Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার আপাতত আর আসবে না। কংগ্রেস যেমন একক গরিষ্ঠতা পাবে না। সেই শক্তি নেই। এবং হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। ঠিক তেমনই বিজেপিও আর একক গরিষ্ঠতা পাবে না। মনে করা হচ্ছিল ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি নামক এক ঝড় এসে ১৯৮৯ সাল থেকে চলে আসা জোট রাজনীতিকে উড়িয়ে দিয়েছে। সম্ভবত আবার তিনি কায়েম করলেন একক গরিষ্ঠতার সরকার গঠনের সেই পুরাতন রীতি। কিন্তু মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই প্রমাণ হয়ে গেল সেই প্রবণতা ছিল ব্যতিক্রম। আবার ভারত সরকার চালাচ্ছে বহুদলীয় জোট। অর্থাৎ এখন মোদি যে সরকার চালাচ্ছেন, সেটা ফিরে গিয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ির প্রথম এনডিএ জোটের আমলে কিংবা ডক্টর মনমোহন সিং-এর ইউপিএ জোটের মডেলে।  এই ফর্মুলাই স্থায়ী হয়ে গেল। কোনও সম্ভাবনা থাকছে না যে, বিজেপি আবার এককভাবে ২০২৯-এ অথবা ২০৩৪ সালে একক গরিষ্ঠতা কিংবা ৩০০ আসন পার করে দেবে। সেরকম আর হবে না। জোট করেই সরকার গড়তে হবে বিজেপিকে কিংবা কংগ্রেসকে। ২০২৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন সংখ্যা আরও কমে যাবে। হয়তো ২০০ আসনেরও নীচে। কেন? কারণ আগামী পাঁচ বছর ধরে একঝাঁক রাজ্যে বিজেপি সরকার চলবে। আবার একইসঙ্গে কেন্দ্রেও থাকছে এনডিএ জোটের সরকার। অর্থাৎ যৌথ অ্যান্টি ইনকামবেন্সির ধাক্কা আসবে ২০২৯ সালে। সরকার বিরোধী হাওয়ায় আরও আসন কমবে। অন্যতম কারণ হল, আগামী চার বছরে বর্তমান মোদি সরকার কিংবা বিজেপি এমন কোনও চমকপ্রদ কর্মসূচি আর নিতে পারবে না যা ভোট বাড়াতে সাহায্য করবে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বহু প্রতীক্ষিত, বহু প্রত্যাশিত রামমন্দিরই বিজেপিকে একক গরিষ্ঠতা দিতে পারল না যেখানে, সেখানে এর থেকে বড় ইস্যু আর কী হতে পারে? যুদ্ধ ছাড়া! তার সঙ্গে যুক্ত হবে মোদি আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন না। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মতো ম্যাজিক আর কারও নেই। অতএব সহজ বোধগম্য হল, বিজেপি সর্বোচ্চ একক আসন ২০১৯ সালে পেয়ে ফেলেছে। ৩০৩। এবার ক্রমেই আসন কমার পালা। 
দ্বিতীয় কোন পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে ভারতের রাজনীতিতে? নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ। কেন্দ্রে যেমন বিজেপি জোট এবং কংগ্রেস 
জোটের মধ্যেই লড়াই হবে, ঠিক সেভাবেই রাজ্যে রাজ্যে সরাসরি দুই দল কিংবা দুই জোটের মধ্যে এবার থেকে ভোটযুদ্ধ হওয়া স্থায়ী হয়ে গেল। সেই প্রমাণ রাজ্যে রাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ যে সব রাজ্যে তিন অথবা চারটি দল পৃথক অস্তিত্ব নিয়ে ভোটের রাজনীতিতে বিদ্যমান ছিল এতকাল এবং সবার মধ্যেই ভোট বিভাজন হয়েছে, সেই প্রবণতা ক্রমেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন দেখা যায় ভোটার দ্বিমুখী হয়ে গিয়েছে। কোনও তৃতীয় পক্ষ সেভাবে দাগ কাটছে না। ভোটে থাবাও বসাতে ব্যর্থ। 
বাংলায় যেমন তৃণমূল বনাম বিজেপি যুযুধান দুই পক্ষ। সিপিএম আর কখনও তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভোটের ময়দানে গুরুত্ব পাবে না। কংগ্রেসও তাই। ঠিক যেমন উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী যুগ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। মায়াবতীর দলিত ভোটব্যাঙ্কের কিয়দংশ চন্দ্রশেখর আজাদের পার্টি পেলেও ত্রিমুখী লড়াই আর হবে না। ওই রাজ্যে লড়াই প্রধানত অখিলেশ যাদবের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের। যে রাজ্যগুলিতে সরাসরি দুটিই দল, সেই মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, হরিয়ানায় কংগ্রেস বনাম বিজেপিরই লড়াই হতে থাকবে। 
সদ্য সমাপ্ত জম্মু কাশ্মীরের ভোটে এই প্রবণতাকেই লক্ষ করা গেল। একদিকে বিজেপি জোট এবং অন্যদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের জোট। মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রায় মুছে গিয়েছে। দিল্লিতে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। এবারও মূল ভোটের লড়াই বিজেপি বনাম আম আদমি পার্টির। ঠিক সেভাবেই দেখা গিয়েছে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে এখন ভোটের লড়াই হয়। সেখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপ শিরোমণি আকালি দলের ভোটব্যাঙ্ক সরে গিয়েছে আম আদমি পার্টির দিকে। আবার আশ্চর্য হল, মোদি ১০ বছর দিল্লিতে রাজত্ব করার পরও পাঞ্জাবে বিজেপি এখনও নগণ্য দল। 
লোকসভা ভোটের ফলাফলেই লক্ষ করা গেল, কর্ণাটকে কংগ্রেস বনাম বিজেপি প্রধান দুই দল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার) নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই যোগ 
দিয়েছে বিজেপি জোটে। তাদের হাল দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, তারা এই জোটে না থাকলেও বিজেপির 
বিশেষ ক্ষতিবৃদ্ধি নেই। কারণ লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে দেবেগৌড়ার দলের আর গুরুত্ব নেই। 
তামিলনাড়ুতে যেই দেখা গিয়েছে জয়ললিতার রেখে যাওয়া এআইএডিএমকে সম্পূর্ণ নেতাহীন হয়ে কার্যত পালছেঁড়া নৌকার মতো হয়ে গিয়েছে, সেই সময় বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে তামিলনাড়ুতে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছিল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের তামিল, তেলুগু, মালয়ালি ভাষার তিন রাজ্য এখনও উত্তর ভারতীয়, মূলত হিন্দিভাষী এবং উচ্চবর্ণ চালিত বিজেপিকে প্রধানতম দল হিসেবে আনবে না। তাই জয়ললিতার দল যখনই দুর্বল হওয়ার প্রবণতা দেখাতে শুরু করেছে, তখনই আত্মপ্রকাশ ঘটল এক নতুন সুপারস্টারের রাজনৈতিক দল। তামিলনাড়ুতে ২০২৬ সালে ডিএমকের সঙ্গে সুপারস্টার বিজয়ের দলের লড়াই হবে আকর্ষণীয়। দুর্বল হয়ে যাবে এআইএডিএমকে। কারণ তাদের কাছে গ্ল্যামার নেই। অর্থাৎ তামিল রাজনীতি হবে পিতা স্ট্যালিন ও পুত্র উদয়াদিত্য স্ট‌্যালিনের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক  স্টার বিজয়ের লড়াই। 
দেবেগৌড়া ও তাঁর দল ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন। নবীন পট্টনায়ক প্রায় রাজনৈতিক মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন পরাস্ত হয়ে। নীতীশকুমারের আর মাত্র কিছুমাস রাজনৈতিক পদাধিকার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আর হতে পারবেন না। লালুপ্বসাদ যাদব অসুস্থ এবং প্রায় অবসরপ্রাপ্ত। মুলায়ম সিং যাদব নেই। এই নামগুলি উচ্চারণ করার কারণ কী? কারণ হল, ১৯৭৭ ও তৎপরবর্তীকালে জনতা পার্টি থেকে যে নেতাদের উত্থান হয়েছিল, তাঁরা সকলেই অস্তমিত অথবা অস্তগামী। তাঁদের মধ্যে কারও কারও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী আছে। যেমন অখিলেশ যাদব ও তেজস্বী যাদব। আবার কারও কারও নেই। যেমন নবীন পট্টনায়ক কিংবা নীতীশ কুমার।  
কংগ্রেসের প্রধান সঙ্কট হল, রাজ্যে রাজ্যে শক্তিশালী নেতানেত্রী তৈরি করতে পারেননি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা। আসলে চাননি। কারণ তাঁদের আশঙ্কা রাজ্যস্তরে শক্তিশালী নেতৃত্ব তাঁদের অন্ধ অনুগামী হবে না। স্বাধীনভাবে চলবে। যা গান্ধী পরিবারের পছন্দ নয়। আর তার পরিণতিও কংগ্রেস বুঝেছে। এই অতিরিক্ত গান্ধী পরিবার নির্ভর দল করে পুত্রকন্যাকে নিষ্কণ্টক করতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী রাজ্যে রাজ্যে সংগঠন হারিয়ে বসে আছেন। প্রমাণিত হচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে রাহুল গান্ধী একা কোনও ভোট জিতিয়ে দেবেন সেই ক্যারিশমা নেই তাঁর। বস্তুত সেই স্পার্ক তৈরিই হয়নি এখনও। অথচ তাঁর মধ্যে গুণ রয়েছে। সবথেকে বড় গুণ হল, তিনি এত পরাজয় এবং ব্যর্থতা সত্ত্বেও ময়দান ছেড়ে পালাননি। রয়ে গিয়েছেন। চেষ্টা করছেন।
প্রশ্ন হল, ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কী?  ইন্ডিয়া জোট পূর্ণাঙ্গ কোনও জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেনি। বস্তুত যে রা঩জ্যে যে জোটশরিক শক্তিশালী, সেখানে সেই দল চালিকাশক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস যেখানে একক শক্তিশালী সেখানে কংগ্রেস লড়ছে। যেখানে অন্য আঞ্চলিক দল, তারা সেখানে লড়াই করছে। কংগ্রেসের সমস্যা একটাই। তৃণমূল পারছে, সমাজবাদী পার্টি পারছে, আম আদমি পার্টি পারছে, ন্যাশনাল কনফারেন্স পারছে, ডিএমকে পারছে। একমাত্র কংগ্রেসের সঙ্গে যেখানে বিজেপির সরাসরি লড়াই হচ্ছে, সেখানে বিজেপি জয়ী হচ্ছে। কংগ্রেস পারছে না। ইন্ডিয়া জোট থাকবে জাতীয় প্ল্যাটফর্মে। সেটা নিয়ে কংগ্রেসকে চিন্তা করতে হবে না। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আগে চেষ্টা করুন এমন রণকৌশল তৈরি করতে  যাতে তাঁদের দল বিজেপিকে ওয়ান টু ওয়ান লড়াইয়ে বেশি করে হারাতে পারে। তাহলেই বিরোধী জোট চলে আসবে চালকের আসনে। নচেৎ নয়! 
17th  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
একনজরে
বালুরঘাট শহরে জোড়া ব্রিজের কাছে আত্রেয়ী সংলগ্ন খাঁড়ি দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকান। যা নিয়ে সরব হন শহরের মানুষ। সেই খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচদপ্তর। ...

ঘরে বসে নয়, রাস্তায় নেমে কাজের হাল দেখতে হবে। এবার আলোক বিভাগের কর্মীদের রোস্টার ডিউটি চালু হল কলকাতা পুরসভায়। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...

ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM