হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
সোমবার সাতসকালে দত্তপুকুর থানার বাজিতপুর এলাকায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মাথার খোঁজ এখনও পায়নি দত্তপুকুর থানার পুলিস। ঘটনার কিনারা করতে শুরু হয় জোরকদমে তল্লাশি। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস।
বুধবার ঘটনার মোড় নিল অন্যদিকে। দুপুরে গাইঘাটা থানায় হজরত লস্কর নামে এক যুবকের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিসের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের বারাসত হাসপাতালে আসার কথা বলা হয়। পরিবারের লোকজন এসে পৌঁছয় হাসপাতালে। তারপর দেহ শনাক্ত করেন তাঁরা। এক্ষেত্রে কাজে এসেছে হজরতের বাঁ হাতের ট্যাটু ও আর অক্ষর। সে দুটি দেখেই দেহ চিহ্নিত করে ফেলে পরিবারের লোকজন। খবর যায় দত্তপুকুর থানায়। পরিবারের সদস্যদের জেরা করে পুলিস। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রবিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ হজরত। তার সঙ্গে সেদিন এসেছিল ওবাইদুল মণ্ডল। তড়িঘড়ি পুলিস ওবাইদুলের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারপর পুলিস জানতে পারে, বারাসত স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করছে সে। আচমকা পুলিস গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জেরায় ভেঙে পড়ে সে। পরে তাকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। হজরতের আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কয়েকমাস আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দম্পতি গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামে ভাড়া থাকতেন। ওবাইদুল আঙুলকাটার বাসিন্দা। পুলিস জেরায় জানতে পারে, পুরনো আক্রোশ থেকে হজরতকে মদ্যপান করিয়ে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে মাথা কাটা হয়েছে। যৌনাঙ্গের উপরের অংশে আঘাত করে দেহে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।