প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
উল্লেখ্য, দিল্লিতে নির্ভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এক নাবালকের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন হয় যে জুভেনাইল জাস্টিস আইনের সংশোধন করতে বাধ্য হয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো নৃশংস অপরাধে নাবালক-নাবালিকা জড়িয়ে পড়লে এই ধারা প্রয়োগের রাস্তা খুলে গিয়েছে। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের একাংশ বলছেন, ‘বছর ১৬-র এক নাবালক বাবাকে হাতেনাতে ধরার জন্য যেভাবে পরিকল্পনা করে জিপিএস প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েছে, তা রীতিমতো বিস্ময়ের। তাছাড়া মৃত্যু নিশ্চিত করতে যেভাবে বারবার ছুরির কোপ বসিয়েছে সে, তাও গুরুত্বপূর্ণ।’ কলকাতার নিউ আলিপুরে এক অশীতিপর বৃদ্ধকে খুনের মামলায় ধৃত নাবালকের বিরুদ্ধে প্রথমবার কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা এই ধারা প্রয়োগ করে। তারপর একে-একে গড়চা ফার্স্ট লেনে পাঞ্জাবি বৃদ্ধা ঊর্মিলা ঝুণ্ড খুন সহ একাধিক মামলায় এই ধারা প্রয়োগ করেছে লালবাজার। তবে এই ধারা প্রয়োগ করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিয়ে ধৃত নাবালক বা নাবালিকাকে মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে হাজির করাতে হবে। বোর্ডের সদস্যরা ধৃতের মানসিক ও শারীরিক গঠন, অপরাধের গুরুত্ব এবং অপরাধের ফলাফল সম্পর্কে ধৃতের ধারণা খতিয়ে দেখে তাকে ‘সাবালক’ হিসেবে গণ্য করলে তবেই এই ধারা প্রয়োগ করতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা।