই তিনি আত্মগোপন করার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। সেই কৌশলই হয়তো ছিল সাজানো বিমান দুর্ঘটনা। এতেই বোঝা যায়, সেই মুহূর্তে ভারতের সমস্ত নেতার চেয়ে তিনি ছিলেন অনেক বেশি বুদ্ধিমান, দূরদর্শী। মেজর জেনারেল জি ডি বক্সি তাঁর ‘বোস: দ্য ইন্ডিয়ান সামুরাই— নেতাজি অ্যান্ড দ্য আইএনএ মিলিটারি অ্যাসেসমেন্ট’ বইতে লিখেছেন, ‘নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হননি। আসলে নেতাজি যাতে নিরাপদে সোভিয়েত ইউনিয়নে পৌঁছে যেতে পারেন, সেটা প্রমাণ করতেই জাপানি গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে তা প্রচার করা হয়েছিল।’
নেতাজি জানতেন, এদেশে স্বাধীনতার পথে সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্মান্ধতা। একদিকে হিন্দু মহাসভা, অন্যদিকে মুসলিম লিগ। তিনি বললেন, হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লিগের মতো সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলি আগের থেকে অনেক বেশি সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠেছে।’ তিনি আরও বললেন, ‘ধর্মের সুযোগ নিয়ে ধর্মকে কলুষিত করে হিন্দু মহাসভা রাজনীতির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে। হিন্দু মাত্রেরই তার নিন্দা করা উচিত।’ সারা জীবন তিনি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের নিন্দা করে এসেছেন। এমনকী নেতাজি তাঁর বাহিনী গঠনের সময় সমস্ত প্রথা ভেঙে দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনী গঠন করা হতো ধর্ম, জাতি ও আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে। কিন্তু নেতাজি যে বাহিনী গঠন করলেন, সেখানে সকলকে একসঙ্গে মিশিয়ে দিলেন।  তাঁদের বোঝালেন, তোমরা একে অপরের ভাই। বাহিনীতে ধর্মের পার্থক্য মুছে দিতে না পারলে কাজের ক্ষতি হবে। বাড়বে পারস্পরিক বিদ্বেষ। কিন্তু কখনওই তিনি মানুষের ধর্মীয় আবেগকে আঘাত করেননি। নিজের ধর্ম পালন করতে গিয়ে অন্য ধর্মকে আঘাত করা এক ধরনের কুশ্রী মানসিকতা, অজ্ঞতা। তাঁর নির্দেশমতো বাহিনীতে সকল ধর্মের অনুষ্ঠানে সকলে একসঙ্গে যোগদান করতেন। বাহিনীতে হিন্দুরা পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলে বলতেন, ‘রাম রাম’, মুসলিমরা বলতেন, ‘সেলাম’। নেতাজি দেখলেন, এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে  সাম্প্রদায়িকতার এক অশুভ চেতনা, যা বাহিনীর ভিতরের শক্তিকে দুর্বল করতে সক্ষম। তাই নেতাজি নির্দেশ দিলেন, একে অপরকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য ‘জয় হিন্দ’ বলবেন। 
সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন তিনি অর্থ সাহায্যের জন্য চিঠি লিখলেন চেট্টিয়ার মন্দিরের অছি পরিষদকে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন নেতাজির ভক্ত। তাই তাঁরা বললেন, নেতাজি যদি তাঁদের মন্দিরে এসে বক্তৃতা দেন, তবে তাঁরা নেতাজিকে সাহায্য করবেন। নেতাজি তাঁদের জানালেন, চেট্টিয়ার মন্দিরে হিন্দু ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের প্রবেশাধিকার নেই বলেই তিনি জানেন। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ যদি ধর্মনির্বিশেষে তাঁর বাহিনীর সব অফিসারকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেয়, তবে তিনি যেতে রাজি। মন্দির কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে রাজি না হলে তিনি যাবেন না, এমনকী টাকাও তিনি চান না। এরপর মন্দির কমিটি নেতাজির দাবি মেনে নিলেন। নেতাজি তাঁর বাহিনীর সমস্ত হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান অফিসারকে নিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত চলে যান। সকলে কপালে তিলক কাটলেন, প্রসাদ খেলেন। নেতাজি সকলকে এভাবেই ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ দিয়েছিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, মন্দিরে ঢোকায় যেমন হিন্দুত্ব খতরে মে পড়ে যায় না, তেমনই কোনও ধর্মই খাটো হয়ে যায় না। এখানেই ধর্মের উদারতা। এই শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন স্বামীজির আদর্শ থেকে। বুঝেছিলেন, রাজনীতির কবল থেকে ধর্মকে মুক্ত করতে পারলে তার শুচিতা বাড়ে। নেতাজির এই শিক্ষা আমরা ভুলতে  বসেছি। তার মূলেও আছে রাজনীতি। তাই সবসময় প্রয়োজন রাজনীতি বিমুক্ত ধর্ম। রাজনীতি বিমুক্ত হলেই ধর্ম কল্যাণকামী ও মানবিক হয়ে ওঠে।  
আজ দেশের এই বিপন্ন সময়ে নেতাজির আদর্শই পরম মহৌষধি। মনে রাখা দরকার, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মৌলবাদের দাঁত যত বেশি ধারালো হবে, ততই এদেশে বাড়বে হিন্দু মৌলবাদের শক্তি। দু’টোই আধুলির এপিঠ আর ওপিঠ। দুই শক্তিই দুই দেশে সাধারণ মানুষের জীবনে অশনিসংকেত ডেকে আনছে। ভাত দেওয়ার সরকার যখন তার কাজে ব্যর্থ হয়, তখনই সে ধর্মীয় উস্কানি ছড়ানোর গোঁসাই হয়ে ওঠে। এটাই সত্য শাশ্বত।
22nd  January, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
একনজরে
জয়ে ফিরল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তৃতীয় সারির দল লেটন ওরিয়েন্ট এফসি’কে ২-১ গোলে হারাল তারা। শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের ডেরায় দল জিতলেও ছেলেদের ...

পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) নেত্রী তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। শনিবার মেহবুবার মেয়ে ইলতিজা মুফতি এমনই দাবি করেছেন। ইলতিজা জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে তাঁকেও গৃহবন্দি করা হয়েছে।  ...

বইমেলায় সভা চলছে। মাইক থেকে ভেসে আসছে কবি-সাহিত্যিকদের সাবধানবাণী, ‘প্রেম কিন্তু কখনওই নিরাপদ নয়। কখন যে প্রেমিক-প্রেমিকা অন্য কারও হয়ে যাবে, বলা মুশকিল।’ ...

কলেজের জমি জলের দরে বিক্রির ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চেয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিচ্ছে এগরা কলেজ পরিচালন কমিটি। শনিবার ওই কমিটি জরুরিভিত্তিতে মিটিংয়ে বসে। সকাল ১১টা ১৫মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মিটিং হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উত্তম ধনোযোগ পরিলক্ষিত হয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে দিনটি ভালো বলা যায়। কাজকর্মে শুভফল লাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭- ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লর্ড ক্লাইভ ও বাংলার নবাব সিরাজদৌল্লার মধ্যে আলিনগর সন্ধি হয় এবং বৃটিশরা কলকাতার দখল নেয়
১৮৪৩- মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন
১৮৪৭- বিশিষ্ট আইনজ্ঞ অধ্যাপক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি রেজিস্ট্রার কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৯- বাংলার গুপ্ত সমিতির বিপ্লবী নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধ চন্দ্র বসু মল্লিক বা রাজা সুবোধ মল্লিকের জন্ম
১৮৯৫- উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন
১৮৯৭- ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি জাকির হুসেনের জন্ম
১৯০০- ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়
১৯০৯- বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২২- ইংরেজ ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার জিম লেকারের জন্ম
১৯৫৮- বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের জন্ম
১৯৬৫- ভারতে প্রথম ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ রফিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
১৯৬৮- বলিউড অভিনেতা রাহুল রায়ের জন্ম
১৯৭০- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯- সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় তথা বনফুলের মৃত্যু
১৯৯৪- নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী ৩২/৫৫ রাত্রি ৭/২৬। আর্দ্রা নক্ষত্র ২৯/৩ সন্ধ্যা ৫/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৬/৫, সূর্যাস্ত ৫/২৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৩ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী রাত্রি ৮/৬। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫২। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৫/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ গতে ৯/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৬ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১২/১৩ গতে ৩/৩১ মধ্যে।
১০ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজস্থানের কোটায় একটি জনসভায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা

04:59:00 PM

তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিতে গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি নিনালা জয়াসূর্য

04:49:00 PM

দ্বিতীয় ওডিআই: ৬ রানে আউট জ্যামি ওভারটন, ইংল্যান্ড ২৫৮/৬ (৪৫ ওভার)

04:47:00 PM

বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে আকসাই চীন ও অরুণাচল প্রদেশের উপর দেওয়া তথ্য নিয়ে ক্ষুব্ধ বেজিং
বাংলাদেশের দুটি পাঠ্যবইয়ে আকসাই চীন ও অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ ...বিশদ

04:39:11 PM

দ্বিতীয় ওডিআই: ৬৯ রানে আউট জো রুট, ইংল্যান্ড ২৪৮/৫ (৪২.৩ ওভার)

04:38:00 PM

দ্বিতীয় ওডিআই: ৩৪ রানে আউট জস বাটলার, ইংল্যান্ড ২১৯/৪ (৩৮.৪ ওভার)

04:19:00 PM