Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। তাই গঙ্গার মতো নদী ‘দুর্লভা’ গণ্য যে স্থানগুলিতে, সেইসব জায়গার প্রতিই যে পুণ্যলোভী নরনারী সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ অনুভব করবে তাতে সংশয় কী! বিশ্বাসী মানুষের ভক্তিভাবই এমন বহু স্থানকে তীর্থক্ষেত্রে পরিণত করেছে। অবস্থানগত কারণে গঙ্গাসাগরের চেয়ে দুর্গম তীর্থ আর নেই। প্রাচীনকালে গঙ্গাসাগর তীর্থের দুর্গমতা প্রবাদে ঠাঁই পেয়েছে—‘সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার’! 
এমন প্রবাদের ভিত্তি এটাই যে, বহু বাধা বিপত্তি এবং দীর্ঘ উত্তাল নদীপথ পেরিয়ে গঙ্গাসাগরে কোনোক্রমে পৌঁছনো গেলেও সেখান থেকে ঘরে ফেরার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে প্রকৃতির বিরূপতার সঙ্গী জলদস্যু এবং হাঙর, কুমিরের মতো ভয়ানক জলজ প্রাণীরাও। এরপর সুন্দরবনের উপকণ্ঠে সাগরদ্বীপে বিষধর সাপ এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলাও অসম্ভব নয়। তবুও মানুষ যুগ যুগ ধরে সাগরসঙ্গমে যোগীশ্রেষ্ঠ কপিলমুনির আশ্রম অব্দি পৌঁছনোর টান অনুভব করে এসেছে। এই প্রসঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় প্রকাশিত (২১ জানুয়ারি, ১৮৫৩) একটি খবর পড়ে দেখা যেতে পারে, ‘‘সাগর হইতে কোন প্রত্যাগত ব্যক্তির দ্বারা অবগত হইলাম যে অন্যান্য বৎসর মকর-সংক্রান্তির মেলায় তথায় যেরূপ সমারোহ হইত এবার তদ্রূপই হইয়াছে। আমাদিগের টোন মেজর সাহেব চারিটি তোপ ও একদল সৈন্য সহিত তথায় উপস্থিত হইয়া অবিশ্রান্তরূপে তোপধ্বনি করাতে ব্যাঘ্রের ভয় বড় দৃষ্ট হয় নাই। কেবল তিনজন নাবিক বনমধ্যে কাষ্ঠ কাঁটিতে গিয়া উক্ত জন্তুর দ্বারা হত হইয়াছে। এবারে সংক্রান্তির সময়ে গগনমণ্ডল নীরদজালে আবৃত থাকাতে শীত অধিক হয় নাই। দোকানদারগণ বিস্তর গিয়াছিল, ডাব-নারিকেল পয়সায় দুইটি করিয়া বিক্রয় হইয়াছে। সাগরেরও দুই ব্যক্তি পরস্ব-অপহরণ অপরাধে ধৃত হইয়া মিলিটারী কারাগারে বদ্ধ হইয়াছে। ৫০ জন গঙ্গাসাগরযাত্রী বাঘের উদরস্থ হইয়াছে এবং নৌকাডুবিতে অনেকের প্রাণনাশ হইয়াছে।” 
অশোকচন্দ্র মিত্রের পশ্চিমবঙ্গের ‘মেলা ও উৎসব’ গ্রন্থে (১৯৫১ সালে লেখা) ১৫১৯টি মেলার বর্ণনা পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৩৩টিকে তিনি পৌষসক্রান্তির মেলা হিসেবে উল্লেখ করেন। বলা বাহুল্য, বাংলার বৃহত্তম পৌষসংক্রান্তির মেলার নাম গঙ্গাসাগর মেলা। 
পুরাণের কাহিনি বাদেও এই মেলার প্রাচীনত্ব প্রশ্নাতীত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেবতার গ্রাস’ শীর্ষক কবিতায় এই মেলার উল্লেখ পাওয়া যায়। এমনকী এর উল্লেখ রয়েছে মহাকবি কালিদাসের রচনাতেও। প্রাচীন সমাজে এই তীর্থকে ঘিরে যে ভয়াবহ কুসংস্কার ছিল তা মর্মান্তিক। পুণ্যলাভের আশায় কোনও কোনও দম্পতি সাগরে তাদের শিশুসন্তানকে বিসর্জন অথবা নিজেরাই আত্মাহুতি দিত। ১৮০২ সালে ইংরেজ শাসক লর্ড ওয়েলেসলি আইন করে এই কুপ্রথা বন্ধ করতে সফল হন। কিন্তু সাগরসঙ্গমে স্নান-তর্পণ এবং কপিলমুনি, সগর, গঙ্গা ও ভগীরথ বিগ্রহ দর্শন এবং অর্ঘ্য অঞ্জলি দেওয়ার আকর্ষণ রয়ে গিয়েছে অবিকল। ভাগীরথী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে তারই মুখে সাগরদ্বীপ। বস্তুত সেটা সাগরের মাথায় যেন মাটির মুকুট! গঙ্গার বদ্বীপগুলির মধ্যে এটাই বৃহত্তম। এর অবস্থানগত গুরুত্ব অপরিসীম। 
এর পূর্বদিক দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুড়িগঙ্গা এবং পশ্চিমে ভাগীরথী। ভাগীরথীর নৌপথে সহজেই কলকাতায় পৌঁছানো যায়। ফিরিঙ্গি আমলে ইউরোপের বিভিন্ন বন্দর থেকে বড় বড় জাহাজ বঙ্গদেশে প্রবেশের আগে এই সাগরদ্বীপে নোঙ্গর করত। পণ্যবাহী নৌকা বা বজরা নিয়ে ঢুকতে হতো ভিতরে। সমুদ্রের দিক নির্ণয় করা কঠিন ছিল, তাই সাগরদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি ‘লাইট হাউস’ তৈরি করা হয়। ইংরেজরা দাবি করে, এই দ্বীপে বনজঙ্গল কেটে চাষাবাদ এবং জনবসতির পত্তন তাদেরই হাতে। হাল আমলের নথিপত্র তেমনই সাক্ষ্য দেয় বটে কিন্তু তাদের এই দাবি অর্ধসত্য। কারণ পরবর্তীকালে এই অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতার অসংখ্য নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। সেই ইতিহাস আলোচনার পরিসর অবশ্য এটা নয়। 
পলাশির যুদ্ধজয়ের পর ইংরেজরা এদেশে পাকাপাকিভাবে ঘাঁটি গেড়ে বসে এবং তখন থেকেই সাগরদ্বীপসহ সুন্দরবন অঞ্চল নিয়ে একটি অর্থকরী ভাবনা এগিয়ে চলে। আর সেই সূত্রেই গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের ব্যবস্থা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গঙ্গাসাগর মেলার দখলদারি নিয়ে শুরু হয় বিবাদ-বিসম্বাদ। প্রাকৃতিক কারণে এই অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটেছে বহুবার। প্রকৃতির রোষের শিকার গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরও। মন্দিরের স্থান পরিবর্তন ঘটেছে সাম্প্রতিক অতীতেই একাধিকবার। ১৮৬২ সালে উইলসন সাহেবের লেখা এক প্রবন্ধে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির সম্পর্কে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়: মন্দিরের সামনে ছিল একটি বটগাছ। নীচে থাকত রাম ও হনুমানের মূর্তি। পুণ্যার্থীরা মন্দিরের গায়ে তাঁদের নামধাম লিখে রাখতেন। মহর্ষির কাছে হাজারো প্রার্থনা লিখতেন তাঁরা খড়ি দিয়ে। কেউ কেউ বটের ডালে ইটপাথরের টুকরো ঝুলিয়ে দিতেন। মন্দিরের পিছনে অবস্থিত সীতাকুণ্ড সবসময় ভরা থাকত টাটকা জলে। পুণ্যার্থীরা গণ্ডূষ করে ওই জল পান করতেন। এজন্য পূজারিকে পয়সা দিতে হতো।
বলা বাহুল্য, গঙ্গাসাগরের এই ছবি বহুকাল আগেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে। তবু কৌলীন্য হারায়নি গঙ্গাসাগর মেলা। একসময় তো মেলা চলত একমাস যাবৎ—ডিসেম্বরে মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি, অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত। যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ থাকা সত্ত্বেও মানুষ ছুটে যেত। কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাট, আউটরাম ঘাট থেকে ছাড়ত যাত্রীবোঝাই স্টিমার। স্টিমারের দু’দিকে দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকত অনেকগুলি গাদাবোট ও নৌকা। বাঁশের কাঠামোর উপর কোনোরকমে তৈরি করা হতো ছাউনি। যাত্রীরা তার ভিতরে গাদাগাদি করে বসতেন, শুতেনও। মাঝি, সারেঙ্গাগুলোও থাকত আনাড়ি। ফলে দুর্ঘটনার অন্ত ছিল না। ওইভাবেই স্টিমার ও নৌকাগুলো একসময় মেলার কাছে গিয়ে ভিড়ত। সে এক অদ্ভুত শোভা—ফুলমালা, রঙিন কাপড় ও কাগজের শিকল দিয়ে সাজানো হতো পালতোলা নৌকা, মোটরলঞ্চ, স্টিমার প্রভৃতি। সেগুলি দুলত ঢেউয়ের তালে তালে। দূর থেকে দেখা যেত বহু রঙের নিশান সাঁটা জলযানগুলিকে। 
এই সম্পর্কে একটি প্রাচীন পত্রিকায় বর্ণনা পাওয়া যায়, “বর্তমান বৎসরের গত ডিসেম্বর মাসের শেষে উক্ত তীর্থ মেলারম্ভ হইয়া ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল। ওই যাত্রাতে যত পিনিস ও ভাউলিয়া ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাড় একত্র হইয়াছিল তৎসংখ্যা ন্যূন নহে এমত অনুমান হইয়াছে। এবং ভারতবর্ষের অতিদূর দেশ অর্থাৎ লাহোর দিল্লী অযোধ্যা ও শ্রীরামপটন ও বোম্বাই হইতে যে বহুতর যাত্রী সমাগত হইয়াছিল সংখ্যা ৫ লক্ষের ন্যূন নহে এবং এই তীর্থযাত্রাতে ব্রহ্মদেশ হইতেও অধিক লোক আসিয়াছিল।” 
গঙ্গাসাগর মেলার ছবি প্রতিবছর বদলে যাচ্ছে। প্রয়াগতীর্থ, হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জয়িনী প্রভৃতি কুম্ভমেলার সঙ্গে এর সাদৃশ্য নিবিড় হচ্ছে ক্রমে। ভারতের কোনও মেলা বা উৎসবকেই আর নিছক ধর্মের গণ্ডিতে বেঁধে রাখার অবকাশ নেই। বহু মানুষ সমাগমের প্রতিটি ক্ষেত্রই আজ অর্থকরী বা বাণিজ্যিক ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেখানে কুম্ভমেলা থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও প্রভেদ নেই। যেমন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) এবং কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের ইউপি শাখার তরফে এক সমীক্ষা রিপোর্টে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে যে, এবারের প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। এর কারণ হিসেবে যোগী সরকারের দাবি, পূর্ণকুম্ভে ৪০ কোটি মানুষের সমাগম হচ্ছে এবং মেলাটাই চেহারা নিচ্ছে এক মহানগরের। 
পুরাণ থেকে ইতিহাসের সড়ক ধরে আধুনিকতাকে ছুঁয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। তাই বাণিজ্যিক সম্ভাবনার প্রশ্নে গঙ্গাসাগর মেলা কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। তার সামনে মূল বাধা এখনও যাতায়াত। সড়ক, রেল, আকাশ তিনদিক থেকেই প্রয়াগ সংযুক্ত। ফলে পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ পর্যটক—যে কেউ সেখানে মন করলেই পৌঁছে যেতে পারেন। গঙ্গাসাগর যাত্রা অনেকটাই সহজ এখন, তবুও কুম্ভমেলার তুলনায় দুর্গম। মুড়িগঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণ হলে সাগরদ্বীপ বাংলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জুড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার কথা দিয়েও ব্রিজটি তৈরি করেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত মতো রাজ্য সরকারই দেড় হাজার কোটি টাকায় ওই ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে। আকাশপথেও গঙ্গাসাগরের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি কাম্য। গঙ্গাসাগরের ‘জাতীয় মেলা’র স্বীকৃতি এবং পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় অনুদান প্রাপ্য। বাংলা এই প্রশ্নেও দিল্লির পক্ষপাতিত্বের শিকার। মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও মোদি সরকার মজে আছে কেবল কুম্ভমেলা নিয়ে। গ‍ঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি আদায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বহুদূর পর্যন্ত যাবেন এবার দিয়ে রেখেছেন সেই বার্তাও। দ্বীপভূমির পরিকাঠামো বৃদ্ধিসহ গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অর্থনীতি দ্রুত এবং আমূল বদলে দিতে পারে। বাংলার সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিও যে তার সুফল পাবে তা এক সহজ অনুমান।
15th  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
একনজরে
বালুরঘাট শহরে জোড়া ব্রিজের কাছে আত্রেয়ী সংলগ্ন খাঁড়ি দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকান। যা নিয়ে সরব হন শহরের মানুষ। সেই খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচদপ্তর। ...

ঘরে বসে নয়, রাস্তায় নেমে কাজের হাল দেখতে হবে। এবার আলোক বিভাগের কর্মীদের রোস্টার ডিউটি চালু হল কলকাতা পুরসভায়। ...

ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে আপাতত যুদ্ধ বন্ধ হল। সংঘর্ষবিরতির শর্ত অনুযায়ী, রবিবার হামাসের পক্ষ থেকে তিন মহিলা পণবন্দির নাম প্রকাশ করা হয়। পরে তাঁদের রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM