হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
পার্শ্ববর্তী চাপরামারি জঙ্গল থেকে একটি হস্তিশাবক সহ চারটি হাতির দল নাগরাকাটা চা বাগানের সাউথ সুখনবাড়ি ডিভিশনের ২ নম্বর সেকশনে ঢুকে পড়ে। সকালে শ্রমিকরা কাজ আসেন। কিন্তু হাতি থাকায় তাঁরা আর কাজে যেতে পারেননি। বাগান কর্তৃপক্ষ এদিন সেখানে কাজ বন্ধ রাখে। খবর দেওয়া হয় খুনিয়া ও চালসা রেঞ্জের বনকর্মীদের। নাগরাকাটা থানা থেকেও আসে পুলিস। তবে উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় বনকর্মী ও পুলিসকে।
চালসার রেঞ্জার প্রকাশ থাপা বলেন, একটি হস্তিশাবক সহ চারটি হাতির দলটি নাগরাকাটা চা বাগানে আটকে পড়ে। আমরা সকালেই হাতির দলটিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরানো শুরু করেছিলাম। কিন্তু হাতির দলটির চারিদিকে এত মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল যে গজরাজরা জঙ্গলের দিকে যেতে গিয়েও ফের চা বাগানে ফিরে আসে। রাতে লোকজন সরিয়ে আমরা দলটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করব।
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলটি চাপরামারি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নাগরাকাটা বস্তি হয়ে সুখানি নদী পার হয়। এরপর নাগরাকাটা চা বাগানে আসে। হাতি আসার খবর রটে যেতেই বাগানে উৎসুক জনতার আসতে শুরু করে। বনকর্মী ও পুলিস যখন বাগানে এসে পৌঁছয় তখন সকাল ৯টা। আর লোকজন কয়েক হাজার। বনকর্মীরা বোমা-পটকা ফাটিয়ে, ছররা বন্দুক দিয়ে হাতির দলটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। তাদের হইহুল্লোড়ে হাতির দলটি থমকে দাঁড়ায়। একসময় ক্ষেপে গিয়ে একটি হাতি বনকর্মীদের দিকে তেড়ে আসে। প্রায় কাছেই চলে এসেছিল হাতিটি। সেই সময় দুই বনকর্মী ছররা গুলি ছুড়লে হাতিটি পালিয়ে যায়। এরপর সকাল ১১টা নাগাদ ফের পটকা ফাটিয়ে হাতির দলটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। তখনও কৌতূহলীদের চেঁচামেচিতে ব্যর্থ হন। বিকেলেও চেষ্টা করে কাজ হয়নি। রাতে লোকজনকে সরিয়ে অপারেশনে নামেন বনকর্মীরা। চা বাগানে হাতির দল। - নিজস্ব চিত্র।