Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন। প্রাসাদোপম অট্টালিকা বানানোর জন্য দেশপ্রেমের নাটক করেননি। কোনও শিল্পপতিকে হাজার কোটির সুবিধা পাইয়ে দিয়ে নিজের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়ানোর চতুর লক্ষ্যের পিছনেও ছোটেননি তিনি। ১৯৪৭ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৩৬ কোটি, আর আজ তা ১৪২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার পর ৭৭ বছর কেটে গিয়েছে। কোন পথে লোকতন্ত্র চালিত হবে তার দিশা দেখানো আম্বেদকরের সংবিধান পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। অনেক সরকার এসেছে, চলেও গিয়েছে কালের নিয়মে। অনেক ভাষণ, হাততালির আড়ালে নির্মম ভণ্ডামির সাক্ষী থেকেছে দেশের জনগণ। অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ বুঝেছে গরিবি হটাও স্লোগান দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে নয়, স্রেফ রাজনীতির জন্য।  দুর্ভাগ্য আমাদের আর একটা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, আর একটা চিত্তরঞ্জন দাশ, আর একটা বাঘাযতীনের সন্ধান আমরা পাইনি। ভোটসর্বস্ব এদেশে আজ কথা না রাখার ছলনাই নেতানেত্রীদের একমাত্র ধ্রুবপদ।    
আজকের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্বসূরি বিজেপির সর্বমান্য নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ি সংসদে একাধিকবার তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, দল ক্ষমতায় আসবে যাবে, সরকার তৈরি হবে, বিদায় নেবে, কিন্তু দেশ, দেশের লোকতান্ত্রিক কাঠামো যেন অক্ষুণ্ণ থাকে। না-হলে বিপদ অনিবার্য। গঠনমূলক বিরোধিতা, যুক্তিনির্ভর বিতর্ক আর সমালোচনা সংসদীয় রাজনীতির প্রাণ। সরকার পক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, ভারতের সংসদ কিন্তু বিরোধীদের। তাকে কোনওভাবে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা হলে, বিরোধীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে বাধ্য। আর গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার অর্থ, সংবিধানও খাদের কিনারায়। 
মাত্র গত ডিসেম্বরের কথা। হাজার কোটি ব্যয়ে নির্মিত পাঁচতারা নতুন সংসদ ভবনে চলছে সংবিধান নিয়ে বিতর্ক। একের পর এক সংসদ সদস্য বক্তব্য রাখছেন। উত্তাপ বাড়ছে, কখনও তা শালীনতার সীমাও অতিক্রম করছে। কারণ কেউ দেশের ভালোর কথা বলছেন না। আত্মত্যাগের প্রস্তাব, দেশমাতৃকার জন্য জীবন উৎসর্গ করার আহ্বান কিংবা নিদেনপক্ষে নিজেদের ভুল স্বীকারেও রাজি নন কেউ। শুধু উতোরচাপান আর পরস্পরকে ঘৃণ্য দোষারোপ। এককথায় বাজারি খেউড়! সঙ্গে আত্মপ্রচারের হরেক ফিরিস্তি। ভাবটা এমন, আমি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরিই হতো না, স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়ে যেত। লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষেই একই অবস্থা। বিরোধীরা বলছেন, মোদি সরকার ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রধান ভিত্তি ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো’কে পদে পদে অসম্মান করেছে। এবং সংবিধানের মূল যে ভিত্তি ‘ইন্ডিয়া ইজ এ ইউনিয়ন অব স্টেট’ তাকে খারিজ করতেই এক দেশ এক নির্বাচনের জুজু দেখানো চলছে। ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। ভোটে উন্নয়ন নয়, মেরুকরণই প্রধান ইস্যু, যা উস্কে দিয়েছে সুতীব্র সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে। ফিকে হয়ে গিয়েছে কবির ‘একই বৃন্তে দু’টি কুসুম, হিন্দু-মুসলমান’-এর গৌরবোজ্জ্বল সহাবস্থান। গরিব আরও গরিবই হয়নি, দেশের সিংহভাগ সম্পদ কুক্ষিগত করেছে কতিপয় ধনকুবের। সরকারি বদান্যতায়। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বন্দর থেকে বিমানবন্দর হস্তগত করেছে ঘনিষ্ঠরা। আর অপরাধী বুঝে গিয়েছে, ভোটের দিন বুথ কব্জা করতে যখন আমারই ডাক পড়ে, তখন আমরাই-বা কেন সরাসরি নির্বাচনে জিতে ‘রাজা’ হব না। গণতন্ত্রে ধনী- গরিব, সৎ-অসৎ-এর ভোটের মূল্য এক। মধ্যবিত্ত উচ্চ হারের করের বোঝায় বেসামাল। শিক্ষা নেই, চাকরি নেই, জিনিসের দাম বাড়ছে লাফিয়ে। কর্পোরেটমুখী এই সরকারের লক্ষ্য সংবিধান বদলে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন নয়া ব্যবস্থার প্রবর্তন। সংবিধানকে নানাভাবে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত চলছে বলেই সরব বিরোধী শক্তি। তাদের অভিযোগ, ২০২৯ কিংবা ২০৩৪ সালে যদি লোকসভার সঙ্গে একসঙ্গে সবক’টি রাজ্য বিধানসভার ভোট হয় তাহলেই দেশের রাজনৈতিক মানচিত্র অনেকটা বদলে যাবে।
বসে নেই মোদি-অমিত শাহের গেরুয়া শিবিরও। এসবই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’য়ের প্রচার, এমনই তোপ দেগে তারা পাল্টা আক্রমণ শানাতে ছাড়েনি। দেশের সর্বময় ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তাঁদের চুপ করে থাকার কথাও নয়। পত্রপাঠ নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর অনুচররা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কংগ্রেস, থুড়ি, গান্ধী পরিবারের সংবিধান ও গণতন্ত্র বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। এদেশে গণতন্ত্রের অবমাননার প্রসঙ্গ উঠলেই জরুরি অবস্থার কালো দিনগুলির কথা স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে। মোদিজির পাল্টা আক্রমণ, নিজের গদি বাঁচাতেই সংবিধানের ঠিক ২৫ বছর পূর্তির বছরে মোক্ষম আঘাতটি নামিয়ে আনেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন। জরুরি অবস্থা জারি করে আম্বেদকরের পবিত্র পুঁথিকেই পঙ্গু করে দেন। দেশবাসীর মৌলিক অধিকার খর্ব হয়। বিচারব্যবস্থা কার্যত নীরব দর্শক হয়ে যায়। ইন্দিরা গান্ধীর শাসনে জরুরি অবস্থা জারি ও মৌলিক অধিকার থেকে দেশবাসীকে বঞ্চিত করা ভারতীয় সংবিধানের উপর প্রথম বড় আঘাত। কালা কানুন ‘মিসা’ জারি করে দেশের তাবৎ বিরোধী নেতানেত্রীদের একতরফা গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছিল। দেশ জেলখানায় পরিণত হয়। এমনকী সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের উপরও নেমে আসে আঘাত। স্বাধীনতার পর ইন্দিরা জমানাতেই ভারতীয় সংবিধান প্রথম বড় ধাক্কা খেয়েছিল। তবে শুরুটা নেহরু আমলে। স্বাধীনতার পর প্রথম পাঁচ বছর সাধারণ নির্বাচন হয়নি। তখন থেকেই দেশ একটি বিশেষ পরিবারের নিয়ন্ত্রণে। সেই থেকে ইন্দিরার জরুরি অবস্থা পেরিয়ে শাহ বানু মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উল্টে দিতে রাজীব গান্ধীর নয়া আইন প্রণয়ন, সব কিছুতেই আম্বেদকরের সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ারই মরিয়া চেষ্টা।
আগেই বলেছি, সংবিধান লিখতে আম্বেদকর ও তাঁর সহযোগীরা সময় নিয়েছিলেন দু’বছরেরও বেশি। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শুরু করে ১৯৪৯’এর শেষার্ধ পর্যন্ত সংবিধান লেখার কাজ চলে। সংবিধান লেখা শেষ ও গৃহীত হয় ১৯৪৯’এর ২৬ নভেম্বর। আর তা কার্যকর করা শুরু হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি দিনটি ‘সাধারণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পরিচিত। মোদি সরকার এসেই ২০১৫ থেকে ২৬ নভেম্বর দিনটি পালন করছে ‘সংবিধান দিবস’ নামে। তার পরও প্রায় এক দশক কাটতে চলেছে। কিন্তু, সংবিধানের মূল আত্মা ভালো আছে কি? আজ এই প্রশ্নের মুখে গোটা দেশ এবং দেশের মানুষ। সংবিধান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিছু কম হয়নি। কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার সুবাদে একাই ৭৫ বারের বেশি সংশোধন করেছে। পিছিয়ে নেই মোদিজিও। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটান। রদ করেন মধ্যযুগীয় তিন তালাক প্রথা। ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারার সৌজন্যে স্বাধীনতার সময় থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল। সেই বিশেষ মর্যাদা শুধু কেড়েই নেওয়া হয়নি, পূর্ণ রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়। আর তা করতে গিয়ে মাসের পর মাস উপত্যকায় সংবিধানের দেওয়া মৌলিক অধিকারগুলিকেই কেন্দ্র হরণ করে রাখে। বন্ধ থাকে ইন্টারনেট পরিষেবাও। যার দরুণ সুপ্রিম কোর্টকে পর্যন্ত বলতে হয়, ইন্টারনেট পরিষেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সেইসঙ্গে আটক করে রাখা হয় শতাধিক কাশ্মীরি নেতানেত্রীকে। কোনও শুনানি ছাড়াই তাঁরা কার্যত দীর্ঘসময় গৃহবন্দি ছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন ওই রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। সামগ্রিকভাবেই একের পর এক ঘটনা পরম্পরা গণতন্ত্র রক্ষার মানদণ্ডে ভারতের অবস্থানকে নীচের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যেখানে শীর্ষ নেতানেত্রীরাই নিরাপদ নন, তাঁদের স্বাধীন চলাফেরাটুকুও নিয়ন্ত্রিত, সেখানে কীসের গণতন্ত্রের বড়াই! সংবিধানের লম্বাচওড়া লেখাজোখারই-বা দাম দেবে কে? এই প্রশ্ন কি অবান্তর? 
পদার্থবিদ্যা একটু আধটু যা পড়েছি, তাতে দেখেছি স্থিতিস্থাপকতার (ইলাস্টিসিটি) একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। চাপ, তাপমাত্রা এবং বাইরের বলপ্রয়োগে (টেম্পারেচর, প্রেশার অ্যান্ড এক্সটারনাল ফোর্স) যে কোনও জিনিসের আকার ও চরিত্রের সাময়িক পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তা সরে গেলেই আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যায়। এটাই পদার্থের ধর্ম। আমাদের সংবিধানও তাই—যত ক্ষমতাবান ধুরন্ধর শাসকই আসুন না কেন সাময়িক পরিবর্তনের চেষ্টা হলেও অন্তরাত্মাকে তা স্পর্শ করে না। বাইরের পরিস্থিতি বদলালেই আবার যে কে সেই! এটাই বি আর আম্বেদকরের সংবিধানের মাহাত্ম্য। এইখানেই আম্বেদকর সাহেব দেশের প্রধানমন্ত্রী না-হয়েও ইন্দিরা গান্ধী থেকে নরেন্দ্র মোদি, নেহরু থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ির চেয়েও শক্তিমান। 
বিজেপি সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ও ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালু করা। তাহলেই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র থেকে ধীরে ধীরে ভারতকে আগমার্কা হিন্দুরাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার ষোলোকলা পূর্ণ হবে। তবে, একটা জিনিস পরিষ্কার যে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দিয়ে যেইমাত্র আমরা কট্টর হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের দিকে ছুটব, তখনই উদারবাদের পথটি হারিয়ে ভারত কানাগলিতে আটকে যাবে। আমাদের গর্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের অহঙ্কার খসে পড়বে। আপাতত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক চরিত্রটিকে অটুট রাখাই সর্বস্তরের মানুষের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে সাধারণতন্ত্র দিবসে সংবিধান রক্ষারই শপথ গ্রহণ করুক প্রতিটি ভারতবাসী। নেহরু-ইন্দিরা-রাজীব পারেননি। নরেন্দ্র মোদিও পারবেন না। সব আশঙ্কা উড়িয়ে জয়ী হবে সংবিধান। মহান ভারতীয় গণতন্ত্রের জয় এখানেই। 
26th  January, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
একনজরে
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা জাগিয়ে অশোকনগরে শুরু হয়েছিল প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাস উত্তোলন প্রকল্পের কাজ। কিন্তু জমিজটের কারণে কয়েকমাস চলার পর তা বন্ধও হয়ে যায়। ...

আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! বাংলাদেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরুর কথা জানিয়েছিল ইউনুস সরকার। আওয়ামি লিগ তখনই অভিযোগ তুলেছিল, এই অভিযানের আড়ালে তাদের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় শুরু হবে। বাস্তবে তাই ঘটল। ...

আজ, সোমবার রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এবছর বীরভূম জেলায় ৪৩হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে। তবে নজর কেড়েছে ছাত্রীদের সংখ্যা। ছাত্রদের পিছনে ফেলে জেলার ছাত্রীরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...

সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন বলিউডের দুই প্রযোজক। শুক্রবার রাতে এমনই অভিযোগে পুলিসের দ্বারস্থ হলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের কন্যা আরুশি নিশঙ্ক। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে খারিজ করেছেন দুই অভিযুক্ত প্রযোজক।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতি লাভের যোগ। ব্যবসা ভালো হবে। হস্তশিল্পীদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৮৭ : নিখিল ভারত নারীশিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাত্রী শ্যামমোহিনী দেবীর জন্ম
১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী উইলিয়াম রন্টগেনের মৃত্যু
১৯৪২: অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের মৃত্যু  
১৯৯৬: আইবিএম সুপার কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো দাবা খেলায় গ্যারী কাসপারভকে পরাজিত করে
২০১৬: চলচ্চিত্র পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
09th  February, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ রাত্রি ৬/৫৮। পুনর্বসু নক্ষত্র ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/১। সূর্যোদয় ৬/১৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১২ গতে ৪/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী রাত্রি ৭/১৮। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৮ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ২/৩৯ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫২ মধ্যে।
১১ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুণ্যস্নান সেরে প্রয়াগরাজ থেকে বেরিয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

05:59:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের শোনমার্গে ফের নতুন করে তুষারপাত, বরফের চাদরে মুড়ল গোটা এলাকা

05:52:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারপাত

05:33:34 PM

হলদিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, আতঙ্ক
একটি যাত্রীবাহী বাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল ...বিশদ

05:33:00 PM

জিডিপি মানে ‘জি’ অর্থে গরিব, ‘ডি’ অর্থে দেশভক্তি ও ‘পি’ অর্থে প্রগতি, সংসদে বাজেটের প্রশংসা করতে গিয়ে জানালেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর

05:17:00 PM

প্রীতমের টাকা চুরি
বলিউড সুরকার প্রীতম চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের অফিস থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ...বিশদ

05:10:00 PM