হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি ২০ দিন আগে গ্যারগেন্দা বাগানের সংযোগ কেটে দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোটর চলছে না। তাই শ্রমিকরা বাড়িতে পানীয় জল পাচ্ছেন না। তাঁদের জল আনতে হচ্ছে তিন কিমি দূরে রামঝোরা ও ধুমচিপাড়া বাগান থেকে। সন্ধ্যার পর চিতাবাঘের আতঙ্ক শ্রমিকদের গ্রাস করেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শ্রমিকদের ও বাগানের স্টাফদের বকেয়া মজুরি।
বিটিডব্লুইউয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নারায়ণ খোঁড়া বলেন, গ্যারগেন্দা বাগানে বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই। শ্রমিকদের আড়াই মাসের মজুরি এখন বকেয়া। স্টাফদেরও বেতন আটকে আছে। এক অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই বাগানে। অথচ প্রশাসন বা বাগান কর্তৃপক্ষ কারও হেলদোল নেই। তাই শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছেন।
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক জয়প্রকাশ টোপ্পো পাল্টা বলেন, বিটিডব্লুইউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। গ্যারগেন্দা বাগানে বিদ্যুৎ, পানীয় জল ও শ্রমিকদের বকেয়া নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে ঠিকই। তবে তা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা চলছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যারগেন্দা বাগানে বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা। দপ্তরের আলিপুরদুয়ারের রিজিওনাল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম মণ্ডল বলেন, বিল বকেয়া থাকার কারণেই গ্যারগেন্দা বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে।
গ্যারগেন্দা বাগানটি মেরিকো ইন্ডাস্ট্রির অধীনে। ওই কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর সুরজিৎ বক্সি বলেন, লিজ ছাড়াই সাত বছর ধরে আমরা বাগানটি চালাচ্ছি। লিজ না থাকায় ব্যাঙ্ক ঋণ মিলছে না। ফলে বাগান চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে শুক্রবারের মধ্যেই শ্রমিকদের বকেয়া দেওয়া হবে। অন্য সমস্যাগুলিও মেটানোর চেষ্টা চলছে।
নিজস্ব চিত্র।