Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
সেই ট্র্যাডিশন চলছে আজও। পাঁচ হাজার বছর পরও দিনরাত বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের হেডিং দেখে ভিডিও বা খবর পড়তে উদগ্রীব হয়ে, শেষে কি না হচ্ছে অশ্বডিম্ব প্রসব! প্রতিমুহূর্তে বোকা বনছি আমরা। ঠিক যেমন বোকাটি বনেছিলেন দ্রোণাচার্য, পাণ্ডবদের কৌশলী (পড়ুন অপকৌশলী) শব্দ তিরন্দাজিতে। রীতিমতো বধ হয়ে খেসারত দিতে হয়েছিল তাঁকে। 
না হলে দশকের পর দশক ধরে বাংলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বছরভর এক-দু’জন করে ভর্তি থাকা জি বি সিনড্রম নিয়ে দিনরাত মিডিয়ায় তারস্বর চেঁচামেচি শুনে উচ্চশিক্ষিত বধূও খাবার টেবিলে স্বামীকে শুধোন, ‘ঠিক বলছ তো? বলছ, আতঙ্কের কারণ নেই? আমাদের পরমটা সারা বছর অসুখবিসুখে কাহিল। ওকে আবার এইসব হলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ 
খাওয়া শেষ করে ব্যাগ গোছাচ্ছিলেন সন্দীপন। পেশায় ডাক্তার। ফোন এসে গিয়েছে। ছুটতে হবে হাসপাতালে। উদ্বিগ্ন স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, ‘এই জন্য দেশটার কিছু হওয়া মুশকিল। ছাইপাঁশ দেখছ দিনরাত। আমাদের গরিব দেশে বছরে তিন লাখ বাচ্চা মারা যায় শুধু ডায়ারিয়াতে। ডায়ারিয়া নিয়ে খবর দেখালে দেখতে? পাত্তাই দিতে না। বছরে দেশে তিন লাখের বেশি মানুষ মারছে টিবি। টিবি নিয়ে খবর দেখালে দেখতে? গুরুত্বই দিতে না। সেখানে যা দেখছ, সেটা পুনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা। কতজনের হয় জি বি সিনড্রোম? লাখে ১ জনেরও নয়। এরপরও বলছি, যার যায়, তাঁর যায়। যে কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখের। তাসত্ত্বেও বলছি, জি বি সিনড্রোম নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এমন নয় যে হঠাৎ করে এই রোগের উদয় হল। আমরা বছরভর এক-দু’জন করে এমন রোগী পেতেই থাকি!’
এই পর্বের কিছুদিন আগেই ছড়ানো চলল এইচএমপিভি বা হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক। তখন ডাঃ অপূর্ব ঘোষের মতো প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরাই বারবার বলেছেন, ‘‘এটা মোটেই আজকেই হঠাৎ উদয় হওয়া কোনও ভাইরাস নয়। আগে জ্বরের কারণ কী দেখা হতো না। বলা হতো, ভাইরাল ফিভার হয়েছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল, বিশ্রাম, জল আর ফল—এই সহজ সরল নিদানেই সেরে যেত। সেরে যায়ও। 
শুধু আমরা চিকিৎসকরাই জানতাম রাইনো, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, মেটানিউমো সমেত বিভিন্ন ভাইরাস হয়তো সেই জ্বরের কারণ। তা কিন্তু সাধারণ মানুষের না জানলেও চলে। তাঁদের তো সুস্থ থাকা, সুস্থ হওয়া নিয়েই কাজ। এখন ভাইরাল বা রেসপিরেটরি প্যানেলের মতো দামি পরীক্ষা এসেছে। জ্বরের কারণ ভাইরাসগুলির নাম জানা যাচ্ছে। আর রে রে করে ছড়ানো চলছে উদ্বেগ—আতঙ্ক! 
আতঙ্কের খেসারতও দিতে হচ্ছে। কড়কড়ে ১৮ থেকে ২১ হাজার টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে এখন শুধু ভাইরাল বা রেসপিরেটরি প্যানেল টেস্ট করতেই! জটিল ও ব্যতিক্রমী রোগ লক্ষণ ছাড়া যার কোনও দরকারই নেই। ডাক্তাররাই  বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্যানেল জেনে চিকিৎসা এবং প্যানেল ছাড়া চিকিৎসার মধ্যে কোনও ফারাক নেই। 
জানেন কি, অতিরঞ্জিত খবর ছড়িয়ে হাজার হাজার মানুষকে আতঙ্কিত করার ‘অসুখ’-এর ‌একটি নামও দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববন্দিত জার্নাল লাইব্রেরি পাবমেডে ঠাঁই পাওয়া এক গবেষণাপত্রে এর নাম দেওয়া হয়েছে‌‘ইনফরমেশন ডিজঅর্ডার সিনড্রোম’! 
কী এই সিনড্রোম? জার্নালে বলা হয়েছে, ‘‘information disorder syndrome is the sharing or developing false information with or without the intent of harming and they are categorized as misinformation, disinformation and malinformation’’ (জেএনএমএ ২০২০ এপ্রিল)। এখানেই শেষ নয়, যাঁরা এই ‘মহান’ কাজটি করেন, তাঁদের তিনটে শ্রেণিতেও ভাগ করা হয়েছে। গ্রেড ১—যখন মানুষের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য না নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো বা শেয়ার করা হয়। গ্রেড ২—যখন আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। কিন্তু মানুষের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য থাকে না। গ্রেড তিন—যখন কেউ সব জেনেবুঝে‌ ঩মিথ্যা তথ্য ছড়াতে থাকেন। 
মহাভারতের যুদ্ধদৃশ্য কল্পনা করুন। দ্রোণাচার্যকে হারানোই যাচ্ছে না। পাণ্ডবরা যে অস্ত্রই ব্য‌বহার করছেন, সবই ব্যর্থ, সবই ব্যর্থ! ড্যামেজ কন্ট্রোলের শ্রেষ্ঠ কারিগর শ্রীকৃষ্ণ বুদ্ধি দিলেন গুরুদেবকে কুপকাত করার জন্য একটি সেমিমিথ্যে বলতে হবে। আর তা বলাতে হবে এমন একজনকে দিয়ে, চরম শত্রুও যাঁকে কোনওদিন মিথ্যুক ভাবে না। এরপরই দ্রোণের প্রিয় পুত্র অশ্বথামা ‘হত’ হয়েছে, এমন একটি হেডিং ছড়িয়ে দিলেন যুধিষ্ঠির। দ্রোণ নিমেষে হয়ে পড়লেন হতাশ, অবসন্ন, বিপর্যস্ত। যুদ্ধ কেন, জীবনের প্রতিই তাঁর স্পৃহা উঠে গেল। সেই সুযোগে...।
একটি ভুল তথ্যকে সত্যির মতো পরিবেশন করে শেষে আবার নিজেকে কিছুটা নিষ্কলুষ রাখতে ‘ইতি গজ’ শব্দটি মৃদুস্বরে উচ্চারণ করেছিলেন ‘সত্যবাদী’। ততক্ষণে কাজ হাসিল। ঠিক তেমনই আমরাও ভুল ও অতিরঞ্জিত তথ্যের ফাঁদে পা দিয়ে নিমেষে উত্তেজিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। যখন খবর পড়া শেষ করি, ভাবি কী বোকাটাই না বনলাম।
হ্যাঁ, এমন বোকা আমরা রোজ হচ্ছি। না হলে দেশের মধ্যে একমাত্র পুনেতে স্থানীয় আউটব্রেক হয়ে ১১১ জন জি বি সিনড্রমে অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্নতার যোগ তৈরি হয় কীভাবে?  সচেতন করার জন্য‌ ক’টা খবর হয়! বিশেষত, বাংলায় যেখানে এমন কোনও আউটব্রেকই হয়নি। হঠাৎ করে এই বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়েনি। হু হু করে করোনার মতো একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে রোগ ছড়িয়েও যায়নি। তা সত্ত্বেও কেউ যেই আমাদের বিপন্নতা বোধে সুড়সুড়ি দিল, আমরাও হয়ে পড়লাম ঘায়েল। দ্রোণের মতোই অসহায় আমরা পুত্রের নাম শুনেই নিস্তেজ হয়ে পড়লাম। পরে জানলাম পুত্র নয়, আসলে মারা গিয়েছিল ‘গজ’ অশ্বথামা! 
এ প্রসঙ্গেই দুটি বিষয় বলতেই হয়। আমরা ভাবি, ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার অনলাইন মিডিয়া মাধ্যমের দৌলতে এখন যা-ই দেখানো হচ্ছে, তারই বুঝি ব্যাপক প্রভাব। তা-ই বুঝি মানুষ বিশ্বাস করে। তা বুঝেই বুঝি মানুষ চলে। 
আমরা ভুল ভাবি। অনলাইন মাধ্যম কথা বলা, ভাবপ্রকাশের ক্ষেত্রে বড়জোর আর একটু স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু, ভরসার জায়গা? বিশ্বাসের জায়গা? এখনও কিন্তু সেই প্রিন্ট। না হলে তো আতঙ্কের ত্র্যহস্পর্শে রোগী নিয়ে বাড়ির বাইরেই বেরতেন না প্রিয়জন। কোনও বিরল রোগে যদি আক্রান্ত হয়ে যান! 
রোজ রাজ্যের ২৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং ৪টি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ডাক্তার দেখান। একদিন যে কোনও একটি জায়গার আউটডোরে যান। দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনকে প্রশ্ন করেই দেখুন না, তাঁরা এইসব রোগ নিয়ে আতঙ্কের খবরে কতটা প্রভাবিত হয়েছে। সিংহভাগই আপনাকে বলবেন, ‘নামই শুনিনি’! রোজকার সমস্যায় জর্জরিত তাঁরা। নিজের রোগীকে দেখিয়ে চটপট ট্রেন, বাস বা অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বাড়িমুখো হতে পারলে বাঁচেন। আতঙ্কে শামিল হওয়ার তাঁদের না আছে সময়, না সুযোগ! 
আর সেটাই বাঁচোয়া। শহুরে শিক্ষিত-উচ্চশিক্ষিতদের বেডরুম-ড্রয়িংরুমে ঝড় তুলে, চেনা চিকিৎসককে ৭-৮ বার করে ফোন করে, স্কুলের অভিভাবকদের গ্রুপে উদ্বেগ বিলি করে, ছোটখাট জ্বর-সর্দি-কাশিতে ‘বড় ডাক্তার’কে দেখিয়ে (এমনকী সেকেন্ড ওপিনিয়ন নিয়ে), গণ্ডাখানেক দামি টেস্ট করে ও হাজার পঞ্চাশের গচ্চায় ইতি টানেন আতঙ্কের। 
ততদিনে আতঙ্ক আরও নতুন কোনও কম চেনা বিচিত্র অসুখের ছদ্মবেশী রূপ ধরেছে। আর মুচকি হাসছে টেস্টিং ল্যাব, মুচকি হাসছেন ওষুধ নির্মাতারা, প্রাইভেট হাসপাতালের কর্তারা। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হল, এখন যেন যাঁরা যত বেশি শিক্ষিত, তাঁরা তত বেশি আতঙ্কিত হচ্ছেন! ছোট পরিবারের বিপন্নতাবোধ থেকেই বোধহয়। 
দ্বিতীয় যে কথাটি না বললেই নয়, ন্যাড়া বেলতলায় বারবার যান না। টুইস্ট করা সংবাদের বাইরে ‘ধাঁধা’, ভিতরটা ফাঁপা—বারবার এমন কাঁচকলাটি পেয়ে একটা সময় মানুষ চালাকিটা ধরেই ফেলে। বারবার রোগ নিয়ে আতঙ্কের খবরের কানাগলির শেষে একদিন বামালসমেত ধরা পড়ে চোর!  মানুষও ‘সানসনি’ হেডিং-এ পড়ে, ভিতরে কিছু না পেয়ে একসময় বিরক্ত হয়ে সেইসব খবর থেকে মনই উঠিয়ে নেয়। নিচ্ছেও। ভুললে চলবে না, বহু ব্যবহারে জরুরি অস্ত্রও হয়ে পড়ে ভোঁতা—অকেজো। তখন আর কেউ দ্রোণাচার্য হতেই  চাইবেন না। অনেকে এখনই চাইছেন না।
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
একনজরে
ভগবানগোলায় প্যাকেজিংয়ের কাজের টোপ দিয়ে প্রতারণার পরিকল্পনা আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এবার তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় একাধিক এনজিও। বিভিন্ন এনজিওকে নিয়ে তৈরি একটি ফোরাম গত মঙ্গলবার ভগবানগোলা ও লালগোলায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের একত্রিত করে বড়সড় প্রতারণার ছক কষেছিল। ...

বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর পার বরাবর বাঁধের কাছ থেকেই বালি তুলে পাচার বালি মাফিয়াদের। ফলে ভাঙনের আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবাধে বালি পাচারের জেরে বাঁধ ভেঙে বন্যার সময় জল  ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ...

জমি সমস্যায় আটকে রেলের একাধিক প্রকল্প-একাধিকবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ...

পূর্ণকুম্ভ থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন অন্তত ছ’জন পুণ্যার্থী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৬- কলকাতার ফোর্ট উইলিয়মে চালু হল প্রথম মেয়রস কোর্ট
১৮২৭- কলকাতা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গল ক্লাব
১৮৩১ - বুশ ক্লাবের উদ্যোগে কলকাতা শহরে প্রথম চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়
১৮৫৫- কলকাতা থেকে আগ্রা পর্যন্ত টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়
১৮৭১- ভারতে বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষয়িত্রীর অভাব দূর করার জন্য ভারত সংস্কার সভার উদ্যোগে কলকাতার পটলডাঙায় একটি শিক্ষয়িত্রী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়
১৮৮৪ - অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারীর ১ম খণ্ড (এ টু এন্ট) প্রকাশিত হয়
১৯০২ - আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী অনিলকুমার দাসের জন্ম
১৯০৫- বারাসত-বসিরহাট রেলপথ চালু হল
১৯০৭- নাট্যকার ব্রজেন্দ্রকুমার দে’র জন্ম
১৯১৪- অভিনেতা এ কে হাঙ্গেলের জন্ম
১৯২২- বিশিষ্ট বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক শক্তিপদ রাজগুরুর জন্ম
১৯৩০ – বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদের জন্ম
১৯৩৩ – বিশিষ্ট সরোদ বাদক পদ্মশ্রী বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের জন্ম
১৯৪২ - ভয়েস অব আমেরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৮- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর মৃত্যু
১৯৫৩- কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরির জাতীয় গ্রন্থাগার নামকরণ হয় এবং এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়
১৯৫৭ – অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের জন্ম
১৯৬৫ - স্যার উইনস্টন চার্চিলের সম্মানে কানাডার ল্যাব্রাডরে অবস্থিত হ্যামিল্টন রিভারের নামকরণ করা হয় চার্চিল রিভার
১৯৭১- ক্রিকেটার অজয় জাদেজার জন্ম
১৯৭১ – অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী তথা রাজনীতিবিদ মনোজ তিওয়ারির জন্ম
১৯৮১- দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার গ্রেম স্মিথের জন্ম
১৯৮২- ভারতের সাঁওতালি ভাষার অলচিকি লিপির বর্ণমালার আবিষ্কর্তা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর মৃত্যু
১৯৮২- পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের জন্ম
১৯৮৩- অভিনেত্রী পদ্মাদেবীর মৃত্যু
২০০৩- মহাকাশ অভিযাত্রী কল্পনা চাওলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৯ টাকা ১০৯.৫২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৫ টাকা ৯১.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ১৯/১০ দিবা ২/০। শতভিষা নক্ষত্র ৫৪/৪৮ রাত্রি ৪/১৫। সূর্যোদয় ৬/২০/৮, সূর্যাস্ত ৫/২০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩২ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৫ গতে ১০/১৩ মধ্যে।
১৭ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া অপরাহ্ন ৪/৯। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৪। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩০ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১২/২৫ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৭ গতে ১১/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৫ গতে ১০/১৩ মধ্যে।
১ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আকাশে রেকর্ড
ভারতে দ্রুত বাড়ছে বিমান যাত্রীর সংখ্যা। ঘরোয়া উড়ানে প্রায় কোনও ...বিশদ

08:44:00 AM

চালু হচ্ছে কলকাতা-প্রয়াগরাজ বাস পরিষেবা
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতা-প্রয়াগরাজ দু’টি ভলভো বাস চালু করছে ...বিশদ

08:27:00 AM

আগামী কাল কৃষ্ণনগর-লালগোলা সেকশনে বাতিল একাধিক ট্রেন
কৃষ্ণনগর-লালগোলা সেকশনে রেলের জরুরি নির্মাণ কাজের জন্য আগামী কাল, রবিবার ...বিশদ

08:20:00 AM

ইউপিআই আইডি: চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম
ইউপিআইয়ে নিয়ম বদল। এবার থেকে ‘ট্রানজাকশন আইডি’তে হ্যাশ, অ্যাট দ্য ...বিশদ

08:20:00 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭২৬- কলকাতার ফোর্ট উইলিয়মে চালু হল প্রথম মেয়রস কোর্ট ১৮২৭- কলকাতা ...বিশদ

07:55:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সুখবর প্রাপ্তির যোগ। বৃষ: কর্মে অগ্রগতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। মিথুন: বৃদ্ধিতে মানসিকভাবে বিব্রত হতে ...বিশদ

07:50:00 AM