Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই। মিঃ এন আর নারায়ণমূর্তি (এনআরএন) এবং মিঃ এস এন সুব্রহ্মণ্যনের (এসএনএস) মতো ব্যক্তিত্বগণ আছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। বিশ্বে তাঁদের যথাযোগ্য স্থান তাঁরা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কর্মজীবনে, তাঁদের মনের কথা ব্যক্ত করার মানকে উন্নত করেছেন তাঁরা। লোকজন এনআরএন এবং এসএনএস-এর কথা শোনে, এবং প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করে—কেউ কেউ তা করে আক্রমণাত্মকভাবেও!
ভিন্ন বিশ্ব দৃষ্টিকোণ
এনআরএন এবং এসএনএস উভয়েই তাঁদের সম্পদ উত্তরাধিকারসূত্রে পাননি। তাঁরা কোনও সংস্থার কর্মচারী কিংবা শিল্প-কারখানার শ্রমিকও নন যে বেতন বা মজুরি পান। তাঁরা শিক্ষিত-যোগ্য পেশাদার এবং সামান্য ইঞ্জিনিয়ার থেকে হয়ে উঠেছেন প্রথম প্রজন্মের শিল্পোদ্যোগী। তাই, নিজ নিজ সংস্থার অর্জিত মুনাফায় তাঁদের ভাগ প্রাপ্য হয়। স্বভাবতই তাঁদের ‘ওয়ার্ল্ড ভিউ’ বা বিশ্ব দৃষ্টিকোণের সঙ্গে ‘উত্তরাধিকারী’ এবং ‘কর্মচারীদের’ দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক। ফলত, কর্মজীবনের ভারসাম্য সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন।
উত্তরাধিকারী হিসেবে যাঁরা ভাগ্যবান তাঁদের নীচ থেকে কাজ করে উপরে উঠতে হয় না। তাঁরা জানেন, এবং শিল্প-ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অন্য সকলেও জানেন যে উত্তরাধিকারীরা একদিন শীর্ষেই পৌঁছবেন। আমার উদ্বেগ এইখানে যে, ডজন খানেক পুরনো পরিবারকে বাদ দিলে বেশিরভাগ উত্তরাধিকারী তাঁদের পারিবারিক শিল্প-ব্যবসায় বাড়তি কোনও মূল্য যোগ করেননি বা সৃষ্টি করেননি নতুন সম্পদ।
দুর্ভাগ্যবশত, বরং কেউ কেউ তাঁদের পারিবারিক ব্যবসার কিছু সুনাম এবং সম্পদ ধ্বংসই করেছেন। ১৯৯১ সালের আগের এবং আজকের, ভারতের শীর্ষ ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তালিকার তুলনা করা যেতে পারে। প্রথম প্রজন্মের উদ্যোগীরা আরও বেশি সম্পদ সৃষ্টি করেছেন। শ্রমিক এবং কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বলা যায়, তাঁরা যে মজুরি বা বেতন (এবং তার নিয়মমাফিক বৃদ্ধি) পান তাতে তাঁদের বেশিরভাগই সন্তুষ্ট। বর্তমান অবস্থা থেকে উপরে ওঠার জন্য তাঁদের না-আছে দক্ষতা এবং না-আছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আমি লক্ষ্য করেছি যে, মোটামুটিভাবে উত্তরাধিকারীদের মতো ভাগ্যবান ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক-কর্মচারীরাই, সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করা উচিত, এই প্রশ্নে এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
নিয়ম স্বাভাবিক নয়
সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন এনআরএন। অন্যদিকে, এসএনএস নাকি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার জন্য বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, তাঁরা যা বলেছেন তা তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্মানজনক কিছু নয়। এনআরএন বলেছেন, “বিশ্বের মধ্যে যেসব দেশের ওয়ার্ক প্রোডাক্টিভিটি বা কর্মদক্ষতা সবচেয়ে কম, সেগুলিরই একটি হল ভারত... তাই, আমার অনুরোধ, আমাদের তরুণদের বলতে হবে, ‘এটা আমার দেশ, আমি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে চাই’।’’ এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হলেও তিনি পিছু হটতে রাজি নন বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে, একটি তারিখবিহীন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এসএনএস বলেছেন, “সত্যি বলতে কী, আমার দুঃখ এই যে, আমি রবিবার আপনাদের কাজে লাগাতে পারছি না। আমি রবিবারে কাজ করি। রবিবার আপনাদেরকেও কাজে লাগাতে পারলে খুশি হব।”
শিল্প শ্রমিকদের জন্য প্রতিটি ৮ ঘণ্টার দিন প্রথম আইনে পরিণত হয় ১৯১৮ সালে জার্মানিতে। তারপর থেকে ‘৮ ঘণ্টা শ্রম, ৮ ঘণ্টা বিনোদন এবং ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম’ একটি সর্বজনীন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ৮-৮-৮ এর মধ্যে একটি সুন্দর ছন্দ আছে। তবে আমি এমন কাউকে জানি না, যিনি ‘বিনোদনে’র  জন্য দিনে ৮ ঘণ্টা ব্যয় করেন। আমার মনে হয়, এই ‘বিনোদন’ কথাটির মধ্যে স্নান-খাওয়া, ব্যায়াম, খেলাধুলো, সিনেমা দেখা, খবরের কাগজ ও বই পড়া, হাটবাজার করা, আড্ডা দেওয়া, গল্প করা প্রভৃতি সবই ধরা রয়েছে। ব্যাপারটাকে আপনি এইভাবে দেখলে ‘বিনোদনের’ জন্য ৮ ঘণ্টা যথেষ্ট বলে মনে হয় না!
বেশিরভাগ শিল্প শ্রমিক একই কাজ বারবার করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নতুন কিছু শিক্ষা করেন এবং জটিল কাজ উতরনোর জন্য তৈরি করে তোলেন নিজেদেরকে। ‘ডেস্ক জব’-এর প্রচলন বেশি হওয়ার পর নিয়োগকর্তারা ৮-৮-৮ নিয়মটি কপি বা অনুকরণ করেন। বেশিরভাগ ডেস্ক কর্মীর কাজও একঘেয়ে। অতএব, আমি একমত যে বেশিরভাগ শ্রমিক বা কর্মীর জন্য ৮-৮-৮ নিয়মটি গ্রহণ করা যুক্তিসঙ্গত। অটোমেশন, রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই নিয়মটি পাল্টে ‘সামান্য কয়েক’ ঘণ্টার কাজের দিকে যেতে পারে। তাঁদের দীর্ঘতর সময় ধরে কাজ করার কোনও প্রয়োজন নেই, বরং ‘আরও উৎপাদনশীল’ হয়ে ওঠার জন্য তাঁদের প্রয়োজন উপযুক্ত সরঞ্জাম, প্রযুক্তি এবং সিস্টেমের। আমার ধারণা, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের লক্ষ্য এই ধরনের শ্রমিক এবং কর্মীরা নন। 
উল্টো দিকে, কৃষকরা, বিশেষ করে স্বনিযুক্ত কৃষকরা তাঁদের কাজের জন্য ৮-৮-৮ নিয়ম ফলো করেন না। খামারের কাজে, প্রথম ৮ ঘণ্টা সম্ভবত ১০ বা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। একইভাবে, ডাক্তার, আইনজীবী, বিচারক, স্থপতি, বিজ্ঞানী, অভিনেতা প্রভৃতি পেশাদাররা দিনে মাত্র ৮ ঘণ্টা কাজ করে ক্ষান্ত দেন না। আমি এমন পেশাদারদেরও চিনি, যাঁদের দৈনিক কাজের সময়কাল ১২ ঘণ্টার মতো দীর্ঘ এবং শনিবার তো বটেই অনেক ক্ষেত্রে তা পেরিয়ে রবিবারটিও তার মধ্যে জুড়ে যায়। খুব কম সফল পেশাদারই, স্বেচ্ছায় গৃহীত দীর্ঘ কাজের সময় সম্পর্কে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। অতএব, তথাকথিত নিয়মটি সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে অভিন্নভাবে প্রযোজ্য বলে ধরে নেওয়ার কোনও বিষয় নয়।
নিজের জন্য আবিষ্কার করুন
আমি দিনের মধ্যে দীর্ঘসময় কাজ করার ব্যাপারটা উপভোগই করি। তবে আমার দিক থেকে ‘কাজ’-এর সংজ্ঞার মধ্যে রয়েছে আইন প্র্যাকটিস, সংসদীয় কাজকর্ম, নিজস্ব পড়া ও লেখা, সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, ভাষণদান, পছন্দের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রভৃতি। ঘুমনোর বাইরের প্রতিটি ঘণ্টাকেই আমি ‘কাজের সময়’ বলে বিবেচনা করি। কর্মজীবনের ভারসাম্য এমন একটি জিনিস যা ‘প্রতিটি’ ব্যক্তি মানুষকে নিজের জন্য ‘আবিষ্কার’ করতে হয় এবং খুশি যে, আমি আমার প্রয়োজনের জিনিসটি আবিষ্কার করেছি।
এনআরএন এবং এসএনএস ভীষণভাবে 
সফল এবং তাঁরা শীর্ষেই পৌঁছেছেন। তাই আমি মনে করি, ভারতীয়দের ‘দীর্ঘ’ সময় কাজের কথা বলার পক্ষে যোগ্য ব্যক্তি তাঁরা। কিছু ট্রোল এবং মিম 
থেকে যে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সেসব আর্থিকভাবে পুরস্কৃত হওয়ার মতো কোনও বিষয় বলে আমি মনে করি না। আমি এমন অনেক পুরুষ ও নারীকে চিনি, যাঁরা ব্যক্তিগত বিপুল আয় বা সম্পদের ভারে বেসামাল হয়ে যাননি। তাঁরা বরং সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই করেন, সেইমতো সাধারণ খাবার খান, 
মদ্যপান করেন না, জাঁকালো নয় সুন্দর ছিমছাম পোশাক পরেন। তাঁরা যথেষ্ট বিনয়ী এবং দয়ালুও বটেন। আমি বিশ্বাস করি, এনআরএন এবং এসএনএস উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ প্রজন্মকে এই শিক্ষা গ্রহণের জন্যই উৎসাহিত করেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদনশীল কাজই একটি উন্নয়নশীল দেশকে সত্যিকার অর্থে ধনী করে তুলবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনমান উন্নত হবে তাতেই।
আমার মতে, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের মধ্যে বিতর্কিত কিছু নেই। তেমন যদি কিছু থেকে থাকে, তাঁদের কথার সেই অনিচ্ছাকৃত প্রভাব মানুষকে ভাবার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স’-এর খোঁজে খারাপ কিছু নাও হতে পারে!
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
20th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
একনজরে
দেড় মাস ধরে চলা পূর্ণকুম্ভ উপলক্ষ্যে প্রয়াগরাজে আসবেন প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ। ছোট একটা জায়গায় এত মানুষের ভিড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ...

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে কড়া দাওয়াই দিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি এ। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের অর্থ কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, জেলাশাসক সহ কর্মাধ্যক্ষরা হাজির ছিলেন। ...

ভিন রাজ্যে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিরল স্নায়ুরোগ গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএসে। এবার আমডাঙার বেড়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের টাবাবেড়িয়ার অরিত্র মণ্ডলের (১৮) মৃত্যু হল এই রোগে। সে বারাসতের একটি বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর সুশান্ত ...

পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দিল স্ত্রী। অটোচালক স্বামী রবিবার দুপুরে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঘুমিয়েছিলেন। সেসময় স্ত্রী খুর দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপোখরের ধরমপুর ২ পঞ্চায়েতের পূর্ব চারাকুট্টি এলাকায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯৫- শেকসপিয়ারের ‘রোমিও ও জুলিয়েট’ প্রথম মঞ্চস্থ হয় বলে ধারণা করা হয়
১৬১৩- গ্যালিলিও প্রথম নেপচুন গ্রহের সন্ধান পান
১৮৭০- বেঙ্গল গেজেট প্রথম কলকাতায় প্রকাশিত হয়
১৮৯৬- ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের জন্ম
১৯৬৬- ব্রাজিলের ফুটবলার রোমারিওর জন্ম
১৯৭০- ওলিম্পিকে রুপোজয়ী শ্যুটার রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের জন্ম
১৯৭৬- সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর মৃত্যু
২০০৬- প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করলেন ইরফান পাঠান



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৬৮ টাকা ৮৭.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮৯ টাকা ১০৯.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৬৬ টাকা ৯২.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫/০ দিবা ৮/২১। সূর্যোদয় ৬/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১৫ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা রাত্রি ৬/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/৮। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৩/৭ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৭ গতে ৪/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পার্ক স্ট্রিটে লুটের ঘটনায় গ্রেফতার দুই

11:20:00 PM

ইসলামপুরে নকল ৫০০ টাকার নোট সহ গ্রেপ্তার যুবক

11:03:00 PM

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি

10:19:00 PM

দিল্লিতে একটি গাড়ি থেকে প্রচুর টাকা এবং মাদক বাজেয়াপ্ত করল পুলিস

10:05:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৪- ১ গোলে হারাল নর্থ ইস্ট

09:32:00 PM

কেজরিওয়াল ১০ বছর আগে যমুনা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন: বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর

09:25:00 PM