Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের আড়াই হাজার টাকা। বার্ধক্যভাতাও প্রথমে ২৫০০ টাকা। সত্তর পেরলেই বেড়ে হবে তিন হাজার। দেওয়ালে পিঠ না ঠেকে গেলে হোলি আর দেওয়ালিতে বিনা পয়সায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হয়! 
দিল্লির বিধানসভা ভোটের আড়াই সপ্তাহ আগে ‘রেউড়ি’ রাজনীতির কট্টর সমালোচক মোদির দলের এমন কাছা খুলে উপুড়হস্ত হওয়ার কারণ কেজরিওয়ালের মোকাবিলায় তারা এবারও দিশাহারা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে আপের উপরই আস্থা রাখছে দিল্লির মানুষ। বিজেপির ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া যে কঠিন তা মানছেন নির্বাচনী পণ্ডিতরাও। ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় দস্তুর এটাই। ক্ষমতায় ফেরার জন্য দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আর উন্নয়নের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় প্রতিশ্রুতি আর উপঢৌকন।  ২০১৫ সালে আপের স্লোগান ছিল ‘বিজলি হাফ, পানি মাফ’। পরের বার অর্থাৎ কুড়ি সালে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বাসে মেয়েদের বিনা পয়সায় যাতায়াত, পাড়ায় পাড়ায় ক্লিনিক এবং সরকারি স্কুলের মানোন্নয়ন। এবার মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নকল করে মাসে মাসে মহিলাদের মাসোহারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। লোকসভায় গেরুয়া দলের পক্ষে সাতে সাত হলেও সেই পরিণাম উল্টে যায় বিধানসভায়। গত শুক্রবার আপের মোকাবিলায় বিজেপির রেউড়ি-সর্বস্ব নির্বাচনী ইস্তাহার একটা কথাই প্রমাণ করে কর্পোরেট বিপণন দুনিয়ার মতো ভোটেও ডোল আর ফ্রি-গিফ্টই নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। একদা লোকপালের জন্য গলা ফাটানো নেতাও ভোট জেতার চেয়ে ভোট কিনতেই বেশি আগ্রহী। কেজরিওয়ালের সেই চালেই আপাতত মোদি মাত!
সেদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জেলে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে মণীশ সিশোদিয়া। আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে চারিদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সকাল সন্ধে তল্লাশি। দলের মুখ কেজরিওয়াল ৪৫ কোটি টাকায় নিজের জন্য ‘শিসমহল’ বানিয়েছেন বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছেন প্রকাশ্যে। বাথরুমের কমোডেও বসেছে সোনার জল, চোখ ধাঁধানো বহুমূল্য পাথর, কোটি টাকার পর্দা, জাকুজি, সুইমিং পুল, সবমিলিয়ে পাঁচতারা বন্দোবস্ত! সরকারি অর্থের ব্যাপক নয়ছয়, স্বজনপোষণের অভিযোগ। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পর দিল্লিতেও কংগ্রেস আলাদা লড়ছে। তৃণমূল ও অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি আপকে সমর্থনও জানিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই চড়া দাগের হিন্দুত্ব নিয়ে আসরে সঙ্ঘ। তবু বিজেপির দিল্লি জয়ের আশা এবারও দূরঅস্ত! মোদিজি বেশ বুঝতে পারছেন, লোকসভা ভোটে দু’হাত ভরে সমর্থন দিলেও দিল্লির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিহাস গড়ে তিনি তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেজরিওয়াল বাহিনীর হ্যাটট্রিক পাকা। ঠিক যেন মোদিজির সাফল্যকে সোচ্চারে দুয়ো দিতে তৎপর দিল্লিবাসী। লোকসভা ও বিধানসভায় দিল্লির ভোটারদের এই দু’রকম চরিত্র নিঃসন্দেহে নির্বাচনী পণ্ডিতদের গবেষণার বিষয়। কিন্তু খালি চোখে কারণ একটাই, দশ বছরেও দিল্লিতে নেতা (পড়ুন, মুখ) তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা বিজেপির। 
গেরুয়া শিবির যতই বলুক এই সময়টা এক ঐতিহাসিক কালখণ্ড। বাস্তবে প্রদীপের তলাতেই নিকষ অন্ধকার বাসা বাঁধে। ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪, যদি বলি টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরও বিশ্বগুরু থেকে সাধারণ মানুষ হতে চাওয়া নরেন্দ্র মোদির জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ কী? বিগত লোকসভা ভোটে বারবার চারশো আসন জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে মাত্র ২৪০ আসনে মুখ থুবড়ে পড়া! নাকি দলের ভরা বসন্তেও দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বারবার ব্যর্থ হওয়ার অশ্রুভরা কিস্‌স্যা? তামিলনাড়ু ও কেরল চষেও পায়ের তলার শক্ত মাটির সন্ধান না পাওয়া? শ্যামাপ্রসাদের বাংলায় কোনওকালেই গেরুয়া রাজনীতির তেমন কদর ছিল না। আজও নেই। ছাব্বিশেও হবে এমন ইঙ্গিত নেই। কারণ কোনও মুখই নেই, সব মুখোশ! তার উপর ১৫ আগস্ট নয়, ২২ জানুয়ারি নাকি ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস, নাগপুরের তিলক-কাটাদের এই সঙ্কীর্ণ হিন্দুত্ব তত্ত্ব এবং নতুন করে দেশের ইতিহাস লেখার অপচেষ্টা বাংলার মানুষ সদর্পে প্রত্যাখ্যান করছে। ভবিষ্যতেও করবে। হিন্দু-মুসলিম আদায় কাঁচকলার সম্পর্ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল, এই বঙ্গে নৈব নৈব চ। সেই হিসেবে বিজেপি এখনও এই বাংলায় ষোলোআনা বহিরাগত দল। ওদের ভিনদেশি সংস্কৃতিটাই গড় বাঙালির চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। সেই কারণেই মেরুকরণের গনগনে আঁচে সেঁকেও ভোটবাক্সে ঢেউ তোলাও হয় না। 
বাংলার কথা থাক। কিন্তু খোদ রাজধানী দিল্লিতে? সেখানেও সংগঠন ধরে রাখার মতো ব্যক্তিত্ব কোথায়? মদনলাল খুরানা, সাহিব সিং ভার্মা এবং সুষমা স্বরাজের পর আজও কোনও নতুন মুখ খুঁজে পেল না গেরুয়া শিবির। আসন্ন ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটেও দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও নাম প্রজেক্ট করতে তারা ব্যর্থ। যেমন বাংলায় মমতার সঙ্গে ধারেভারে এঁটে উঠতে পারার মতো কেউ নেই। যেমন তামিলনাড়ুতে এখনও স্ট্যালিনই রাজ্যের মুখ। আর যে রাজ্যে মুখ নেই সেখানে মোদি-অমিত শাহের কারিকুরিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনকে জেলে পুরে, দল ভেঙেও গেরুয়া রাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে কখনও বন্ধুত্ব কখনও শত্রুতার রকমারি গোল্লাছুট চলতেই থাকে। বিচ্ছেদ আর হানিমুনের টানাপোড়েনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ অধরাই থেকে যায়। দল ভাঙানো সহজ কিন্তু মুখ তৈরি করা ততটাই কঠিন।
আম আদমি পার্টি দিল্লিতে দীর্ঘ দশ বছর ক্ষমতায়। তার আগে ছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। দিল্লিতে সোনিয়ার দলের শেষ হেভিওয়েট নেত্রী। স্বভাবতই এবার চড়া অ্যান্টি ইনকামবেন্সির মোকাবিলা করতে হচ্ছে আপকে। তার উপর শেষ প্রহরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে কমবয়সি আতিশীর উপর। তাঁকে অশালীন আক্রমণ করে কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন কালকাজির বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুরি। একবার বলা হচ্ছিল স্মৃতি ইরানিকে এই লড়াইয়ে সামনে আনবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এখনও তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির সবচেয়ে বড় অস্বস্তির কারণ দিল্লির জনসংখ্যার ৮১ শতাংশই হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য উঁকি মেরে পালিয়ে যায়। মুসলিম মাত্র ১৩ শতাংশ। শিখ ৪ শতাংশের মতো। তবু দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বিগত সাতাশ বছরের শাপমুক্তি এবারও কঠিন। বাজপেয়ি জমানা শেষ হওয়ার অনেক আগেই দিল্লি চলে যায় কংগ্রেসের দখলে। ১৯৯৮ সালে। তারপর উপর্যুপ঩রি কংগ্রেস ও আপ জমানা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন কিছু কমলেও এবারও দিল্লি থাকবে কেজরিওয়াল বাহিনীরই হাতে। সত্তরটি আসনের মধ্যে ৬৭ (২০১৫ সাল) কিংবা ৬২ (২০২০ সাল) আসন না হলেও এবারও ৫৫ থেকে ৬০ আসনে জয় পাকা কেজরিওয়াল বাহিনীর।
মহারাষ্ট্র ভোটের পর থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ জোট ভাঙছে। কংগ্রেস, আপ এবং এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী, একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। দিল্লির ভোটের পর তা ছত্রখান হয়ে যাবে। পরের বছর অর্থাৎ ছাব্বিশে বাংলার লড়াই। লড়াই তামিলনাড়ু ও কেরলে এর কোনওটিতেই বিজেপি তেমন কোনও ফ্যাক্টর নয়। বাংলায় জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ মুসলিম। নরেন্দ্র মোদির অতিবড় সমর্থকও বিশ্বাস করেন না যে তামিলনাড়ু কিংবা কেরলে অচিরেই দলের পায়ের তলার মাটি শক্ত হবে, বঙ্গ দখল সম্ভব হবে। ক্ষমতা দখল না হোক, অন্তত বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটবে এটুকু সম্ভাবনা নিয়েই আপাতত নাড়াচাড়া। কারণ যে সততার বড়াই করে আম আদমি পার্টি জাতীয় রাজনীতিতে এসেছিল আন্না হাজারেকে সামনে রেখে সেই দুর্নীতির অভিযোগ আজ উল্টে কেজরিওয়াল বাহিনীর দিকেই নিবদ্ধ। জেল খেটেছেন কেজরিওয়াল থেকে সিশোদিয়া। সঞ্জয় সিং থেকে সত্যেন্দ্র যাদব। প্রথমে মাত্র ৪৯ দিনের জন্য কেজরিওয়ালজি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের সমর্থনে। তারপর দু’টো ফুল টার্মের সরকার চালাতে আর কারও সাহায্যের প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু একদিন যে লোকপালের দাবিতে রাস্তায় নেমে কেজরিওয়ালরা আন্দোলন করেছিলেন তার কী হল। লোকপাল আইন পাশ হয়েছে প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের আমলে। কেউ বলতে পারবেন গত এক দশকে কারা লোকপাল হয়েছেন এবং ক’টা দুর্নীতির ফয়সালা হয়েছে, কিংবা কেজরিওয়ালের আবগারি দুর্নীতি নিয়েই-বা বর্তমান লোকপালের বক্তব্য কী? নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুধু ক্ষমতা দখলের জন্যই! গদিতে বসলে সেই মুহূর্ত থেকেই বদলে যায় হিসেব। নেতানেত্রীদের অগ্রাধিকার—যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ভোগ। ডান-বাম  কেউ এই হিসেবে ভুল করেন না।
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ফলে কে জিতবে, তা প্রায় জানা। কিন্তু এক্সিট পোলের পণ্ডিতরা এবারও ব্যর্থ হন কি না নজর থাকবে সেই দিকেও। কারণ ভোটের এক সপ্তাহ আগেই সাধারণ বাজেট। যদি আয়করে বড় ছাড়ের ঘোষণা হয়, মধ্যবিত্ত ঢালাও উপঢৌকন পান, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফলে কিছু প্রভাব পড়তেও পারে। কিন্তু তাতেও দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ আপের জাদু এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে এমন ইঙ্গিত কিন্তু নেই। বঙ্গ বিজয়ের মতো দিল্লি দখলও তাই আপাতত দূরঅস্ত!
19th  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
একনজরে
ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...

ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে আপাতত যুদ্ধ বন্ধ হল। সংঘর্ষবিরতির শর্ত অনুযায়ী, রবিবার হামাসের পক্ষ থেকে তিন মহিলা পণবন্দির নাম প্রকাশ করা হয়। পরে তাঁদের রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ...

আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের হারের ধারা অব্যাহত। রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ০-১ গোলে বশ মানল অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা। সবমিলিয়ে হারের হ্যাটট্রিকে আরও বিপাকে ক্লেটনরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM