Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না। অতীতে পুঁজিবাদ থেকে স্বজনপ্রীতি (ক্যাপিটালিজম টু ক্রোনিইজম), উদারীকরণ থেকে জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্য (লিবারালিজম টু মার্কেনটাইলিজম), প্রতিযোগিতা থেকে অলিগোপলি (কম্পিটিশন টু অলিগোপলিজম), রেউড়ি কটাক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য এবং আইনত বাধ্যতামূলক 
এমএসপির (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) বিরোধিতায় কিষান সম্মানের ‘সুইং’ হতে দেখেছি আমরা। বর্তমান সমস্যাগুলির মোকাবিলার জন্য ২০২৫-২৬ বাজেট যথেষ্ট হবে কি না, সেটাই এখন দেখার।
দেশের নানা জায়গায় ভ্রমণ করার সময় বিভিন্ন 
স্তরের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে সমৃদ্ধির কিছু প্রমাণ অবশ্যই পাই। ১৯৫০-১৯৮০ সালের সঙ্গে তুলনা করলে, গত তিন দশকের প্রতিটিতেই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন 
প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। কারণ উদারীকরণ অসংখ্য মানুষের সামনে পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি এনে দিয়েছে সেগুলি কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ। তার ফলে ভারতে কোনও সরকার না-থাকলেও এই গতিপথে দেশের অর্থনীতি বছরে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারত! সরকারগুলির নীতি এবং কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হয় বৃদ্ধির হার—তা ‘ভালো’ অথবা ‘খারাপ’ হয়।
বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী
বর্তমান পরিস্থিতির এটাই বাস্তব যে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে হাঁপাচ্ছি আমরা এবং একইসঙ্গে অহঙ্কার করছি যে, ভারত পৃথিবীর দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি—এটা সত্যও বটে। অন্যান্য বৃহৎ অর্থনীতিগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীর গতিতে। যেমন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২.৭ শতাংশ এবং চীন ৪.৯ শতাংশ। তবে, আমরা মনে রাখি না যে গতবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপিতে (বর্তমান মূল্যে) ৭৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে অর্থনীতি বা জিডিপিতে ৮৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ হয়েছে প্রতিবেশী চীনের ক্ষেত্রে! অথচ ওই সময়কালে দ্রুত বৃদ্ধির হার ভারতের জিডিপিতে যোগ করেছে মাত্র ২৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায়)। আরও পরিতাপের বিষয় হল, তার জন্য ২০২৪ সালে চীন ও ভারতের আর্থিক সমৃদ্ধির মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে। এই ছবিটা আমাদের জন্য এই শিক্ষাই রেখে দেয় যে, ভারতীয় অর্থনীতিকে বৃদ্ধি পেতে হবে দ্রুত হারে এবং ধারাবাহিকভাবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো দুই বৃহৎ অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই ভারতের এই সমৃদ্ধি জরুরি।
বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। কারণ বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তিগুলি হল—ভোগ, সরকারি বিনিয়োগ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ। এগুলির ভিতরে বেসরকারি ভোগ হ্রাসের ব্যাপারটা চোখেও পড়ছে। জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম অংশকে নিয়ে যে অত্যন্ত ধনিক শ্রেণি, তাদের ‘অশ্লীল’ রকমের ভোগ বা কেনাকাটা অর্থনীতির ক্রমোন্নতি সম্পর্কে বিভ্রম ছড়াচ্ছে।  জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত। এর নীচে রয়েছে দরিদ্র শ্রেণির ৬৯ শতাংশ মানুষ। এই দুই শ্রেণির মানুষ তাদের ভোগ বা কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। কম গিয়েছে বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যয়। ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলে এটা বেশ স্পষ্ট। পূর্ববর্তী তিনটি ত্রৈমাসিকে স্থির মূল্যে ব্যক্তিগত চূড়ান্ত ভোগ ব্যয়ের (পিএফসিই) পরিমাণ—২২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, ২৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা এবং ২৪ লক্ষ ৮২ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। সরকারি চূড়ান্ত ভোগ ব্যয়ের (জিএফসিই) ছবিটাও তেমন ভালো নয়। উপর্যুক্ত তিনটি ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ—৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা, ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা এবং ৪ লক্ষ ৬৯৮ কোটি টাকা। 
ভোগ ও বিনিয়োগ
ভোগ বা কেনাকাটার বহর কমে যাওয়ার প্রধান কারণ দুটি: (১) মুদ্রাস্ফীতি, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে। (২) মজুরির নিম্ন হার এবং তা প্রায় থমকে রয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ছ’বছরে পুরুষ কৃষি শ্রমিকদের দৈনিক প্রকৃত মজুরি ১৩৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে মাত্র ১৫৮ টাকা। একই মজুরি মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ টাকা কম! পুরুষ নির্মাণ শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১৭৬ টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ টাকা হয়েছে। সেটা মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৫ টাকা কম! লক্ষ লক্ষ মানুষ যে জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করছেন, দৈনিক মজুরির এই করুণ ছবিটা আমাদের সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।
গত দশ বছরে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বা সরকারি বিনিয়োগ জিডিপির (বর্তমান মূল্যে) ৬.৭ থেকে ৭.০ শতাংশের মধ্যে আটকে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগগুলির মূলধনী ব্যয় জিডিপির (২০১৯-২০) ৪.৭ শতাংশ থেকে ৩.৮ শতাংশে (২০২৩-২৪) নেমে এসেছে। বেসরকারি বিনিয়োগ রয়ে গিয়েছে জিডিপির ২১ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যে। সংখ্যাগুলি দিয়ে একটি গ্রাফ আঁকলে সেটি প্রায় সরলরেখার চেহারা নেবে। 
মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও বিভিন্ন কর
মুদ্রাস্ফীতি হল একটি মাইল ফলক। ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গড়ে ৬.১৮ শতাংশ। 
স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণের ব্যয়ভার বছরে ১৪ শতাংশ হারে বেড়ে গিয়েছে। শিক্ষায় মুদ্রাস্ফীতির হার ১১ শতাংশের 
মতো। সিএমআইই’র হিসেবে, গত ডিসেম্বরে বেকারত্বের সর্বভারতীয় হার ছিল ৮.১ শতাংশ। বয়স, শিক্ষা বা 
লিঙ্গ অনুসারে সংখ্যাটিকে ভাঙলে যে ছবি ফুটে উঠবে তা আরও হতাশাজনক।
বাজেট-পূর্ব বিতর্কে নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি সরব আয়করদাতাদের স্বস্তির ব্যাপার নিয়ে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৮ কোটি ৯ লক্ষ ৩ হাজার ৩১৫ জন নাগরিক বা জনসংখ্যার ৬.৬৮ শতাংশ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। তাঁদের মধ্যে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ ছিল ‘শূন্য কর’ বা জিরো ট্যাক্স রিটার্ন! করদাতাদের জন্য স্বস্তির মতোই দিনমজুর বা ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ নাগরিকদের আয়-উন্নতির ব্যাপারটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী অন্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে—পীড়নমূলক কর কাঠামো, বিশেষ করে জিএসটি আদায়ের জটিল ব্যবস্থা। এর জন্য গরিবসহ সকল মানুষকেই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। 
সরকার কর্পোরেট-পন্থী এবং ক্রোনি-পন্থী হয়ে 
ওঠার তকমা পেয়েছে। যে কর্পোরেট মুনাফার পরিমাণ ২০২২-২৩ সালে ছিল ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা, সেটি মাত্র একবছরে বা ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে ১৪ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে! তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি দু’বছরে বিভিন্ন কর্পোরেটের যে বিপুল পরিমাণ ঋণ মকুব (রাইট অফ) করেছে সেই অঙ্কটি যথাক্রমে—২ লক্ষ ৯ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা এবং ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
সম্পদ ও সমৃদ্ধি লুকিয়ে যে দুটি জিনিসের মধ্যে তা হল—রাজকোষ ঘাটতি (ফিসকাল ডেফিসিট) এবং রাজস্ব ঘাটতি (রেভিনিউ ডেফিসিট)।
সরকার এই সমস্যাগুলির মোকাবিলা কীভাবে করে, দেশবাসী তা দেখছেন। অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর উপদেষ্টাদের 
কাছে এই সমস্যাবলির সমাধান থাকতে পারে। তবে দিল্লিতে ‘ওয়ার্স্ট কেপ্ট সিক্রেট’ এটাই যে, অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব 
দিতেই পারেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হলেন সেই কর্তা যিনি তা খারিজ করে দেবেন! 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
26th  January, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
একনজরে
‘আসছে বছর আবার হবে।’ গত কয়েক মরশুম ধরে এটাই ইস্ট বেঙ্গলের ক্যাচলাইন। চলতি আইএসএলও তার ব্যতিক্রম নয়। আপশোস, হতাশা, ক্ষোভ মিলেমিশে একাকার। লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার ...

বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে নিকেষ করতে সুপারি নেওয়া বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী পাপ্পু চৌধুরি ওরফে গৌরব কুমার এই রাজ্যের বর্ধমান সেন্ট্রাল জেল থেকে পলাতক অভিযুক্ত। ...

সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন বলিউডের দুই প্রযোজক। শুক্রবার রাতে এমনই অভিযোগে পুলিসের দ্বারস্থ হলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের কন্যা আরুশি নিশঙ্ক। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে খারিজ করেছেন দুই অভিযুক্ত প্রযোজক।  ...

আজ, সোমবার রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এবছর বীরভূম জেলায় ৪৩হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে। তবে নজর কেড়েছে ছাত্রীদের সংখ্যা। ছাত্রদের পিছনে ফেলে জেলার ছাত্রীরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতি লাভের যোগ। ব্যবসা ভালো হবে। হস্তশিল্পীদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৮৭ : নিখিল ভারত নারীশিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাত্রী শ্যামমোহিনী দেবীর জন্ম
১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী উইলিয়াম রন্টগেনের মৃত্যু
১৯৪২: অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের মৃত্যু  
১৯৯৬: আইবিএম সুপার কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো দাবা খেলায় গ্যারী কাসপারভকে পরাজিত করে
২০১৬: চলচ্চিত্র পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
09th  February, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ রাত্রি ৬/৫৮। পুনর্বসু নক্ষত্র ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/১। সূর্যোদয় ৬/১৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১২ গতে ৪/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী রাত্রি ৭/১৮। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৮ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ২/৩৯ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫২ মধ্যে।
১১ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মৈপীঠে বাঘবন্দি করতে দুটি খাঁচা পাতছে বন দপ্তর

06:09:00 PM

পুণ্যস্নান সেরে প্রয়াগরাজ থেকে বেরিয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

05:59:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের শোনমার্গে ফের নতুন করে তুষারপাত, বরফের চাদরে মুড়ল গোটা এলাকা

05:52:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারপাত

05:33:34 PM

হলদিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, আতঙ্ক
একটি যাত্রীবাহী বাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল ...বিশদ

05:33:00 PM

জিডিপি মানে ‘জি’ অর্থে গরিব, ‘ডি’ অর্থে দেশভক্তি ও ‘পি’ অর্থে প্রগতি, সংসদে বাজেটের প্রশংসা করতে গিয়ে জানালেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর

05:17:00 PM