শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মিলন মাঝি, কার্তিক সর্দার, মিঠুন মাঝি, অনুপ মাঝি, সুকুমার সর্দার, নেতাই সর্দার, নকুল দলুই ও রাজু মাঝি। প্রত্যেকের বাড়ি কাটোয়ার গাঁফুলিয়া গ্রামে। প্রত্যেককেই রবিবার কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। মিলন মাঝিকে দু’দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। বাকিদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার পঞ্চাননতলা এলাকায় ১ মাঘ পুজো উপলক্ষ্যে মেলা বসেছে। গাঁফুলিয়া গ্রামেও মেলা উৎসব চলছিল কয়েকদিন ধরে। সেই সঙ্গে পুলিস প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে রাতে তারস্বরে ডিজে বাজানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। পাড়ায় ১০০-র বেশি মাইক লাগানো হয়েছিল। শব্দদানবের অত্যাচারে কান পাতা দায় হয়ে পড়েছিল বাসিন্দাদের। শনিবার রাত দশটা নাগাদ থানায় এক ব্যক্তি ফোন করে অভিযোগ জানানোয় তাঁর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ধৃতরা। এমনকী তাঁকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এরপরেই পুলিস গ্রামে গিয়ে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে।
পুজো পার্বণে ডিজে বক্স বাজানো এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের নিষোধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে ডিজের দেদার ব্যবহার। তার শব্দে এলাকার অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষরা অসুবিধায় পড়েন। প্রতিবাদ করতে গেলেই তাঁদের কপালে জোটে লাঞ্ছনা। প্রসঙ্গত, এর আগে কাটোয়া থানায় ডেকোরেটর মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে কাটোয়া থানার পুলিস। কাটোয়া সহ আশপাশের মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলী, নদীয়ার কালিগঞ্জ থানার ডেকোরেটর মালিকদেরও সেই বৈঠকে ডাকা হয়। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, অতিরিক্ত ডিজে বক্স ভাড়া দেওয়া চলবে না। প্রয়োজনীয় বক্স ভাড়া দিতে হবে। শব্দদানবের অত্যাচার হলেই পুলিস কড়া পদক্ষেপ নেবে। ছোট বক্স ভাড়া দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, জেবিএল ভাড়া দিলেও তা পরিমাণে অল্প দিতে হবে। নির্দিষ্ট ডেসিবলে তা বাজাতে হবে। এর অন্যথা হলে পুলিস পুরো সেট বাজেয়াপ্ত করবে। এরপরেও নির্দেশ অমান্য করে শব্দদানবের দাপাদাপি চলছিল গ্রামে।