মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে ছুটি। তারপর শুক্রবার বাদ দিলে শনিবার, রবিবার ফের ছুটি। রবিবার আবার সাধারণতন্ত্র দিবস। এমন সপ্তাহান্তে বাড়িতে কি মন টেকে! তাই শুক্রবারটা ম্যানেজ করে টানা চারদিনের ছুটি কাটাতে অনেকেই তারাপীঠকে বেছে নিয়েছে। ফলে বুধবার রাত থেকেই পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে তীর্থভূমিতে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মা তারাকে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পড়েছে। বেলার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বেড়েছে। অনেকে সকাল সকাল পুজো দিয়ে বীরভূমের ধর্মীয় স্থানগুলি ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে বীরভূমেই রয়েছে পাঁচটি।
কলকাতা থেকে সপরিবারে এসেছেন সরকারি কর্মচারী দেবব্রত দাস। তিনি বলেন, অনেকদিন থেকেই তারাপীঠ সহ এই জেলার তীর্থস্থান ঘুরে দেখার জন্য প্ল্যান করছিলাম। টানা ছুটি মেলায় বুধবার রাতেই তারাপীঠে এসে পড়েছি। এখান থেকে বীরচন্দ্রপুর, নলাটেশ্বরী, ফুল্লরা সহ বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র ঘুরে দেখব। রবিবার বিকেলে কলকাতা ফেরার ট্রেন ধরব।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ভিড়ে ঠাসা ছিল মন্দির। মাঝে কিছুদিন সেভাবে ভক্ত সামাগম হয়নি। কিন্তু এদিন সকাল থেকেই ভিড় বেড়েছে। পুজো দেওয়ার নতুন নিয়মে ভক্তরা খুশি। তাঁদের আর দীর্ঘক্ষণ লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। ভিড়ে যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটে সেজন্য সিকিউরিটি কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাইকে ভক্তদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
হোটেল ব্যবসায়ী নিতাই মাল বলেন, জানুয়ারি মাসের শুরু আর শেষে প্রতিবছরই ভিড় থাকে। এবার টানা ছুটিতে সেই ভিড় কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে হোটেল বুকিং দেখে বোঝা যাচ্ছে ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি সেই ভিড় অনেকটাই বাড়বে। তিনি বলেন, অধিকাংশ রুম চারদিনের জন্য বুকড। তবে দিনে হোটেল যাত্রীরা কেউ থাকছে না। তাঁরা গাড়ি ভাড়া করে জেলার বিভিন্ন ধর্মীয়স্থান দর্শনে বেরিয়ে পড়ছেন। রাত হলেই হোটেল ফিরে আসছেন। স্বভাবতই হোটেল ব্যবসায়ীদের এখনও পৌষমাস চলছে।
অন্যদিকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় জেলার অন্যান্য সতীপীঠ ও ধর্মীয় স্থানেও ভিড় বেড়েছে। পুলিস জানিয়েছে, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।