Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে। কথাটি বোধগম্য, কিন্তু আমরা ‘নাগরিকগণ’ (সিটিজেনস) এবং ‘ভারতের সর্বত্র’ শব্দগুলিকে উপেক্ষা করতে পারি না।
প্রতিটি নাগরিকের ভারতের যেকোনও স্থানে বসবাস বা বসতি স্থাপনের অধিকার রয়েছে। 
আর সকল স্থানে একই দেওয়ানি বিধি দ্বারা নাগরিকদের পরিচালিত হওয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করা সংবিধানের উদ্দেশ্য। 
এই অধিকার ‘সকল নাগরিকের জন্য নিশ্চিত 
করা’ রাষ্ট্রের দায়িত্ব। মূলত, এই বাধ্যবাধকতা সংসদ পূরণ করেছে যে, ভারতের নাগরিকরা একই চুক্তি আইন, বিচার প্রার্থনার সময়সীমা (ল’ অফ লিমিটেশন) সংক্রান্ত আইন, যেকোনও দেওয়ানি আদালতে একই পদ্ধতি এবং সকলের নাগরিক জীবন সম্পর্কিত বিষয় (‘ফৌজদারি’ বিষয়ের পরিবর্তে) একই আইন দ্বারা পরিচালিত হয়।
উদ্ধত?
বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং উত্তরাধিকারের 
মতো কিছু দেওয়ানি বিষয়ে সংসদ অবশ্যই আইন প্রণয়নের কাজ করতে পারে। তবে, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ অথবা উত্তরাধিকার সম্পর্কিত (‘সাকসেশন’ ও ‘ইনহেরিটেন্স’) আইন প্রণয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার যে কাণ্ডটি উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পক্ষ থেকে করা হয়েছে, তা ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যাপার। প্রথমত, আইনটি ভারতের ‘সমস্ত নাগরিকের ক্ষেত্রে’ প্রযোজ্য হবে, এমনটা উত্তরাখণ্ড নিশ্চিত করতে পারে না। এমনকী, উত্তরাখণ্ডে জন্ম নেওয়া সমস্ত ব্যক্তির উপরেও আইনটি প্রযোজ্য হবে না, যদি না তিনি ওই রাজ্যেই বসবাস (‘রেসিডেন্স’ অথবা ‘ডমিসাইল’ হিসেবে) করেন। যদি কোনও ব্যক্তির আইনটি পছন্দ না-হয় তবে তিনি ওই রাজ্য ছেড়ে অন্যত্রও চলে যেতে পারেন। উত্তরাখণ্ডের দু’জন বাসিন্দা প্রয়োজন বোধে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে ফেলতে পারেন ওই রাজ্যের বাইরে কোথাও গিয়েও। তাঁদের তরফে ওই রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কিংবা অন্যত্র গিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা প্রভৃতি উত্তরাখণ্ড রুখতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, উত্তরাখণ্ডে জন্ম নেওয়া ব্যক্তির উপর তাদের আইন ‘ভারতের সর্বত্র প্রযোজ্য’ হবে বলেও উত্তরাখণ্ড ধরে নিতে পারে না। যদি এই ধরনের ব্যক্তি উত্তরাখণ্ডের বাইরে গিয়ে বিবাহ করেন অথবা সন্তান দত্তক নেন কিংবা উইল রেজিস্ট্রেশন করেন, তাহলে প্রযোজ্য আইন সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে যাবে। এছাড়া বলবৎ সংসদীয় আইনের সঙ্গে উত্তরাখণ্ড আইনের সংঘাত সৃষ্টি  হতে পারে। বলা বাহুল্য, এমন পরিস্থিতিতে সংসদের মাধ্যমে প্রণীত আইনটিই কার্যকর গণ্য হবে। 
উত্তরাখণ্ড একটি ইউসিসি তৈরি করতে পারে, কিন্তু বাস্তবে উত্তরাখণ্ডের কাঁধে বন্দুক রেখে কেন্দ্রীয় সরকারই গুলিটা চালাচ্ছে। তবে এটি তাদের একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ বা মহড়া। প্রত্যাশা মতোই আইনটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ ইউসিসির ধারণাটি পরীক্ষা করার উপযুক্ত সংস্থা হল ২১তম আইন কমিশন। ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট কমিশনের রিপোর্ট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে, ‘এই কমিশন তাই একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যবস্থা করার চেয়ে সেই আইনগুলির বিষয়েই আলোচনা করেছে যেগুলি বৈষম্যমূলক। কারণ ‘এই পর্যায়ে ইউসিসি প্রয়োজনীয় বা কাম্য নয়’।’
মনে হচ্ছে যে, সমাজের পরিবর্তিত মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং রীতিনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ 
একটি প্রগতিশীল এবং উদার আইন তৈরি করা উত্তরাখণ্ডের লক্ষ্য নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, এটি ‘পশ্চাৎপদ ব্যক্তিগত আইন’ অপসারণ করার একটি উদ্যোগ। উত্তরাখণ্ডের আইনটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবিই প্রকট হয়েছে।
সংস্কার?
আইনটির তিনটি অংশ। প্রথম অংশে (ধারা 
৪ থেকে ৪৮) ‘বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয়াংশে (ধারা ৪৯ 
থেকে ৩৭৭) আলোচিত হয়েছে ‘উত্তরাধিকার’ বিষয়ে। ‘লিভ-ইন রিলেশনশিপ’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তৃতীয়াংশে (ধারা ৩৭৮ থেকে ৩৮৯)। আর চতুর্থ অংশটি নির্দিষ্ট রয়েছে ‘বিবিধ’ বিষয়ে আলোচনার জন্য। 
অংশ ১-এর কিছু বিধান স্বাগত। একইসঙ্গে দু’জনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা (বাইগ্যামি) এবং বহুবিবাহ (পলিগ্যামি) নিষিদ্ধ। মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর। বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
কিছু বিধান পরিষ্কার ‘অসাংবিধানিক’। উত্তরাখণ্ডের ভিতরে অথবা বাইরে বসবাসকারী নির্বিশেষে যাঁরা ‘বাসিন্দা’ (রেসিডেন্ট) তাঁদের সবার ক্ষেত্রেই আইনটি প্রযোজ্য। এটি একটি অতিবিস্তৃত সংজ্ঞা, যার মধ্যে পড়ছেন—(১) আপাতত উত্তরাখণ্ডে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের একজন স্থায়ী কর্মচারী (অর্থাৎ পোস্টেড) এবং (২) ‘কেন্দ্রীয় সরকারের’ যেকোনও প্রকল্পের সুবিধাভোগী বা বেনিফিসিয়ারি। আইনটি উত্তরাখণ্ডের আঞ্চলিক এক্তিয়ার লঙ্ঘন করতে পারে। কিছু বিধান—‘বিতর্কিত’। উদাহরণস্বরূপ বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিধান। এছাড়া কিছু বিধান রয়েছে ‘স্থিতাবস্থা’ সংক্রান্ত বা ‘স্টেটাস কোয়েস্ট’। একজন ব্যক্তি কেবল পুরুষ বা মহিলা হতে পারেন এবং ‘বিবাহ’ কেবল একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যেই সম্পন্ন করা যেতে পারে। কিছু বিধান ‘পশ্চাৎগামী’। ‘দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার’-এর ক্ষেত্রে মান্ধাতার আমলের স্বস্তি বহাল রাখা হয়েছে।
‘লিভ-ইন রিলেশনশিপ’ সম্পর্কিত অংশ ৩ হল—একইসঙ্গে ‘পশ্চাৎগামী ধরনের’ এবং ‘অসাংবিধানিক’। উত্তরাখণ্ডের যে ‘বাসিন্দারা’ উত্তরাখণ্ডের ‘বাইরে’ অবস্থান করছেন আইনটি তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে দাবি করা হয়েছে। এটি স্ববিরোধিতার একটি স্পষ্ট দৃষ্টান্ত। পার্ট ৩-এর পুরোটাই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার উপর একটি গুরুতর আক্রমণ। অতএব এটি ‘অসাংবিধানিক’ বলে বাতিল করা হবে। ১৫ থেকে ১৯ নম্বর রুলগুলি আরও খারাপ। বিশ্বাস করুন বা না করুন, উত্তরাখণ্ডের আইনের এই রুলগুলিতে লিভ-ইন পার্টনারদের কর্তব্য এবং অধিকার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। 
দ্বন্দ্ব?
দ্বিতীয়াংশে আলোচিত হয়েছে ‘উত্তরাধিকার’ (সাকসেশন) বিষয়টি। আরও বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, মনে হচ্ছে যে ‘ইনটেস্টেট সাকসেশন’ বা ‘উইল না-করা উত্তরাধিকার’-এর ক্ষেত্রে, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ১৯৫৬-এর বৈশিষ্ট্যগুলিই সামান্য পরিবর্তনসহ গৃহীত এবং আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে—‘এক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত উত্তরাধিকারের কোনও নিয়ম অন্তর্ভুক্ত হয়নি’। আইনটিতে ‘এস্টেট’ বা ‘সম্পত্তি’র সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং এখানে সম্পত্তিতে ‘সহস্বার্থ’ (কোপারসেনারি ইন্টারেস্ট) স্বীকৃতি পেয়েছে বলেই মনে হয়। এর অর্থ এটাই যে, আইনটি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রথাগত অনুশীলনের উপর নির্ভর করে তৈরি। 
‘টেস্টামেন্টারি সাকসেশন’ বা ‘উইল করা উত্তরাধিকার’-এর ক্ষেত্রে, আদালত কর্তৃক ব্যাখ্যাত ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫-এর অধীনে নিয়মগুলি তুলে নিয়েই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইনের স্বাভাবিক সীমানা বহির্ভূত প্রভাব (এক্সট্রা-টেরিটরিয়াল রিচ), প্রাথমিকভাবে, অসাংবিধানিক বলেই গণ্য হবে। কথায় ও কাজে, উত্তরাখণ্ড আইন সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকে প্রাধান্য দিয়েছে এবং উপেক্ষা করেছে অহিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যেসব ব্যক্তিগত আইন প্রচলিত রয়েছে সেসবের বৈশিষ্ট্যগুলিকে। আইনটি কীসের বীজ বপন করেছে—সংস্কারের নাকি সংঘাতের? শুধু সময়ই তার উত্তর দেবে। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
03rd  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
গলব্লাডার স্টোনের অপারেশন প্রাইভেটে করাতে পাড়ার নার্সিংহোম থেকে পাঁচতারা হাসপাতাল ভেদে খরচ পড়ে ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা। ...

দীর্ঘদিন আগে গাজল থেকে হিলি পর্যন্ত ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ককে ফোরলেন করার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার এখনও জমি দেয়নি। যার জেরে দীর্ঘসময় সময় ধরে প্রকল্পের কাজ ঝুলে রয়েছে। ...

অনুশীলনে সবার আগেই নেমে পড়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের বাইরে বল বসিয়ে একের পর এক শট রাখছিলেন তেকাঠিতে। হঠাৎই পিছন থেকে দৌড় এসে লিস্টন সেই বল ...

জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগে একের পর কোম্পানিকে নাস্তানাবুদ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে ভারতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল এই মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা। সম্প্রতি এই সংস্থায় ঝাঁপ পড়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯২: টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহীশূরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন।
১৮৪০: টায়ারের উদ্ভাবক জন ব্যুও ডানলপের জন্ম 
১৮৮৯: গৌরহরি সেনের উদ্যোগে কলকাতার বিডন স্ট্রিটে ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯৪: বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য কর্মী আশালতা সেনের জন্ম
১৯০০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে পানামা খাল নিয়ে চুক্তি হয়।
১৯৩৭: চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মডার্ন টাইমস মুক্তি পায়
১৯৩৪: অভিনেতা সুজিত কুমারের জন্ম
১৯৭৬: অভিষেক বচ্চনের জন্ম
১৯৮৪: আর্জেন্তিনার ফুটবলার কার্লোস তেভেজের জন্ম
১৯৮৫:পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮৮: কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্তের মৃত্যু
১৯৯০: ক্রিকেটার ভূবনেশ্বর কুমারের জন্ম
১৯৯২: ফুটবলার নেইমারের জন্ম
২০১৪: বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যূথিকা রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.১৮ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২৮ টাকা ১১০.০২ টাকা
ইউরো ৮৮.১৫ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১২/৩৬। ভরণী নক্ষত্র ৩৫/৩৮ রাত্রি ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৬/১৮/৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৯ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪০ মধ্যে। 
২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী রাত্রি ২/৫৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১২।  সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ৯/৫৩ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৩/১৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৪ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৬/২০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৩ মধ্যে।    
৬ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
একাধিক দাবিতে মাদারিহাটের গ্যারগেন্দা বাগানের চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

12:00:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে আরতি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:58:00 AM

১৬৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

11:57:00 AM

বুধবার কেমন থাকবে শহরের আবহাওয়া?
বাংলায় খামখেয়ালি শীত। ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস। আজ, বুধবার সকালে ...বিশদ

11:51:38 AM

এক নজরে উপ নির্বাচনে ভোটের হার (বেলা ১১টা পর্যন্ত)
আজ, বুধবার দিল্লিতে চলছে বিধানসভা ভোট। পাশাপাশি, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের ...বিশদ

11:49:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ১৯.৯৫ শতাংশ

11:48:00 AM