শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
এবিটি জঙ্গি নুর ইসলামকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, তাদের সংগঠনে মগজ ধোলাই করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে জাহেরের উপর। ধুবুড়িতে সে অটো চালকের ছদ্মবেশে এবিটির হয়ে কাজ করছে। জঙ্গি ভাবধারার প্রতি অটো চালকদের আকৃষ্ট করে তাদের সংগঠনে আনছে সে। নুর ধরা পড়ার পর জাহের অটো চালানো বন্ধ করে দেয়। জাহের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার সূত্রে জানা যায়, জাহের একজনের সঙ্গে চ্যাট করছে। আইপি অ্যাড্রেস থেকে তার অবস্থান চিহ্নিত করে এসটিএফ। তার ডেরায় হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় জাহেরকে।
জাহের এসটিএফের জেরায় জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাড়খণ্ডে সংগঠনের ভাবাদর্শ প্রচার করার দায়িত্ব তাকে দিয়েছিল এবিটির চিফ জসিমউদ্দিন রহমানি। ওইসঙ্গে নতুন যুবকদের মগজ ধোলাই করাও ছিল তার ‘পবিত্র’ কাজ। নুরের সঙ্গে জাহের মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন খারিজি মাদ্রাসায় যেত এবং জেহাদি ভাবধারার প্রচার চালাত। পাশাপাশি, অসমে ঢুকেও একই কাজ করছিল জাহের।
পরে এবিটি চিফ, তাকে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তাদের খারিজি মাদ্রাসায় গিয়ে গিয়ে বক্তব্য রাখার দায়িত্ব দেয়। জাহের সেইমতো সর্বত্র গিয়ে তরুণদের মগজ ধোলাই করে এবিটিতে ভেড়ানোর কাজ করছিল। পাশাপাশি, অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা পড়ুয়াদের কীভাবে জঙ্গি সংগঠনে টানবে, সেই পাঠও দিত জাহের। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভুয়ো নামে একাধিক প্রোফাইল খুলে সে এবিটির হয়ে নিয়োগ চালিয়েছে। তার হাত ধরে কত যুবক এবিটিতে এসেছে এবং তারা কোথায় কাজ করছে, জাহেরকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।