Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। আমেদাবাদের বাপুনগরে সাউথ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কিন্ডারগার্টেন বিভাগে এহেন এক উৎসব পরিবেশ ব্যাহত হল। কেন? কারণ আচমকা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল সদস্য স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকা এবং দিদিমণিদের ধমক, হুমকি দিয়ে বলল, এসব বিদেশি কালচার চলবে না। সব ডেকোরেশন খুলে ফেলতে হবে। বাচ্চারাও ভয় পেল। দিদিমণিরা তো বটেই। এরপর তাদের বাধ্য করা হয় সমস্ত দেওয়াল ফাঁকা করে দিতে। বাচ্চাদের আঁকা সব ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এই শেষ ওয়ার্নিং। আগামী বছর থেকে যেন এসব ক্রিসমাস পালন করতে না দেখি! এই হুঁশিয়ারি দিয়ে চলে যায় তারা। বিহ্বল এবং আতঙ্কিত দিদিমণি এবং বাচ্চারা সম্ভবত আগামী জীবনে আর কখনও এই আতঙ্ক ভুলবে না।
জোমাটো অথবা সুইগির ইউনিফর্ম আছে। সেইসব কোম্পানির নাম লেখা টি শার্ট পরেই ডেলিভারি পার্সনদের দেখা যায় শহরে শহরে বাইক অথবা স্কুটিতে চেপে অর্ডার করা খাবার পৌঁছে দেয় কাস্টমারের কাছে। ইন্দোরে ২৫ ডিসেম্বর অর্জুন কোম্পানির দেওয়া স্যান্টাক্লজের পোশাক ও টুপি পরে বাইকে চেপে খাবার ডেলিভারি করছিল একজন। হঠাৎ পথে তাকে আটকে দেওয়া হল। নামিয়ে প্রশ্ন করা হল, স্যান্টাক্লজের পোশাক পরেছো কেন? সে বলেছে, আজ ক্রিসমাস। কোম্পানির ক্রিসমাস ড্রাইভ চলছে। তাই..। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা আহ্বায়ক সুমিত হারদিয়া তাঁকে বলেছে, এখনই খুলে ফেলতে হবে এই পোশাক। দিওয়ালির দিন যখন খাবার ডেলিভারি করিস, তখন কি রামচন্দ্র সেজে করিস? অর্জুন কাকুতি মিনতি করে বলে, স্যার আমি এই ড্রেস খুলে ফেললে কাজ হারাব। কারণ, আজ বলে দিয়েছে এটা পরেই খাবার ডেলিভারি করতে হবে। হিন্দু জাগরণ সেনা তাকে বলে, ওসব জানি না। তোর কাজ খাবার দেওয়া। এই পোশাক খুলতে হবে। অর্জুন বাধ্য হয় স্যান্টাক্লজের পোশাক খুলে ফেলতে।
ইস্ট খাসি হিলস জেলার মালিনং ভিলেজ চার্চের শান্ত আবহে আচমকা আকাশ সাগর ঢুকে পড়ল। এবং চার্চ অফ এফিমেনির অন্দরে যেখানে পাদ্রী  ও যাজকরা প্রার্থনা করেন ও বাইবেল পাঠ করেন, সেই অল্টারে দাঁড়িয়ে মা‌ই঩ক্রোফোন অন করে গাইতে শুরু করে রাম সিয়ারাম...সিয়ারাম জয় জয় রাম...। প্রার্থনা করতে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে সে অল্টারে দাঁড়িয়ে ইশারা করে তার সঙ্গে গাইতে। জয় শ্রীরাম বলে সে তার কর্মসূচি সম্পন্ন করে।
এটা তো মেঘালয়ের প্রত্যন্ত কোনও জেলার একটি নির্জন চার্চের ঘটনা। হতেই পারে। মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ তো নির্জন এবং প্রত্যন্ত কোনও স্থান নয়। কলকাতার যেমন ধর্মতলা, দিল্লির যেমন কনট প্লেস, বেঙ্গালুরুর যেমন এম জি রোড তেমনই লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ। এহেন হজরৎগঞ্জের চার্চের সামনে জড়ো হয়ে লখনউয়ের এক বিরাট জনতা শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তন করতে শুরু করলেন ক্রিসমাসের রাতে। 
চার্চের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেল। আনন্দ ও উচ্ছ্বলতা দেখে মনে হয়েছিল জন্মাষ্টমীর রাত পালন করা হচ্ছে। ক্রিসমাস পালনের আবহ ঢেকে গিয়েছিল ওই উচ্চকিত হিন্দুত্ব ফেস্টিভ্যালে।
মধ্যপ্রদেশের দামো জেলা শহরে আয়োজিত করা হয়েছে স্বদেশি মেলার। আয়োজক স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। গত নভেম্বর মাসে। যারা অংশগ্রহণ করে নিজেদের পণ্য বিক্রি করবে, তাদের স্টল ভাড়া দিতে হবে। যারা ভিনরাজ্য থেকে আসবে তাদের নিজেদের আসা, থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। সেইমতো কাশ্মীরের কোনও বিক্রেতা ৩০ হাজার টাকা খরচ করে কার্পেট নিয়ে এসেছে এবং স্টল দিয়েছে। আগ্রার কোনও বিক্রেতা ৮ হাজার টাকা খরচ করে এসেছে এবং আগ্রার হস্তশিল্প নিয়ে বসবে বলে স্টল নিয়েছে। কিন্তু ১০ জন দোকানিকে বলা হল তোমরা স্টল ছেড়ে দিয়ে চলে যাও। এই মেলায় তোমাদের স্থান হবে না। বাছাই করা ওই ১০ জনই মুসলিম সম্প্রদায়ের। তারা বাইরে থেকে এসেছে। স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গে তো আর ঝগড়া করতে পারবে না। অতএব সকলেই মুখ বুজে ফিরে গিয়েছে স্বদেশি মেলা থেকে।
কুম্ভ মেলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। নাসের পাঠান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করল। সাংঘাতিক ঘটনা। এ তো দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে, এরকম ঘোষণায়! পুলিস তদন্তে নেমে ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিককে গ্রেপ্তার করে হতবাক। নাসের পাঠান নাম দিয়ে যে ওই হুমকি দিয়েছে, সে আসলে আয়ুশ জয়সওয়াল। হিন্দু তরুণ। 
এসব ঘটনা কীসের ইঙ্গিত করে? তার থেকে বড় প্রশ্ন হল, এসব থেকে হিন্দুত্ব কতটা উপকৃত হল? বরং এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট, অর্থনীতি, জিডিপি, উন্নয়ন, বাজেট, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ বিল, জি টুয়েন্টি, চন্দ্রযান, ১০০ দিনের কাজ এসব নিত্যদিনের হাজারো সিরিয়াস ইস্যুর আড়ালে একটি সুনির্দিষ্ট প্রজেক্ট চলছে। প্রজেক্টের নাম হিন্দুরাষ্ট্র। না, আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এমন একটি পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় আবহ নির্মাণ করা হচ্ছে, যেটা কার্যত প্রমাণ করে দেয় যে, আদতে কিন্তু ভারত এখন হিন্দুরাষ্ট্রই। হিন্দুত্বই চালিকাশক্তি। সুতরাং মেজরিটির কথাই শেষ কথা।
নীতি নিয়ম বিধি এবং সামাজিক প্রথাকে নিয়ন্ত্রণ করবে ধর্মীয় মেজরিটি সংখ্যা। অন্যদের মেনে নিতে হবে। যা হওয়ার কথা ছিল পারস্পরিক সহাবস্থান, সেটি বদলে এখন করার চেষ্টা হচ্ছে একটি  বিভাজিত পরিবেশ নির্মাণের প্রকল্প। শাসক ও শাসিত। অর্থাৎ মেজরিটি শাসন করবে। মাইনরিটি মান্য করবে। ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি। রাষ্ট্রের চারটি প্রধান স্তম্ভকে প্রভাবিত করবে সংখ্যাগুরু শ্রেণি। সেটা চিরকালই হয়ে এসেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। এখন যেন সেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনেক বেশি প্রকট করার একটি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। 
একজন হিন্দু কি অখুশি হয় হিন্দুত্বের বজ্রনির্ঘোষে? মোটেই নয়। মেজরিটেরিয়ান ডমিনেশনের অনুভূতি সর্বদা সব দেশেই সকল সম্প্রদায়ের কাছেই গোপন একটি তৃপ্তি। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যে উপায়ে সেটি প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, সেটি হিন্দুধর্মীয়দের কাছে বেশ কিছুটা লজ্জার। কারণ এসব ঘটনা থেকে দেশি-বিদেশি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মনে হতেই পারে যে, হিন্দুরা এত ধর্মীয়ভাবে অসুরক্ষিত বোধ করে কেন? কে ক্রিসমাস পালন করল, কে নমাজ কবুল করল, কে বুদ্ধজয়ন্তীতে প্রার্থনা করল, সেটা হিন্দুধর্মকে আঘাত করবে কেন? হিন্দুধর্ম এতই ভঙ্গুর কে বলল? 
হিন্দু ধর্মের বয়স, ব্যাপ্তি, সভ্যতা, গভীরতা, অধ্যাত্মের সমুদ্র নিজেই এক মহাজগৎ! সেখানে অন্য কোনও ধর্ম পালিত হলে হিন্দুধর্ম ভয় পাবে কিংবা আশঙ্কা হবে ‘গেল গেল বলে’, এটা তো চূড়ান্ত ছেলেমানুষি এবং অশিক্ষার লক্ষণ। হিন্দুধর্ম স্বমহিমায় শ্রেষ্ঠ। তার কোনও প্রতিযোগিতায় নামার দরকারই নেই। সনাতন ধর্মচর্চার আরও উন্নতি করা হোক। সেটাই কাম্য। তাই বলে অন্য ধর্মকে কেন দমন পীড়নের দরকার বোঝা গেল না! 
প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্সে যোগ দিয়ে শান্তি ও সমন্বয়ের বার্তা দিচ্ছেন। অথচ তারপরেও ক্রিসমাসে চার্চে হামলা হয়! রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান ধমক দিয়ে বলেন, যত্রতত্র রামমন্দিরের মতো মন্দির মসজিদ ইস্যু তৈরি করা বরদাস্ত করা হবে না। এই দেশ সকলের। অথচ ঠিক বিপরীত কাজই করে সঙ্ঘ সদস্য সংগঠনগুলি রাজ্যে রাজ্যে। তাহলে কথাগুলো সত্যি? নাকি লোকদেখানো? আমাদের আড়ালে আসলে ঠিক কী খেলা চলছে? 
কারা চা‌ইছে এই দেশকে পাকিস্তানের মতো ধর্মোন্মাদী করে তুলতে? কারা চাইছে বাংলাদেশের মতো খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে? কারা চাইছে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া করে দিতে? এসব অস্থিরতাকে প্রশ্রয় দেওয়া আসলে কাদের প্রজেক্ট? 
সর্বোচ্চ জনসংখ্যা।। প্রাচীনতম গণতন্ত্র। সফলতম সংসদীয় সাধারণতন্ত্র। পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আজ পর্যন্ত সামরিক শাসনে না আসা। বিশ্বের বৃহত্তম বাজার। এবং ৭৮ বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ! ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’ নামক এই ব্র্যান্ডের তুলনা হয় নাকি? অথচ এই ব্র্যান্ড ধ্বংস করতে উদ্যত কোন আত্মঘাতীরা?
10th  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
একনজরে
বালুরঘাট শহরে জোড়া ব্রিজের কাছে আত্রেয়ী সংলগ্ন খাঁড়ি দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকান। যা নিয়ে সরব হন শহরের মানুষ। সেই খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচদপ্তর। ...

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে আপাতত যুদ্ধ বন্ধ হল। সংঘর্ষবিরতির শর্ত অনুযায়ী, রবিবার হামাসের পক্ষ থেকে তিন মহিলা পণবন্দির নাম প্রকাশ করা হয়। পরে তাঁদের রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...

ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM