Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। বছর পঞ্চাশের গৌতমবাবু তাঁর হাফ বয়সি শৌভিকের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ক্রিকেটের জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয়ে যাক তাহলে!’ অবাক দৃষ্টিতে তাকায় শৌভিক, ‘জাতীয় সঙ্গীত! তাও ক্রিকেটের?’ হেসে ফেলেন গৌতমবাবু, ‘আরে এটাও জানো না? দেখো এখুনি গোটা স্টেডিয়াম গাইবে। শিখিয়ে দিচ্ছি। স...চীইইই...ন, সচীন... এবার একটু গ্যাপ। তারপর আবার স...চীইইই...ন, সচীন...।’ ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে। কাঁপছে গোটা স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের জাতীয় সঙ্গীতে। এটাই যে ভারত। এর ধর্ম? ক্রিকেট।
কয়েকটা মাত্র ঋণের টাকার জন্য কৃষকের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে রিকভারি এজেন্ট। হাতজোড় করছে সে। একটু সময় চাইছে। কিন্তু সময়ই যে নেই ওই গরিব মানুষটার জন্য! শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে সেই কৃষক। ছবিটা ফুটে উঠছে মাল্টিপ্লেক্সের বড় স্ক্রিনে। রান্না সেরে, ভেজা জামাকাপড় তুলে, শাশুড়িকে ওষুধ খাইয়ে পড়িমড়ি সিনেমা হলে এসে বসা গৃহবধূর চোখে জল। পাশে কাঁদছে তাঁর বছর দশেকের ছেলেও। রাগে। ‘মা, মানুষ এত্ত খারাপ হয়?’ সমাজের বাস্তব ফুটিয়ে তুলছে সিনেমা। বার্তা দিচ্ছে, শেখাচ্ছে, সারাদিনের স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিচ্ছে, ভুলিয়ে রাখছে নিত্যদিনের ওঠাপড়া। এই দেশকে বাঁধছে এক সুতোয়। ভারতের ধর্ম তাই সিনেমাও।
কিন্তু সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি নতুন শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন—জাতীয় ধর্ম। ‘কৌতূহল উদ্রেক করিবার’ মতো ব্যাপার বটে। এতকাল আমরা শুনে এসেছি জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পশু, জাতীয় পাখি। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে জাতীয় ধর্ম? হজম না হওয়ারই কথা। এই দেশে খানিক পড়তে-লিখতে শিখলেই সবার আগে শেখানো হয় ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যে’র কথা। অর্থাৎ, নানা ভাষা, নানা আচার, নানা পরিধান... এবং অবশ্যই নানা ধর্ম। এই সব বৈচিত্র্য মিলেই ভারত। আমরা সবাই সবার ধর্মকে, ধর্মীয় আচরণকে সম্মান করব। এই সুতোতেই গড়ে উঠবে ঐক্য। ১৪০ কোটির দেশে একটি ধর্মকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া মানে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া, ‘ওহে তুমি প্রিভিলেজড ক্লাস।’ আর বাকিদের মনে করিয়ে দেওয়া, ‘তোমরা ভাই আশ্রিত। আমাদের দয়ায় বেঁচে আছ।’ ভারতের সংবিধান কি আমাদের সেই অধিকার দেয়? না, দেয় না। তাহলে যোগী হঠাৎ এমন একটা মন্তব্য করলেন কেন?
স্কুল-কলেজের স্তর পেরিয়ে এলে প্রতিযোগিতা আর শুধু খাতার উপর লাল কালির নম্বরে আটকে থাকে না। কঠোর বাস্তবের প্রতিযোগিতায় দু’রকমের পথ থাকে। প্রথম, আগে যে আছে তাকে টপকে চলে যাওয়া। আর দ্বিতীয়, সমান্তরালে এগিয়ে যাওয়া। তাতে এগিয়ে থাকা প্রতিযোগীকে সরাসরি আঘাত করা হল না, অথচ তাকে ছাপিয়েও যাওয়া গেল। যোগী আদিত্যনাথ এই দ্বিতীয় পন্থা নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর রেস যত ঘনিয়ে আসছে, তিনি ততই নিজের জমি শক্ত করার লক্ষ্যে মন দিচ্ছেন। কুম্ভমেলা আয়োজনে যত না জাঁক তিনি করেছেন, তার থেকে বেশি প্রচার হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির পোস্টার ঢাকা পড়ে গিয়েছে তাঁর ছবিতে। নরেন্দ্র মোদিকে ছাপিয়ে ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে যোগীর মেরুকরণ রাজনীতির উগ্রতা। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে অমিত শাহের আইন-শৃঙ্খলাকে ব্যর্থ বলে দেগে দিচ্ছেন। আর হিন্দুত্বকে নিয়ে আসছেন ‘জাতীয়’ ক্যাটিগরিতে। বলতেই হবে, প্রত্যেকটা ভাবনা তাঁর ‘ইউনিক’। যোগী জানেন, কী করলে শিরোনামে আসা যাবে। কী করলে প্রশাসক হিসেবে মানুষ তাঁকে সমীহ করবে। আর কী করলে সঙ্ঘের কাছে তিনি একমাত্র ‘চয়েজ’ হিসেবে জায়গা করে নিতে পারবেন। তাই যোগী ছুটছেন সামনের দিকে। আর ভারত? পিছনে। চোখের সামনে ভাগ হয়ে যাচ্ছে সমাজ। কথা বলার আগে নাম খুঁজছি আমরা। পরিধান দেখছি। আর তারপরই হয় সিঁটিয়ে যাচ্ছি, না হলে নাক কুঁচকে ফিরিয়ে নিচ্ছি মুখ। নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকারে আসার পর, গত আট মাসে দেশজুড়ে ৫৯টি গোষ্ঠী সংঘর্ষ রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ড কেন বলা হচ্ছে? কারণ, ছোটখাটো এমন বেশ কিছু ঘটনা প্রশাসন দেখেও দেখে না। তাই সেইসব সরকারি খাতায় নথিভুক্তও হয় না। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, এই ৫৯টির মধ্যে ৪৯টিই ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে। অর্থাৎ, সেই রাজ্যে হয় বিজেপি ক্ষমতায় আছে, আর তা না হলে এনডিএ’র অন্য কোনও শরিক। বিজেপিও সেখানে লেজুড় হয়েই রয়েছে। এই তালিকায় সবার আগে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে ১২টি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা দেখা গিয়েছে গত কয়েক মাসে। তারপরই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যোগীরাজ্যের স্কোর ৭। বিহার, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ... কে নেই তালিকায়! অথচ, ২০২৩ সালেই গোটা দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সংখ্যাটা ছিল ৩২। এর থেকে কী বোঝা যায়? বিজেপি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য মেরুকরণের যে তাস খেলেছিল, তার আফটার শক নজরে আসছে দেশজুড়ে। এই ৫৯টি ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন মুসলিম এবং ৩ জন হিন্দু। সোজা কথায়, বিভাজনের এই খেলা শূন্য করে দিয়েছে ১৩টি মায়ের কোল। কেউ অকালে স্বামীহারা হয়েছেন, কেউ হারিয়েছে তার বাবাকে। শুধুমাত্র ধর্মীয় বিভাজনের নামে। এর দায় কে নেবে? ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেউ ধর্মের নামে বিভাজন করতে শেখে না। পরিবেশ তাকে শেখায়। সমাজ শেখায়। রাজনীতির কারবারিরা শেখায়। কারণ, এতেই তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে। তাই ধর্মনিরপেক্ষ দেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও যোগী আদিত্যনাথ ‘জাতীয় ধর্মে’র প্রোপাগান্ডা করতে পারেন। যে সনাতন ধর্ম মানুষের সঙ্গে মানুষের ভেদ করতে শেখায় না, তাকে হাতিয়ার করেই মেরুকরণের পথ খুলে দেন তিনি। এরপর যদি গোষ্ঠী সংঘর্ষে পরিসংখ্যানে বদল আসে? যদি আরও প্রাণ যায়? কে কাঠগড়ায় তুলবে এই মেরুকরণের রাজনীতিকে? আমি? আপনি? আমরাও কিন্তু তখন চোখ বন্ধ করেই থাকব। অপেক্ষা করব। ভেবে নেব, অন্য কেউ নিশ্চয়ই এগিয়ে আসবে। রুখে দাঁড়াবে অনাচারের রাজনীতিকে। কিন্তু তেমন কিছু হবে না। আওয়াজ উঠতে হবে প্রত্যেক ঘর থেকে। তবেই তা ঝড় হয়ে আছড়ে পড়বে স্বার্থান্বেষী রাজনীতির অলিন্দে। আমরা প্রত্যেকেই যদি ভেবে নিই, দুধপুকুরে সবাই দুধ ঢালবে, আমি এক ঘটি জল ঢেলে দিলে কিছু হবে না। তাহলে সেই পুকুর দুধশূন্যই থাকবে। আর সেই সুযোগে ‘পূজাগৃহে’ উঠবে ‘রক্তমাখানো ধ্বজা’। যুগ যুগ ধরে এটাই হয়ে আসছে... ‘বিধর্ম বলি মারে পরধর্মেরে/ নিজ ধর্মের অপমান করি ফেরে’। বিভাজনের কারবারিরা এটাই বুঝতে পারছে না যে, এই কুড়ুলে একদিন তারই পা কাটা পড়বে। তারা ভুলে যাচ্ছে, যদি এদেশে জাতীয় ধর্ম বলে কিছু থাকত, তাহলে কি ঐক্য গড়ে উঠত? বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর কি তেমন কিছু ভেবেছিলেন? তাহলে কিন্তু এমন একটা সংবিধান লেখা হতো না। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ হতো না। গণতন্ত্রের ভরসায় মৌলানা আবুল কালাম আজাদ এবং জওহরলাল নেহরু একসঙ্গে নতুন ভারত গড়ার ডাক দিতেন না। তাঁরা জানতেন, ভারতকে ধর্ম বাঁধবে না। ভারতকে এক সূত্রে বেঁধে ফেলতে পারে শুধুমাত্র মানবিকতা। দ্বিজাতি তত্ত্বে ভারতের বুকের উপর দিয়ে কাঁটাতার গিয়েছে। একটি দেশ ইসলামকে জাতীয় ধর্ম হিসেবে মেনে নিয়েছে। ভারত কিন্তু হিন্দুরাষ্ট্র হয়নি। আমরা হয়েছি ধর্মনিরপেক্ষ। কারণ আমরা বুঝেছি, ধর্ম এদেশে শুধু বিভাজন আনবে। তাই জাতীয় ধর্ম আমাদের হিন্দু নয়, ইসলাম নয়, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট... কিছুই নয়। তাহলে আজ সাধারণতন্ত্রকে অসাধারণ হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা কেন? আজ ধর্মনিরপেক্ষ দেশকে জাতীয় ধর্মের পরিচয়ে মুড়ে ফেলার জিগির উঠছে কেন?
জানকী পূজারির বয়স ৯০ পেরিয়েছিল। শরীরটাও ভালো যাচ্ছিল না। গত ১০ বছর ধরে তিনি রফিক আব্দুল কাদেরের পরিবারে। তাদের আশ্রয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জানকীদেবী। কাদের সাহেব কিন্তু একবারও জানকীদেবীর ছেলেকে বলেননি, এসে তোমার মাকে নিয়ে যাও। মৃত্যুর পরও তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়ায় হাত লাগিয়েছে কাদের সাহেবেরই পরিবার। জানকীদেবীকে দাহ করা, অস্থি বিসর্জন... সবটাই হিন্দুমতে। ১৩ দিনের কাজে জানকীদেবীর ছেলে এসে যোগ দিয়েছিলেন কাদের সাহেবের সঙ্গে। ৯০ বছরের বৃদ্ধা একবারের জন্যও কিন্তু ধর্মের খোঁজ করেননি। আর যাঁরা তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়া করলেন, তাঁরাও না। দু’জনেই দেখেছিলেন মানুষকে। মানুষের মনকে। ধর্মের আধার তো মনই হয়। ‘ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র’ দিয়ে আঘাত করলেই যে জ্ঞানের আলো জ্বলে ওঠে। এই আলো কোনও পুঁথিগত বিদ্যায় পাওয়া যায় না। তার জন্য দরকার নিঃস্বার্থ আবেগ। ভারতের জাতীয় ধর্ম যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তার নাম একটাই—মনুষ্যত্ব।
28th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
একনজরে
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ধড়কাকড় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ...

দেড় মাস ধরে চলা পূর্ণকুম্ভ উপলক্ষ্যে প্রয়াগরাজে আসবেন প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ। ছোট একটা জায়গায় এত মানুষের ভিড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ...

যশপ্রীত বুমরাহর মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক। সেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পর আইসিসি’র বর্ষসেরাও হলেন ভারতের তারকা পেসার। ২০২৪ সালে তিন ফরম্যাটেই দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য স্যার ...

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে কড়া দাওয়াই দিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি এ। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের অর্থ কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, জেলাশাসক সহ কর্মাধ্যক্ষরা হাজির ছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯৫- শেকসপিয়ারের ‘রোমিও ও জুলিয়েট’ প্রথম মঞ্চস্থ হয় বলে ধারণা করা হয়
১৬১৩- গ্যালিলিও প্রথম নেপচুন গ্রহের সন্ধান পান
১৮৭০- বেঙ্গল গেজেট প্রথম কলকাতায় প্রকাশিত হয়
১৮৯৬- ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের জন্ম
১৯৬৬- ব্রাজিলের ফুটবলার রোমারিওর জন্ম
১৯৭০- ওলিম্পিকে রুপোজয়ী শ্যুটার রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের জন্ম
১৯৭৬- সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর মৃত্যু
২০০৬- প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করলেন ইরফান পাঠান



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৬৮ টাকা ৮৭.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮৯ টাকা ১০৯.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৬৬ টাকা ৯২.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫/০ দিবা ৮/২১। সূর্যোদয় ৬/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১৫ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা রাত্রি ৬/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/৮। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালবেলা ৩/৭ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৭ গতে ৪/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পার্ক স্ট্রিটে লুটের ঘটনায় গ্রেফতার দুই

11:20:00 PM

ইসলামপুরে নকল ৫০০ টাকার নোট সহ গ্রেপ্তার যুবক

11:03:00 PM

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি

10:19:00 PM

দিল্লিতে একটি গাড়ি থেকে প্রচুর টাকা এবং মাদক বাজেয়াপ্ত করল পুলিস

10:05:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৪- ১ গোলে হারাল নর্থ ইস্ট

09:32:00 PM

কেজরিওয়াল ১০ বছর আগে যমুনা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন: বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর

09:25:00 PM