শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতি লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক শবনম মুস্তাফি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এখানে লাইব্রেরিয়ান ছিলেন না। দু’মাস আগে আমি এখানে যোগ দিয়েছি। তাঁর দাবি, প্রায় ন’হাজার বই আছে লাইব্রেরিতে। গল্প, উপন্যাসের পাশাপাশি রয়েছে চাকরির পরীক্ষার বই, ইংরেজি গ্রামার, এমসিকিউ, ছোটদের বই, খেলাধুলোর বই। কিন্তু সেই অর্থে পাঠক নেই। যতটা সম্ভব লোকজনকে গ্রন্থাগারমুখী করা যায়, তার চেষ্টা চলছে।
জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় রায় বলেন, আমি নিজে একজন শিক্ষক। ফলে লাইব্রেরিতে যাতে বেশি করে পড়ুয়া আসে, সেই চেষ্টা চালানো হবে। দীর্ঘদিন ধরে লাইব্রেরিয়ান ছিলেন না। এখন সেখানে গ্রন্থাগারিক এসেছেন। ফলে এবার লাইব্রেরি প্রাণ ফিরে পাবে বলে আমরা আশাবাদী।
১৯৮৪ সালে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিস ক্যাম্পাসে তৈরি হয় এই লাইব্রেরি। নিয়মিত পাঠক আসবে, এমনটা ভেবে কেনা হয় প্রচুর বইপত্র। প্রথমদিকে পাঠকের উপস্থিতিতে লাইব্রেরি গমগম করলেও ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। এদিকে, প্রয়োজনীয় কর্মীর অভাবে বইপত্র সংরক্ষণের অভাব দেখা দেয়। ফলে আর পাঁচটা লাইব্রেরির মতো একই অবস্থা হয় এই গ্রন্থারটিরও। নষ্ট হয়ে যায় প্রচুর বইপত্র। বর্তমানে এই লাইব্রেরিতে খাতায়কলমে ১৮০ জনের মতো সদস্য। কিন্তু তাঁদের চারভাগের একভাগ পাঠকও নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসেন না বলে অভিযোগ। যদিও গ্রন্থাগারিকের দাবি, আমি আসার পর থেকে নিজের পরিচিত কিছু মানুষকে ফোন করে লাইব্রেরিতে আসার আবেদন জানাচ্ছি। তাঁদের কেউ কেউ আসছেন। বইপত্র দেখছেন। সদস্য হওয়ার জন্য ফর্ম ফিলআপও করছেন। অনেকে আবার বইপত্র নিয়ে কিছু সাজেশন দিচ্ছেন। সেগুলি রাখার চেষ্টা করছি।
লাইব্রেরি সূত্রে খবর, গত কয়েকমাসে কিছু স্কুল-কলেজ পড়ুয়া পা রেখেছে এই গ্রন্থাগারে। এতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। লাইব্রেরিয়ান বলেন, কম্পিউটারের বই, সিলেবাসের কিছু বই, চাকরির পরীক্ষার আরও কিছু বই এবং নভেল রাখার প্রস্তাব এসেছে। আমরা সেগুলি কেনার চেষ্টা চালাচ্ছি। • নিজস্ব চিত্র।