Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
মূল্যবৃদ্ধির চাপে সাধারণ মানুষ নাজেহাল। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। হাতে উদ্বৃত্ত অর্থ নেই বলেই সঞ্চয় তলানিতে। চরম আর্থিক মন্দা। এসবেরও কোনও দাওয়াই নেই প্রায় দেড় ঘণ্টার বাজেট ভাষণে। যদি আয়ই না থাকে, বেকার যুবক কাজ না পায়, তাহলে ১২লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের সুবিধা নেবে কে? মাসে এক লক্ষ টাকা রোজগার দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশের? এক থেকে দেড় শতাংশের বেশি কি? মধ্যবিত্তের কথা বলতে গিয়ে আসলে গ্রামের সম্পন্ন চাষি, মহিলা উদ্যোগপতি এবং স্টার্টআপদের জন্যই একগুচ্ছ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাও সরাসরি নয়, হরেক কিসিমের ঋণ আর ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে দিয়ে। সারে ভর্তুকি কমিয়ে কৃষকের পায়ে কুড়ুল মারা হয়েছে। আর ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন বিহারকে। বেশ বোঝা যাচ্ছে, দিল্লির ভোটের পরই বিহার দখলে ঝাঁপাবে মোদির বিজেপি। লালু- নীতীশ দু’জনেই বৃদ্ধ হয়েছেন। বিহার দখলের এটাই মোক্ষম সুযোগ! কিন্তু গরিবের দিনবদল স্বপ্নই থেকে যাবে। কারণ, অর্থমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন ১৪৩ কোটির দেশে রিটার্ন ফাইলই করে মাত্র ৮ কোটি মানুষ। শতকরা ৬.৬৮ শতাংশ। তাহলে এই এক লক্ষ কোটি টাকা ছাড় কারা পেল? প্রকৃত গরিব না প্রতিষ্ঠিত সম্পন্নরা? আইআইটি কিংবা ডাক্তারিতে আসন বৃদ্ধিও মেধাবীদের জন্য। গড়পরতা মধ্যমেধার ছেলেমেয়েরা কোথায় যাবে? তাদের ভবিষ্যৎ কি রাজপথেই গড়াগড়ি খাবে সরকারি সৌজন্যে।
আসলে ভোট আর বাজেট দুই-ই এই বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে ‘দিল্লি কা লাড্ডু’! নিয়ম করে আসে, চলেও যায়। রাজনীতির টানাপোড়েনে মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার উন্নতি হয় না কিছুতেই। দু’দিন হইচই, এখানে কেন বরাদ্দ বেশি, ওখানে কেন কম? রাত পোহালেই সব বিস্মৃতির অতলে। গণতন্ত্রের বৃহত্তম মঞ্চে গরিব মানুষের অদৃষ্টে আপাদমস্তক বোকা বনে যাওয়াই নির্মম দস্তুর। দিন মাস বছর জাগতিক নিয়মের আবর্তে ঘুরলেই দেখা যায় সিংহভাগ প্রতিশ্রুতিই ফানুস হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে হাওয়ায়। বাজেটে যে অনেক পেয়েছে, আর যে কিচ্ছু পায়নি, দু’পক্ষই দাঁড়িয়ে একই বিন্দুতে। শুধু রং বদলে গিয়েছে ফুলে ফেঁপে ওঠা নেতানেত্রীদের। গরিব মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া শ্রমিক, খেতে কাজ করা কিষান, চাকরি না পাওয়া শিক্ষিত বেকার কিংবা অসহায় পরিযায়ীর ঘরের অন্ধকার ঘোচে না একটুও। অন্ধকার ঘোচে না পশ্চিমবঙ্গের মতো সিঙ্গল ইঞ্জিন রাজ্যেরও।
রাজধানী দিল্লির বিধানসভা ভোটের ৯৬ ঘণ্টা আগে সাধারণ বাজেট। বিপুল কর ছাড়ের ঢেউ লাগবে কি দিল্লির ৩ কোটি ভোটারের মনে? মনে হয় না। দেশজুড়ে মোদিজির দখলদারির সাতকাহনে চোনা লাগিয়েছে দু’টি রাজ্য। বাংলার সঙ্গে দিল্লিও। তাই শুধু কর ছাড়ের মলম লাগিয়েই তিনি থামছেন না। সীমাহীন অব্যবস্থার কুম্ভমেলাতেও দিল্লির ভোটের দিন পুণ্যস্নানে শামিল হতেই হবে প্রধানমন্ত্রীকে। কেন? ভক্তিসাগরে ডুব দিয়ে দিল্লির শাপমোচনই এবারের বাজেটের পয়লা পরীক্ষা! ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে পরের শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওটাই ‘বাজেট টু’! তারপর পাটনা বিমানবন্দরের উন্নয়ন ঘটিয়ে বিহার দখলের অপারেশন! পঁচিশ সাল শেষ হলেই বাংলার ভোট। সঙ্গে তামিলনাড়ু ও কেরল। 
টানা আটবার বাজেট পেশ করার গৌরব। সাদা সিল্কের উপর মধুবনী প্রিন্টের হলদে পাড় শাড়ি। লাল শালু মোড়া ট্যাবে বন্দি যাবতীয় তথ্য। কিন্তু নির্মলার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কী হল? গরিব মানুষ কী পেল? এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য ছিল মন্দা কাটিয়ে আর্থিক বৃদ্ধি এবং জিডিপি’র পুনরুজ্জীবনকে বাস্তবায়িত করা। কিন্তু বাজেট বক্তৃতায় নানা কিসিমের ঘোষণা হলেও কোথাও মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়াস চোখে পড়ল না। কিন্তু এক দশক আগের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার যে অঙ্গীকার করা হয়েছিল, তা দেওয়ার কোনও দিনক্ষণ এবারও জানানো হল না। লাখপতি দিদির সংখ্যাও অনুপস্থিত। ফলে ১৪৩ কোটির ভারতীয় জনগণের কত শতাংশ আজকের বাজেটে লাভবান হবেন, সেই প্রশ্ন তোলা কি অসঙ্গত? ২০২৪ সালে দেশে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন ৮ কোটির সামান্য বেশি মানুষ। এরমধ্যে আবার সিংহভাগই শূন্য আয়করের মানুষ। প্রায় ৪ কোটি ৯০ লক্ষ। অর্থাৎ করের পরিমাণ শূন্য হলেও তাঁরা রিটার্ন ফাইল করেছেন। বাকি ১৩৪ কোটি মানুষ কী পেলেন, পেনসিল? অথচ এবারের বাজেট আবর্তিত হল মূলত আয়করকে ঘিরেই। সরকার বেশ বুঝতে পারছে, মধ্যবিত্তের হাতে উদ্বৃত্ত টাকা না এলে অর্থনীতির থমকে থাকা চাকা সচল করা যাবে না। কিন্তু শুধু আয়করে ছাড় দিয়েই কি তা হবে? আয়করে একশো টাকা ছাড় দিয়ে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি যদি হাজার টাকা পকেট থেকে বের করে নেয় তাহলে মধ্যবিত্তের সুরাহা হবে কীভাবে, তার উত্তর নেই নির্মলার বাজেট বক্তৃতায়। নেই আয় বাড়ানোর পথনির্দেশও।
এই যে এ দপ্তরের জন্য এত হাজার কোটি, ওই জনহিতকর প্রকল্পে লক্ষ কোটি বরাদ্দের প্রতিযোগিতা চলে। কিন্তু বছর ঘুরলে কেউ কি মনে রাখে ঠিক কত কোটি খরচ হল কিংবা গরিবের ক’টা অন্ধকার ঘর আলোয় উদ্ভাসিত হল। মিলিয়ে কি দেখা হয় বাজেট প্রস্তাব আর বাস্তবে সেই টাকা এসে পৌঁছেছে কি না? এভাবেই এক ভোট থেকে পরের ভোট। এক বাজেট থেকে পরের আর্থিক খতিয়ান পেশের মাহেন্দ্রক্ষণে সাঁতার কাটি আমরা। নাজুক টালমাটাল মধ্যবিত্ত। কারণ অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতাকে পিছনে ফেলে রাজনৈতিক অগ্রাধিকারই মুখ্য হয়ে সামনে আসে সরকারের এই বাৎসরিক ঘোষণায়। তাই রাজনৈতিক কারণেই বিহার এক্সপ্রেস ছোটানোর এত তৎপরতা!
সাধারণ মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ জিডিপি বোঝেন না। জিএসটিও অধিকাংশের কাছেই জটিল ধাঁধা ছাড়া কিছুই নয়। অর্থনীতির জটিল পরিসংখ্যান, তত্ত্বের কচকচি, ফিসকাল ডেফিসিট-ওদের কাছে অর্থহীন বাকোয়াস ছাড়া কিছুই নয়। শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। তবু আধমরা বাজারে সিংহভাগ জনগণের সামনে হঠাৎ একটা সংখ্যা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কেন্দ্রের সরকার। গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট সংক্ষেপে জিডিপি। এককথায় দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের সূচক। ৬.৩ না ৬.৮। ওই একটা সংখ্যা দেখিয়েই উল্লাসে মেতেছে শাসক শিবির। কাড়া নাকাড়া ঢোল কত্তাল নিয়ে একে অপরের পিঠ চাপড়াতে ব্যস্ত। সংখ্যাতত্ত্বের জাগলারিতে জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন গেরুয়াপন্থী অর্থনীতির লোমহর্ষক পণ্ডিতরা। আমরা মানে আম জনতা তাই গিলছি। হাততালি দিচ্ছি। উদ্বাহু হচ্ছি। এই গোয়েবলসের কেরামতি আরএসএসের ভক্তকুলের বড্ড চেনা খেলা। সাফল্যের সাতকাহন দুবেলা উচ্চগ্রামে বলতে থাকো। বারবার বলো। সকাল সন্ধে বাজারে রাস্তায় ভরা স্টেশনে সর্বত্র হাঁকো। চোঙা ফুঁকতে ফুঁকতেই যেটা হয়নি তাও সত্য হয়ে যাবে একদিন। দু’হাত জোড় করে মোদিজির গুণ গাও। আর ভুলিয়ে দাও পুরনো সব ক্ষত। তাহলেই কেল্লা ফতে! 
কিন্তু এই সাফল্যের ছিটেফোঁটাও তো গরিবের কুটিরে প্রদীপ হয়ে জ্বলে না। তাহলে সাধারণের লাভ? নির্মলা সীতারামনদের এই হঠাৎ আহ্লাদের অভিঘাতে পেট কি ভরবে? কিংবা কাজ হারানো শ্রমিকের দুর্দশা ঘুচবে? আজও যাঁরা প্রতিমুহূর্তে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন। দীর্ঘ প্রায় একদশক আগে নভেম্বরের এক হাল্কা শীতের রাতে প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের পর থেকে বাজার আর তো তেমন ঘুরে দাঁড়ায়নি। স্বাধীন ভারতের নৃশংসতম জুমলা! 
২০১৪ সালে মোদিজি যখন পবিত্র সংসদ ভবনের চৌকাঠে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে প্রবেশ করেছিলেন তখন জনগণের সামনে রিপোর্ট কার্ড তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। তখন গ্যাসের দাম ছিল ৪০০ টাকা। আজ তা বেড়ে দ্বিগুণকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। পেট্রল ডিজেল ১০০ টাকা ছাড়িয়ে দ্রুত আগুয়ান পরবর্তী মাইলফলকের দিকে। কোন জিনিসটার দাম বাড়েনি বলুন তো? আচ্ছে দিনের সব আয়োজন ব্যর্থ। কৃষকের আয় দ্বিগুণ হয়নি। আর এখন ২০৩২ সালের মধ্যে দেশকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে তুলে ধরতে নতুন খেলা। 
নারীশক্তির কাজের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়া তা কোনওমতেই সম্ভব নয় বলে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মত। কারণ এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১০টি শীর্ষ অর্থনীতির দেশের মধ্যে ভারতের শ্রমক্ষেত্রে মহিলা অংশীদারিত্ব সর্বনিম্ন। এবং তার জন্য বার্ষিক কয়েক বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়ে চলেছে। এই অবস্থায় নির্মলা সীতারামন যখন তৃতীয় মোদি সরকারের দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তখন সকলের চোখ নিবদ্ধ ছিল কীভাবে তিনি দেশের নারী শ্রমশক্তিকে পূর্ণাঙ্গ এক রূপ দিতে পারেন সেদিকে। দেশের জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ মহিলা হলেও গড় জাতীয় উৎপাদনের মাত্র ১৮ শতাংশ ভাগীদারি রয়েছে নারীশক্তির। অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় যা কিছুই নয়। চাকরি ক্ষেত্রে এই লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে পারলে জিডিপিতে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখানেও অর্থমন্ত্রী চূড়ান্ত হতাশ করলেন। তেমন কিছুই বললেন না।
একথা ঠিক, ভোটে জিততে আজ রাজ্যে রাজ্যে সরকারের অভিমুখ সংখ্যালঘু আর নারী। এই দুই শ্রেণির মন জয় করতে পারলেই ভোট পরীক্ষায় আপনি উত্তীর্ণ। বাকি জনগণ ক্ষুব্ধ হয়েও আপনার টিকিটি ছুঁতে পারবে না। জিডিপি গোঁত্তা খাক, মধ্যবিত্তের আয় কমুক কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের আয় বিনা বাধায় ৮৭ শতাংশ বাড়ে। ভোটের বছর হলে তো কথাই নেই। হায় মোদিজির মহান গণতন্ত্র! ভোটের বছরে চাঁদা থেকে বিজেপি’র আয় ছিল ৪ হাজার কোটি, এবার তা বেড়ে ৬ হাজার কোটি হোক। গরিবের কথা ভেবে কী হবে? দলের পকেট ভরাও, আধুনিক গণতন্ত্রের এটাই আদর্শ অভিমুখ।
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
একনজরে
কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরেছেন। শনিবার জলপাইগুড়ির বাড়িতে পা রেখে কুম্ভের সেই হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা শোনালেন পাঁচ বন্ধু প্রশান্ত দাস, অমিত রায়, ...

ভগবানপুর-১ ব্লকের যদুপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হল তৃণমূল। শুক্রবার সমিতিতে ন’টি আসনে কড়া পুলিসি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ভোট হয়। ...

নরেন্দ্র মোদিই হন বা নির্মলা সীতারামন, গোড়ায় কেউই আন্দাজ করতে পারেননি যে বাজেট পড়া শুরুর আগেই বিক্ষোভে ফেটে পড়বে বিরোধীরা। ...

প্রস্তুতি ম্যাচও এতটা একপেশে হয় না। পাড়া ফুটবলেও কিছুটা লড়াই থাকে। শনিবারের যুবভারতীতে এসব খোঁজা বৃথা। মিনি ডার্বিতে হেলায় জিতল মোহন বাগান। সাদা-কালোর ব্যারিকেড টপকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জলাভূমি দিবস
১৮১৪- কলকাতায় ভারতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা
১৮৫৩- শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রথম বাঙালি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে সরকারি উকিল নিযুক্ত হন
১৮৬২- শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রথম বাঙালি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন
১৮৮২- আইরিশ লেখক জেমস জয়েসের জন্ম
১৯০১- রানি ভিক্টোরিয়ার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল
১৯২২- প্রকাশিত হল জেমস জয়েসের ইউলিসিস
১৯৩১- বিশিষ্ট কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, সাহিত্য গবেষক, কলকাতা গবেষক, চিত্র-পরিচালক ও প্রচ্ছদশিল্পী পূর্ণেন্দু পত্রীর জন্ম
১৯৫৯- শিশিরকুমার ভাদুড়ী কর্তৃক ভারত সরকার প্রদত্ত "পদ্মভূষণ" সম্মান প্রত্যাখ্যান
১৯৭১- উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট মিলটন ওবটের স্থলাভিষিক্ত হলেন ইদি আমিন
১৯৮৯- সত্যজিৎ রায়কে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান "লিজিয়ন ডি অনার" প্রদান
১৮৮৯- আফগানিস্তান যুদ্ধ শেষে কাবুল থেকে ফিরে গেল শেষ সশস্ত্র বাহিনী 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৬০ টাকা ১০৯.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৮.১০ টাকা ৯১.৪৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮২,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী ৭/২০ দিবা ৯/১৫। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৬/২৫ রাত্রি ২/৩। সূর্যোদয় ৬/১৯/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২১/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ১/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৬/১২ গতে ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। 
১৯ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। চতুর্থী দিবা ১২/১৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৫/২১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৩ মগর ৮/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি  ১/২৯ গতে ৩/৭ মধ্যে।
৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ট্রাম্পের নির্দেশে সোমালিয়ায় আমেরিকার এয়ারস্ট্রাইক, নিকেশ একাধিক জঙ্গি

01-02-2025 - 11:40:00 PM

নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

01-02-2025 - 11:19:00 PM

মালদহের মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের উপর হামলার অভিযোগ

01-02-2025 - 11:03:00 PM

কেজরিওয়াল মানুষের টাকা লুট করেছেন: রাহুল গান্ধী

01-02-2025 - 10:32:00 PM

ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৮ মাওবাদী

01-02-2025 - 09:54:00 PM

মেয়েদের বিভাগে বিসিসিআইয়ের বর্ষসেরা ক্রিকেটার সম্মান পেলেন স্মৃতি মান্ধানা

01-02-2025 - 09:44:00 PM