হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এমএসডিপি প্রকল্পে ১২ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকায় ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল দোতলা এই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখানে রয়েছে ছ’টি ঘর। সামনে নলকূপ। ভবনের রং উঠে পলেস্তারা বেরিয়ে পড়েছে। ভিতরে রয়েছে চেয়ার, মাদুর, খাট, জলের বোতল থেকে গৃহস্থালির বিভিন্ন সামগ্রী। এটি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে রয়েছে। গেটের বাইরে ফলকে উদ্বোধনের তারিখ লেখা রয়েছে। উদ্বোধক হিসেবে একাধিক হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধির নাম লেখা। এখানেই শেষ। এই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র মানুষের কাজেই আসে না। উল্টে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম, শেখ আলাউদ্দিন, আতারুল আলি বলেন, এটি যখন তৈরি হয়, তখন আশায় বুক বেঁধেছিলাম। এখন দেখছি সবটাই ভুল। উদ্বোধনের কথা ও তারিখ লেখা থাকলেও আদতে তা হয়নি। ভিতরের ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কোনও মিস্ত্রি বা বাইরের লোক এখানে কাজে এলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সংসার পাতেন। আমরা চাই, দ্রুত এটি চালু করা হোক। তাহলে আর আমাদের দূরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে না। কেউ অসুস্থ হলে রাতবিরেতে ব্যাপক সমস্যা হয়।
আরেক বাসিন্দা রুবিনা খাতুন বলেন, ১৩ বছর আগে সরকারি টাকা এটি তৈরি হলেও আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। ফলে বাইরের লোক এসে এখানে থাকে। শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যে নেশার আসরও বসে। আমাদের এলাকায় মূলত গরিব মানুষের বাস। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ পরিবার থাকে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হলে এই মানুষগুলি উপকৃত হতেন। এ ব্যাপারে সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই। এ নিয়ে বারাসত ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকারি সম্পত্তি এভাবে ব্যবহার করা যায় না। এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। নিজস্ব চিত্র