Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই। মিঃ এন আর নারায়ণমূর্তি (এনআরএন) এবং মিঃ এস এন সুব্রহ্মণ্যনের (এসএনএস) মতো ব্যক্তিত্বগণ আছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। বিশ্বে তাঁদের যথাযোগ্য স্থান তাঁরা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কর্মজীবনে, তাঁদের মনের কথা ব্যক্ত করার মানকে উন্নত করেছেন তাঁরা। লোকজন এনআরএন এবং এসএনএস-এর কথা শোনে, এবং প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করে—কেউ কেউ তা করে আক্রমণাত্মকভাবেও!
ভিন্ন বিশ্ব দৃষ্টিকোণ
এনআরএন এবং এসএনএস উভয়েই তাঁদের সম্পদ উত্তরাধিকারসূত্রে পাননি। তাঁরা কোনও সংস্থার কর্মচারী কিংবা শিল্প-কারখানার শ্রমিকও নন যে বেতন বা মজুরি পান। তাঁরা শিক্ষিত-যোগ্য পেশাদার এবং সামান্য ইঞ্জিনিয়ার থেকে হয়ে উঠেছেন প্রথম প্রজন্মের শিল্পোদ্যোগী। তাই, নিজ নিজ সংস্থার অর্জিত মুনাফায় তাঁদের ভাগ প্রাপ্য হয়। স্বভাবতই তাঁদের ‘ওয়ার্ল্ড ভিউ’ বা বিশ্ব দৃষ্টিকোণের সঙ্গে ‘উত্তরাধিকারী’ এবং ‘কর্মচারীদের’ দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক। ফলত, কর্মজীবনের ভারসাম্য সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন।
উত্তরাধিকারী হিসেবে যাঁরা ভাগ্যবান তাঁদের নীচ থেকে কাজ করে উপরে উঠতে হয় না। তাঁরা জানেন, এবং শিল্প-ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অন্য সকলেও জানেন যে উত্তরাধিকারীরা একদিন শীর্ষেই পৌঁছবেন। আমার উদ্বেগ এইখানে যে, ডজন খানেক পুরনো পরিবারকে বাদ দিলে বেশিরভাগ উত্তরাধিকারী তাঁদের পারিবারিক শিল্প-ব্যবসায় বাড়তি কোনও মূল্য যোগ করেননি বা সৃষ্টি করেননি নতুন সম্পদ।
দুর্ভাগ্যবশত, বরং কেউ কেউ তাঁদের পারিবারিক ব্যবসার কিছু সুনাম এবং সম্পদ ধ্বংসই করেছেন। ১৯৯১ সালের আগের এবং আজকের, ভারতের শীর্ষ ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তালিকার তুলনা করা যেতে পারে। প্রথম প্রজন্মের উদ্যোগীরা আরও বেশি সম্পদ সৃষ্টি করেছেন। শ্রমিক এবং কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বলা যায়, তাঁরা যে মজুরি বা বেতন (এবং তার নিয়মমাফিক বৃদ্ধি) পান তাতে তাঁদের বেশিরভাগই সন্তুষ্ট। বর্তমান অবস্থা থেকে উপরে ওঠার জন্য তাঁদের না-আছে দক্ষতা এবং না-আছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আমি লক্ষ্য করেছি যে, মোটামুটিভাবে উত্তরাধিকারীদের মতো ভাগ্যবান ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক-কর্মচারীরাই, সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করা উচিত, এই প্রশ্নে এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
নিয়ম স্বাভাবিক নয়
সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন এনআরএন। অন্যদিকে, এসএনএস নাকি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার জন্য বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, তাঁরা যা বলেছেন তা তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্মানজনক কিছু নয়। এনআরএন বলেছেন, “বিশ্বের মধ্যে যেসব দেশের ওয়ার্ক প্রোডাক্টিভিটি বা কর্মদক্ষতা সবচেয়ে কম, সেগুলিরই একটি হল ভারত... তাই, আমার অনুরোধ, আমাদের তরুণদের বলতে হবে, ‘এটা আমার দেশ, আমি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে চাই’।’’ এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হলেও তিনি পিছু হটতে রাজি নন বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে, একটি তারিখবিহীন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এসএনএস বলেছেন, “সত্যি বলতে কী, আমার দুঃখ এই যে, আমি রবিবার আপনাদের কাজে লাগাতে পারছি না। আমি রবিবারে কাজ করি। রবিবার আপনাদেরকেও কাজে লাগাতে পারলে খুশি হব।”
শিল্প শ্রমিকদের জন্য প্রতিটি ৮ ঘণ্টার দিন প্রথম আইনে পরিণত হয় ১৯১৮ সালে জার্মানিতে। তারপর থেকে ‘৮ ঘণ্টা শ্রম, ৮ ঘণ্টা বিনোদন এবং ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম’ একটি সর্বজনীন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ৮-৮-৮ এর মধ্যে একটি সুন্দর ছন্দ আছে। তবে আমি এমন কাউকে জানি না, যিনি ‘বিনোদনে’র  জন্য দিনে ৮ ঘণ্টা ব্যয় করেন। আমার মনে হয়, এই ‘বিনোদন’ কথাটির মধ্যে স্নান-খাওয়া, ব্যায়াম, খেলাধুলো, সিনেমা দেখা, খবরের কাগজ ও বই পড়া, হাটবাজার করা, আড্ডা দেওয়া, গল্প করা প্রভৃতি সবই ধরা রয়েছে। ব্যাপারটাকে আপনি এইভাবে দেখলে ‘বিনোদনের’ জন্য ৮ ঘণ্টা যথেষ্ট বলে মনে হয় না!
বেশিরভাগ শিল্প শ্রমিক একই কাজ বারবার করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নতুন কিছু শিক্ষা করেন এবং জটিল কাজ উতরনোর জন্য তৈরি করে তোলেন নিজেদেরকে। ‘ডেস্ক জব’-এর প্রচলন বেশি হওয়ার পর নিয়োগকর্তারা ৮-৮-৮ নিয়মটি কপি বা অনুকরণ করেন। বেশিরভাগ ডেস্ক কর্মীর কাজও একঘেয়ে। অতএব, আমি একমত যে বেশিরভাগ শ্রমিক বা কর্মীর জন্য ৮-৮-৮ নিয়মটি গ্রহণ করা যুক্তিসঙ্গত। অটোমেশন, রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই নিয়মটি পাল্টে ‘সামান্য কয়েক’ ঘণ্টার কাজের দিকে যেতে পারে। তাঁদের দীর্ঘতর সময় ধরে কাজ করার কোনও প্রয়োজন নেই, বরং ‘আরও উৎপাদনশীল’ হয়ে ওঠার জন্য তাঁদের প্রয়োজন উপযুক্ত সরঞ্জাম, প্রযুক্তি এবং সিস্টেমের। আমার ধারণা, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের লক্ষ্য এই ধরনের শ্রমিক এবং কর্মীরা নন। 
উল্টো দিকে, কৃষকরা, বিশেষ করে স্বনিযুক্ত কৃষকরা তাঁদের কাজের জন্য ৮-৮-৮ নিয়ম ফলো করেন না। খামারের কাজে, প্রথম ৮ ঘণ্টা সম্ভবত ১০ বা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। একইভাবে, ডাক্তার, আইনজীবী, বিচারক, স্থপতি, বিজ্ঞানী, অভিনেতা প্রভৃতি পেশাদাররা দিনে মাত্র ৮ ঘণ্টা কাজ করে ক্ষান্ত দেন না। আমি এমন পেশাদারদেরও চিনি, যাঁদের দৈনিক কাজের সময়কাল ১২ ঘণ্টার মতো দীর্ঘ এবং শনিবার তো বটেই অনেক ক্ষেত্রে তা পেরিয়ে রবিবারটিও তার মধ্যে জুড়ে যায়। খুব কম সফল পেশাদারই, স্বেচ্ছায় গৃহীত দীর্ঘ কাজের সময় সম্পর্কে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। অতএব, তথাকথিত নিয়মটি সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে অভিন্নভাবে প্রযোজ্য বলে ধরে নেওয়ার কোনও বিষয় নয়।
নিজের জন্য আবিষ্কার করুন
আমি দিনের মধ্যে দীর্ঘসময় কাজ করার ব্যাপারটা উপভোগই করি। তবে আমার দিক থেকে ‘কাজ’-এর সংজ্ঞার মধ্যে রয়েছে আইন প্র্যাকটিস, সংসদীয় কাজকর্ম, নিজস্ব পড়া ও লেখা, সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, ভাষণদান, পছন্দের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রভৃতি। ঘুমনোর বাইরের প্রতিটি ঘণ্টাকেই আমি ‘কাজের সময়’ বলে বিবেচনা করি। কর্মজীবনের ভারসাম্য এমন একটি জিনিস যা ‘প্রতিটি’ ব্যক্তি মানুষকে নিজের জন্য ‘আবিষ্কার’ করতে হয় এবং খুশি যে, আমি আমার প্রয়োজনের জিনিসটি আবিষ্কার করেছি।
এনআরএন এবং এসএনএস ভীষণভাবে 
সফল এবং তাঁরা শীর্ষেই পৌঁছেছেন। তাই আমি মনে করি, ভারতীয়দের ‘দীর্ঘ’ সময় কাজের কথা বলার পক্ষে যোগ্য ব্যক্তি তাঁরা। কিছু ট্রোল এবং মিম 
থেকে যে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সেসব আর্থিকভাবে পুরস্কৃত হওয়ার মতো কোনও বিষয় বলে আমি মনে করি না। আমি এমন অনেক পুরুষ ও নারীকে চিনি, যাঁরা ব্যক্তিগত বিপুল আয় বা সম্পদের ভারে বেসামাল হয়ে যাননি। তাঁরা বরং সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই করেন, সেইমতো সাধারণ খাবার খান, 
মদ্যপান করেন না, জাঁকালো নয় সুন্দর ছিমছাম পোশাক পরেন। তাঁরা যথেষ্ট বিনয়ী এবং দয়ালুও বটেন। আমি বিশ্বাস করি, এনআরএন এবং এসএনএস উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ প্রজন্মকে এই শিক্ষা গ্রহণের জন্যই উৎসাহিত করেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদনশীল কাজই একটি উন্নয়নশীল দেশকে সত্যিকার অর্থে ধনী করে তুলবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনমান উন্নত হবে তাতেই।
আমার মতে, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের মধ্যে বিতর্কিত কিছু নেই। তেমন যদি কিছু থেকে থাকে, তাঁদের কথার সেই অনিচ্ছাকৃত প্রভাব মানুষকে ভাবার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স’-এর খোঁজে খারাপ কিছু নাও হতে পারে!
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
একনজরে
ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...

ঘরে বসে নয়, রাস্তায় নেমে কাজের হাল দেখতে হবে। এবার আলোক বিভাগের কর্মীদের রোস্টার ডিউটি চালু হল কলকাতা পুরসভায়। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...

আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের হারের ধারা অব্যাহত। রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ০-১ গোলে বশ মানল অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা। সবমিলিয়ে হারের হ্যাটট্রিকে আরও বিপাকে ক্লেটনরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM