শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
এদিন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তিনটি বাগান খোলা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক, জেডিএ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব, শ্রমদপ্তরের কর্তারা সহ নতুন মালিকপক্ষ। শ্রমদপ্তরের বীরপাড়া সার্কেলের সহকারী শ্রম কমিশনার অমিত দাস বলেন, এদিন তোর্সা, কালচিনি ও রায়মাটাং তিনটি বন্ধ বাগান খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন মালিকপক্ষ তিনটি বাগানের দায়িত্ব নিয়েছে। বুধবার খুলছে মাদারিহাটের দলমোড় বাগানটিও।
তোর্সা বাগানটি বন্ধ হয়েছিল গত বছরের ১০ জুলাই। এই বাগানে শ্রমিক সংখ্যা ৬৬২। এবার বাগানটির দায়িত্ব নিল মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, আমরা তোর্সা বাগানের দায়িত্ব নিয়েছি। বাগানের শ্রমিক ললিত কৈরালা বলেন, বাগান খুলে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। বাগান চালাতে নতুন মালিকপক্ষকে সর্বতোভাবে সাহায্য করা হবে।
এদিকে, কালচিনি বাগানটি বন্ধ হয়েছিল ১৮ মাস আগে। বাগানে শ্রমিক আছেন ২২২৩। রায়মাটাং বন্ধ হয় ২০ মাস আগে। এখানে শ্রমিক সংখ্যা ছিল ১২০০। এই দু’টি বন্ধ চা বাগানের দায়িত্ব নিল টণ্ডু, বামনডাঙা ও সামসি চা বাগানের মালিক ঋত্বিক ভট্টাচার্য। তবে দলমোড় চা বাগানে পুরনো মালিকই থাকছেন। সোমবারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর কাল, বুধবার তাঁরা ফের বাগান খুলছে।
প্রকাশচিক বরাইক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসছেন। রাজ্য সরকার ও শ্রমদপ্তরের লাগাতার চেষ্টায় এদিন তিনটি বাগান খুলে গেল। এজন্য রাজ্য সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কাল, বুধবার খুলছে মাদারিহাটের দলমোড় বাগানটিও। আশা করছি, আজ মঙ্গলবারের বৈঠকের পর মেচপাড়া বাগানটিও খুলে যাবে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় রায়মাটাং, কালচিনি, দলমোড় ও তোর্সা সহ দীর্ঘদিন ধরে ১০টি চা বাগান বন্ধ ছিল। বাকি ছ’টি বন্ধ বাগান হল মাদারিহাটের লঙ্কাপাড়া, ঢেকলাপাড়া, রামঝোরা ও কালচিনির মেচপাড়া, মহুয়া ও দলসিংপাড়া। আজ, মঙ্গলবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মেচপাড়া নিয়ে কী হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছে উত্তরের চা শিল্প মহল।
- নিজস্ব চিত্র।