Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই। মিঃ এন আর নারায়ণমূর্তি (এনআরএন) এবং মিঃ এস এন সুব্রহ্মণ্যনের (এসএনএস) মতো ব্যক্তিত্বগণ আছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। বিশ্বে তাঁদের যথাযোগ্য স্থান তাঁরা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কর্মজীবনে, তাঁদের মনের কথা ব্যক্ত করার মানকে উন্নত করেছেন তাঁরা। লোকজন এনআরএন এবং এসএনএস-এর কথা শোনে, এবং প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করে—কেউ কেউ তা করে আক্রমণাত্মকভাবেও!
ভিন্ন বিশ্ব দৃষ্টিকোণ
এনআরএন এবং এসএনএস উভয়েই তাঁদের সম্পদ উত্তরাধিকারসূত্রে পাননি। তাঁরা কোনও সংস্থার কর্মচারী কিংবা শিল্প-কারখানার শ্রমিকও নন যে বেতন বা মজুরি পান। তাঁরা শিক্ষিত-যোগ্য পেশাদার এবং সামান্য ইঞ্জিনিয়ার থেকে হয়ে উঠেছেন প্রথম প্রজন্মের শিল্পোদ্যোগী। তাই, নিজ নিজ সংস্থার অর্জিত মুনাফায় তাঁদের ভাগ প্রাপ্য হয়। স্বভাবতই তাঁদের ‘ওয়ার্ল্ড ভিউ’ বা বিশ্ব দৃষ্টিকোণের সঙ্গে ‘উত্তরাধিকারী’ এবং ‘কর্মচারীদের’ দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক। ফলত, কর্মজীবনের ভারসাম্য সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন।
উত্তরাধিকারী হিসেবে যাঁরা ভাগ্যবান তাঁদের নীচ থেকে কাজ করে উপরে উঠতে হয় না। তাঁরা জানেন, এবং শিল্প-ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অন্য সকলেও জানেন যে উত্তরাধিকারীরা একদিন শীর্ষেই পৌঁছবেন। আমার উদ্বেগ এইখানে যে, ডজন খানেক পুরনো পরিবারকে বাদ দিলে বেশিরভাগ উত্তরাধিকারী তাঁদের পারিবারিক শিল্প-ব্যবসায় বাড়তি কোনও মূল্য যোগ করেননি বা সৃষ্টি করেননি নতুন সম্পদ।
দুর্ভাগ্যবশত, বরং কেউ কেউ তাঁদের পারিবারিক ব্যবসার কিছু সুনাম এবং সম্পদ ধ্বংসই করেছেন। ১৯৯১ সালের আগের এবং আজকের, ভারতের শীর্ষ ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তালিকার তুলনা করা যেতে পারে। প্রথম প্রজন্মের উদ্যোগীরা আরও বেশি সম্পদ সৃষ্টি করেছেন। শ্রমিক এবং কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বলা যায়, তাঁরা যে মজুরি বা বেতন (এবং তার নিয়মমাফিক বৃদ্ধি) পান তাতে তাঁদের বেশিরভাগই সন্তুষ্ট। বর্তমান অবস্থা থেকে উপরে ওঠার জন্য তাঁদের না-আছে দক্ষতা এবং না-আছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আমি লক্ষ্য করেছি যে, মোটামুটিভাবে উত্তরাধিকারীদের মতো ভাগ্যবান ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক-কর্মচারীরাই, সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করা উচিত, এই প্রশ্নে এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
নিয়ম স্বাভাবিক নয়
সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন এনআরএন। অন্যদিকে, এসএনএস নাকি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার জন্য বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, তাঁরা যা বলেছেন তা তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্মানজনক কিছু নয়। এনআরএন বলেছেন, “বিশ্বের মধ্যে যেসব দেশের ওয়ার্ক প্রোডাক্টিভিটি বা কর্মদক্ষতা সবচেয়ে কম, সেগুলিরই একটি হল ভারত... তাই, আমার অনুরোধ, আমাদের তরুণদের বলতে হবে, ‘এটা আমার দেশ, আমি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে চাই’।’’ এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হলেও তিনি পিছু হটতে রাজি নন বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে, একটি তারিখবিহীন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এসএনএস বলেছেন, “সত্যি বলতে কী, আমার দুঃখ এই যে, আমি রবিবার আপনাদের কাজে লাগাতে পারছি না। আমি রবিবারে কাজ করি। রবিবার আপনাদেরকেও কাজে লাগাতে পারলে খুশি হব।”
শিল্প শ্রমিকদের জন্য প্রতিটি ৮ ঘণ্টার দিন প্রথম আইনে পরিণত হয় ১৯১৮ সালে জার্মানিতে। তারপর থেকে ‘৮ ঘণ্টা শ্রম, ৮ ঘণ্টা বিনোদন এবং ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম’ একটি সর্বজনীন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ৮-৮-৮ এর মধ্যে একটি সুন্দর ছন্দ আছে। তবে আমি এমন কাউকে জানি না, যিনি ‘বিনোদনে’র  জন্য দিনে ৮ ঘণ্টা ব্যয় করেন। আমার মনে হয়, এই ‘বিনোদন’ কথাটির মধ্যে স্নান-খাওয়া, ব্যায়াম, খেলাধুলো, সিনেমা দেখা, খবরের কাগজ ও বই পড়া, হাটবাজার করা, আড্ডা দেওয়া, গল্প করা প্রভৃতি সবই ধরা রয়েছে। ব্যাপারটাকে আপনি এইভাবে দেখলে ‘বিনোদনের’ জন্য ৮ ঘণ্টা যথেষ্ট বলে মনে হয় না!
বেশিরভাগ শিল্প শ্রমিক একই কাজ বারবার করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নতুন কিছু শিক্ষা করেন এবং জটিল কাজ উতরনোর জন্য তৈরি করে তোলেন নিজেদেরকে। ‘ডেস্ক জব’-এর প্রচলন বেশি হওয়ার পর নিয়োগকর্তারা ৮-৮-৮ নিয়মটি কপি বা অনুকরণ করেন। বেশিরভাগ ডেস্ক কর্মীর কাজও একঘেয়ে। অতএব, আমি একমত যে বেশিরভাগ শ্রমিক বা কর্মীর জন্য ৮-৮-৮ নিয়মটি গ্রহণ করা যুক্তিসঙ্গত। অটোমেশন, রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই নিয়মটি পাল্টে ‘সামান্য কয়েক’ ঘণ্টার কাজের দিকে যেতে পারে। তাঁদের দীর্ঘতর সময় ধরে কাজ করার কোনও প্রয়োজন নেই, বরং ‘আরও উৎপাদনশীল’ হয়ে ওঠার জন্য তাঁদের প্রয়োজন উপযুক্ত সরঞ্জাম, প্রযুক্তি এবং সিস্টেমের। আমার ধারণা, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের লক্ষ্য এই ধরনের শ্রমিক এবং কর্মীরা নন। 
উল্টো দিকে, কৃষকরা, বিশেষ করে স্বনিযুক্ত কৃষকরা তাঁদের কাজের জন্য ৮-৮-৮ নিয়ম ফলো করেন না। খামারের কাজে, প্রথম ৮ ঘণ্টা সম্ভবত ১০ বা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। একইভাবে, ডাক্তার, আইনজীবী, বিচারক, স্থপতি, বিজ্ঞানী, অভিনেতা প্রভৃতি পেশাদাররা দিনে মাত্র ৮ ঘণ্টা কাজ করে ক্ষান্ত দেন না। আমি এমন পেশাদারদেরও চিনি, যাঁদের দৈনিক কাজের সময়কাল ১২ ঘণ্টার মতো দীর্ঘ এবং শনিবার তো বটেই অনেক ক্ষেত্রে তা পেরিয়ে রবিবারটিও তার মধ্যে জুড়ে যায়। খুব কম সফল পেশাদারই, স্বেচ্ছায় গৃহীত দীর্ঘ কাজের সময় সম্পর্কে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। অতএব, তথাকথিত নিয়মটি সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে অভিন্নভাবে প্রযোজ্য বলে ধরে নেওয়ার কোনও বিষয় নয়।
নিজের জন্য আবিষ্কার করুন
আমি দিনের মধ্যে দীর্ঘসময় কাজ করার ব্যাপারটা উপভোগই করি। তবে আমার দিক থেকে ‘কাজ’-এর সংজ্ঞার মধ্যে রয়েছে আইন প্র্যাকটিস, সংসদীয় কাজকর্ম, নিজস্ব পড়া ও লেখা, সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, ভাষণদান, পছন্দের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রভৃতি। ঘুমনোর বাইরের প্রতিটি ঘণ্টাকেই আমি ‘কাজের সময়’ বলে বিবেচনা করি। কর্মজীবনের ভারসাম্য এমন একটি জিনিস যা ‘প্রতিটি’ ব্যক্তি মানুষকে নিজের জন্য ‘আবিষ্কার’ করতে হয় এবং খুশি যে, আমি আমার প্রয়োজনের জিনিসটি আবিষ্কার করেছি।
এনআরএন এবং এসএনএস ভীষণভাবে 
সফল এবং তাঁরা শীর্ষেই পৌঁছেছেন। তাই আমি মনে করি, ভারতীয়দের ‘দীর্ঘ’ সময় কাজের কথা বলার পক্ষে যোগ্য ব্যক্তি তাঁরা। কিছু ট্রোল এবং মিম 
থেকে যে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সেসব আর্থিকভাবে পুরস্কৃত হওয়ার মতো কোনও বিষয় বলে আমি মনে করি না। আমি এমন অনেক পুরুষ ও নারীকে চিনি, যাঁরা ব্যক্তিগত বিপুল আয় বা সম্পদের ভারে বেসামাল হয়ে যাননি। তাঁরা বরং সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই করেন, সেইমতো সাধারণ খাবার খান, 
মদ্যপান করেন না, জাঁকালো নয় সুন্দর ছিমছাম পোশাক পরেন। তাঁরা যথেষ্ট বিনয়ী এবং দয়ালুও বটেন। আমি বিশ্বাস করি, এনআরএন এবং এসএনএস উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ প্রজন্মকে এই শিক্ষা গ্রহণের জন্যই উৎসাহিত করেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদনশীল কাজই একটি উন্নয়নশীল দেশকে সত্যিকার অর্থে ধনী করে তুলবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনমান উন্নত হবে তাতেই।
আমার মতে, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের মধ্যে বিতর্কিত কিছু নেই। তেমন যদি কিছু থেকে থাকে, তাঁদের কথার সেই অনিচ্ছাকৃত প্রভাব মানুষকে ভাবার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স’-এর খোঁজে খারাপ কিছু নাও হতে পারে!
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
20th  January, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একনজরে
পাশাপাশি দু’টি নেটে হার্দিক পান্ডিয়া এবং শ্রেয়স আয়ার। মিডল অর্ডারে টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম দুই ভরসাও বলা যায়। আইসিসি’র অ্যাকাডেমির মাঠে স্পিনারদের বিরুদ্ধে মহড়ায় ব্যস্ত তাঁরা। ...

নজরে ২৬-র বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসকদল পথ চলা শুরু করেছে। যদিও নির্বাচনের এখনও অনেক সময় রয়েছে। এখনও নির্বাচনের ঢাকেই ...

হিংসা শুরুর প্রায় দু’বছর পর মণিপুরে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এরইমধ্যে রাজ্যের বিধায়কদের ‘প্রভাবিত ও বিভ্রান্তি’ করার চেষ্টার অভিযোগ। ...

রাজ্যের হিমঘরগুলিতে অন্তত ৩০ শতাংশ জায়গায় ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত আলু রাখতে হবে। কৃষি বিপণন দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একজন চাষি এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সৃষ্টিশীল কাজকর্মে উন্নতি হবে।  কর্মক্ষেত্রে কোনও সুখবর পেতে পারেন। বিশেষ কোনও কারণে মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪০৫: মোঙ্গল সর্দার তৈমুরলঙের মৃত্যু
১৬০০: দার্শনিক ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়
১৭৭৫: বাংলায় ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের অন্যতম পথিকৃৎ ডেভিড হেয়ারের জন্ম
১৮৯০: টাইপরাইটারের উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলসের মৃত্যু
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৬৮:  ভারতে প্রথম এবং বিশ্বে চতুর্থ কার্ডিওথোরাসিক সার্জন হিসেবে ডাঃপ্রফুল্লকুমার সেন মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন
১৯৮৪: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার এবি ডিভিলিয়ার্সের জন্ম
১৯৮৭: ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু
২০২০: ‘কাট-কপি-পেস্টের’ জনক টেসলারের মৃত্যু
২০২২:  ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তের মৃত্যু
২০২৩: আগ্রা ঘরানার বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত বিজয়কুমার কিচলুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৮ টাকা ১১১.১৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  February, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2025

দিন পঞ্জিকা

৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী ৫৬/৪৮ রাত্রি ৪/৫৪। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১১/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৩০/২২।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫২ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ২/৪১ গতে ৪/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫০ মধ্যে। 
 ৪ ফাল্গুন, ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী রাত্রি ২/৪৪। চিত্রা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৫৪। সূর্যোদয় ৬/১৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ১০/৩৫ গতে ১২/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/৩ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬ গতে ১১/৫২ মধ্যে। 
১৮ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তিরুমালায় ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ

01:49:00 PM

পূর্ব মেদিনীপুরে এগরা-বাজকুল রাজ্য সড়কে পথ দুর্ঘটনা
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার লালপুরে এগরা-বাজকুল রাজ্য সড়কে পথ দুর্ঘটনায় ...বিশদ

01:39:00 PM

বিধানসভা থেকে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতাসহ চার বিজেপি বিধায়ক

01:34:57 PM

মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ পরীক্ষার্থী
মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ল এক পড়ুয়া। জলপাইগুড়ি জেলা ...বিশদ

01:26:00 PM

ধর্ষণ-খুন মামলায় আজীবন কারাদণ্ডের সাজা
২০১৭ সালে গোয়াতে বিদেশিনীকে ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী স্থানীয় যুবক বিক্রম ...বিশদ

01:11:00 PM

পেরুতে শাকিরার কনসার্ট বাতিল, হাসপাতালে ভর্তি পপ স্টার

01:01:00 PM