Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ ছিল নির্যাতিতার পরিবারের ও আন্দোনলকারীদের। তাই অপরাধীর সংখ্যা এক নাকি একাধিক, তা নিয়ে বির্তক উঠেছিল চরমে। কিন্তু তাঁদেরই পছন্দের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে, অপরাধী একজনই। সঞ্জয় রায়। তাতে স্পষ্ট, অভয়ার প্রতি মানুষের সীমাহীন আবেগকে বিপথগামী করার একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত হয়েছিল বাংলায়। ‘সূত্রে’র দোহাই দিয়ে গল্পের গোরুকে চড়ানো হয়েছিল গাছে। কিন্তু, এসব করে হাওয়া গরম করা গেলেও বিচারকে প্রভাবিত করা যায় না। কারণ আদালত প্রমাণ ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না। আজই হবে সেই সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা। 
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গভীর রাতে আর জি করে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল, তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তিই কাম্য। নানান তথ্যপ্রমাণ ও রিপোর্ট দাখিল করে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। অভয়ার বাবা-মা ও আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ শাস্তির দাবির সঙ্গে সহমত। কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআই তদন্ত নিয়ে। তাঁদের বিশ্বাস, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। সেদিন রাতে অভয়ার সঙ্গে ডিউটিতে থাকা চারজনের কাউকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাট মামলার তদন্ত নিয়েও তাঁদের প্রশ্ন আছে।
অভয়ার বাবা-মায়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ও সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। কারণ প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে তাঁদের দিশেহারা অবস্থা। ঘটনার পর ‘সিবিআই সূত্রে’র বলে যে সমস্ত খবর সামনে আনা হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ রাজ্যবাসীর মতো তাঁরাও তাকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিন্তু আদালত তো ‘সূত্রের খবরে’র ভিত্তিতে রায় দেয় না। আদালত চলে তথ্য, প্রমাণ এবং সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে। এখানে আবেগের কোনও স্থান নেই।
আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে। প্রতিটি পর্বে তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ মহামান্য আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দু’বার বদল হয়েছে। তারমধ্যে একটি আইনি সংস্থা জানিয়েছিল, ‘তারা আদালতে লড়াই করে আইনের বলে, প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং পেশাগত নীতি মেনে।’ তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে যে ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রে’র কথা বলা হচ্ছে, তার কি কোনও প্রমাণ নেই! আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নয় বুঝেই কি এমন হাইভোল্টেজ মামলা থেকে সংস্থাটি নিজেদের সরিয়ে নিল?
সিবিআইয়ের চার্জশিটেই বোঝা গিয়েছে, খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ তোলা 
হয়েছিল, তার সারবত্তা এখনও তারা খুঁজে পায়নি। তবে, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের সবচেয়ে বড় কারণ কলকাতা পুলিসের তদন্তকেই মান্যতা 
দিয়েছে সিবিআই। আর জি কর নিয়ে জনস্বার্থে করা মামলার এক আইনজীবীর কথায়, ‘সিবিআই 
৯০দিন ধরে তদন্ত করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা কলকাতা পুলিসের তদন্তেই সিলমোহর দিয়েছে।’ সিবিআই এক এক করে ‘মাথা’দের 
ধরে জেলে ভরে দিলে এই তদন্তকারী সংস্থাই তাঁদের মতে হতো বিশ্বসেরা।
‘মিডিয়া ট্রায়ালে’র জেরে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কলকাতার বুকে গণআন্দোলনের চেহারা নিয়েছিল। প্রচার করা হয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতির অনেক কিছুই নাকি অভয়া জেনে গিয়েছিলেন। তিনি সব ফাঁস করে দিতে পারেন, এই আশঙ্কাতেই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরজন্য অভয়ার নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র’ বলে অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন। তাতেই বেড়েছিল আন্দোলনের তীব্রতা। চিকিৎসকরাও টানা ৪২দিন কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাতে চিকিৎসা না পেয়ে অকালমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাও মানুষ সব সহ্য করেছে।
তবে, আন্দোলন পর্বে একটি তথ্য মানুষকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল। কী সেই তথ্য? সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চালিয়ে গেলেও জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ বেসরকারি হাসপাতালে ও নার্সিংহোমে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ৯ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দোলনরত ৫৬৩ জন সরকারি সিনিয়র রেসিডেন্ট নার্সিংহোমে গিয়ে অপারেশন করেছেন এবং রোগী দেখেছেন। সেই সময় কেবল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই সরকারের খরচ হয়েছিল ৫৪ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। 
আন্দোলনের জেরে খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়লেও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের মালিকরা ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন। কর্মবিরতির ৪২দিনে তাঁরা যে পরিমাণ রোজগার করেছেন তা বহু নার্সিংহোমে একবছরেও হয় না। তাই তাঁদের একাংশ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে খাবার পাঠিয়ে, অর্থ দিয়ে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। 
অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে মানুষ সমস্ত দুর্ভোগ মুখ বুজে মেনে নিয়েছিল। দাঁড়িয়েছিল আন্দোনলকারী চিকিৎসকদের পাশেই। কিন্তু সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পর মানুষ বুঝেছে, এই খুন কোনও পরিকল্পিত ঘটনার পরিণতি নয়, একজনের কুৎসিত পাশবিক লালসার শিকার। তাতে মানুষ এও বুঝেছে, সন্দেশখালির মতোই আর জি করের আন্দোলন ছিল বাংলাকে কালিমালিপ্ত ও হেয় করার ঘৃণ্য চক্রান্ত।
একথা মানতেই হবে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ সরকারি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। বহু মানুষ মারা যাচ্ছিলেন। এটা শুধু সরকারকে নয়, সমাজের বিশিষ্টজন থেকে বিচারপতি, প্রায় সকলকেই বিচলিত করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে কর্মবিরতি তোলার জন্য হাতজোড় করে মিনতি করেছিলেন। ব্যক্তিগত ইগো, মুখ্যমন্ত্রীর পদের গরিমা কোনও কিছুকেই তিনি আমল দেননি। তাঁর কাছে সাধারণ মানুষের স্বার্থই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার। 
গরিব সাধারণ মানুষের স্বার্থে চিকিৎসা পরিষেবাকে স্বাভাবিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নমনীয়তাকে আন্দোলনকারীরা ‘দুর্বলতা’ ভেবে ভুল করেছেন। তাঁরা হয়তো ভেবেছেন, কর্মবিরতির অস্ত্রেই সরকারকে বারবার নতজানু করা যাবে। তাই মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সরকার কড়া অবস্থান নিতেই ফের তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দেন। আর জি করে অভয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ড আবেগতাড়িত করেছিল গোটা দেশকে। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যালে মারা গিয়েছেন প্রসূতি। কাঠগড়ায় কয়েকজন চিকিৎসক। তাই দু’টোকে এক করে ফেললে ভুল হবে।
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কথায় কথায় বলেন, তাঁরা মানুষের স্বার্থে লড়াই করছেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? কর্মবিরতি করলে সাধারণ মানুষের কি উপকার হয়। উল্টে তারা চরম দুর্ভোগে পড়ে। অসুস্থদের হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে ছুটতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে অথবা নার্সিংহোমে। আসলে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ বাম আমলের ‘চলছে না, চলবে না’ সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। কিন্তু হাসপাতাল আর কারখানা তো এক নয়। তাই কথায় কথায় কর্মবিরতি কেন? 
মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার সিআইডি তদন্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরও তদন্ত করেছে। তার উপর ভিত্তি করেই ১২জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারমধ্যে ছ’জন সিনিয়র ডাক্তারবাবুও আছেন। এমনকী হাসপাতালের সুপারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সকলে সহমত হবেন, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া যেত। এর আগে সরকারের বহু সিদ্ধান্তই আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রেও ভুল হলে সেটাই হতো। কিন্তু সে রাস্তায় না হেঁটে কেন কর্মবিরতির ডাক? তাও আবার মানুষের স্বার্থে?
কথায় কথায় কর্মবিরতির ডাক দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলাটা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন, চিকিৎসক ভুল করলেও কি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই কেন উঠবে ‘বদলা’ নেওয়ার অভিযোগ? তবে স্বস্তির কথা, জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্টের ডাকা কর্মবিরতিতে সাড়া দেননি অধিকাংশ চিকিৎসক। তাঁরাও কি বুঝতে পারছেন, আর জি করের প্রেক্ষিত আর মেদিনীপুর মেডিক্যালের ঘটনা এক নয়। তাই কি কর্মবিরতি করে সরকার ও সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলার চক্রান্তে তাঁরা জল ঢেলে দিলেন?
18th  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
একনজরে
ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...

আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের হারের ধারা অব্যাহত। রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ০-১ গোলে বশ মানল অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা। সবমিলিয়ে হারের হ্যাটট্রিকে আরও বিপাকে ক্লেটনরা। ...

ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM