Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ ইয়েলৎসিন এমন সময় এই ভাষণ দেন, যখন তাঁর শাসনে রাশিয়ায় দুর্নীতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা চরম আকারে পৌঁছেছিল। তাঁর শাসনকে ঘৃণা করতে শুরু করেছিল দেশবাসী। গোটা দেশ অনিশ্চয়তার পথে হাঁটছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ইয়েলৎসিন। কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রাশিয়ার যাত্রা তাঁর সময়ে জনগণকে দুঃসহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করেছিল।
বিংশ শতকের শেষ দিনে ভ্লাদিমির পুতিন যখন রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন কেজিবির প্রাক্তন এই গুপ্তচর ছিলেন অনেকের কাছেই রহস্যের চাদরে মোড়া। আজও তাঁকে ঘিরে রহস্যের অন্ত নেই। পুতিন হচ্ছেন রাশিয়ার সেই নেতা, যিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে চান। পশ্চিম বিশ্বের রক্তচক্ষু অগ্রাহ্য করে রাশিয়ার সীমানার সম্প্রসারণ চান। বাল্যকালও যার কেটেছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, সেখান থেকে উঠে এসে একদিন ক্রেমলিনের শীর্ষ পদে বসা— বিস্ময়কর বলতেই হয়। অন্তত দিনটি তেমনই ছিল রুশ নাগরিকদের কাছে।
ইয়েলৎসিনের ঘোষণার পর তাঁর উত্তরসূরি ‘নতুন শতকের নতুন মুখ’ ভ্লাদিমির পুতিন প্রথম টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থাকছেন জানিয়ে দেশবাসীকে বলেন, ‘ক্ষমতার কোনও শূন্যতা তৈরি হবে না।’ এই আশ্বাসের সঙ্গে দেন হুঁশিয়ারিও। বলেন, ‘রাশিয়ার সংবিধান ও আইন লঙ্ঘনের যেকোনও প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ মদ্যপ ও উচ্ছৃঙ্খল ইয়েলৎসিনের আচরণে অতিষ্ঠ ছিলেন রুশ নাগরিক। তাই পুতিনের চৌকস চেহারা ও সংযত কথাবার্তা অচিরেই মানুষকে আকৃষ্ট করতে শুরু করে। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে তাঁর।
তখন পুতিনের মুখে কখনও লেনিন-নিন্দা, কখনও সোভিয়েত-বন্দনা কেন? আসলে, সোভিয়েত রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ছিল দু’টি: সমাজতন্ত্র এবং বিশ্বশক্তি। সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ১৯৯০-এর দশকেই, যুগোপযোগী পুতিন যথাসময়ে তা ছেঁটেও ফেলেছেন। আগস্ট অভ্যুত্থানে যখন কমিউনিস্ট পার্টির কট্টরপন্থীরা শেষবারের মতো ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা করলেন, পুতিন তখন লিখলেন পদত্যাগপত্র— ‘অভ্যুত্থান শুরু হতে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, আমি কোন পক্ষে।’ বললেন, কেজিবি-র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদটি ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। কারণ জীবনের সেরা সময় তিনি কাটিয়েছেন পার্টির শাখাতেই। অতঃপর পার্টিবিরোধী রাজনীতিক তথা লেনিনগ্রাদের মেয়র আনাতোলি সবচাক-এর ছত্রছায়ায় রাজনীতিতে প্রবেশ, এবং প্রশাসনিক সিঁড়িতে আরোহণ। আবার সবচাকের দিন ফুরোতেই শহর পাল্টে পুতিনের মস্কো গমন। সরাসরি প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে প্রবেশ। গুপ্তচরবৃত্তি ছাড়ার সাত বছরের মধ্যেই, ১৯৯৮ সালে কেজিবি-র উত্তরসূরি এফএসবি-র অধিকর্তা পদে অধিষ্ঠান। কিছু দিনের মধ্যেই ইয়েলৎসিনের উত্তরাধিকারের দাবিদারও হয়ে ওঠা। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদ। তারপরেই সোভিয়েতের অন্য দিকটিকে সযত্নে লালন-পালনের সূত্রপাত। লক্ষ্য, আবারও বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠা।
প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে, ১৯৯৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হন ভ্লাদিমির পুতিন। তখনও ছিলেন রহস্যাবৃত। সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির তুলনামূলক স্বল্প-পরিচিত এক পদ থেকে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। পুতিন, চেচনিয়ার স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েই জনপ্রিয়তা পেতে থাকেন। ওই বছরের শেষ দিনে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে ইয়েলৎসিনের চেয়ে মানুষের আস্থা তাঁর উপরই বেশি ছিল। ২০০০ সালের মার্চে পুতিনের অধীনে রাশিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। দায়িত্ব নেওয়ার পরে আরও স্পষ্ট হতে থাকে, ৪৭ বছরের পুতিন কথাবার্তা ও চলনে দৃঢ়তার পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন।
গণতান্ত্রিক রাশিয়ায় পশ্চিমের মতোই পর পর দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়া যেত না। ২০০৮-এ তাই পুতিন পদ ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী হন, প্রেসিডেন্ট হন তাঁরই ঘনিষ্ঠ দিমিত্রি মেদভেদেভ। সংবিধান মোতাবেক ২০১২-য় প্রেসিডেন্ট পদে ফেরেন পুতিন। আর, তারপরেই খেলা শুরু। একে একে যাবতীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উপর তাঁর রাজনৈতিক একাধিপত্য কায়েম হয়, সংবিধান সংশোধিত হয়ে যায়, সমস্ত নির্বাচনেই অবাধে জালিয়াতি হতে থাকে, প্রেসিডেন্ট পদের সময়সীমা তুলে দিয়ে আপাতত ২০৩৬ পর্যন্ত নিরঙ্কুশ পুতিন। দেশের ভিতরে প্রশ্নহীন নেতৃত্ব স্থাপনের পর পুরনো রুশ-সোভিয়েত প্রভাববৃত্তে হাত বাড়িয়েছেন একচ্ছত্র প্রেসিডেন্ট। গণতন্ত্রীকরণের তোড়ে যা খোয়া গিয়েছিল, বাহুবলের জোরে তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু। প্রথম উদ্যোগ ক্রিমিয়ার সংযুক্তিকরণ। তা সফল। কিন্তু সেখান থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের সূচনা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাত বছর পর ১৯৫২ সালে পুতিনের জন্ম। জন্মের আগে অবরুদ্ধ লেলিনগ্রাদে তাঁর বড় ভাই নিহত হন। সেই সময় তাঁর মা-বাবা কোনওমতে বেঁচে গিয়েছিলেন। জার পিটার দ্য গ্রেটের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট পিটার্সবার্গ (সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরে যার নামকরণ হয় লেনিনগ্রাদ) শহরে বেড়ে উঠেছিলেন পুতিন। বিপ্লবের আগে এই শহরের স্থাপত্য ও সংস্কৃতিতে ছিল পশ্চিমী প্রভাবের সুস্পষ্ট ছাপ, যেখানে রুশ সাম্রাজ্যের অতীত গর্বের নিদর্শনও ছিল ব্যাপক। জনাকীর্ণ একটি যৌথ ফ্ল্যাটে বেড়ে উঠেছিলেন পুতিন। সেখানে একাধিক পরিবারের জন্য ছিল একটিমাত্র বাথরুম ও রান্নাঘর। নিত্যসঙ্গী ছিল বড় বড় ইঁদুর ও আরশোলা। সেই স্মৃতিচারণা করে পুতিন তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ছোটবেলায় কীভাবে সিঁড়িতে ইঁদুরের সঙ্গে লড়াই করতে হতো তাঁকে। ‘একবার আমি একটি বড় ইঁদুরকে তাড়া করে একটি কোণায় আটকে ফেলি। আচমকা ইঁদুরটি আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমি এতটুকু ভয় পায়নি। এরপর সেটি লাফিয়ে সিঁড়ি বেয়ে পালায়।’
সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশচেভের নাতনি অধ্যাপক নিনা ক্রুশচেভার মতে, পুতিনের সেই কোণঠাসা করা ইঁদুরের উপাখ্যানের সুর সময়ের উপর নির্ভর করে কমবেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালে বিবিসির পডকাস্টে নিনা বলেছিলেন, পুতিন তাঁর সাদামাটা বেড়ে ওঠা, গোটা জীবন তাঁকে কত ধরনের শত্রুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল, তা বোঝানোর জন্য সব সময় এই গল্প বলেন— কীভাবে তিনি একটি ছোট প্রাণীর সঙ্গে লড়াই করে করে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। পরবর্তী সময়ে দেশি-বিদেশি সব ধরনের শত্রুর মোকাবিলা করেছেন।
জুডোর ব্ল্যাকবেল্ট পাওয়া পুতিন প্রায়ই বলতেন, আইনভঙ্গকারীরা হল ‘ধেড়ে ইঁদুর। যাদের দমন করা উচিত।’ কিন্তু, বাস্তবে কেমন ছিলেন তিনি? ২০০১ সালে পুতিনের জুডো প্রশিক্ষক আনাতোলি রাখলিন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছিলেন, পুতিন ছিল আমার সেরা ছাত্রদের একজন। ওঁর মধ্যে অলিম্পিক টিমে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। জুডোর লড়াইয়ে সবসময়েই জেতার সংকল্প ছিল। যদি গায়ের জোরে না হয়— তাহলে বুদ্ধির কৌশলে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করত। জুডোর দ্বৈরথে সে প্রথমেই ডানে ও বাঁয়ে দু’দিক থেকে আক্রমণ করতে চাইছে এমন দক্ষতার সঙ্গে অঙ্গভঙ্গি করত। প্রতিপক্ষ যখনই ভেবে বসত, ডান দিক দিয়ে আক্রমণ আসবে, তখনই সে আচমকা বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ করত। পুতিন সবসময়েই প্রতিপক্ষকে ধোঁকা দিতে চাইত।
ছোটবেলা থেকেই কেজিবির এজেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল পুতিনের। পাদপ্রদীপের আলো থেকে দূরে তাঁর মতো নিভৃতে কাজ করতে চাওয়া ব্যক্তির জন্য এই পেশাই ছিল উপযুক্ত। পুতিন নিজেও বলেছেন, কীভাবে ১৯৬৮ সালের সোভিয়েত গুপ্তচরবৃত্তির এক সিনেমা তাঁর মনে কেজিবি এজেন্ট হওয়ার স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল। ‘দ্য শিল্ড অ্যান্ড দ্য সোর্ড’ নামে ওই চলচ্চিত্রের মূল কাহিনি আবর্তিত হয় নাৎসি জার্মানিতে কর্মরত এক সোভিয়েত ডাবল এজেন্টের চরিত্রকে কেন্দ্র করে। যিনি নাৎসিদের গোপন দলিলের তথ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে তুলে দিতেন।
গোয়েন্দা অফিসার হওয়ার ছোটবেলার সেই স্বপ্ন কখনও ভোলেননি পুতিন। তাঁর বয়স যখন মাত্র ১৬, তখন একদিন স্থানীয় কেজিবির সদর দপ্তরে গিয়ে চাকরি চেয়ে বসেন। অফিসাররা পুতিনকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে পরামর্শ দেন, আর বলেন সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে। ছয় বছর পরে কেজিবি তাঁকে নিয়োগ করে। এরপরের ১৬ বছর একজন গুপ্তচরের জীবন কাটান পুতিন। তাঁকে মোতায়েন করা হয়েছিল পূর্ব জার্মানিতে। যখন বার্লিন দেওয়ালের পতন হয়— তখন সেখানেই ছিলেন। এরপরে ফিরে আসতে হয় রাশিয়ায়। যেখানে তখন দ্রুত ভেঙে পড়ছিল পুরনো সব সোভিয়েত ব্যবস্থা। সোভিয়েত ভাঙনে এক উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, রুশ রাষ্ট্রব্যবস্থা সর্বতোভাবে পশ্চিমমুখী হয়েছিল। দেশের ভিতরে বহুদলীয় গণতন্ত্রের মডেল স্থাপিত হয়, বিদেশনীতি স্থির হয় উদারবাদের নিরিখে। যে প্রতিবেশীরা এত দিন মস্কো থেকে চালিত হতো, তাদের সার্বভৌমত্ব স্বীকৃত হয়েছিল। যে যে অভিজ্ঞানে সোভিয়েত-সভ্যতার স্মরণ হয়, সবই দুর্বার গতিতে মুছে গিয়েছিল। পুতিন ক্ষমতায় এসেই এই চাকাটা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেন— সোভিয়েত নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনেন। তাঁর যুক্তি: ‘ইতিহাসের সমস্যার অধ্যায়ের কথা ধরলে, হ্যাঁ, তা আমাদের আছে। কিন্তু তা কোন রাষ্ট্রের নেই? এবং, অন্যদের চেয়ে তেমন অধ্যায় আমাদের কমই।... আমরা নিজেদের অপরাধবোধে ডুবে যেতে দিতে পারি না।’
বিবিসির রাশিয়াবিষয়ক সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ লিখছেন, ক্রেমলিন ত্যাগের সময় পুতিনকে একটি কথা বলেছিলেন ইয়েলৎসিন, ‘রাশিয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন।’ ইয়েলৎসিনের সেই কথা কি পুতিন রাখতে পেরেছেন? জবাবে পুতিন বলেছিলেন, ‘আমি শুধু রাশিয়ার প্রতি খেয়াল রাখিনি, দেশটিকে নরকের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে এনেছি।’
পছন্দ করুন, কিংবা না করুন— ২৫ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় ভ্লাদিমির পুতিন। সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্তালিনের পর এত লম্বা সময় ধরে কেউ রাশিয়াকে শাসন করেননি। তাঁর মূলমন্ত্র কী? পুতিন বলেন, জন্মস্থান লেনিনগ্রাদের ‘পথঘাট’ তাঁকে একটি বিষয় শিখিয়েছে। আর তা হল— লড়াই অনিবার্য হলে প্রথমেই আঘাত হানো!
09th  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
একনজরে
অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...

ঘরে বসে নয়, রাস্তায় নেমে কাজের হাল দেখতে হবে। এবার আলোক বিভাগের কর্মীদের রোস্টার ডিউটি চালু হল কলকাতা পুরসভায়। ...

ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে আপাতত যুদ্ধ বন্ধ হল। সংঘর্ষবিরতির শর্ত অনুযায়ী, রবিবার হামাসের পক্ষ থেকে তিন মহিলা পণবন্দির নাম প্রকাশ করা হয়। পরে তাঁদের রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM