সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ১৮ মে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। রানাঘাট থানা এলাকার একটি রেললাইন সংলগ্ন পাড়ায় ওই বৃদ্ধা একাই থাকতেন। একমাত্র মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বৃদ্ধার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই। প্রতিদিন বৃদ্ধার মেয়ে অথবা জামাই তাঁর খোঁজ নিতে আসতেন। ওইদিন সকালে ওই বৃদ্ধার মেয়ে এসে দেখেন, ঘরের দরজা হাট করে খোলা। মেঝেতে অর্ধনগ্ন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা মা। তাঁর সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।তার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতার মেয়ে রানাঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস তদন্তে নেমে নেমে শুভঙ্কর শিকদার এবং তনু সরকার নামে দু›জনকে চিহ্নিত করে। অপরাধ করার পর তারা মুম্বই পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা নেপালে পালানোর ছক কষেছিল। সেই বিষয়ে কথা বলতে রানাঘাটে এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দু’জন। সেই সূত্র ধরেই পুলিস মুম্বইয়ে হানা দিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। এই মামলার সরকারি আইনজীবী মিলনকুমার সরকার বলেন, বৃদ্ধা রাতে শৌচালয় যাওয়ার জন্য ঘরের দরজা খুলেছিলেন। সেই সুযোগেই ঘরে ঢুকে পড়ে শুভঙ্কর এবং তনু। এরপর জোর করে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে তারা। ওই বৃদ্ধার মেয়ে যখন সকালে মায়ের খোঁজ নিতে আসছেন তখন ওই দু’জনকে তাঁরা দেখতে পান। কোনওমতে নিজেদের জামাকাপড় পরতে পরতে বেরিয়ে আসছিল তারা। সেই মামলার শুনানিতে একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। শুক্রবার বিচারক সৌমেন গুপ্ত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এবিষয়ে রানাঘাটের এসডিপিও সবিতা গটিয়াল বলেন, আমরা যে কোনও অপরাধের বিরুদ্ধেই সক্রিয় অবস্থান নিচ্ছি।
এই জানুয়ারি মাসেই আমরা তিনটি মামলার বিচার আদালতের কাছ থেকে পেয়েছি। শুধু চার্জশিট দিয়ে থেমে যাওয়া নয়, মামলার অগ্রগতির উপর নজর রেখে কাজ করা, সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও একাধিক কারণে সাফল্য পাচ্ছে রানাঘাট পুলিস জেলা। এবিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা হাতে অর্ডার কপি পাইনি। কপিতে কী রয়েছে তা দেখে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।