মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, পশ্চিমীঝঞ্ঝার জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের উঁচু উপত্যাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সমতলে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। আরও দু’দিন এমন আবহাওয়া থাকবে।
বুধবার থেকেই শিলিগুড়িতে ব্যাটিং শুরু করেছে শীত। ওই দিন এক ঝলক রোদের দেখা মিললেও বৃহস্পতিবার একবারের জন্যও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। দিনভর আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। সঙ্গে কনকনে উত্তুরে হাওয়া চলে। দিনভর ঝিড়ঝিড়ে শিশির পতন হয়েছে। এরজেরে যারা রাস্তায় বেড়িয়েছেন তাঁদের গায়ে ফুল জ্যাকেট, মাথায় টুপি, হাতে দস্তানা ও পায়ে জুতো ছিল। অনেকেই দিনভর ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রেখেছিলেন। সন্ধ্যার পর শিশির পতন ও কুয়াশার দাপট কিছুটা বাড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই মরশুমে এই প্রথম মাঘ মাসে শীতের তীব্র কামড় বোঝা গেল। যা কাবু করে দিয়েছে।
এদিন সকালে কোচবিহারেও কুয়াশার দাপট ছিল। দুপুরের এক ঝলক সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডার দাপট কমেনি। কিছুক্ষণের মধ্যে আকাশ মেঘলা হয়। জেলার অনেক জায়গাতেই আগুন জ্বালিয়ে হাত পা সেঁকেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার অবস্থাও ছিল একই। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল জলপাইগুড়ি। যারজেরে ট্রাফিক সিগন্যালে দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এ ব্যাপারে যানবাহনের চালকদের সতর্ক করেছে ট্রাফিক পুলিস। আলিপুরদুয়ার জেলাতেও মেলেনি সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে সকালে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়েও কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ছিল। রাতে বৃষ্টি হতে পারে বলে পাহাড়বাসীর আশঙ্কা।
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার জেরে বিমান পরিষেবায় প্রভাব পড়ে। সকাল থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে একটিও বিমান ওঠানামা করতে পারেনি। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সকালে ডিব্রুগরগামী একটি বিমান বাতিল করা হয়। এছাড়া ১১টা ২০মিনিটের হায়দরাবাদের বিমান দুপুর সোয়া ২টোয় এবং ১১টা ২৫ মিনিটের বেঙ্গালুরুর বিমান ৩টা ২৮ মিনিটে আকাশে ওড়ে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই সহ বিভিন্ন বিমান নির্দিষ্ট সময় থেকে অনেকটাই দেরিতে উড়েছে। মুম্বই, দিল্লি ও বেঙ্গালুরু থেকে আসা কয়েকটি বিমান ডাইভার্ট করা হয়।