Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না। অতীতে পুঁজিবাদ থেকে স্বজনপ্রীতি (ক্যাপিটালিজম টু ক্রোনিইজম), উদারীকরণ থেকে জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্য (লিবারালিজম টু মার্কেনটাইলিজম), প্রতিযোগিতা থেকে অলিগোপলি (কম্পিটিশন টু অলিগোপলিজম), রেউড়ি কটাক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য এবং আইনত বাধ্যতামূলক 
এমএসপির (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) বিরোধিতায় কিষান সম্মানের ‘সুইং’ হতে দেখেছি আমরা। বর্তমান সমস্যাগুলির মোকাবিলার জন্য ২০২৫-২৬ বাজেট যথেষ্ট হবে কি না, সেটাই এখন দেখার।
দেশের নানা জায়গায় ভ্রমণ করার সময় বিভিন্ন 
স্তরের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে সমৃদ্ধির কিছু প্রমাণ অবশ্যই পাই। ১৯৫০-১৯৮০ সালের সঙ্গে তুলনা করলে, গত তিন দশকের প্রতিটিতেই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন 
প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। কারণ উদারীকরণ অসংখ্য মানুষের সামনে পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি এনে দিয়েছে সেগুলি কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ। তার ফলে ভারতে কোনও সরকার না-থাকলেও এই গতিপথে দেশের অর্থনীতি বছরে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারত! সরকারগুলির নীতি এবং কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হয় বৃদ্ধির হার—তা ‘ভালো’ অথবা ‘খারাপ’ হয়।
বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী
বর্তমান পরিস্থিতির এটাই বাস্তব যে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে হাঁপাচ্ছি আমরা এবং একইসঙ্গে অহঙ্কার করছি যে, ভারত পৃথিবীর দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতি—এটা সত্যও বটে। অন্যান্য বৃহৎ অর্থনীতিগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীর গতিতে। যেমন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২.৭ শতাংশ এবং চীন ৪.৯ শতাংশ। তবে, আমরা মনে রাখি না যে গতবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপিতে (বর্তমান মূল্যে) ৭৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে অর্থনীতি বা জিডিপিতে ৮৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ হয়েছে প্রতিবেশী চীনের ক্ষেত্রে! অথচ ওই সময়কালে দ্রুত বৃদ্ধির হার ভারতের জিডিপিতে যোগ করেছে মাত্র ২৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায়)। আরও পরিতাপের বিষয় হল, তার জন্য ২০২৪ সালে চীন ও ভারতের আর্থিক সমৃদ্ধির মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে। এই ছবিটা আমাদের জন্য এই শিক্ষাই রেখে দেয় যে, ভারতীয় অর্থনীতিকে বৃদ্ধি পেতে হবে দ্রুত হারে এবং ধারাবাহিকভাবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো দুই বৃহৎ অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই ভারতের এই সমৃদ্ধি জরুরি।
বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। কারণ বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তিগুলি হল—ভোগ, সরকারি বিনিয়োগ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ। এগুলির ভিতরে বেসরকারি ভোগ হ্রাসের ব্যাপারটা চোখেও পড়ছে। জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম অংশকে নিয়ে যে অত্যন্ত ধনিক শ্রেণি, তাদের ‘অশ্লীল’ রকমের ভোগ বা কেনাকাটা অর্থনীতির ক্রমোন্নতি সম্পর্কে বিভ্রম ছড়াচ্ছে।  জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত। এর নীচে রয়েছে দরিদ্র শ্রেণির ৬৯ শতাংশ মানুষ। এই দুই শ্রেণির মানুষ তাদের ভোগ বা কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। কম গিয়েছে বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যয়। ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলে এটা বেশ স্পষ্ট। পূর্ববর্তী তিনটি ত্রৈমাসিকে স্থির মূল্যে ব্যক্তিগত চূড়ান্ত ভোগ ব্যয়ের (পিএফসিই) পরিমাণ—২২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, ২৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা এবং ২৪ লক্ষ ৮২ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। সরকারি চূড়ান্ত ভোগ ব্যয়ের (জিএফসিই) ছবিটাও তেমন ভালো নয়। উপর্যুক্ত তিনটি ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ—৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা, ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা এবং ৪ লক্ষ ৬৯৮ কোটি টাকা। 
ভোগ ও বিনিয়োগ
ভোগ বা কেনাকাটার বহর কমে যাওয়ার প্রধান কারণ দুটি: (১) মুদ্রাস্ফীতি, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে। (২) মজুরির নিম্ন হার এবং তা প্রায় থমকে রয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ছ’বছরে পুরুষ কৃষি শ্রমিকদের দৈনিক প্রকৃত মজুরি ১৩৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে মাত্র ১৫৮ টাকা। একই মজুরি মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ টাকা কম! পুরুষ নির্মাণ শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১৭৬ টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ টাকা হয়েছে। সেটা মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৫ টাকা কম! লক্ষ লক্ষ মানুষ যে জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করছেন, দৈনিক মজুরির এই করুণ ছবিটা আমাদের সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।
গত দশ বছরে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বা সরকারি বিনিয়োগ জিডিপির (বর্তমান মূল্যে) ৬.৭ থেকে ৭.০ শতাংশের মধ্যে আটকে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগগুলির মূলধনী ব্যয় জিডিপির (২০১৯-২০) ৪.৭ শতাংশ থেকে ৩.৮ শতাংশে (২০২৩-২৪) নেমে এসেছে। বেসরকারি বিনিয়োগ রয়ে গিয়েছে জিডিপির ২১ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যে। সংখ্যাগুলি দিয়ে একটি গ্রাফ আঁকলে সেটি প্রায় সরলরেখার চেহারা নেবে। 
মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও বিভিন্ন কর
মুদ্রাস্ফীতি হল একটি মাইল ফলক। ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গড়ে ৬.১৮ শতাংশ। 
স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণের ব্যয়ভার বছরে ১৪ শতাংশ হারে বেড়ে গিয়েছে। শিক্ষায় মুদ্রাস্ফীতির হার ১১ শতাংশের 
মতো। সিএমআইই’র হিসেবে, গত ডিসেম্বরে বেকারত্বের সর্বভারতীয় হার ছিল ৮.১ শতাংশ। বয়স, শিক্ষা বা 
লিঙ্গ অনুসারে সংখ্যাটিকে ভাঙলে যে ছবি ফুটে উঠবে তা আরও হতাশাজনক।
বাজেট-পূর্ব বিতর্কে নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি সরব আয়করদাতাদের স্বস্তির ব্যাপার নিয়ে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৮ কোটি ৯ লক্ষ ৩ হাজার ৩১৫ জন নাগরিক বা জনসংখ্যার ৬.৬৮ শতাংশ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। তাঁদের মধ্যে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ ছিল ‘শূন্য কর’ বা জিরো ট্যাক্স রিটার্ন! করদাতাদের জন্য স্বস্তির মতোই দিনমজুর বা ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ নাগরিকদের আয়-উন্নতির ব্যাপারটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী অন্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে—পীড়নমূলক কর কাঠামো, বিশেষ করে জিএসটি আদায়ের জটিল ব্যবস্থা। এর জন্য গরিবসহ সকল মানুষকেই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। 
সরকার কর্পোরেট-পন্থী এবং ক্রোনি-পন্থী হয়ে 
ওঠার তকমা পেয়েছে। যে কর্পোরেট মুনাফার পরিমাণ ২০২২-২৩ সালে ছিল ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা, সেটি মাত্র একবছরে বা ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে ১৪ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে! তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি দু’বছরে বিভিন্ন কর্পোরেটের যে বিপুল পরিমাণ ঋণ মকুব (রাইট অফ) করেছে সেই অঙ্কটি যথাক্রমে—২ লক্ষ ৯ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা এবং ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
সম্পদ ও সমৃদ্ধি লুকিয়ে যে দুটি জিনিসের মধ্যে তা হল—রাজকোষ ঘাটতি (ফিসকাল ডেফিসিট) এবং রাজস্ব ঘাটতি (রেভিনিউ ডেফিসিট)।
সরকার এই সমস্যাগুলির মোকাবিলা কীভাবে করে, দেশবাসী তা দেখছেন। অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর উপদেষ্টাদের 
কাছে এই সমস্যাবলির সমাধান থাকতে পারে। তবে দিল্লিতে ‘ওয়ার্স্ট কেপ্ট সিক্রেট’ এটাই যে, অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব 
দিতেই পারেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হলেন সেই কর্তা যিনি তা খারিজ করে দেবেন! 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
26th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
একনজরে
দেড় মাস ধরে চলা পূর্ণকুম্ভ উপলক্ষ্যে প্রয়াগরাজে আসবেন প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ। ছোট একটা জায়গায় এত মানুষের ভিড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ...

যশপ্রীত বুমরাহর মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক। সেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পর আইসিসি’র বর্ষসেরাও হলেন ভারতের তারকা পেসার। ২০২৪ সালে তিন ফরম্যাটেই দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য স্যার ...

এবার আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষকে বলতে শোনা যায়, ‘ইডি ...

পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দিল স্ত্রী। অটোচালক স্বামী রবিবার দুপুরে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঘুমিয়েছিলেন। সেসময় স্ত্রী খুর দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপোখরের ধরমপুর ২ পঞ্চায়েতের পূর্ব চারাকুট্টি এলাকায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯৫- শেকসপিয়ারের ‘রোমিও ও জুলিয়েট’ প্রথম মঞ্চস্থ হয় বলে ধারণা করা হয়
১৬১৩- গ্যালিলিও প্রথম নেপচুন গ্রহের সন্ধান পান
১৮৭০- বেঙ্গল গেজেট প্রথম কলকাতায় প্রকাশিত হয়
১৮৯৬- ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের জন্ম
১৯৬৬- ব্রাজিলের ফুটবলার রোমারিওর জন্ম
১৯৭০- ওলিম্পিকে রুপোজয়ী শ্যুটার রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের জন্ম
১৯৭৬- সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর মৃত্যু
২০০৬- প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করলেন ইরফান পাঠান



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৬৮ টাকা ৮৭.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮৯ টাকা ১০৯.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৬৬ টাকা ৯২.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫/০ দিবা ৮/২১। সূর্যোদয় ৬/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১৫ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা রাত্রি ৬/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/৮। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৩/৭ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৭ গতে ৪/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পার্ক স্ট্রিটে লুটের ঘটনায় গ্রেফতার দুই

11:20:00 PM

ইসলামপুরে নকল ৫০০ টাকার নোট সহ গ্রেপ্তার যুবক

11:03:00 PM

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি

10:19:00 PM

দিল্লিতে একটি গাড়ি থেকে প্রচুর টাকা এবং মাদক বাজেয়াপ্ত করল পুলিস

10:05:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৪- ১ গোলে হারাল নর্থ ইস্ট

09:32:00 PM

কেজরিওয়াল ১০ বছর আগে যমুনা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন: বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর

09:25:00 PM