Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। একজন আরএসএস তৈরি করেছেন আর অন্যজন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ) গঠন করেছিলেন। যদিও এই প্যারালালিজমের ইতিহাস অন্যকথাই বলে। আসলে স্বাধীনতা সংগ্রামে সঙ্ঘের অবদান নেই বলে যে ঐতিহাসিক প্রচার রয়েছে, তারই কাউন্টার ইমেজ তৈরি করার কৌশলগত লড়াই শুরু করেছে সঙ্ঘ পরিবারের নেতারা। উদ্দেশ্য, একদিকে বাংলার মানুষের কাছে ‘বাঙালির দেশপ্রেম’কে গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল। অন্যদিকে, বাঙালিকে বার্তা দেওয়া ‘আমরা তোমাদেরই লোক’।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সেই অস্বস্তি কাটাতে গেরুয়া শিবির কখনও বিবেকানন্দ, কখনও নেহরু-গান্ধীর বিপরীতে বল্লভভাই প্যাটেলকে আঁকড়ে ধরেছে। সেই সূত্রেই নেতাজিকে। আর তাই ২০২৩-এ জন্মজয়ন্তীতে শহিদ মিনারের মঞ্চে লাগানো হয়েছিল নেতাজির বিশাল ছবি। কী বলবেন একে, আরএসএসের নেতাজি-পুজো? নাকি সবটাই ভোটের খেলা? নয়তো সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সঙ্ঘ প্রধান ভাগবত কেন বলবেন, ‘আমাদের পথ আলাদা হলেও লক্ষ্য ছিল অভিন্ন। সুভাষবাবু শুধু দেশকে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেননি, এক মহান ভারত গড়ে তোলা ছিল তাঁর স্বপ্ন। আরএসএস নেতাজির লক্ষ্যপূরণে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে চলছে।’ গত বছরও কলকাতায় এসে ভাগবতজির কথায় ছিল একই সুর। বলেছিলেন, ‘নেতাজির বৈশিষ্ট্য তাঁর উগ্র দেশভক্তি। তাঁর মন্ত্র ছিল, আমার অহঙ্কার, আমার স্বার্থ, আমার কল্যাণ নয়। দেশের কল্যাণেই আমার কল্যাণ। শিবাজীর মতোই ব্রিটিশ পুলিসের চোখে ধুলো দিয়েছিলেন নেতাজি। ভারত গড়ার ক্ষেত্রে নেতাজির স্বপ্ন এখনও অধরা রয়েছে। তা আমাদেরই পূরণ করতে হবে।’
অথচ, ইতিহাস বলছে, কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরেও কংগ্রেসের ভিতরে অতিদক্ষিণপন্থীদের প্রতি ন্যূনতম প্রসন্ন ছিলেন না সুভাষ। হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লিগের যেসব সদস্য কংগ্রেসে ছিলেন, তাঁদের ঘাড় ধরে বের করে দিতে হবে বলে স্পষ্টই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। আর সেটাই ছিল তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান। নেতাজি হিন্দু মহাসভার তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, তারা ‘ধর্মের সুযোগ নিয়ে ধর্মকে কলুষিত করে।’ এমনকী তিনি হিন্দু মহাসভাকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালালও বলতে ছাড়েননি। সুভাষচন্দ্র বসুর মহাসভা বিরোধী কঠোর মনোভাব দেখে হিন্দু মহাসভার এবং পরে বিজেপির শীর্ষনেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভয় পেয়ে তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, সুভাষ ক্ষমতায় এলে তাঁদের নির্বংশ করে ছাড়বেন।
আর বিনায়ক দামোদর সাভারকর? চল্লিশের দশকের গোড়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত দিনগুলিতে নেতাজি ও তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজের সশস্ত্র পথে স্বাধীনতার উদ্যোগকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছিল আরএসএস। নেতাজি যখন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাহিনী গড়ছেন, তখন সাভারকরের নেতৃত্বে হিন্দু মহাসভা তথা আরএসএস ব্রিটিশদের পক্ষে তীব্র প্রচার গড়ে তুলেছিল। তাঁরা প্রচার করেছিলেন, যুদ্ধ যখন দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে তখন হিন্দুরা সেই সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুক। ব্রিটিশ বাহিনীর সব উইং-এ ব্যাপকভাবে নাম লেখাতে হবে, আর এক মিনিটও দেরি না করে বিশেষত বেঙ্গল ও অসম প্রদেশ থেকে হিন্দুদের যুক্ত করতে হবে। ব্রিটিশদের প্রতি পরম আনুগত্য রেখে যুদ্ধ করতে হবে।
শুধু ভাষণ বা প্রচার নয়, সদলবলে কাজেও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাভারকর। পরবর্তী কয়েক বছর ধরে সাভারকর ব্রিটিশদের পৃষ্ঠপোষকতায় রীতিমতো রিক্রুটমেন্ট ক্যাম্প সংগঠিত করে ব্রিটিশ বাহিনীতে ‘হিন্দু’-দের নিয়োগ করতে থাকেন, যারা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ধরে এগিয়ে আসা আজাদ হিন্দ বাহিনীকে আটকাবে। এই রিক্রুটমেন্টের জন্য এমনকী একটি কেন্দ্রীয় বোর্ডও গঠন করে ফেলেন সঙ্ঘের নেতারা। যে বোর্ড ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে কাজ করেছিল। লক্ষাধিক ‘স্বয়ংসেবক’ রিক্রুট হয়। সাভারকরের এই উদ্যোগ আজাদ হিন্দ বাহিনীকে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে বিধ্বস্ত করতে ব্রিটিশদের অত্যন্ত সহায়ক হয়।
এছাড়াও ব্রিটিশ বাহিনীতে হিন্দুদের রিক্রুট করার এই উদ্যোগের পিছনে সাভারকরের আরও একটি গূঢ় উদ্দেশ্য ছিল। তা হল, হিন্দুরা সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তা পরবর্তীকালে একটি মিলিট্যান্ট হিন্দুরাষ্ট্র গঠনে প্রভূত সাহায্য করবে। বস্তুত সাভারকরের স্লোগানই ছিল ‘সমগ্র রাজনীতির হিন্দুকরণ ও হিন্দুদের সামরিকীকরণ’। সাভারকরের এইসব রিক্রুটরা যুদ্ধশেষে সেনা থেকে বাদ পড়ে জঙ্গি হিন্দু বাহিনী গঠন করে এবং পার্টিশন পর্বে ইউপি-বিহারের বড় বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলি সংগঠিত করতে মূল ভূমিকা রাখে।
আরএসএস ও হিন্দু মহাসভার উদ্যোগের ফলে ভারতীয় সেপাইদের আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া সহজ হয়েছিল। কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, যুদ্ধবন্দিদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করার ক্ষেত্রেও। ড্যানিয়েল মার্সটন তাঁর ‘দ্য ইন্ডিয়ান আর্মি অ্যান্ড এন্ড অব রাজ’ গ্রন্থে লিখেছেন, সেই সময় ব্রিটিশ অফিসাররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল আইএনএ-র যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে। আইনি পথে বিচার করার আগেই ধ্বংস করে দিতে চাইছিল তাঁদের অস্তিত্ব। অফিসাররা সেপাইদের বোঝাতে সক্ষম হয়, আইএনএ আসলে দেশদ্রোহী। বারাকপুর-বারাসাতের নীলগঞ্জ বন্দি শিবিরে ১৯৪৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের কুখ্যাত গণহত্যা ছিল তারই রেজাল্ট। গোটা রাত হেভি মেশিনগানের শব্দ শোনা গিয়েছিল। পোড়া শবের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল বহুদূর। পরদিন নোয়াই খালে রক্তবন্যা বয়ে যেতে দেখেছিল স্থানীয় মানুষ। অনেকের মতে, সেদিন অন্তত তিন হাজার যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করা হয়েছিল। আরএসএসের হাতে যে আজাদ হিন্দ ফৌজের রক্ত লেগে আছে তা ভুলিয়ে দিতে চাইছেন। কিন্তু সেই ইতিহাস বাঙালিরা ভুলবে কীভাবে?
স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পর্কে আরএসএস-এর দৃষ্টিভঙ্গি প্রসঙ্গে গোলওয়ালকর বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশ বিরোধিতাকে ভাবা হচ্ছে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের সমার্থক। এই প্রতিক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সমগ্র স্বাধীনতা আন্দোলন, তার নেতৃবর্গ ও সাধারণ মানুষের উপর বিনাশকারী প্রভাব ফেলেছিল’ (চিন্তাচয়ন, ১ম খণ্ড, পৃ ১২৫)। গোলওয়ালকরের মতে, ‘আমাদের দেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস এই কথাই বলে যে, সব কিছু করেছে একমাত্র হিন্দুরা। এর অর্থ কেবল হিন্দুরাই এই মাটির সন্তান হিসেবে এখানে বসবাস করেছে’ (চিন্তাচয়ন, ২য় খণ্ড, পৃ ১২৩-২৪)। এই বক্তব্য ভারতীয় জাতি গঠনের ইতিহাসের সম্পূর্ণ বিরোধী। এমনকী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথও এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। আরএসএস বাহিনীর মতবাদটাই হল, মুসলিম শাসকদের হাত থেকে যে মুহূর্তে দেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, পরে সরাসরি ব্রিটিশ রাজশক্তি ভারতের শাসনভার দখল নিল, সেটাই নাকি ভারতের স্বাধীনতালাভ। কারণ, মুসলিম শাসকরা নাকি বাইরে থেকে এসেছিলেন, তাঁরা নাকি ভারতের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করেছেন। যদিও তাঁদের চোখে ব্রিটিশরা ‘বহিরাগত’ দোষে দোষী নয়। তাই সাভারকর থেকে গোলওয়ালকারের অনুচররা চিরকাল ব্রিটিশদের প্রতি অপার প্রভুভক্তি দেখিয়ে এসেছেন। স্বাধীনতাকামী দেশের নেতারা তাঁদের চোখে ছিলেন ঘৃণ্য। অন্যদিকে নেতাজি মনে করেছেন তাঁর প্রধান শত্রু ব্রিটিশ। আজাদ হিন্দ বাহিনীর একমাত্র উদ্দেশ্য স্বাধীন ভারত। বিশ্বযুদ্ধের শেষপর্বে যখন জাপান আত্মসমর্পণ করেছে, আজাদ হিন্দ বাহিনীও প্রায় বিধ্বস্ত, তখন বাহিনীর উচ্চস্তরের কয়েকজন নেতাজিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এবার তাঁরা কী করবেন? তিনি জবাব দিয়েছিলেন, যুদ্ধে তাঁদের পরাজয় হলেও আজাদ হিন্দের লড়াই ভারতের স্বাধীনতাকে অন্তত কুড়ি বছর এগিয়ে দিয়েছে।
বিশ্বাসঘাতকতা, ব্রিটিশদের চরবৃত্তি করাই স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএস-বিজেপি ধারার মূল কাজ ছিল। তাই মিথ্যা ইতিহাস তৈরি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের। ক্ষমতায় এসে তাঁরা ঐতিহাসিক দলিল দস্তাবেজকে বিকৃতও করছে বলে জানিয়েছেন অনেক ইতিহাসবিদ। অধ্যাপক রাম পুনিয়ানির ভাষায়, ‘বিজেপি যে কেবল জনসাধারণের আত্মপরিচিতিকেই ম্যানিপুলেট করছে তাই নয়, তারা ঐতিহাসিক আইকনদের পরিচিতিকেও ম্যানিপুলেট করছে।’ আর তাই আজাদ হিন্দ ফৌজিদের টুপি পরে নেতাজিকে আত্মসাৎ করতে নেমেছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতা দখলের জন্য নেতাজিকে নিয়ে টানাটানি করছে বিজেপি।
কিন্তু তাঁরা কি জানেন, বাংলায় তাঁদের প্রধান আইকন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কপাল ফাটিয়ে দিয়েছিল সুভাষচন্দ্র বসুর দলের কর্মীরাই? নেতাজির প্রত্যক্ষ নির্দেশেই এই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেই তরুণরা। কলকাতায় হিন্দু মহাসভার সাম্প্রদায়িক প্রচারসভাকে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল সুভাষচন্দ্রের যুব বাহিনী। শেষে শ্যামাপ্রসাদ নিজেই ময়দানে নামলে তাঁকেও সেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। হিন্দুত্ববাদীদের হীন রাজনীতি ও বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে ১৯৪০ সালের ১৪ মে এক জনসভায় নেতাজি বলেছিলেন, ‘সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের ত্রিশূল হাতে ভোট ভিক্ষায় নামিয়ে দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। ত্রিশূল ও গেরুয়া বসন দেখলেই তো হিন্দুরা ভক্তিতে মাথা নোয়ায়। ধর্মের সুযোগ নিয়ে, ধর্মকে হেয় করে হিন্দু মহাসভা রাজনীতির বৃত্তে প্রবেশ করছে। একে ধিক্কার জানানো সমস্ত হিন্দুদেরই কর্তব্য... জাতীয় জীবন থেকে এই বিশ্বাসঘাতকদের বিতাড়িত করুন। কেউ ওদের কথায় কান দেবেন না।’
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, গেরুয়া শিবিরের নেতারা আজ যে পথে চলছেন, তা কি নেতাজির পথ বলে মনে হয়? ইতিহাস সাক্ষী, তাঁদের আর নেতাজির পথ ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। এই রূঢ় বাস্তবকে সঙ্ঘের নেতারা কি শুধু নেতাজি স্তুতি দিয়ে ঢাকতে পারবেন?
23rd  January, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
একনজরে
আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! বাংলাদেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরুর কথা জানিয়েছিল ইউনুস সরকার। আওয়ামি লিগ তখনই অভিযোগ তুলেছিল, এই অভিযানের আড়ালে তাদের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় শুরু হবে। বাস্তবে তাই ঘটল। ...

‘আসছে বছর আবার হবে।’ গত কয়েক মরশুম ধরে এটাই ইস্ট বেঙ্গলের ক্যাচলাইন। চলতি আইএসএলও তার ব্যতিক্রম নয়। আপশোস, হতাশা, ক্ষোভ মিলেমিশে একাকার। লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার ...

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা জাগিয়ে অশোকনগরে শুরু হয়েছিল প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাস উত্তোলন প্রকল্পের কাজ। কিন্তু জমিজটের কারণে কয়েকমাস চলার পর তা বন্ধও হয়ে যায়। ...

জমি মাফিয়াদের দাদাগিরি ট্যাক্স না দেওয়ায় এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে  ফুলবাড়ি থেকে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতি লাভের যোগ। ব্যবসা ভালো হবে। হস্তশিল্পীদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৮৭ : নিখিল ভারত নারীশিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাত্রী শ্যামমোহিনী দেবীর জন্ম
১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী উইলিয়াম রন্টগেনের মৃত্যু
১৯৪২: অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের মৃত্যু  
১৯৯৬: আইবিএম সুপার কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো দাবা খেলায় গ্যারী কাসপারভকে পরাজিত করে
২০১৬: চলচ্চিত্র পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
09th  February, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ রাত্রি ৬/৫৮। পুনর্বসু নক্ষত্র ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/১। সূর্যোদয় ৬/১৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১২ গতে ৪/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী রাত্রি ৭/১৮। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৮ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ২/৩৯ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫২ মধ্যে।
১১ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মৈপীঠে বাঘবন্দি করতে দুটি খাঁচা পাতছে বন দপ্তর

06:09:00 PM

পুণ্যস্নান সেরে প্রয়াগরাজ থেকে বেরিয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

05:59:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের শোনমার্গে ফের নতুন করে তুষারপাত, বরফের চাদরে মুড়ল গোটা এলাকা

05:52:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারপাত

05:33:34 PM

হলদিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, আতঙ্ক
একটি যাত্রীবাহী বাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল ...বিশদ

05:33:00 PM

জিডিপি মানে ‘জি’ অর্থে গরিব, ‘ডি’ অর্থে দেশভক্তি ও ‘পি’ অর্থে প্রগতি, সংসদে বাজেটের প্রশংসা করতে গিয়ে জানালেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর

05:17:00 PM