হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
বুধবার নলহাটি পালোয়ান বাবার মাজারে চাদর চড়াতে এসেছিলেন অনুব্রত। সেখানেই নাম না করে কাজলকে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘আমি জীবনে কাটমানি খাইনি। আমি চাই উন্নয়ন। সরকারের ঘরে রাজস্ব আসুক। কে কী বলছেন তাঁর নাম করে হাইলাইট করব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবে তাই করব। তাতে কে কী বলল দেখে লাভ নেই।’
কেষ্ট বনাম কাজলের লড়াই বীরভূমের রাজনীতিতে বহু চর্চিত। অনুব্রতর তিহার যাত্রার পর রকেট গতিতে উত্থান হয় কাজলের। অনুব্রত অনুগামীদের কার্যত কোনঠাসা অবস্থা হয়। দল কাজলকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করে। শুধু তাই নয় বীরভূমের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে দৌড়ে সংগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন কাজল। দু’বছর পর অনুব্রতর জেল মুক্তির পর ফের মাথাচাড়া দেয় অনুব্রতর অনুগামীরা। যদিও অনুব্রত সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিতে থাকেন। শুধু তাই নয়, অনুব্রতর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায় কাজলকে। এরই মধ্যে জেলা পরিষদের অবনমন নিয়ে অনুব্রতর মন্তব্য নতুন করে দু’জনের দ্বন্দ্বে ইন্ধন জুগিয়েছে। সরগরম হয়েছে জেলা রাজনীতি। যদিও নাম না করে মঙ্গলবার কাজল শেখ বলেন, ‘আমরা কোনও দিক থেকে পিছিয়ে নেই। কোনও দুষ্টু চক্র বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আঙুর ফল টক। হয়তো খেতে পাচ্ছে না বলে এসব বলছে। পরপর দু’টি নির্বাচন করেছি। একটি বোমাবাজিও হয়নি। মাত্র কয়েকমাসে এই জেলায় আগের মতোই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, গুলিবাজি চলছে। পুলিসকে মারছে। কাজল যে অনুব্রতকে নিশানা করে এসব বলেছেন, তা বুঝতে সময় লাগেনি রাজনীতির কারবারিদের।
এদিকে অনুব্রতর জেল মুক্তি চেয়ে নলহাটির পালোয়ান বাবার মাজারে মানত করেছিলেন মুরারইয়ের অনুগামীরা। এদিন সেখানে অনুব্রত মণ্ডল নিজে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজের এবং মেয়ের নামে চাদর চড়ান। শুধু মুরারই নয়, নলহাটি ও রামপুরহাটের দলের বহু নেতা কর্মী সেখানে হাজির হয়েছিলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাজলকে আক্রমণ করেন। তবে, একবারের জন্যও কাজলের নাম মুখে আনেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি জীবনে কোনওদিন কাটমানি খাইনি। আমি চাই উন্নয়ন হোক। জেলাশাসককেও রিভিনিউ বাড়াতে বলেছি। দুষ্টু চক্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে বলুক। কে কী বলছে তার নাম করে হাইলাইট করতে চাই না। আমি দলটা ছোট থেকে করি। ৬৮ বছর বয়স হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবে তাই করব।’ মঙ্গলবার কাজল বলেছিলেন, ‘দলনেত্রীর তৈরি কোর কমিটিই জেলা চালাবে।’ এদিন তাঁর পাল্টা জবাবে অনুব্রত বলেন, ‘ওসব এখানে আলোচনা করতে আসিনি। আমি জেলা সভাপতি আছি।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের পাশাপাশি আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও মুর্শিদাবাদের বড়ঞ্যা দেখার জন্য বলেছেন বলে কয়েকদিন আগেই দাবি করেছেন অনুব্রত। যদিও এমন কোনও ঘোষণা হয়নি বলে দাবি করেন কাজল। সেই প্রসঙ্গেও অনুব্রত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণাটা কানে কানে করবে নাকি ফোনে করবে, সেটা বলতে পারব না। আমাকে যেটা বলেছেন সেটাই বলছি। এরপর কে কী বলল, আমার দেখে লাভ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ১১ থেকে ২১ সাল পর্যন্ত ভোট করেছি। কোনও মানুষ খুন হয়নি, মারামারি হয়নি। তারপরও কে কী বলছে ওসবে কান দিতে রাজি নই।’ এদিন তাঁকে ঘিরে ভিড় প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, ‘মানুষের পাশে থাকি বলে মানুষও আমার পাশে রয়েছে।’