শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
ধর্মকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে—তৃণমূল সহ একাধিক রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ করে আসছে। ভোট এলে গেরুয়া শিবির নতুন নতুন বিভাজনের তাস খেলতে শুরু করে বলেও অভিযোগ। এই আবহে যাবতীয় বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্তবাবুর বক্তব্য। রবিবার ত্রিবেণীতে রামমন্দির তৈরির অনুষ্ঠান এসে তিনি বলেন, ‘ছেলেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানান, সেই সঙ্গে ভালো হিন্দুও করতে হবে। নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতি বাঁচাতে হলে ধর্মের প্রতি সমর্পিত সন্তান তৈরি করতে হবে। আর বাড়িতে একটা করে ধারালো অস্ত্র রাখুন। আপনার ছেলে যদি ধর্ম রক্ষা করতে না পারে, তবে সে ডাক্তার, অফিসার যাই হোক, দু’পয়সা দাম থাকবে না। উদ্বাস্তু হয়ে যেতে হবে।’ ধর্মের সুড়সুড়ি এখানেই থামেনি! তাঁর আরও সংযোজন, ‘যেখানে সম্ভব হবে ছোট, বড় মন্দির বানান। আমরা কাউকে আক্রমণ করতে যাব না। কিন্তু আত্মরক্ষা করতে হবে। ধর্মের সঙ্গে কোনও আপস নয়। বাড়িতে সবাইকে কট্টর হিন্দু বানান।’
শীর্ষ বিজেপি নেতার এহেন বক্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখেও নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন সুকান্ত। বলেন, ‘অস্ত্র রাখা হিন্দুদের প্রাচীন সংস্কৃতি। তাই আমি মনে করি, অস্ত্র রাখতে হবে।’ পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে সন্ত্রাসবাদীদের ভাষা কাম্য নয়। ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি। দেশের সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য বিজেপির এরকম নানা বক্তব্য রাখছে। এতে ভারতবাসীর মন গলবে না।’ সুকান্তকে কলকাতার মেয়রের পরামর্শ, ‘আমরা ভারতীয়রা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। আগে তাই সন্তানকে ভারতীয় করুন। মানুষ তৈরি করুন।’ চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলার সহ সভাপতি অসিত মজুমদার বলেন, ‘দাঙ্গার উস্কানি দিয়েছেন উনি। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত। রামমন্দির করলেই রামভক্ত হওয়া যায় না। হিন্দু হওয়ার শিক্ষা ওঁর কাছে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’